অভিভাবক
চলমান রাজনৈতিক সংকটে উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা
একটানা অবরোধের কারণে দেশে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,অবরোধের মধ্যে স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। কারণ যাদের বাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটু দূরে, তারা সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না।
এ ছাড়া, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা আসন্ন, তারাও তা পেছাতে বাধ্য হচ্ছে।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকে সারাদেশে হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে তিন দিনের অবরোধ শেষে ফের ৫ ও ৬ নভেম্বর দুদিনের অবরোধ চলমান। এভাবে দফায় দফায় অবরোধের ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কে রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপিসহ সমমনা দলের রাজনৈতিক চলমান কর্মসূচি নভেম্বর মাসে আরও কঠোর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নভেম্বর মাসের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়া, নভেম্বর শেষে অথবা ডিসেম্বর মাসেই স্কুলগুলোতে নতুন বই পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসটি শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবরোধের কারণে এসব কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরেই হরতাল-অবরোধের প্রভাব বেশি পড়ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসায় বেশি ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা।
গ্রামগঞ্জে রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাব খুব বেশি না থাকলেও সারা দেশের স্কুল-কলেজ একই শিক্ষাপঞ্জি মেনে চলে। গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতেও কাছাকাছি সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়। কারণ শহরাঞ্চলের স্কুলগুলো নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনও বেশ কিছু স্কুল একসঙ্গে একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেয় বা শিক্ষকদের সমিতি থেকে প্রশ্ন কিনে নেয়।
এজন্য মফস্বলেও একেক স্কুলের একেক দিন পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়বে।
অন্যদিকে, বেশ কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হরতাল ও অবরোধের দিন বন্ধ রেখে বন্ধের দিন এবং শুক্রবার ও শনিবার স্কুল খোলা রেখেছিল।
এখন আবার ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধে কারণে ফিজিক্যালি ক্লাস না করে বাসা থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে।
বসুন্ধরায় অবস্থিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ‘প্লে-পেন’ এ বাচ্ছা পড়ে তার একজন অভিবাবক সরোয়ার আলম ইউএনবিকে বলেন,একটানা অবরোধের কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে, তাই না বাসা থেকে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। শারীরিক উপস্থিতিতে ক্লাস আর অনলাইন ক্লাসের অনেক পার্থক্য রয়েছে, আবার চলতি মাসে ১০ নভেম্বর থেকে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা কীভাবে হবে বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে’ লিখে কুবির প্রধান ফটকে ছাত্রদলের তালা!
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ইউএনবিকে বলেন, আগামী ৯ নভেম্বর থেকে স্কুলগুলোর বার্ষিক মূল্যায়ন শুরু হবে। আমরা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে চাই। কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যায়, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে বেশ আগেই একটি সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছিল মাউশি অধিদপ্তর। সেখানে ৫ নভেম্বর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে ৯ নভেম্বর থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে এখনও পরীক্ষা শেষ করার সময় ৩০ নভেম্বরই রাখা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের দুই পরীক্ষার মধ্যে সময় কমে আসবে। গত সোমবার এ সংক্রান্ত সংশোধিত চিঠি স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন, তারা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সন্তানদের স্কুলে নিয়ে আসছেন।
বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রুহুল আমীন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমার দুই বাচ্চা বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলে পড়ে। আগের দফায় হরতাল-অবরোধে বাচ্চাকে স্কুলে আসতে দেইনি। এক সপ্তাহ স্কুল করেনি। এখন আবার অবরোধ। এভাবে কতদিন চলবে কে জানে। এজন্য আবার বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এলাম। কিন্তু আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে, কখন-কোথায় কী হয়।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সুজন ইউএনবিকে বলেন, ‘চলতি মাসেই বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষা। এরমধ্যে হরতাল এবং একটানা অবরোধে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে ভয় ও উদ্বেগে আছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় বিএনপির অবরোধের প্রথমদিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসার প্রধান শাখা এবং বসুন্ধরা শাখা, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা, বনানী বিদ্যানিকেতনসহ রাজধানীর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে
শিশুদের সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত করুন, অভিভাবকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ ও ২০২১-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, সৃজনশীল প্রজন্ম তৈরিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রভাব অপরিসীম। শিক্ষার পাশাপাশি, শিল্প, সাহিত্য ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পাঠক্রম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে শিশুদের সম্পৃক্ত করে তাদের মানসিক বিকাশের পথ সুগম করা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক শিশুরই একটি ব্যক্তিত্ব আছে। আসুন আমরা তাদের জন্য তা সঠিকভাবে প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ইসি’র, নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি
এছাড়া শিশুদের সৃজনশীল মন ও মানসিক বিকাশে শিশু একাডেমির বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সময় পেলেই তিনি শিশুদের সঙ্গে মিশতেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, শিশুদের অবশ্যই ভালো নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ তারা ভবিষ্যতে দেশের দায়িত্ব বহন করবে।
ধর্ম, বর্ণ ও আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে রাষ্ট্রপতি হামিদ শিশুদের সার্বিক বিকাশে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনাগুলিকে বিকাশে সাহায্য করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিশুদের আলোকিত নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা সবার দায়িত্ব। এছাড়া শিশুদের তাদের প্রতিভা বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, যত্ন এবং অনুপ্রেরণা প্রয়োজন।
আবদুল হামিদ বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবী শিশুদের খুঁজে বের করে মানসম্পন্ন শিল্পী, চিত্রশিল্পী বা ক্রীড়াবিদ হওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তারা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে।
সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শিশুদের স্বাস্থ্য-পুষ্টি, শিক্ষা-বিজ্ঞান প্রযুক্তি ইত্যাদিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের বিকাশে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি অভিভাবকদের প্রতি শিশুদের ন্যায়বিচার শেখা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য, সততা, দয়া, দেশপ্রেম এবং জীবনের প্রতি ভালোবাসাসহ সঠিক শিক্ষা প্রদানের পরামর্শ দেন।
বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির (আইটি) যুগে শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার ওপরও জোর দেন হামিদ।
তিনি বলেন, আজকাল প্রতিটি ঘরে শিশুদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক ডিভাইস আছে, অনেকেই মোবাইল ফোনে আসক্ত। তারা খেলার মাঠে খুব একটা যায় না, তারা শিল্প-সাহিত্য চর্চা করে না এমনকি তারা জানেও না।
জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ এবং ২০২১-এ সব জেলার প্রায় ৬.৫০ লাখ শিশু ৩০টি বিভাগে অংশ নিয়েছে। এই ইভেন্টের লক্ষ্য শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনাগুলিকে বিকশিত করা।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে, প্রায় ৪৭৪ শিশু এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ২০২০ সালের জন্য ছয়টি এবং ২০২১ সালের জন্য ছয়টি অন্যদের হস্তান্তর করেছেন।
অনুষ্ঠানে ‘শিশুদের বিকাশ ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘আলোর ফুল (আলোর ফুল)’ শিরোনামের একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা নেছা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী এনাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত
জেলা প্রশাসকদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে ও জনগণের সেবা করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন হাইকোর্ট
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মাকেও স্বীকৃতি দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতদিন অভিভাবকের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাবার নাম দেয়ার সুযোগ ছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মা স্বীকৃতি পাবেন কি না- এ বিষয়ে গত ১৬ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনুননাহার সিদ্দিকা, অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল করিম এবং অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
রিটের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ করতে না পারার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনোরূপ স্বীকৃতি না দিয়ে বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুণী তার মায়ের একার আদর স্নেহে বড় হয়েছিলেন।
পরে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবং সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট তিনটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ এবং বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থি ও বিশেষভাবে শিক্ষার অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এ বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয় তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপারগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে ২০২১ সালের ৬ জুন ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আদালতে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণার জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট
১ বছর আগে
কয়েকটি বিখ্যাত স্কুলে আচ্ছন্ন হবেন না: অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সন্তানদের ভালো শিক্ষা অর্জনের জন্য বিখ্যাত কয়েকটি স্কুলে ভর্তি করতে হবে, অভিভাবকদের এমন মানসিকতা পরিবর্তন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে মাত্র কয়েকটি বিখ্যাত স্কুল রয়েছে। আমরা অনেকেই মনে করি যে কোনো মর্যাদা থাকবে না। আবার কেউ কেউ মনে করে যে তাদের ছেলেমেয়েরা সেই স্কুলগুলোতে পড়াশুনা না করলে শিক্ষা পাবে না। এই মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: আমার স্বপ্ন, একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসএসসি ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, বিজ্ঞানী, সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা ও নেতাসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জেলা পর্যায়ের স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এই ধরনের স্কুলগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘প্রসিদ্ধ স্কুলগুলোর পক্ষে ভালো ফলাফল দেখানো সহজ, কারণ তারা সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করে।’
তিনি বলেছিলেন যে কৃতিত্ব তাদের (শিক্ষক এবং বিদ্যালয়) কে দেয়া উচিত যারা মধ্যমমানের ছাত্রদের তৈরি ও বিকাশ করতে পারে এবং তাদের সম্ভাব্য সেরা ফলাফল অর্জন নিশ্চিত করতে পারে। তিনি বলেন, ‘তাদের সমর্থন দেয়া উচিত এবং পুরস্কৃত করা উচিত।’
এ বছর মাদরাসা (দাখিল) ও কারিগরি শিক্ষাসহ ১১টি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি স্কুলে যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেতে পারে সেজন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১৫ দশমিক ৯৯ লাখ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুই দশমিক ৬৮ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক দশমিক ৫৩ লাখ। চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
২ বছর আগে
‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছান।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারের প্রাসাদে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
শেখ হাসিনা রাজপ্রাসাদের ওয়েস্টমিনস্টার হলে যেখানে দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ শায়িত অবস্থায় রাখা হয়েছিল সেখানে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ টিকা গবেষণা ও উন্নয়নে অংশ নিতে আগ্রহী: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে, ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছালে ব্রিটিশ স্পিকারের প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোনকে স্বাগত জানান।
পরে ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে খোলা শোক বইয়ে বাংলায় শোকবার্তা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে ক্যামেরার সামনে তিনি রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড তাকে স্বাগত জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে তিনি প্রয়াত রানির সঙ্গে আট বা নয়বার দেখা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাকে তার প্রথম নামেই চিনতেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রানির বিষয়ে বলেন,‘তিনি আমার কাছে একজন মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।…মনে হচ্ছে একজন অভিভাবক চলে গেছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস
সৈয়দা মুনা তাসনীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা দু’জনেই ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) সফরকালে রানিকে দেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রয়াত রানি একজন ‘বৈশ্বিক অভিভাবক’ ছিলেন এবং তার মৃত্যুতে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
শোক বইয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, ‘শেখ রেহানা একজন ব্রিটিশ নাগরিক, তিনি লিখেছেন ‘তিনি আমাদের হৃদয়ের রানি এবং সর্বদাই হৃদয়ে থাকবেন’।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
২ বছর আগে
বাল্যবিয়ে: বাগেরহাটে কাজী ও ২ অভিভাবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকায় বাল্যবিয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিবাহ নিবন্ধক কাজী এবং ছেলে ও মেয়ের দুই অভিভাবককে ছয়মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম নাগেরবাজার এলাকার ওই কাজী অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ওই তিনজনকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার বিবাহ নিবন্ধক কাজী আতাউল বারী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বাবা সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কবির সরদার এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের বাবা গোবরদিয়া এলাকার সজিব হাওলাদার।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম জানান, নাগেরবাজার বিবাহ নিবন্ধক কাজী অফিসে বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, কাজী আতাউল বারী এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ বছর বয়সের এক মেয়ে ও ২০ বছর বয়সী এক ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে
তিনি জানান, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় কাজী আতাউল বারী এবং ছেলে ও মেয়ের ওই দুই অভিভাবককে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিনজনকে এদিন রাতেই বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিচারক আরও জানান, আইন অমান্য করে বিবাহ নিবন্ধক কাজী আতাউল বারী দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েদের বিয়ে দিয়ে আসছেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েদের জন্ম তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সাদা কাগজে লিপিবদ্ধ করে কাজী তাদের বিবাহ সম্পাদন করেন। পরে কাগপত্র অনুসারে তাদের বয়স পূর্ণ হলে রেজিস্ট্রারভুক্ত করা। অভিযান চলাকালে এমন প্রমাণ মিলেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের তথ্য মতে, গত এক বছরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ না দেয়ার জন্য নানা ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ আইন অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন সময় বাল্যবিবাহ হয়ে আসছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা খবর পেলেই ছুটে গিয়ে বাল্যবিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছেন। এর পরেও থেমে নেই বাল্যবিয়ে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে কাজীর জেল, বরের জরিমানা
২ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের মোদিবিরোধী আন্দোলন: আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি বিশিষ্টজনদের
‘উদ্বিগ্ন অভিবাবক ও নাগরিক’ শিরোনামের ব্যানারে দেশে মোদিবিরোধী আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থী ও নেতাদের নিঃশর্ত ও দ্রুত মুক্তি দাবি করেছেন দেশের বিশিষ্টজন, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ সমাবেশে ৫০ জনেরও বেশি অভিভাবক এবং পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলোকচিত্রী শহিদুল ইসলাম এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-মোদি
ছাত্র নেতাদের দ্রুত মুক্তি চেয়ে নুরু বলেন, ‘সরকার নেতাদের ভয় দেখানোর জন্য বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে। ছাত্র, সুশীল সমাজ, বাম সংগঠন এবং বুদ্ধিজীবী প্রত্যেকেই মোদির সফর বিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করেছে কিন্তু পুলিশ আক্রমণ এবং অনেককেই আটক করে।’
তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেন তবে দ্রুত আটককৃত ছাত্রনেতাদের মুক্ত করে দিন, আমরা আমাদের দাবি মেটাতে জীবন দিতে প্রস্তুত।
মান্না বলেন, আমরা মোদিবিরোধী আন্দলনকারীদের দ্রুত এবং নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাত্রনেতাদের দ্রুত এবং নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে সরকারের প্রতি রাজনৈতিক কর্মী এবং ছাত্রনেতাদের হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান।
৩ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৪ শিশুকে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার চার শিশুকে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৪ বছর আগে
একজন অভিভাবকের প্রয়াণ
সকালে ঘুম ভাঙল একটি ফোনের কলে। বড় ভাই ওপার থেকে বলল, জামিল আর নেই। আমি তখনও বুঝতে পারিনি, কোন জামিলের কথা বলছেন বড় ভাইয়া। এরপর বিস্তারিত শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। মাথার উপরে বটবৃক্ষহীন আমি, এটা তো ভাবাই যায় না। কী করব আমি, কাকে ফোন দেব, কিছুই বুঝতে পারছি না। ভেতরটা খাঁ খাঁ করছে। দেশের এ দুঃসময় যেন আমাকে আর স্পর্শ করছে না। সাহস করে বাড়ির নিচে দাঁড়ালাম। শুনশান রাস্তাঘাট। ঢাকার পথঘাট এত ফাঁকা আগে কোনো দিন চোখে পড়েনি। তার চেয়েও বেশি ফাঁকা আমার বুকের ভেতরটা। একটু হেটে যেতেই রিকশা পেলাম। রওনা হলাম আমার জামিল ভাই, জেআরসি স্যারের বনানীর বাসায়।
৪ বছর আগে