গার্মেন্টস কর্মী
মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২০
মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গার্মেন্টস কর্মীবাহী একটি মিনিবাসের সঙ্গে বিপরীতগামী একটি ট্রাকের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ২০ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিবালয় উপজেলার বোয়ালী ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গার্মেন্টস কর্মীবাহী একটি মিনি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমরে মুচড়ে যায়। অন্যদিকে ট্রাকটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২
খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাম্মী আক্তার জানান, আহত ২০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে আনার আগেই দুই নারী গার্মেন্টস কর্মী মারা গেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি মো. ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত
২ মাস আগে
বগুড়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বগুড়ার ধুনটে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল ও পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের গোয়াহোরি গ্রামে রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঝলকি বেগম (৩৫) ওই এলাকার মোহন আকন্দের স্ত্রী।
ঘটনায় আরও আহত হয়েছেন, নিহতের ছেলে মিলন আকন্দ ও দেবর মিজানুর আকন্দ। এরমধ্যে মিজানুরের অবস্থা আশংকাজনক। তারা সকলেই চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ঈদের জামা দেয়ার কথা বলে ২ মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
জানা গেছে, নিহত ঝলকির স্বামী মোহন আকন্দেরা ৬ ভাই। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোহনের বড় ভাই বজলুর ও কামরুলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে স্থানীয় একটি মসজিদে তারাবীর নামাজ পড়ানোর জন্য মোহনের পরিবার কিছু টাকা দেয়। কিন্তু নজরুল ও কামরুল সেই টাকা মোহনকে ফেরত দিতে আসেন এবং তাদের গ্রাম থেকে একঘরে করে দেয়ার হুমকি দেন।
এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বজরুল ও কামরুলের পক্ষের লোকজন গার্মেন্টস কর্মী ঝলকিকে খুটিতে বেঁধে রেখে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। এতে ঝলকি খাতুন গুরুতর আহত হলে লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা হাসপাতালে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অতি দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আশুলিয়ার গার্মেন্ট কর্মী মো. তানিম হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে টাকা আদায়ের ঘটনায় প্রত্যেকের ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত আরা এ রায় দেন।
দণ্ডিতেরা হলেন- গামেন্ট কর্মী সোহেল রানা, ফরহাদ হোসেন, মো. আশিকুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ জুলাই সকাল ৯ টায় নিখোঁজ হয় নিহত তানিম। এর তিনদিন পরে আশুলিয়ার খাগান গ্রামের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে পুলিশ লাশটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ময়নাতদন্তে পাঠায়। তখন পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে।
আরও পড়ুন: রিকশাচালক হত্যায় বিজিবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
অন্যদিকে, তানিমকে খুঁজে না পেয়ে তানিমের স্ত্রী নূরুন্নাহার ১০ আগস্ট রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর তানিমের মা সাইদা সুলতানা আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তার ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। এ মামলা এজাহার হিসাবে গণ্য করার জন্য আশুলিয়া থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তদন্তে জানা যায়, আসামিরা তানিমের কণ্ঠ মোবাইল ফোনে ধারণ করে নিহতের মায়ের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। সোহেল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার কারণ এবং অংশগ্রহণকারী সবার নাম বলে দেয়। এ মামলায় ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
রায় ঘোষণার পর নিহতের মা সাঈদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
তিস্তা নদী ভাঙনে দিশেহারা কুড়িগ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি গ্রামের অসুস্থ্ কৃষক সুবির উদ্দিন (৭০) চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘দুই দিনোত চাইর একর জমি তিস্তা গিলি খাইল বাহে। হামারগুলার বাড়ীঘর, জায়গাজমি সউগ শ্যাষ। হামরা এ্যালা কোটে যাই, কোটে থাকি। থাকপের কোন জায়গা নাই।’
তার বাড়ী লাগোয়া ছোট ভাই মহির উদ্দিনের ছেলে রহিমুদ্দি (৪৪) জানায়, ‘ওই যে পানি দেখছেন। ওই জায়গায় হামার দুই ভাই আর চাচার বাড়ি আছিল। বাড়ির পাশোত এক একর জমিত আলু লাগাইছিনু। নদীতে সব ধ্বংস। এখন হামরা নিঃস্ব হয়া গেইলং।’
এরকম সরব আর নিরব কান্না ভেসে বেড়াচ্ছে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাকে ঘিরে। গত এক সপ্তাহে তিস্তা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা আর স্বপ্নকে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় তিস্তাপাড়ের কৃষকেরা
বৃহস্পতিবার সরজমিন এসব এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে ভাঙনের তান্ডব লীলা। প্রচন্ড স্রোতের তোড়ে রামহরি গ্রামের বাড়ীঘর আর গ্রামের ফসলি জমির নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
এই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে কৃষক আব্দুল জলিল (৫২) জানান, ‘৬ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি। আর ১০/১২দিন পর কাটা যাইতো। সেই আধাপাকা ধানের জমির অর্ধেকটা নদী ভাঙনে শ্যাষ হয়া গেল। এখন বাকী ধান গরুকে খাওয়ার জন্য কাটা লাগছে।’
রামহরি ভূঁইয়াটারী গ্রামে রাহেলা বেগম (২৬) এর বাড়ীর কাছেই এসেছে নদী। স্বামী মমিনুল আর দুই সন্তানকে নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। রাহেলা জানান, ‘এবার নিয়া চারবার বাড়ী ভাঙছে। আমরা কামলা খাটি জীবন চালাই। নজিমুদ্দি ভূঁইয়া আমাদের দুরবস্তা দেখি এখানে থাকপের দিছে। এখন বাড়ি ভাঙলে আমাদের থাকবার বা বাঁচার কোন পথ থাকপে না।’ তার সাথেই বাড়ী ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী আমিনুল ইসলামের। তার স্ত্রী পারভীন (২৮) জানান, ‘এই জায়গাতে ১০ বছর ধরি আছি। এতদূরে নদী আসবে কল্পনাই করি নাই। এখন বাড়ী ভাঙতে হবে ভাবতেই বুকটা হু-হু করি উঠছে।’
সবচেয়ে বেশি ভাঙছে ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের উজানে সরিষাবাড়ী আর গতিয়াসাম এলাকায়। এখানে প্রতিনিয়ত ভাঙছে তিস্তা নদী। গতিয়াসাম বগুড়া পাড়ায় দেড় থেকে দুইশ জন শ্রমিক কাজ করছে বাড়ী ভাঙ্গার কাজে। প্রতিটি বাড়ি থেকেই শোনা যাচ্ছে হাতুড়ির শব্দ। যত্নে লাগানো গাছগুলোও কাটছে কেউ কেউ। সড়ানো হচ্ছে আধাপাকা ঘরের ইট,বেড়া আর টিনের চাল। সবার চোখে মুখে হতাশা আর বোবা কান্না।
আরও পড়ুন: তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এই গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার লালবানু (৫০) সাংবাদিক দেখে ক্ষোভ নিয়ে জানালেন, ‘তোমরাগুলা ছবি তুলি কি করবেন। হামরা মরি যাই, আর তোমরা ছবি তোলেন। হামার যে ক্ষতি হয়া গেইল। তা কি সরকার দিবে।’
কলেজ পড়ুয়া শাওন সরকার (২২) জানায়, এখানে মন্ত্রী আসে, এমপি আসে, জেলা প্রশাসক, ইউএনও স্যার আসে। শুধু দুঃখ প্রকাশ করে শেষ। কিন্তু কোন কাজ হয় না। আমরা এই মূহূর্তে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ চাই।
৩ বছর আগে
মার্কেট খুলে দেয়ার ঘোষণায় শিমুলিয়ায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নামে।
৪ বছর আগে
ঢাকার শ্রমিক দিয়েই পোশাক কারখানা চালাতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আপাতত ঢাকার ভেতরে অবস্থানরত শ্রমিক দিয়েই সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালাতে হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এই মুহূর্তে ঢাকার বাইরে থেকে গার্মেন্টস কর্মী আসতে পারবে না।
৪ বছর আগে