বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন এক মুখপাত্র।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো.মেসবাউল হক বলেন, ‘এই শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরকার চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছিল যারা সবেমাত্র পদত্যাগ করেছেন। ফলে তাদের বিষয়ে নতুন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বুধবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী ও পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সরকারের কাছে কর্মীদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করবে।’
আজ সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় কর্মচারীদের চাপের মুখে দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মচারীদের চাপের মুখে ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের বিষয়ে মেজবাউল বলেন, 'সরকার তাদের নিয়োগ দিয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা দিতে হলে সরকারকে দিতে হবে। তারা অন্য কাউকে পদত্যাগপত্র দিতে পারবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন।
গভর্নরের অনুপস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নররা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু কর্মচারীরা ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ দাবি করায় তারা সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
তবে বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকারকে বাদ দিয়ে হয় না। এখন মূলত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাখ্যায় জানান এই মুখপাত্র।
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন সাতটি ব্যাংকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সাতটি ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি রয়েছে। দেখা যায়, চলতি হিসাবের ঘাটতি নিয়ে কোনো ব্যাংক চলতে পারে, এমন নজির বিশ্বের কোথাও নেই। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যাংক পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে।’
জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, এসব বিষয় এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, 'তারা আমাদের যা নির্দেশনা দেবে আমরা তা অনুসরণ করব। আমরা আইনি সংস্কারের কথা বলেছি। আজ (বুধবার) যারা (কর্মচারীরা) পদত্যাগ দাবি করেছেন, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার বিষয়ে।’