চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপের দেশ না হয়েও ইসরায়েল কেন উয়েফার প্রতিযোগিতায়
দক্ষিণ ইসরায়েলে গাজার শাসক দল হামাসের গত বছরের অক্টোবরের হামলার জেরে উপত্যকাটিতে অব্যাহত অগ্রাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারায় ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনপন্থিদের সোচ্চার হতে দেখা গেছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা শঙ্কায় নেশন্স লিগে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায় বেলজিয়াম। পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরির একটি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৬ নভেম্বর রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচের আগে গ্যালারি থেকে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। পরের দিন রাতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ইউরোপা লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর ইসরায়েলি ক্লাব মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়।
একই ঘটনা দেখা গেছে ফ্রান্সে নেশন্স লিগের ম্যাচ আয়োজনের আগেও। বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পুরো প্যারিস শহর।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
সাম্প্রতিক এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারও কারও মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হওয়া সত্ত্বেও কেন ইউরোপের প্রতিযোগিতায় খেলে ইসরায়েল ও তার ক্লাবগুলো।
এর উত্তর পেতে আমাদের ঢুঁ মারতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৪৮ সালে দেশটির জাতীয় ফুটবল দল গঠন হয়। এর আগে ১৯২৯ সাল থেকেই ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) ব্যানারে ফিফার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন ইহুদি খেলোয়াড়রা। সে সময় আরব, ইহুদি, এমনকি ব্রিটিশ শাসনামলে ওই অঞ্চলে কর্মরত ব্রিটিশ পুলিশ ও সেনাদের ক্লাবগুলোও পিএফএর অধীনে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
জাতীয় দল গঠনের পর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসির একেবারে শুরুর দিকে আয়োজিত কয়েকটি এশিয়ান কাপেও অংশ নেয় ইসরায়েল। ১৯৫৬ সালে এশিয়ান কাপের প্রথম আসরসহ ১৯৬০, ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ সালের আসরে অংশ নেয় ইসরায়েল জাতীয় ফুটবল দল। এর মধ্যে ১৯৬৪ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে এশিয়ান কাপের শিরোপা জেতে দেশটি।
১৯৭৩ সালের শেষের দিকে মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ইয়ম কিপুর যুদ্ধের অবসানের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থেকে। আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ ফুটবলের ময়দানেও ছাপ ফেলে। সে সময় প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে কুয়েতের তদবিরে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে এএফসি থেকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশটি।
আরব লিগ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দেশের ফুটবল বাঁচাতে বিকল্প খুঁজতে থাকে ইসরায়েল। এশিয়া থেকে বের হয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য ওশেনিক ফুটবল ফেডারেশনে (ওএফসি) যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে দেশটি।
পরে সদস্য দেশ না হয়েও উয়েফার বিশেষ অনুগ্রহে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায় ইসরায়েল। ১৯৮২ সালে উয়েফা এবং তার পরের দুটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওএফসির অধীনে খেলে তারা।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা
পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সমাধানের অংশ হিসেবে ১৯৯১ সালে ইসরায়েলি ক্লাবগুলোকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ দেয় উয়েফা। এরপর ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তার পর থেকে স্থায়ীভাবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো) ও নেশন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় ইসরায়েল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগে অংশগ্রহণ করে চলেছে দেশটির ক্লাবগুলো।
ইউরোপের এলিট ফুটবলে খেললেও গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটির বিভিন্ন ক্লাব ও সমর্থকদের প্রতি ক্ষোভ থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিষয়টি কেবল ক্রীড়া ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষা রাজনীতিসহ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঙ্গনে।
অবশ্য ফুটবলকে কেন্দ্র করে ইহুদিদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার অভিযোগও ওঠে প্রায়ই। সবশেষ গত রাতে অনুষ্ঠিত ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগেও এমন ঘটনার কথা জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ম্যাচের আগে প্যারিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসরায়েলের সমর্থনকারী ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থি ইহুদিরা। ফ্রান্সে বসবাসকারী ইহুদিদের সংগঠিত করতে মূলত ‘ইসরায়েল ইজ ফরেভার’ নামের একটি ইসরায়েলপন্থি সংগঠন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য তহবিল সংগ্রহও অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ছিল বলে খবর পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ফুটবলে ১৯৬৪ সালের এশিয়ান কাপ জয়ই ইসরায়েলের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় অর্জন। উয়েফার কোনো প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি তারা।
উয়েফায় যোগ দেওয়ার পর থেকে ২০০৮ সালে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ ১৫তম অবস্থানে উঠেছিল ইসরায়েল। এ র্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৮১তম।
২ দিন আগে
সূচি নিয়ে বিপাকে রিয়াল মাদ্রিদ
বার্সেলোনা ও এসি মিলানের কাছে টানা দুই ম্যাচ হারের পর ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য ক্লাবের বিরতি থাকলেও বসে থাকার জো নেই রিয়ালের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের। জাতীয় দলের হয়ে এ সময় মাঠে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবাইকে।
আন্তর্জাতিক ‘বিরতি’ বললেও তাই বিরাম পাচ্ছেন না রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা। তার ওপর আছে ভ্রমণ-ক্লান্তি।
ফর্মহীনতার কারণে আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি কাটাবেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। এছাড়া চোটের কারণে খেলা হবে না রদ্রিগো, এদের মিলিতাও ও দানি কারভাহালদের। তবে নিজ নিজ দেশের হয়ে পারফর্ম করতে দেখা যাবে রিয়ালের একাদশের নিয়মিত মুখ ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, এন্দ্রিক, ফেদেরিকো ভালভের্দে, আন্টোনিও রুয়েডিগার, লুকা মদ্রিচ, অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি, ফেরলঁ মদিঁ, আর্দা গুলের ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাদের।
অবশ্য জাতীয় দলের দায়িত্ব সেরে মাদ্রিদে ফিরলেই তাদের জন্য অপেক্ষা করবে নতুন বিড়ম্বনা। রিয়াল মাদ্রিদের সূচি থেকে দেখা যায়, ক্লাবটির সামনের ৮ ম্যাচের সাতটিই রয়েছে প্রতিপক্ষের মাঠে। আর এই ৮টি ম্যাচ তাদের খেলতে হবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে। অর্থাৎ, একেকটি মাঝে তিন দিনের বেশি সময় পাবেন না রিয়ালের খেলোয়াড়রা। ভ্রমণের কারণে তা থেকেও কমে যাবে সময়।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে আগামী ২৪ নভেম্বর লা লিগায় নিজেদের ত্রয়োদশ ম্যাচ খেলতে লেগানেস যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। এর তিন দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা লিভারপুলের মুখোমুখি হবে কার্লো আনচেলত্তির দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অ্যানফিল্ডে।
অ্যানফিল্ড থেকে ফিরে ফিট হতে না হতেই আগামী ১ ডিসেম্বর লা লিগায় গেতাফেকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবেন ভিনিসিউস-বেলিংহ্যামরা। এরপর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়াই ফের ব্যাগ গোছাতে হবে রিয়ালের ফুটবলারদের। ৪ ডিসেম্বর সান মামেসে আথলেতিক বিলবাও তাদের অপেক্ষায় থাকবে। এই ম্যাচটি মূলত লা লিগার ১৯তম রাউন্ডের ম্যাচ, যেটি জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচ খেলতে ওই সময়ে দুই দলই সৌদি আরব ভ্রমণ করবে বিধায় সেদিনের সূচিটি এগিয়ে নিয়ে এসেছে লা লিগা।
বাস্কে কান্ট্রি থেকে ফেরার তিন দিন পর ফের জিরোনার বিপক্ষে খেলতে কাতালুনিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে আনচেলত্তির শিষ্যদের। এরপর অনুশীলন একপাশে রেখে ইতালিতে যাত্রার উদ্দেশে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন এমবাপে-মদ্রিচরা। ১০ ডিসেম্বর আতালান্তার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামবেন তারা। ওই ম্যাচটি হবে আতালান্তার জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ। সবশেষ গত ১৪ আগস্ট গাস্পেরিনির শিষ্যদের ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: মৌসুমই শেষ কারভাহালের!
তবে এখানেই শেষ নয়, ওই ম্যাচের পর মাদ্রিদে ফিরে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রায়োর মাঠে খেলতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। মাদ্রিদের ক্লাব হওয়ায় রায়োর ক্ষেত্রে অবশ্য লম্বা সময় ধরে ভ্রমণ করা লাগবে না ক্লাবটির খেলোয়াড়দের।
ফলে তিন সপ্তাহে আটবার মাঠে নামতে হবে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে স্পেনের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও ইতালি ভ্রমণ করতে হবে তাদের।
এতকিছুর মাঝে খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে কতটা ফিট থাকে তা নিয়ে সংশয় থেকে যাবে। কারণ ঠাসা সূচির কারণে ইতোমধ্যে ইউরোপীয় শীর্ষ ক্লাবগুলোতে খেলা ফুটবলারদের মাঝে চোটের হিড়িক পড়ে গেছে; ছাড় পায়নি রিয়াল মাদ্রিদও।
চোটের কারণে মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে দলটির অধিনায়ক দানি কারভাহালের। পাশাপাশি লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন মূল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। এছাড়া গত শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে জয়ে ফেরার রাতে এসিএলে চোট পেয়ে অন্তত ৯ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন ডেভিড আলাবার চোটের কারণে রিয়ালের রক্ষণ সামলানোর মূল দায়িত্বে থাকা এদের মিলিতাও। ওইদিন চোটের কারণে তিন-চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে থাকবেন রদ্রিগো ও লুকাস ভাসকেসও।
এ ছাড়াও চোটের কারণে এখনও স্কোয়াডে ফিরতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। এমতাবস্থায় জানুয়ারির দলবদলের বাজার খোলার আগে ক্লাবটির আরও খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, তাহলে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে আরও পেছনে পড়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিতে এবার পেরেসকে চাপ
এমনিতেই নড়বড়ে শুরুর পর লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও তিন ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লস ব্লাঙ্কোসরা। অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে আনচলত্তির দল। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। চতুর্থ রাউন্ড শেষে দুটি করে জয় ও হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ১৮তম।
উল্লেখ্য, দলের সংখ্যা বাড়িয়ে চলতি মৌসুম থেকে নতুন ফরমেটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করেছে উয়েফা। চার দলের গ্রুপ পর্বের পরিবর্তে এবার ৩৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লিগ পর্ব। এতে প্রতিটি দল আটটি করে ম্যাচ খেলবে এবং লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৮ দল সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে, পরের ১৬ দল প্লে-অফ খেলে পরের রাউন্ডে উঠবে আর টেবিলের তলানির ৮ দল সরাসরি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে।
২ দিন আগে
দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
পুরো ম্যাচজুড়ে স্বাগতিকদের ওপর ছড়িয়ে ঘোরাল আর্সেনাল, কিন্তু কাক্ষিত গোল দেখা দিল না একবারও। অপরদিকে, একটি পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে নির্ভুল শটে গোল করে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল ইন্টার মিলান। ইন্টার-আর্সেনাল ম্যাচটির সারাংশ এটুকুই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ঘরের মাঠ থেকে মিকেল আর্তেতার দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে হাতে বল লাগে আর্সেনাল মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর। এরপর নিখুঁত স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে দলকে জয় এনে দেন ইন্টার মিলানের তুর্কি মিডফিল্ডার হাকান চালানোলু।
এদিন ৬৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় আর্সেনাল, যার চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। কিন্তু ইন্টারের রক্ষণ দেওয়াল, ভালো শট ও ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
অপরদিকে, ৭টি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার, যা থেকে গোল আদায় করে নেয় সিমোনের দল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
এই ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে আর্সেনাল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
ইউরোপের শীর্ষ এ প্রতিযোগিতায় ড্রয়ের মাধ্যমে চলতি আসর শুরু করলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে ভালোই এগোচ্ছিল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিছিয়ে পড়ল তারা।
চার ম্যাচে দুই জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বাদশ স্থানে রইল আর্সেনাল।
অন্যদিকে, আর্সেনালের মতোই শুরুতে ড্র এবং পরের দুটি ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমে তৃতীয় জয় তুলে নিল ইন্টার। ফলে এখনও অপরাজিত থেকে ১০ পয়েন্ট নিয় টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া, স্পার্তা প্রাহাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইন্টারের সমান ১০ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে ব্রেস্ত, বোলোনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় মোনাকো এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়েই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পোর্তিং। আর চার ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ সপ্তাহ আগে
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ সপ্তাহ আগে
হারের পর রিয়াল শিবিরে জোড়া ইনজুরির দুঃসংবাদ
অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর কিলিয়ান এমবাপে স্কোয়াডে যুক্ত হওয়ায় চলতি মৌসুমে আরও ভালো করার কথা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। অন্তত এমন কিছুরই আশা করেছিল ক্লাবটির ভক্তরা। তবে ভক্তদের সে আশার গুড়ে বালি দিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে বিবর্ণ রিয়াল মাদ্রিদ। তার ওপর আবার পড়ছে একের পর এক চোটের ঘা।
গত সপ্তাহে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রিয়ালের ডেরায় এসে তাদের হারিয়ে দিয়ে গেছে এসি মিলান। ওই ম্যাচে চোটে পড়েছেন মাদ্রিদ জায়ান্টদের দুই মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি ও ফেদেরিকো ভালভের্দে।
গোড়ালি মচকে যাওয়ায় প্রথমার্ধের খেলা শেষে চুয়ামেনি ও ভালভের্দেকে আর মাঠে নামাতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। তাদের পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন যথাক্রমে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ব্রাহিম দিয়াস।
এ বিষয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কোপের রিয়াল মাদ্রিদ বিভাগের সাংবাদিক আরাঞ্চা রদ্রিগেস জানিয়েছেন, অন্তত এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন চুয়ামেনি।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই সময়ের মধ্যে তিনি লা লিগায় ওসাসুনা, লেগানেস, গেতাফে ও আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না। এমনকি ৮ ডিসেম্বর লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে এবং ১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
চুয়ামেনিকে এক মাসের জন্য হারালেও ভালভের্দের চোট অতটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন আরাঞ্চা রদ্রিগেস।
মূলত আগের চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই এসি মিলানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ফলে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলাতে গিয়ে পুরনো ব্যাথা আবার বেড়েছে তার। ফলে চোট গুরুতর না হলেও ওসাসুনার বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, ডেভিড আলাবা ও দানি কারভাহাল ছাড়া বাকি সবাই একে একে রিয়ালের স্কোয়াডে ফেরা শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতির পর নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে দলটি এখন পুরোপুরি ফিট হওয়ার পথে রয়েছে। তবে চুয়ামেনির চোট এই প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করে দিল।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
চলতি মৌসুমে নড়বড়ে শুরু হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচের দুটি ড্র করে তারা। এরপর থেকে জিতলেও প্রতিপক্ষের আক্রমণে যথেষ্ট ভুগতে দেখা গেছে দলটিকে। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া হয়নি তাদের। ১২ ম্যাচ শেষে লা লিগায় চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৯ পয়েন্টে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। চার ম্যাচের দুটিই হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৭তম অবস্থানে রয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
টানা দুই হারের পর লা লিগার ম্যাচে আগামী শনিবার ঘরের মাঠে ওসাসুনাকে আতিথ্য দেবে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
১ সপ্তাহ আগে
দিয়াসের হ্যাটট্রিকে লিভারপুলের স্বপ্নযাত্রা অব্যাহত
ইয়ুর্গেন ক্লপ যেখানে ছেড়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে লিভারপুলের আরও উন্নতি কোনো কোচ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ছিল যথেষ্ট সংশয়। তবে আর্নে স্লটের অধীনে আরও উচ্চতায় উঠে স্বপ্নীল এক যাত্রা শুরু হয়েছে ক্লাবটির। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে গত মৌসুমের ‘নেভারলুজেন’ বায়ের লেভারকুজেনকে বিধ্বস্ত করেছে অল রেডরা।
অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে শাবি আলোনসোর লেভারকুজেনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল।
ম্যাচের চারটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬১তম মিনিটে লিভারপুলের গোলের খাতার খোলার পর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন লুইস দিয়াস। মাঝে একটি গোল করেন কোডি গাকপো।
আরও পড়ুন: জিওকেরেসের হ্যাটট্রিক, সিটিকে বিধ্বস্ত করে আমোরিমকে বিদায় দিল স্পোর্তিং
এই জয়ের ফলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজেয় যাত্রা অব্যহত রইল লিভারপুলের। চার ম্যাচের প্রত্যেকটি জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সংহত করল স্লটের শিষ্যরা। অন্যদিকে, সমান সংখ্যক ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থানে লেভারকুজেন।
দিনের অপর ম্যাচে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া স্পোর্তিংয়ের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, শেষ মুহূর্তের গোলে স্ট্রাম গ্রাৎসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লাইপসিগকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সেল্টিক, আর দুই মাদ্রিদকে হারানোর পর এবার ইউভেন্তুসকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে লিল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের পরবর্তী ম্যাচ ২৭ নভেম্বর রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। সেদিন চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হবে আর্নে স্লটের দলের। একইভাবে রিয়াল মাদ্রিদের জন্যও এটি অগ্নিপরীক্ষাই বটে। টানা লিল ও এসি মিলানের বিপক্ষে হেরে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে শুরুতেই পেছনে পড়ে গেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
অপরদিকে, লেভারকুজেনের পরবর্তী প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ। একই রাতে ঘরের মাঠে রেডবুল জালৎসবুর্গকে আতিথ্য দেবে শাবির শিষ্যরা।
১ সপ্তাহ আগে
জিওকেরেসের হ্যাটট্রিক, সিটিকে বিধ্বস্ত করে আমোরিমকে বিদায় দিল স্পোর্তিং
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে এটিই ছিল কোচ হিসেবে রুবেন আমোরিমের শেষ ম্যাচ। তবে বিদায়ী ম্যাচে শিষ্যদের কাছ থেকে দারুণ এক সংবর্ধনা পেলেন এই কোচ। বড় জয়ে ঘরের সমর্থকদের সামনে থেকে হাসিমুখে বিদায় নিলেন তিনি।
লিসবনে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নিজেদের আঙিনা থেকে ম্যানচস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পোর্তিং লিসবন। এর ফলে সিটির চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডের ডাগ-আউটে বসার আগেই বৈরিতার আভাস দিয়ে রাখলেন আমোরিম।
আমোরিমের কোচিংকে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা ভিক্তর জিওকেরেস এদিন হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন। এতে করে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পর দ্বিতীয় সুইডিশ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্ট্রাইকার। এছাড়া সিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মাত্র তৃতীয় ফুটবলার তিনি। এর আগে শুধু বার্সেলোনার লিওনেল মেসি এবং চেলসির ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু সিটিজেনদের জালে এক ম্যাচে তিনবার বল পাঠাতে পেরেছেন।
স্পোর্তিংয়ের অপর গোলটি করেন মাক্সিমিলিয়ানো আরাউহো। অপরদিকে সিটির একমাত্র গোলটি করেন ফিল ফোডেন। এছাড়া একটি পেনাল্টি পেলেও তা নষ্ট করেন আর্লিং হালান্ড।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড়া টানা ২৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভেঙে ২৬ ম্যাচে নিয়ে যাওয়ার পরই থামল পেপ গার্দিওলার সিটি। আর তাদের থামালেন ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিতে চলা আমোরিম।
১ সপ্তাহ আগে
বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু চলতি মৌসুমে ধুঁকতে থাকা এসি মিলানকে তারা হারাতে তো পারলই না, বরং মিলানের কাছেই বিধ্বস্ত হলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর ফলে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারল লা লিগা ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ ২০১৯ সালে এমনভাবে হারে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বের্নাবেউতে টানা চার ম্যাচ হেরে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে টানা হারের রেকর্ডটি গড়ে।
১৭ ফেব্রুয়ারি লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কোপা দেল রের ম্যাচে ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারের মুখ দেখে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ২ মার্চ লা লিগায় আবারও বার্সার কাছে ১-০ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আয়াক্স। ফলে চরম বিপর্যয়ের পর সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় ইউরোপের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটিকে।
আজকের ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন মালিক থিয়া। এরপর ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিউস দলকে সমতায় ফেরানোর পর ৩৯তম মিনিটে মিলানকে আবারও এগিয়ে নিয়ে বিরতিতে যান আলভারো মোরাতা। বিরতির পর রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিজানি রেইন্ডার্স।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
এদিন শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে থাকে দুদল। এর ফলস্বরূপ শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপে, কিন্তু কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এরপরই দুর্দান্ত এক গোলে বের্নাবেউয়ের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন থিয়া। দ্বাদশ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের কর্নার থেকে পাঠানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
২৩তম মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস।
জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস, এরপর মিলানের ব্রাজিলীয় ফুলব্যাক এমেরসন রয়াল তাকে স্লাইড করে ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দারুণ একটি পানেনকা স্পট কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সমতা টানেন ভিনি।
১ সপ্তাহ আগে
৫-০ গোলে জয়ের রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ভাঙল সিটি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর থেকে মাঠের পারফরম্যান্সে ক্রমেই উন্নতি করে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্পার্তা প্রাহাকে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। সেইসঙ্গে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অনন্য এক উচ্চতায় উঠেছে ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে চেক রিপাবলিকের ক্লাব স্পার্তা প্রাহাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিন সিটির হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। বাকি তিনটি গোল আসে ফিল ফোডেন, জন স্টোন্স ও ম্যাথুস নুনেসের পা থেকে।
জোড়া গোলের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ৪২ ম্যাচ খেলে ৪৪ গোল হয়েছে হালান্ডের। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টটির সর্বকালের চতুর্দশ সেরা গোলদাতা দিদিয়ের দ্রগবাকে স্পর্শ করেছেন হালান্ড। তবে দ্রগবার চেয়ে প্রায় অর্ধেক ম্যাচ খেলেই তাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজেয় যাত্রার রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টুর্নামেন্টটিতে সবশেষ ২৬ অপরাজিত রয়েছে তারা। এর ফলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড়া রেকর্ডটি নিজেদের করে নিয়েছে গার্দিওলার দল।
২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের তত্ত্বাবধায়নে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ইউনাইটেডের দখলে।
এছাড়া, চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখনও হারের স্বাদ পায়নি ম্যানচস্টার সিটি। গত ১০ আগস্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জেতার পর প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্যারাবাও কাপ মিলিয়ে মোট ১৩ ম্যাচ খেলেছে তারা। এর মধ্যে ড্র করেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ, বাকি ১৩ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে দুটি জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা এবং দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে লাইপসিগকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা। এছাড়া বার্সেলোনার কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
৩ সপ্তাহ আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
৩ সপ্তাহ আগে