সরকার আগামী ১০ মে থেকে দোকান পাট খুলে দেবার ঘোষণা দেয়ার পরে এ পথ দিয়ে শুধু গার্মেন্টস কর্মীই নয়, সেই সাথে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। তাই এ নৌ রুটে আবার যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
মঙ্গলবার শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর কাঁঠালবাড়ি অংশ থেকে ছেড়ে আসা ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়তেই ওই ফেরিতে থাকা কয়েকটা গাড়ির সাথে ঢাকামুখী হাজার হাজার লোক শিমুলিয়া ঘাটে নামছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে তারা বরাবরের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নসিমন, করিমন, অটোরিবশা, পিকাপভ্যান, মোটরসাইকেল, ইয়েলো ক্যাব, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে ভেঙে ভেঙে বিকল্প পথে ঢাকায় যাচ্ছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, গত দুই দিন যাত্রীর চাপ কিছুটা কম ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ফেরি পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে তারা গন্তব্যে ছুটছেন।
তবে আজ শুধু গার্মেন্টস কর্মীই নয়, দোকানের কর্মচারী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, চাকুরিজীবীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকেই ঢাকায় ছুটতে দেখা গেছে, যোগ করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে এখন দিনের বেলায় ৩টি ও রাতে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। জরুরি গাড়ি পারাপারের জন্য এ সকল ফেরি চলাচল সচল রাখা হয়েছে। তবে রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পারাপারের জন্য একটু বেশি সংখ্যক ফেরি রাখা হয়েছে। অন্যসব নৌযান বন্ধ থাকায় এখন এসব ফেরিতে হাজারো ঢাকামুখী যাত্রী পার হচ্ছে।