কৃষি মন্ত্রণালয়
শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এর তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী ২ থেকে ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এ মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য কিছু জরুরি পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
পরামর্শগুলো হলো-
কুয়াশা ও মৃদু, তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।
ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭ থেকে ১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০ থেকে ১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।
ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়, পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেবী চন্দ্রকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিগগিরই এই বদলি কার্যকর হবে।
বুধবার আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের (রংপুর) উপ-পরিচালক জিলুফা সুলতানাকে হবিগঞ্জের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের রদবদলের অংশ হিসেবে সারা দেশের বেশ কয়েকজন ডিসিকে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে চট্টগ্রামে আরও দুই ওসিকে বদলি
নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
নতুন করে উৎপাদিত মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ টন। এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এসব মুরিকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং উৎপাদন হতে পারে প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।
তবে রবিবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫ কেজি ১ হাজার টাকা এবং একই পরিমাণ বাজারে উঠা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে আমদানি করা ৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।
বাংলাদেশ মূলত ভারত, চীন, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে।
পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার পর পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর (২০২৩-২৪) বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপির হার ৭৬ শতাংশ
এর আওতায় সারা দেশের ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক প্রণোদনা পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
চলতি বছর এর আগে (গত মাসে) প্রথম ধাপে বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার আদেশ জারি হয়েছে। এসব প্রণোদনা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ চলছে।
সব মিলিয়ে দুই ধাপে বোরোতে প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সরকার চলতি বছরে দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার কৃষককে ১৬ দশমিক ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের নাবী (লেইট) জাতের প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
এছাড়া, জমি তৈরি বা শ্রমিকের মজুরি বাবদ নগদ ২ হাজার টাকা পাবেন।
নাবী জাতের এই পেঁয়াজ রোপণের সময় নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর উৎপাদন বা বাজারে আসবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতেও সমপরিমাণ বা ১৬ কোটি টাকার প্রণোদনা ১৮ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়। এই প্রণোদনার আওতায় আবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। এই পেঁয়াজ বাজারে আসবে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিআরও কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।গতবছর ২৮টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল, এবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন, কানাডায় ৪০ টন উল্লেখযোগ্য।
এতে আরও বলা হয়, দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে ১৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানি কম হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রথম বছরেই গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন আম বেশি রপ্তানি হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রপ্তানি হবে।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমিত আয়ের মানুষ ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘব করতে রোববার কৃষি মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
এক বছরে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে ৩০০০ কোটি টাকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে প্রথম এক বছরেই দেশে সরিষার আবাদ বেড়েছে দুই লাখ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন বেড়েছে তিন লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।
তেল হিসেবে বিবেচনা করলে এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন তেল বেশি উৎপাদিত হয়েছে। আর প্রতিলিটার তেলের মূল্য ২৫০ টাকা করে হিসাব করলে এক বছরেই উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে গতবছর সরিষা আবাদ হয়েছিল ছয় লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে, এ বছর হয়েছে আট লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। গতবছর উৎপাদন হয়েছিল আট লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন, এ বছর হয়েছে ১১ লাখ ৫২ হাজার টন। এক বছরেই উৎপাদন বেড়েছে শতকরা ৪০ ভাগ।
আরও পড়ুন: জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র তিন লাখ টন, যা চাহিদার শতকরা ১২ ভাগ। বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।
সেজন্য, ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ টন তেল উৎপাদন করা হবে, যা চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ। এর ফলে তেল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মধ্যে সরিষা, তিল, বাদাম,সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি করে বর্তমানের আট লাখ ৬০ হেক্টর জমি থেকে ২৩ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হবে। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বর্তমানের ১২ লাখ টন থেকে ২৯ লাখ টনে এবং তেলের উৎপাদন বর্তমানের তিন লাখ টন থেকে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রথমটি হচ্ছে, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। বর্তমানে আবাদকৃত টরি-৭, মাঘী, ডুপিসহ স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বিনা-৪ ও ৯, বারি ১৪ ও ১৭ প্রভৃতি জাত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, অনাবাদি চরাঞ্চল, উপকূলের লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।
তৃতীয়ত, নতুন শস্যবিন্যাসে স্বল্প জীবনকালের ধানের চাষ করে রোপা আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করা হচ্ছে।
এছাড়া, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানারকম প্রণোদনা। এর ফলে প্রথম এক বছরেই প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
পাটের উৎপাদন বাড়াতে ৪ লাখ চাষীকে ৮ কোটি টাকার প্রণোদনা দিবে সরকার
সারাদেশে পাটের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে আট কোটি ১০ লাখ টাকা দেয়া শুরু করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ কর্মসূচির আওতায় মোট চার লাখ কৃষক বীজ পাবেন।
এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় এক কেজি পাট বীজ বিনামূল্যে পাচ্ছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেটের আওতায় কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
বরগুনায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের জন্য কৃষকদের আরও ছয় টাকা বেশি খরচ করতে হবে। সোমবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এ নতুন দাম ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, ইউরিয়া সার এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৬ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকায় বিক্রি হবে এবং ডিলার পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৪ টাকা থেকে ২০ টাকায় দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
হ্যান্ডআউট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম বর্তমানে ৮১ টাকা। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৬ টাকা বাড়ানো সত্ত্বেও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারে ১৫ টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে এবং এর ফলে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণে সরকারের ভর্তুকি চার গুণ বেড়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকার যেখানে সারের জন্য সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার কোটি টাকা।