চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামা আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচ শুরু হতেই পেয়ে গেল সমতাসূচক গোল। সেই গোলে ম্যাচটি জিতলেও টাইব্রেকারে কপাল পুড়েছে দলটির। আর পুরো ম্যাচজুড়ে গোল না পেলেও টাইব্রেকারে দুবার ভাগ্য সহায়তায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের ২৭তম সেকেন্ডে রদ্রিগো দে পলের গোলমুখে বাড়ানো ক্রস জালে জড়িয়ে দিয়ে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন কনর গ্যালাগার। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রিয়ালকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ক্লেমন লংলে। তবে সেই পেনাল্টি শটটি উড়িয়ে মেরে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এরপর আর কোনো গোল না হলে অগ্রগামিতায় ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। পরে অতিরিক্তি ৩০ মিনিটেও দুদলের কেউ গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এরপর দুই দলই নিজেদের প্রথম দুটি স্পট কিকে সফল হলেও হুলিয়ান আলভারেসের নেওয়া শটে আতলেতিকোর দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর।
কিক নেওয়ার মুহূর্তে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুখেও বল ঠিকানায় পাঠাতে সক্ষম হন হুলিয়ান, কিন্তু ভিএআর জানায়, কিক নেওয়ার সময় তার দুই পা-ই বলে স্পর্শ করেছে। ফলে গোলটি বাতিল করে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো।
তৃতীয় কিকে দুই দলই সফল হওয়ার পর রিয়ালের চতুর্থ কিকটি ফিরিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। ফলে ফের ৩-৩ সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে দলটি। কিন্তু মার্কোস ইয়োরেন্তের নেওয়া আতলেতিকোর তৃতীয় শটটি ক্রসবারে লেগে মাটিতে আছড়ে পড়েও বাইরে চলে আসে। ফলে সমতায় ফেরা আর হয়ে ওঠে না তাদের।
এরপর আন্টোনিও রুয়েডিগারের চতুর্থ শটটি ওবলাকের হাতে লাগলেও তিনি তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। ফলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেও ৯-৩ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারানো পিএসজি কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগেও ৩-০ গোলে জিতে ৬-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে উনাই এমেরির দল।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
নকআউটের অপর পাশে থাকা বার্সেলোনা শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। প্রথম লেগে ১-১ গোলে সমতার পর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে লিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে নিকো কোভাকের শিষ্যরা। আর ফিরতি লেগে ফেয়েনুর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা ইন্টার মিলান পড়েছে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ।
৯ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দিলেও নকআউটে এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলল লিভারপুল। প্রথম লেগে কোনোমতে জিতলেও ফিরতি লেগে আর পারল না। এরপর টাইব্রেকারেও হেরে বিদায় নিতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের এলিটদের প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল। এরপর ১-১ অগ্রগামিতায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হয় উভয় দল। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে লুইস এনরিকের দলের কাছে হেরেছে মার্সিসাইড কাউন্টির দলটি।
এর ফলে প্রথম পর্বের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচে হেরে এবং একটিতে ড্র করে যেখানে শেষ ষোলো খেলার সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারাই টুর্নামেন্টের সেরা দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল।
অপরদিকে, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর জিততে মরিয়া হয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামে পিএসজি। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে তারা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গোল করে অগ্রগামিতায় দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুন: ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার, বারবার ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও অব্যাহত থাকে একই ধারা। শেষে টাইব্রেকারের দারস্থ হতে হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে উভয় দলই সফল হলেও লিভারপুলের পরের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটের সবগুলো গোলে পরিণত করলে ৪-১ ব্যবধানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এখন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব ব্রুজ ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে এনরিকের শিষ্যরা। যদিও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা, তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দলটির সঙ্গে আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে প্যারিসের দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ২-০ গোলে জিতে অগ্রগামিতায় ৫-০ ব্যবধানে লেভারকুজেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডে বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। এর ফলে ৪-১ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছেছে মিলানের দলটি। ৮ বা ৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
১০ দিন আগে
লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
প্রথম লেগে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে ভুগতে থাকার পরও কোনোমতে ১-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লেগে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল বার্সেলোনা। তাতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে শেষ ষোলো থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় দিল বেনফিকা, আর সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পর্তুগিজ দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। এর ফলে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে উঠেছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের সবগুলো গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। বার্সার তিনটি গোল আসে ১১, ২৭ ও ৪২তম মিনিটে। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রাফিনিয়া। আর বাকি গোলটি আসে লামিন ইয়ামালের পা থেকে।
অপরদিকে বেনফিকার একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এর ফলে নতুন বছরে অপরাজেয় যাত্রায় অব্যাহত রাখল বার্সেলোনা। টানা ১৭ ম্যাচ হারেনি দলটি।
ম্যাচজুড়ে এদিন মোট ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বেনফিকা। বল দখলের লড়াইয়েও ছিল বার্সেলোনার প্রত্যাশিত আধিপত্য। দলটির ৬৫ শতাংশ পজেশনের বিপরীতে বেনফিকার ছিল ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কেউ কাউকে ছেড়ে কথা না বলার ইঙ্গিত দিলেও প্রথম শটটি নেয় বার্সেলোনা। পেদ্রির বাড়ানো পাস ধরে ষষ্ঠ মিনিটে গোলে শট নেন লামিন, তবে সহজেই তা লুফে নেন বেনফিকা গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
দশম মিনিটে লামিনের পাস ধরে বক্সের মাঝ থেকে লেভানডোভস্কির নেওয়া আরও একটি শট প্রতিহত করেন ত্রুবিন। তবে পরের মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি এই ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক।
একাদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকেই বিপরীত পাশ দিয়ে এগোতে থাকা রাফিনিয়াকে লক্ষ্য করে একটি নিখুঁত ক্রস বাড়ান লামিন। এরপর ট্যাপ-ইনে তা ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া রাফিনিয়ার জন্য ছিল জলের মতো সরল।
১০ দিন আগে
দুর্দান্ত বায়ার্নের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল লেভারকুজেন
সেই ২০২২ সালের অক্টোবরে শাবি আলোনসো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বুন্দেসলিগায় দাপট দেখানো বায়ার্নের বিপক্ষে অজেয় হয়ে উঠেছিল লেভারকুজেন। তবে আড়াই বছরের বেশি সময় পর দলটি এমনভাবে হারল যে তা অসহায় আত্মসমর্পণের মতো হয়ে গেল।
আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বায়ের লেভারকুজেন।
এই হারের ফলে দলটির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নও মলিন হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা আরও দীর্ঘায়িত করতে হলে আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে অসাধ্য সাধন করতে হবে আলোনসোর শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি লেভারকুজেন। ম্যাচজুড়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ পজেশন ধরে রাখা লেভারকুজেন প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি। অন্যদিকে, ৬৫ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ১৭টি শট নেয় বায়ার্ন। এর মধ্যে লক্ষ্যে রাখা ৬টি শটের তিনটি থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা।
ম্যাচের নবম মিনিটেই হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে (৫৪তম মিনিটে) ব্যাবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।
এর আট মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে নর্ডি মুকিয়েলে মাঠ ছাড়লে বাকি সময়ের জন্য ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেভারকুজেন। পরে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করে আলোনসোর শিষ্যদের আরও হতাশ করেন কেইন।
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা। এছাড়া, ম্যাচ একপেশে করে ফেলেও লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুন:
> অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
> ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
> ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
১৬ দিন আগে
২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
ম্যাচজুড়ে ২৭টি শট নিয়ে তার দশটি লক্ষ্যে রেখেও গোল আদায় করতে পারল না প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি), অন্যদিকে মাত্র দুটি শটের একটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে এগিয়ে গেল লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটির সারাংশ অনেকটা এমনই।
প্যারিসে বুধবার নিজেদের মাঠে লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে গোল করে উল্লাসে ফেটে পড়েন হার্ভি এলিয়ট। বদলি নামার ৪৭ সেকেন্ড পরই গোল করে আর্নে স্লটের তুরুপের তাস বনে যান ২১ বছর বয়সী এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে না পারা এলিয়ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫ ম্যাচ মাঠে নেমেই তিনটি গোল করে ফেললেন।
আরও পড়ুন: ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
এছাড়া চলতি মৌসুমে আগুনঝরা ফুটবল উপহার দিয়ে চলা মোহাম্মদ সালাহ এদিন ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। ছয় সপ্তাহ পর তিনি প্রথমবার কোনো ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট—কোনোটিই করতে ব্যর্থ হলেন।
তবে ৫-৬টি দুর্দান্ত সেভের পাশাপাশি মোট ৯টি সেভ করে লিভারপুরের জয়ে বড় অবদান রাখেন গোলরক্ষক আলিসন বেকার।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবটির অজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে তার মাত্র একটি ড্র করে বাকি আট ম্যাচই জিতে নিয়েছে লিভারপুল।
অন্যদিকে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২০ ম্যাচ (১৮ জয়, ২ ড্র) অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারের তেতো স্বাদ পেল পিএসজি।
অবশ্য ম্যাচের ২০তম মিনিটে একটি গোল পেয়েছিল পিএসজি, কিন্তু অফসাইডের কারণে খিচা কেভারাত্সখেলিয়ার (কেভারা) সেই গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর। পরে শত চেষ্টা করেও আর ভাগ্য বদলাতে পারেনি তারা।
নাটকীয় এই ম্যাচ শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রইল লিভারপুল। আগামী মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে হবে ফিরতি লেগ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা।
এছাড়া, লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ের লেভারকুজেনকে পাত্তাই দেয়নি বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাচটি তারা জিতেছে ৩-০ গোলে। এর ফলে টানা ছয় ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর শাবি আলোনসোর দলকে অবশেষে হারাতে সক্ষম হয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
১৬ দিন আগে
অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হয়ে গত মৌসুমের মতো আরও একবার বিপর্যয়ের আশঙ্কা জাগিয়েছিল বার্সেলোনা, তবে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া দলটি এদিন দিল অসীম ধৈর্যে্যর পরীক্ষা। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের অসংখ্য শটের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অবসর ভেঙে বার্সেলোনায় খেলতে আসা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি। সব মিলিয়ে বিপদে হাল না ছেড়ে দুরন্ত বেনফিকাকে রুখে দিয়ে জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে কাতালান জায়ান্টরা।
বার্সেলোনার পাওয়া লাল কার্ডের সুযোগ নিতে কতটা মরিয়া ছিল পর্তুগলের ক্লাবটি, তা পরিসংখ্যানের ওপর চোখ মেললেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ম্যাচজুড়ে মোট ২৬টি শট নিয়ে তার আটটি লক্ষ্যে রাখে তারা। সেখানে ১০টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা।
অবশ্য আটটি শট নিলেও সেগুলোর অধিকাংশই ছিল গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু স্টান্সনির দৈবিক পারফরম্যান্সের সামনে বেনফিকার খেলোয়াড়দের অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বারংবার।
আটটি গোল সেভ করে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেও ম্যাচসেরার মুকুটটি ওঠেনি স্টান্সনির মাথায়। তবে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়ে সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। এছাড়া অবসর থেকে ফিরে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে নিজের অপরাজেয় যাত্রাটি আরও একবার দীর্ঘ করে নিলেন এই গোলরক্ষক। অবসর থেকে ফেরার পর এখন পর্যন্ত গ্লাভস পরে মাঠে নেমে হারেননি তিনি।
এছাড়া, ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এই প্রথম কোনো বার্সেলোনা গোলরক্ষক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচে আটটি সেভ করে ক্লিনশিট ধরে রাখল।
এবার আসা যাক খেলার ফলাফলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে লিসবনে বার্সেলোনাকে আতিথ্য দেয় বেনফিকা। রাফিনিয়ার ৬১তম মিনিটের গোলে ম্যাচটি ১-০ ব্যাবধানে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
১৬ দিন আগে
ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ায় ইন্টার মিলানের কোয়ার্টার ফাইনালের পথ কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার মাঠের খেলায়ও দেখা গেল তার প্রতিফলন।
বুধবার রাতে রটারডামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান।
ম্যাচের দুই অর্ধে ৩৮ ও ৫০তম মিনিটে গোলদুটি করেন যথাক্রমে মার্কাস থুরাম ও লাউতারো মার্তিনেস। ৬৫তম মিনিটে একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল দলটি, তবে সেটি গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন পিওতর জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করা ইন্টার এদিন ৫৮ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ১৩ শট নেয়, যার সাতটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় দলটি।
অন্যদিকে, তুলনামূলক শক্তিশালী ইন্টারকে মোটেও ছেড়ে কথা বলেনি স্বাগতিকরা। আটটি শট নিয়ে তার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে তারা। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনোভাবেই।
এই জয়ে শেষ আটের পথ সুগম হয়েছে ইতালিয়ান দলটির। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পাবে তারা। ফলে ওই ম্যাচটি জিতে কিংবা ড্র করে, এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হেরে গেলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে নেরাজ্জুরিদের।
১৬ দিন আগে
৭-১ গোলে জয়ের রাতে রেকর্ড গড়ে কোয়ার্টারের পথে আর্সেনাল
প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থেকে খানিকটা তেঁতে ছিল আর্সেনাল। এরপর চ্যাম্পিয়ন্সি লিগে পিএসভি আইন্ডভোনকে পেয়ে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল মিকেল আর্তেতার দল। আর এতে করে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটি।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আইন্ডহোভেনের ফিলিপস স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। মাঠে নেমে স্বাগতিক দলটিকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৭ বা তার বেশি গোল করার কীর্তি গড়ল গানাররা।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। এছাড়া একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন ইউরিয়েন টিম্বার, ইথান নোয়ানেরি, মিকেল মেরিনো, লিয়ান্দ্রো ত্রোসা ও রিকার্দো কালাফিওরি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল আর্সেনাল। এর ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ মিনিটে ডেকলান রাইস গোল পেলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ষোড়শ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে পিএসভি, কিন্তু আট গজ দূর থেকে ইসমাইল সাইবারির নেওয়া শটটি ক্রসবারে লাগে।
পিএসভির ওই আক্রমণের পরই যেন দলটিকে শাস্তি দেয় আর্সেনাল। ১৮ ও ২১তম মিনিটে টিম্বার ও নোয়ানেরির দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা।
এরপর ৩১তম মিনিটে মেরিনো আর্সেনালের তৃতীয় গোলটি পাওয়ার পর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে লুক ডি ইয়ংকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়ে স্বাগতিকদের পেনাল্টি দিয়ে বসেন থমাস পার্তি। ৪৩তম মিনিটে তা থেকে পাওয়া স্পট কিকে এক গোল পরিশোধ করে স্কোরলাইন ৩-১-এ রেখে বিরতিতে যায় পিএসভি।
১৭ দিন আগে
আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
সবশেষ চারবারের দেখায় আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে এসে অবশেষে দলটির সেই অপরাজেয় যাত্রা থামিয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটি।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরুতেই দুর্দান্ত এক গোল করে রদ্রিগো রিয়ালকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৩২তম মিনিটে হুলিয়ান আলভারেসের দর্শনীয় গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পার্থক্য গড়া গোলটি করেন রিয়ালের স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াস।
এই জয়ে অল্প ব্যবধানে হলেও আতলেতিকোর চেয়ে এগিয়ে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী বুধবার ফিরতি লেগে আতলেতিকোর মাঠে খেলতে নামবে শিরোপাধারীরা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০তম ম্যাচে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়ার রাতে চতুর্থ মিনিটে গোল করে শুরুতেই এদিন উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার রদ্রিগো। নিজেদের অর্ধ থেকে ফেদেরিকো ভালভের্দের ডান পাশের টাচলাইন ধরে বাড়ানো পাস ধরে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর আতলেতিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে অসাধারণ এক শট নেন তিনি, আর ঝাঁপিয়ে পড়া ইয়ান ওবলাকের আওতার বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল। ফলে উল্লাসে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় বের্নাবেউ।
এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রদ্রিগোর ২৫তম গোল। এর ফলে পঞ্চম কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ২৫ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ২৪ বছর ৫৪ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়া রদ্রিগোর উপরে রয়েছেন রাউল গন্সালেস (২৩ বছর ২৫২ দিন), লিওনেল মেসি (২২ বছর ২৮৬ দিন), কিলিয়ান এমবাপ্পে (২২ বছর ৮০ দিন) ও আর্লিং হালান্ড (২২ বছর ৪৭ দিন)।
১৭ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট ড্র: মুখোমুখি দুই মাদ্রিদ, বার্সেলোনার স্বস্তি
প্লে-অফ থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্র। নতুন নিয়মের এই ড্রয়ে বেশ কয়েকটি বড় দল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ পেলেও সেয়ানে সেয়ানে লড়াইও দেখা যাবে কয়েকটি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শুধু শেষ ষোলো নয়, ফাইনাল পর্যন্ত যেতে কোন দলের কী সমীকরণ, সে পথও স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন ফরমেটে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে নতুন নিয়মেই হয়েছে ড্র। এতে দুটি ‘লিগ ক্লাসিক’ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে দর্শকদের। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ের লেভারেকুজেন। শাবি আলোনসোর হাতের ছোঁয়ায় গত মৌসুম থেকে জ্বলে ওঠা লেভারকুজেনই বর্তমানে বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। ফলে লা লিগা, কোপা দেল রের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।
তবে বার্সেলোনার সামনে পিএসজির মতো সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা দল পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এ যাত্রায় সেই বিপদ কেটেছে দলটি। অপর সম্ভাব্য দল বেনফিকাই পড়েছে তাদের সামনে। ফলে ফাইনালের আগে আর বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
আর এতে করে চলতি মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের সঙ্গী হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তাই চরম হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
এ ছাড়াও অনেক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ক্লাব ব্রুজের নাম। আর আর্সেনাল, ইন্টার মিলান ও ডর্টমুন্ড পেয়েছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ।
এক নজরে শেষ ষোলোর ড্র
• ক্লাব ব্রুজ-অ্যাস্টন ভিলা • লিল-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড • রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ • বায়ার্ন মিউনিখ-বায়ের লেভারকুজেন • পিএসভি আইন্ডহোভেন-আর্সেনাল • ফেয়েনুর্ড-ইন্টার মিলান • পিএসজি-লিভারপুল • বেনফিকা-বার্সেলোনা
(পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।)
২৮ দিন আগে