সিলেটের বিশ্বনাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজির পাশাপাশি এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে বহুগুণ। রোগ-বালাই না থাকায় অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকেছে সরিষা চাষে।
এবার উপজেলায় সরিষার হলুদ ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে মাঠের পর মাঠ।
ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জন এখন সর্বত্র। অপরূপ এ দৃশ্য দেখে কৃষকদের মুখেও হাসির ঝিলিক। মনে হয় তারা তাদের জমিতে সোনা ছড়িয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
এবার উপজেলায় সরিষার আবাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না এ সরিষার চাষ। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়- দশঘর, রামপাশা, খাজাঞ্চী ও দৌলতপুর এলাকায় কিছুটা চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে অলংকারী ইউনিয়নে।
ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে মূলত তাদের এ সরিষা চাষ। এবার ফসলি জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হবে মনে করছেন কৃষকরা। তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। আশা করছেন এবার প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা পাঁচ থেকে ছয় মণ উৎপাদন হবে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি।
এ কারণে সরিষা আবাদে এখানকার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি করে সরিষা চাষ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কৃষকদের।
সরেজমিনে উপজেলার সরিষা চাষি জমসিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সার, বীজ ও পরামর্শ পেয়ে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষ করছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র ধর জানান, তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর সরিষা চাষ সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারে উপজেলায় ৪২২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরর চেয়ে বেশি।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার বীজও প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।