শেরপুরে নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উজানের দিকে উন্নতি হয়েছে।
তবে ওই তিনটি উপজেলায় নিন্মাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামে এখনও পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
প্রায় ছয় দিন ধরে পানিবন্দি এসব পরিবারগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে কয়েকটি এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এদিকে, গত তিন দিন ধরে উজান থেকে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে পানি বেড়েছ। এতে কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর ও ৭ নম্বর চর এবং চরপক্ষীমারি ইউনিয়নে কুলুরচর, বেপারীপাড়া, জঙ্গলদী ও ভাগলদী গ্রামের নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে অনেক কৃষকের খেত ডুবে গেছে ও নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানির তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় ৬ নম্বর চরের পশ্চিম পাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা এবং দশানী নদীর ৭ নম্বর চর বাজার থেকে ব্রহ্মপুত্রের মোহনা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উভয় নদীতে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে অন্তত ১০০ মিটার সরে এসে ভিটেমাটি গ্রাস করেছে। হুমকিতে রয়েছে ৭ নম্বর চর বাজার ও জামে মসজিদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে সাতটি পরিবার তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বেশকিছু ফসলি জমি ডুবে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে শেরপুরের বেশ কয়েকটি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা নদীগুলোর ভাঙন এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ