দেশের হাওর অঞ্চলের ৯৭ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণলায় জানায়, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বোরো ধান। এসব জমির ৯৭ শতাংশ ধান কাটা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এতে জানানো হয়েছে, এই সাত জেলায় এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা হয়েছে। এছাড়া হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বর্তমান সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন কাজ করে যাচ্ছে। পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার দিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওর অধিভুক্ত সাত জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলছে। এর মধ্যে এ বছরই নতুন ১০০টি হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে হাওরের ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি। এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ২২ লাখ টন।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য এ বছরও বোরোর আবাদ ও ফলন বাড়াতে আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়েছি। বোরোর আবাদ বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকার বীজ ও সার কৃষকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সার্টিফিকেট অব মেরিট সম্মাননা পেল কৃষি মন্ত্রণালয়
শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়