সিদ্ধান্ত
বাতিল করা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত
কোনো পেশাদার সাংবাদিক তার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পাববেন বলে জানিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।
তথ্য অধিদপ্তর সে আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তর থেকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।
নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের পর অধিদপ্তর থেকে কিছু সংখ্যক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে তথ্যবিবরণীতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
মূলত কার্ড বাতিলের কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন কার্ড নবায়ন না করা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোটার অতিরিক্ত কার্ড গ্রহণ, অপসাংবাদিকতা, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল, ফৌজদারি মামলার আসামি, বিভিন্ন কারণে গ্রেপ্তার ও কারা অন্তরীণ, অপেশাদার ব্যক্তির রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্ড গ্রহণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপাচার ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের অপব্যবহার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতিবাচক ভূমিকা ও উসকানি দেওয়া, ফ্যাসিবাদের ঘনিষ্ঠ দোসর, গুজব ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়েছে।
তথ্যবিবরণীতে আরও বলা হয়, তথ্য অধিদপ্তর সাংবাদিকদের বাতিল করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
কোনো পেশাদার সাংবাদিক তার কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তথ্য অধিদপ্তর সেসকল আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩ দিন আগে
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং রাজনৈতিকভাবে আলোচনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই। জনগণের বার্তা পেয়েছি, আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। তবে যদি আমাদের মনে হয়, এই সেটআপে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বা জনগণ অসন্তুষ্ট, তাহলে আমরা এ বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না, এটি আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর। এটি আমাদের এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি যাতে সচেতন থাকি, শান্ত থাকি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে। সে বিষয়ে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটা আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একটা আলোচনা করছি। এ বিষয়ে কোনো নির্ধারিত সময় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যেতে পারব, যেটা আমাদের রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে, সে সময় আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং সবাইকে জানিয়ে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি তারা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রসহ মিছিল করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দূরত্ব বেড়েছে। আমরা যাতে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখি। ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটা প্রতিরোধ তৈরি করি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত প্রায় দেড় দশক বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক যেসব চ্যালেঞ্জে নিপতিত হয়েছে তা তুলে ধরা হবে এই শ্বেতপত্রে।
বিগত সরকারের চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অর্থ-পাচার এবং অপরিণামদর্শী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশি- বিদেশি ঋণ গ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রমের কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে।
অর্থ বিভাগের সূত্রে পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, পতনকালে শেখ হাসিনা সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত যে স্থিতি ছিল, তা বাংলাদেশের তিনটি বাজেটের মোট অর্থ বরাদ্দের সমান। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কর আদায়ের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা না করে দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের ঋণের প্রতি বিগত সরকার ঝুঁকেছিল।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপির তুলনায় কর সংগ্রহকে ১৪ শতাংশে নামিয়ে লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গত ছয় বছরে এ অনুপাত ১১ শতাংশ থেকে উল্টো ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার এটি একটি দিক মাত্র। সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি, অর্থ-পাচারের অবাধ সুযোগ বাজার সিন্ডিকেট ইত্যাদির ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১২ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেশি, তা ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বলা যেতে পারে যে, বিগত সরকারের শেষ সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই মুখ থুবরে পড়ে।
দ্বিতীয়ত বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার ফলে সৃষ্ট বাংলাদেশের অর্থনীতির নজিরবিহীন নাজুক পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহতকরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মধ্যে প্রধানতম হলো-
অর্থনীতি পুনরায় সচল করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার সাধন:
ক. নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি;
খ. দুর্নীতি দূরীকরণ
গ. ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা
ঘ. কর ও শুল্ক নীতির সংস্কার
ঙ. বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ইত্যাদি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি সামগ্রিক চিত্র এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রারম্ভেই সরকারের হাতে থাকা প্রয়োজন।
এ লক্ষে ‘প্রিপারেশন অব এ হোয়াইট পেপার অন দ্য স্টেট অব দ্য ইকোনোমি’ শিরোনামে একটি ধারণাপত্র (সিমোয়েপ্ট নোয়াস) নমিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ধারণাপত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার তথ্য-চিত্র সমৃদ্ধ একটি 'শ্বেপত্র' প্রস্তুতের ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ধারণাপত্রে বলা হয়েছ, প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলপত পদক্ষেপ গ্রহণ, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং এলডিসি হতে উত্তরণে করণীয় বিষয়ে প্রতিফলন থাকবে। শ্বেতপত্রটি প্রণয়নের সময় বিভিন্ন অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মতবিনিময় করা হবে মর্মে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে প্রধানত নিম্নোক্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোকপাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১. পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট ডোমেস্টিক রিসোর্স- সরকারি ব্যয় (পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট, এডিআইপি সাবসিডিস অ্যান্ড ডেবিট), ফাইন্যান্সিং অব বুলগেট ডিফিসিট।
২। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন- মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন।
৩। ফরেন ফাইন্যান্স ফ্লো অ্যান্ড ডেবিট - এক্সটার্নাল ব্যালেন্স এক্সপোর্ট, ইমপোর্ট, রেমিট্যান্স, এফডিআই, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ।
৪। জ্বালানি ও বিদ্যুতের চাহিদা- সরবরাহ, মূল্য নির্ধারণ, খরচ ও ক্রয় চুক্তি।
৫। বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ- ঋণ, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস।
৬। যুব কর্মসংস্থান- দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মজুরি।
প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রটি প্রস্তুতের জন্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শক্রমে তিনি কমিটির প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন। কমিটির কাঠামো নিম্নরূপ হতে পারে।
ক) কমিটির সদস্যগণ অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের যথোপযুক্ত কোন ভবনকে কমিটির দপ্তর হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
গ) পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করতে পারে,
ঘ) সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থা প্রস্তাবিত কমিটির চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সকল ধরণের সহযোগিতা দেবে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি' নামে প্রস্তাবিত কমিটি আগামী ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করবেন।
সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
৪ মাস আগে
শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন এক মুখপাত্র।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো.মেসবাউল হক বলেন, ‘এই শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরকার চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছিল যারা সবেমাত্র পদত্যাগ করেছেন। ফলে তাদের বিষয়ে নতুন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বুধবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী ও পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সরকারের কাছে কর্মীদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করবে।’
আজ সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় কর্মচারীদের চাপের মুখে দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মচারীদের চাপের মুখে ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের বিষয়ে মেজবাউল বলেন, 'সরকার তাদের নিয়োগ দিয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা দিতে হলে সরকারকে দিতে হবে। তারা অন্য কাউকে পদত্যাগপত্র দিতে পারবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন।
গভর্নরের অনুপস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নররা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু কর্মচারীরা ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ দাবি করায় তারা সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
তবে বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকারকে বাদ দিয়ে হয় না। এখন মূলত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাখ্যায় জানান এই মুখপাত্র।
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন সাতটি ব্যাংকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সাতটি ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি রয়েছে। দেখা যায়, চলতি হিসাবের ঘাটতি নিয়ে কোনো ব্যাংক চলতে পারে, এমন নজির বিশ্বের কোথাও নেই। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যাংক পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে।’
জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, এসব বিষয় এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, 'তারা আমাদের যা নির্দেশনা দেবে আমরা তা অনুসরণ করব। আমরা আইনি সংস্কারের কথা বলেছি। আজ (বুধবার) যারা (কর্মচারীরা) পদত্যাগ দাবি করেছেন, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার বিষয়ে।’
আরও পড়ুন: পদ ছাড়তে এনবিআর চেয়ারম্যানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
৪ মাস আগে
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন, তখনই শুনানির সিদ্ধান্ত
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন করা হবে, তখনই শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা জজ আদালতের প্রসাশনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, ‘জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগপন্থী কোনো আইনজীবী এসময় ছিলেন না।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
৪ মাস আগে
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'দেশের স্বার্থে ১৪ দলীয় জোট দেশবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও জোটের ঊর্ধ্বতন নেতা রাশেদ খান মেনন বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন ও সহিংসতায় ড. ইউনূসের 'সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা' খতিয়ে দেখা দরকার: কাদের
যদিও দলটির নিবন্ধন দীর্ঘদিন ধরে বাতিল করা হয়েছে, 'জামায়াত-শিবির' ট্যাগটি জামায়াতে ইসলামীর আদর্শের অনুসারীদের বোঝায়। এটি দেশের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী দল। আর জামায়াতের ছাত্রসংগঠন হলো ইসলামী ছাত্রশিবির।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে তারা সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: কোনো আন্দোলন হলেই অনুপ্রবেশ করে সেটাকে সরকারবিরোধী প্রচারণায় পরিণত করে বিএনপি: কাদের
৪ মাস আগে
নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংগঠনিক বৈঠকের পর কর্মবিরতির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা নিরসনে শনিবার (১৩ জুলাই) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি দলকে তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন এবং তাদের স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই প্রকল্প ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হবে বলে সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল ছিল, পেনশন প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হবে। আমরা বিষয়টি স্পষ্ট করেছি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি নৈতিক সমর্থন করে: ফখরুল
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের তিনটি দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব।’
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: কাদেরের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক
৫ মাস আগে
কম শিক্ষার্থী থাকা বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি প্রায় ১৫০টির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।’
এ বিদ্যালয়গুলো পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
তিনি বলেন, ‘আমরা হুট করে সকল স্কুল বন্ধ করে দেব না।’
সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কথা বলেন।
কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইন-জেনারাইলজড সিদ্ধান্ত না। আমাদের ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের টার্গেট হলো ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় এলিমেন্টারি স্কুল করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ট্রেন্ডটা দেখছি। বিগত ১০ বছর বা ২০ বছর কোনো স্কুলে ১০ জন বা ২০ জন শিক্ষার্থী থাকে তাহলে আমরা শুধুমাত্র ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল একীভূত করে দেব না।'
আরও পড়ুন: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ‘রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়খলিয়া ইউনিয়নে একটি স্কুলে ১০ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ বছর ধরে স্কুলটি চলছে। কিন্তু তার আশেপাশে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নাই। সুতরাং ওই স্কুলটি আমরা একীভূত করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবার বরিশালে রাস্তার এপারে একটি স্কুল আছে, বিপরীতে বা পার্শ্ববর্তী স্কুল আছে। এ স্কুলে ধরেন কয়েকজন শিক্ষার্থী আবার অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০- এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী। ওই স্কুলটা আমরা একীভূত করে দেব।'
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘এটা একইধরনের (ইন-জেনারেলাইজড) সিদ্ধান্ত হবে না। চাহিদা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।'
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হবে ১২ মার্চ
সিটিজেন সেবা মডিউলে থাকবে সব তথ্য
সচিব বলেন, ‘আমরা ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম চালু করেছি। এটা আমাদের এক থেকে দেড় বছরের সাধনার ফল। এটাকে বলছি ওয়ান স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম অল ডিজিটাল সার্ভিস।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের আওতায় একটি মডিউল সংযোজন করেছি। সেটি হচ্ছে, সিটিজেন সেবা মডিউল। যে সব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারযোগ্য সেসব তথ্য-উপাত্ত এখানে পাবেন।’
সচিব বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এটা সম্পন্ন (কমপ্লিট) হবে। সেখানে জরাজীর্ণ ভবন থেকে শুরু করে সব ধরনের তথ্য থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
জুলাইয়ে ঢাকার ১০টি নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন
এই মুহূর্তে সারাদেশে ৮১ শতাংশ স্কুলে নতুন ভবন হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এখনো আমাদের ২০ শতাংশের মতো জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। ঢাকা শহরের কথা আমরা বলতে পারব। ঢাকা শহরে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলীতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আগামী জুলাই মাসে ঢাকার ১০টি স্কুল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাব। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান আমরা অনুমোদন করেছি। ৫০টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান আছে। আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়ে পরিণত হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘এটাকে আমরা পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যদি সরকারের অনুমোদন পাই, আমরা সামনের দিকে যাব। জড়াজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে নতুন নির্মাণ আমাদের অগ্রাধিকার।’
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাদেকা হালিম।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নারীদের কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে নারীদের নিয়ে আসতে হবে।’
জেন্ডার ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী পরিচয়ের আগে আমার বড় পরিচয় হলো আমি একজন মানুষ। নারী-পুরুষের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি, নারীকে হেয় করা, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের থেকে দুর্বল মনে করা হচ্ছে এবং এ কারণে নারীকে অধস্তন করে রাখতে হবে, এটা সম্পূর্ণ অমূলক।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন হয়েছে, যে সমাজে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের নারী ও পুরুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে নারীকে পুরুষের সমান ভাবা হয়।’
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয় নিয়েও রাজনীতি করা হয়। সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানের অধিকার কীভাবে হবে সেটা আমরা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারণ করি। বাবা ও মায়ের অধিকার কতটুকু, আমাদের সিভিল ল’তে কতটুকু, শরিয়া ল’তে কতটুকু, এসব বিষয় অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক। পুরুষকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়। পুরুষরাই এ সমাজের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।’
এ উপমহাদেশে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে ড. সাদেকা উল্লেখ করেন, ‘ভারত উপমহাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন যে এখন হয়েছে, তা নয়। অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু ইউরোপের নারীদের আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নারীরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, রানি হয়েছে, ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু নারীদের পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার কাজ কে কাজ হিসেবে আমরা দেখিনি। নারীরা স্ত্রী, মা বা মেয়ে হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে সেটিকেও অবমূল্যায়ন করা হয়।’
আরও পড়ুন: রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নারী চাকরি করলেও তাকে আমরা প্রশ্ন করি তার স্বামী কী করে। সে যদি স্বামীর থেকে বেশি বেতন পায়, তাহলে পুরুষও হীনমন্যতায় ভুগে।’
সমাজের সাধারণ নারীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন তো নারীদের অনেকেরই হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টর, চিংড়ি মাছের ঘের, কল-কারখানায় নারীরা কাজ করছে। এটি ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু নারীর সামাজিক মর্যাদা কি বেড়েছে? এটা খুবই জটিল একটা বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যের শিকার নারীরা কোনো কিছু ভাবে না। তারা জানে তাদেরই কাজ করতে হবে, ক্ষুধা মেটাতে হবে, তারাই শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। সাধারণ নারীরা অনেক পরিশ্রমী, সামাজিক সমালোচনা গ্রাহ্য না করে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে বা প্রবাসে যে পরিমাণ নারী কাজ করে সেখানেও আমরা দেখি যে নারীরা নিরাপদ না। খুব নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়।’
তবে নারী সমাজের পরিবর্তনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, এবং এবারকার কেবিনেটে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক। সংখ্যার দিক থেকে নারীর অংশ গ্রহণ অনেক বেশি, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদার জায়গায় গুণগত মানের দিক থেকে কতটা বদলেছে সেটি বড় বিষয়। যখন নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আসবে, নেতৃত্ব দেবে, সমাজ কিন্তু তখনই বদলাবে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ বোধ করেন না প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী
৯ মাস আগে
‘একুশে পদক-২০২৪’ পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্টজন
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
২১ জনের মধ্যে ভাষা আন্দোল বিভাগে পদক পাচ্ছেন দুইজন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
তারা হলেন- মো. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। আর শিল্পকলার বিভিন্ন বিভাগে এই পদক পেয়েছেন ১১ জন।
সংগীতে পেয়েছেন- জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।
অভিনয়ে- ডলি জহর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
নৃত্যকলায়- শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন চারজন।
তারা হলেন- মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
এছাড়া শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু রয়েছেন এ তালিকায়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
১০ মাস আগে