পদক্ষেপ
ঢাকার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফাতাহ কর্মকর্তার, ইসরায়েলকে থামাতে আরো বেশি পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন ঢাকায় সফররত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিবরিল রাজৌব।
মহাসচিব আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) সমর্থনসহ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত জিবরিল রাজৌব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মহাসচিব গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরাইলি নৃশংসতার ফলে নজিরবিহীন গণহত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে মহাসচিব গাজায় নতুন বসতি স্থাপন এবং গাজা, পশ্চিম তীর ও এর বাইরেও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নতুন সংযুক্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা উপত্যকায় কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক হতাহত এবং কষ্টের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত মানবিক প্রবেশাধিকারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরব দেশগুলোর ঐকমত্য অর্জনে গাজায় যুদ্ধ অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নয়নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে ফাতাহ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
সোমালিয়ান জলদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহতে কর্মরত নাটোরের জয় মাহমুদের পরিবারের প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে উৎকন্ঠায়। অর্ডিনারি নাবিক হিসাবে কর্মরত জয় মাহমুদের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর গ্রামে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটিকে জিম্মি করে জলদস্যুরা। জিম্মি করা হয় জয়সহ জাহাজের ২৩ জনকে। জলদস্যুদের কবলে পড়ার মুহূর্তে জয় তার চাচাতো ভাই মারুফকে জানিয়েছিলে পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা। তবে বাবা-মাকে জানাতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু চাপা থাকেনি সে কথা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পায় পরিবার। একমাত্র ছেলের বন্দিদশার কথা শোনার পর থেকে বাবা জিয়াউর রহমান ও মা আবিদা বেগমের চোখে ঘুম নেই। তারা চান তাদের সন্তানসহ জাহাজের সবাইকে উদ্ধারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, নাটোরের জয় মাহমুদ গত বছরের ২৯ নভেম্বর জাহাজটিতে যোগদান করে। জাহাজে জিম্মি ২৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ১১ জন, নোয়াখালীর ২ জন। এছাড়া নাটোর, নওগাঁ, ফরিদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, নেত্রকোণা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও খুলনার নাবিক রয়েছেন।
নিয়োগের সময় ও জটিলতা কমাতে পদক্ষেপ নিন: পিএসসিকে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সরকারি নিয়োগে জটিলতা ও প্রক্রিয়াকরণে দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩ পেশ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি কমিশনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে পিএসসি চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের মেধাবী তরুণরা যাতে তাদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে জনগণের সেবার মনোভাব নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কর্ম কমিশনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাছাই প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কিত বিষয়াদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পিএসসির কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে পিএসসি আরও গতিশীল হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
একই সঙ্গে শুরুতেই মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) যুগোপযোগী করা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছরের পুরোনো গাড়িগুলো পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। আরেকটি চ্যালেঞ্জ, যেটি আমি করতে পারিনি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প যখন শেষ হয়ে যায়, সেই প্রকল্পের গাড়িগুলো পরিবহন পুলে এসে পৌঁছানোর কথা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গাড়িগুলো এসে পৌঁছায়নি। এবার আমরা খুবই কঠোর পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আইএমইডি থেকে আমরা জানব কতগুলো প্রকল্প আছে, সেই প্রকল্প কবে শেষ হয়েছে, গাড়িগুলো কোথায় আছে, সেই গাড়িগুলো আমাদের পরিবহন পুলে জমা দিতে হবে। বিষয়টি এবার আমরা খুব শক্তভাবে দেখার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ক্যাডার বৈষম্য রয়েছে তা নিরসনে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ক্যাডার বৈষম্যের বিষয়গুলো আমরা এরই মধ্যে যথার্থভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। সামনের দিন এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমরা চাইব বৈষম্য যাতে শূন্যতে আসে। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অর্গানোগ্রাম যুগোপযোগী নয়- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা অর্গানোগ্রামগুলো পরিবর্তন করছি। এগুলো পরিবর্তন করতে হলে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ৪-৫ জন করে অতিরিক্ত সচিব আছেন। কিন্তু সেখানে হয়তো পদ আছে দুটি। তাই সেখানে আমাদের বেশি করে পদায়ন করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আমরা এবার প্রথম দিকেই মন্ত্রণালয়গুলোকে আহ্বান জানাব বাস্তবতার নিরিখে তারা যাতে আমাদের কাছে তাদের অর্গানোগ্রামে কী পরিবর্তন দরকার যুগোপযোগী করে সেটি যাতে বাস্তবভিত্তিক হয়, সেভাবে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অর্গানোগ্রামটাকে আপডেট করব।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সেটি করতে পারলে আমরা তখন প্রোপার অ্যাসেসমেন্টটা করতে পারব, কোন জায়গায় কত লোক লাগবে এটা আমরা প্রথমে শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
এ উপলক্ষে টেলিকম অপারেটরদের জরুরি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মোবাইল, টাওয়ার-কো, এনটিটিএন, আইএসপি, আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ প্রভৃতি অপারেটরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সাইট, পপ, হাব-সাইটসহ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণসহ স্ব-স্ব টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক মনিটরিয়ের ব্যবস্থাকরণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে পোর্টেবল ও ডিজেল জেনারেটরের নেটওয়ার্ক সচল রাখার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাকরণ প্রয়োজনীয় মোবাইল বিটিএসের ব্যবস্থাকরণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সকল টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রণয়নসহ সার্বিকভাবে সব কার্যক্রম সুচারুরূপে পর্যবেক্ষণের জন্য বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।
বিটিআরসির মনিটরিং সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সার্বিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও দিক নির্দেশনা প্রণয়নের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণ বাস্তবায়ন হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারেরে উদ্যোগ সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী- গত দুই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতি আগস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে জুলাই মাসে সামগ্রিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ মানে- একজন ব্যক্তি যিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ১০০ টাকায় পণ্য ও পরিষেবা কিনতেন। যা চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১০৯ দশমিক ৯২ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি একটি করের মতো যা ধনী-গরিব সবার কাছেই সমান বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিবাজদের সমূলে উৎখাত করতে’ দেশের অভ্যন্তরে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করতে উৎসাহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে।’
তিনি বলেন, তাদের কাছে অন্যান্য উপায়ও রয়েছে, যেমন সম্পদ জব্দ করা এবং অংশীদার দেশগুলোর তথ্য দেওয়া যাতে তারা মামলা করতে পারে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তারা বেশ কয়েকবার এটা পরিষ্কার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: সংঘাতজনিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
‘আমরা এটা সরাসরি পরিষ্কার করেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এটি পরিষ্কার করেছি এবং আমাদের নীতি অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ, ৬ থেকে ৮ আগস্ট তার বাংলাদেশ সফরের সময় দুর্নীতি মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একই কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সফরকালে নেফিউ কীভাবে দুর্নীতির অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিবকে মার্কিন কর্মকর্তা
নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির উপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব বিষয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত ফলাফল পায় না।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী ২০তম বার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে যেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।
আরও পড়ুন: সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এখন আমাদের ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। আমরা বিচার বিভাগকে স্মার্ট করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের ১৪ তলা রেকর্ড ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। তাই এক্ষেত্রে একটি স্মার্ট বিচারব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন। আপনারা এরমধ্যে এ বিষয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মামলাজট তীব্র হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার কারণে আজ মামলাজট লাঘব হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে এবং জনগণ দ্রুত বিচার পাচ্ছে (ভার্চুয়াল আদালতের কারণে)।
তিনি বলেন, জনগণ তার সরকারের তৈরি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল আদালতের ব্যবস্থা করে মামলারজট হ্রাস করার জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, এখন তালিকা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এবং লোকেরা এটি তাদের বাড়িতে বসেই দেখতে পাবে।
তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালতে বাংলায় রায় প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেই তাদের মামলার আপডেট জানতে পারে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই পদক্ষেপগুলো এদেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া খুব সহজ করে তুলছে। তাই জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস ও আস্থা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব গতিতে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজউদ্দিন ফকির।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির জন্য পদক্ষেপে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং এটি বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থবিষয়ক গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি) সভায় বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও জোর দিচ্ছি ইউক্রেন যুদ্ধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাপ্তির উপর। দীর্ঘায়িত যুদ্ধ ও আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে চলেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে প্রতি দিনই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের সঙ্গে অনেক জীবন ধ্বংস হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের চলমান সংঘাতে মানবতার উপর বিধ্বংসী প্রভাব পড়ছে। ‘প্রকৃতপক্ষে, যুদ্ধের নতুন নতুন ও অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো চালু করা হচ্ছে; যা সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে আরও ধ্বংস ডেকে আনছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য ও বৈষম্য তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা বাড়ছে। ‘এসব ধাক্কা বিশ্বজুড়ে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়েছে, যার ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিতে বিলম্ব হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার এই সময়ে, ভবিষ্যতে যেসব প্রতিবন্ধকতা আসবে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্বলদের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জরুরিভাবে সংস্কার করা আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল প্রয়োজন যাতে স্বল্পোন্নত দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কম খরচ ও স্বল্প সুদের হারে তহবিল পাওয়ার সুযোগ দেবে।
তিনি বলেন, সংকট ও দুর্যোগের সময় এবং জরুরি অবস্থার সময় উন্নয়নশীল দেশগুলোরও আইএমএফের এসডিআর তহবিলের সহজ প্রাপ্তি থাকতে হবে। এ ছাড়াও, আইএফআই ও এমডিবি থেকে কম হারের তহবিল প্রাপ্তি সংকট কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত স্থগিত করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বিধিনিষেধ, মজুদ ও সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়া খাদ্যের মূল্য ও প্রাপ্তিকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
‘এ বিষয়ে, আমরা বাজারগুলোকে উন্মুক্ত রাখতে, রপ্তানি বিধিনিষেধ অপসারণ এবং খাদ্য সরবরাহের উন্নতির জন্য খাদ্য মজুদ বন্ধ করতে মহাসচিবের আহ্বানকে পুরোপুরি সমর্থন করি। আমরা মহাসচিবকে তার ব্ল্যাক সি ইনিশিয়েটিভের জন্য অভিনন্দন জানাই যা মানুষকে খাওয়ানো এবং জীবন বাঁচাতে আরও বাড়ানো দরকার,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিচক্ষণতার সঙ্গে জ্বালানি খাত পরিচালনা করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার নীতি সহায়তা প্রদান করে এবং জ্বালানি খাতে দেশীয় সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে এবং সবুজ শক্তির রূপান্তরকে সহায়তা করে।’
তিনি বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন একসঙ্গে সম্পর্কিত। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো জলবায়ু পরিবর্তনকে চালিত করে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসারিত করে এবং তীব্রতা বাড়ায়। এটি আবার কৃষি, খাদ্য উৎপাদন এবং মানুষের বাস্তচ্যুত করতে প্রভাবিত করে।
‘অতএব, টেকসই শক্তি, খাদ্য উৎপাদন, এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধ অপরিহার্য,’ তিনি যোগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন জিসিআরজির তিনটি পলিসি ব্রিফ ও "এ ওয়ার্ল্ড অব ডেট" প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো চমৎকার। এগুলো প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বিশ্বব্যাপী ঐকমত্যকে সহজতর করবে।
"আমাদের সবাইকে অবশ্যই আমাদের আগ্রহের বিষয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে," তিনি বলেন।
এই খারাপ সময়ে বাংলাদেশ কিছু কঠিন আর্থিক ও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে কঠোর পরিশ্রম করে; জনগণকে অনাবাদি জমি না রেখে খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করেছে।
"গুরুত্বপূর্ণভাবে, আমরা নিশ্চিত করেছি কোনো ব্যক্তি অনাহারে থাকবে না," তিনি বলেন।
চলতি বছরকে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের বছর উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ‘ক্ষয়ক্ষতি তহবিল’ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখতে চাই এবং জলবায়ু তহবিল সহজলভ্য করতে চাই। এ ছাড়াও, শিপিং সেক্টরে প্রস্তাবিত কার্বন শুল্ক দ্বারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রভাবিত করা উচিত নয়। আমরা জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে গ্লোবাল শিল্ডের অধীনে চালু করা প্রকল্পগুলো দেখার প্রত্যাশা করি।"
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিন, এসডিজি অর্জন করুন: বক্তারা
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।
তারা বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের প্রতিশ্রুতি প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসডিজি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামিট-২০২৩’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহাম্মদ।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজির প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য ‘বৈশ্বিক পুনঃপ্রতিশ্রুতি’ করার জন্য একটি জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী মোমেন বলেন, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও জলাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর ৬ দশমিক ৬ লাখ বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত ও চাকরি হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা এই ধরনের বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে ধনী দেশগুলোর ত্রুটির কারণে যেগুলো বিপুল গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গত করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টি করে’।
কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
তাই অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মতো বাংলাদেশও চায় ধনী দেশগুলোর বোঝা ভাগাভাগি করুক।
এসডিজির ১৭ লক্ষ্য অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলো এসডিজি অর্জনের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি দেবে।
উন্নত দেশগুলো তাদের জিডিপির ০.৭ শতাংশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু মাত্র ছয়টি দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
মোমেন বলেন, অর্থ ও প্রযুক্তি ছাড়া এসডিজি আদৌ অর্জন করা সম্ভব নয়।
আমিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত এবং শরণার্থী সংকট এসডিজিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্য ব্যবস্থার উন্নতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে।
তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যের রূপান্তরে প্রচুর বিনিয়োগের ওপর জোর দেন।