ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি
২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভসহ ২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
একই সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকদের এ ধরনের হত্যা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতির আহ্বান জানান ডিআরইউ নেতারা।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ নির্বাচন: সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ঢালাওভাবে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ রকম হত্যা মামলা দায়ের চলতে থাকলে পেশাদারিত্ব রক্ষায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে ডিআরইউ। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে তা যেমন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ভাসানটেক থানায় ২৫ জন সাংবাদিককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি ডিআরইউ’র
ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধা
১ মাস আগে
শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করা হবে: ফখরুল
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল এখন ঐক্যবদ্ধ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন খুব শিগগিরই আরও জোরদার করা হবে।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার এখন বিরোধী দলগুলোর প্রধান শত্রু।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে আছি। এরইমধ্যে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি... সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তাভাবনা ভিন্ন- কেউ বামপন্থী, কেউ ডানপন্থী, কেউ কট্টর বামপন্থী- কিন্তু আমরা সবাই মিলে আন্দোলনে একমত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পরাজিত করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ একটি বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তারা দলটিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সেই আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা এখনো সেই আন্দোলনে আছি এবং নিঃসন্দেহে খুব শিগগিরই তা আরও তীব্র হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবে মোদি সরকার: ফখরুল
বিএনপি চলমান আন্দোলন সফল করতে সব বাম ও ডানপন্থী দলের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'এই আন্দোলনের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, কোনো রাজনৈতিক দল এই সরকারের পক্ষে ছিল না, কেউ তাদের সমর্থন দেয়নি। এটা আন্দোলনের বড় সাফল্য। তথাকথিত (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ যায়নি।’
মির্জা ফখরুল বিরোধী দলগুলোকে কোনো হঠকারী পদক্ষেপ বা ক্ষতিকর মন্তব্য না করতে সতর্ক করে দেন, যা তাদের ঐক্য ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, 'আমি সব সময় বলি, আমাদের হঠকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ আছে। এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবাই আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা এর জন্য লড়াই করছি, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।’
যুগপৎ আন্দোলন সফলভাবে পরিচালনার জন্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই সরকার, যারা আমাদের সর্বস্ব ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি... শেষ পর্যন্ত আমরাই সফল হব। আসুন আমরা সবাই জনগণের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের সঙ্গে সংগ্রাম করি। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করতে পারি, তবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই শাসনকে অপসারণ করা।’
গণতন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে দেশ ও জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
৪ মাস আগে
২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে ১৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে: ওশি
বিদায়ী ২০২৩ সালে সারাদেশে কর্মক্ষেত্রে ১ হাজার ৪৩২ জন শ্রমিক নিহত এবং ৫০২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নজরুল হামিদ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা ‘বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশন’- এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
ফাউন্ডেশন ১৫টি মিডিয়া আউটলেট এবং তাদের নিজস্ব মাঠ পর্যায়ের উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওএসএইচই-এর চেয়ারপার্সন সাকি রিজওয়ানা, ভাইস চেয়ারপার্সন ড. এস এম মোর্শেদ, গবেষণা ও মনিটরিং অফিসার নুর আলম এবং কেস ম্যানেজমেন্ট অফিসার নুসরাত জাহান।
প্রতিবেদন পেশ করে ড. মোরশেদ বলেন, ২০২৩ সালে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে ৩২৯ জন শ্রমিক মারা গেছে এবং অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১০৩ জন।
তথ্যে দেখা যায়, পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ জন শ্রমিক তাদের শেষ পর্যন্ত পূরণ করেছে।
এই সময়ের মধ্যে, ২২০ জন দিনমজুর তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন এবং ৭৬ জন আহত হয়েছেন। নির্মাণ খাতে ১৪৯ জন মারা গেছেন এবং ৭২ জন আহত হয়েছেন, কৃষিতে ১৪৬ জন মারা গেছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছেন (বজ্রপাতে ৭১ জন মারা গেছেন), পোশাক শিল্পে ৬৪ জন মারা গেছেন এবং ৮৯ জন আহত গেছেন এবং ৯৪ জন মারা গেছেন এবং ১৫ জন আহত গেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ে নাহিদার মৃত্যু
মৎস্য খাতে ৫৩ জন নিহত এবং ২২ জন আহত, সেবা খাতে ২৬ জন নিহত এবং ২২ জন আহত, সিরামিক খাতে ১৭ জন নিহত এবং ৯ জন আহত, চামড়া শিল্পে ৪ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত, ইটভাটায় ১১ জন নিহত এবং ছয়জন আহত, জাহাজডুবির ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এক চা শ্রমিক নিহত ও ছয়জন আহত এবং তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা কাঠামো ধসে পড়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সহিংসতা, গৃহকর্মীদের শারীরিক নির্যাতন, দেওয়াল-বিল্ডিং-ছাদ ও ভূমিধস কর্মক্ষেত্রে হতাহতের প্রধান কারণ।
ওশি কিছু সুপারিশ পেশ করেছে যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (২০১৮ সালে সংশোধিত) এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫-এ উল্লিখিত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধিগুলো প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণ।
এটি পোশাক খাতের মতো শ্রমিক ও মালিকদের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা কমিটি গঠন এবং শ্রম আইনে মৃত ও আহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা এবং সব শিল্পখাতে কর্মসংস্থান ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) প্রবর্তনেরও সুপারিশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দম্পতি নিহত
১০ মাস আগে
প্রবীণ সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই।
তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা শেষে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় এবং তার মরদেহ ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানাজায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত; চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকার নেতা; সিজেএফডি ও ডিআরইউ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তারা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান আর নেই
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আর নেই
১১ মাস আগে
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কেউ আইন অমান্য করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আইন না মেনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে আগ্রহী নয়। তাই তারা ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ কোথাও তাদের কর্মসূচিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী নয়। দুই গ্রুপের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যানজোট নিরসনে রাস্তায় বিভিন্ন দোকানপাট বসানো এবং যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ জায়গায় দেখা যায় রাস্তা দখল করে দোকান-পাট বসানো হয়েছে। আবার রাস্তার ওপরে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। যা ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম কারণ। যারা রাস্তার ওপরে গাড়ি রাখবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
সোমবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন-ডুরা আয়োজিত ‘অসহনীয় যানজট: সমাধান কী’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, ট্রাফিক জ্যাম বিশ্বের সকল দেশেই আছে। অনেক দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যে প্রক্রিয়ায় ট্রাফিক জ্যাম সমাধান করেছে সেইভাবে হুবহু আমাদের করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের দেশের চিত্র আর আমাদের দেশের চিত্র এক না। সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে সবার আগে এরপর সমাধান খুঁজতে হবে। আমরাও বসে নেই। এনিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা না রেখে শুধু বড় বড় বিল্ডিং করলে এবং ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়লে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হওয়াটাই স্বাভাবিক। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহী করতে হবে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে, এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গাড়ির গতি মানুষের হাঁটার চেয়েও কম হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ট্র্যাফিক জ্যাম নিরসন করা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। সমন্বিতভাবে কাজ করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করতে হবে। ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ছুটিতে যানজট মুক্ত ঢাকার রাস্তায় স্বস্তি
তিনি জানান, ঢাকা শহরে কত মানুষ বসবাস করবে তা ঠিক করা জরুরি। কারণ সবাইকে ঢাকায় রাখা সম্ভব না। ঢাকা ডিটেল এরিয়া প্লান-ড্যাপ সে লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হচ্ছে। ঢাকাকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মূল ঢাকায় না থেকে যাতে করে মানুষজনকে সম্প্রসারিত এলাকায় স্থানান্তর করা যায় সে ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার লোক আসছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের মূল শহরে বসবাসের কস্ট বাড়িয়েছে। এতে করে মানুষজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকে এবং সকাল বেলা কর্মক্ষেত্রে চলে আসে। ঢাকায় থাকার লিভিং কস্ট এবং গ্রামে থাকার লিভিং কস্ট যদি প্রায় সমান হয় তাহলে ইনকাম এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় মানুষ ঢাকায় আসবে এটাই স্বাভাবিক। জোন ভিত্তিক পানি, গ্যাস, হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করার কথা আমি প্রায় বলে থাকি। কিন্তু এটা নিয়ে কেউ কথা বলে না।
পরে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উপজেলাতেও ট্রাফিক জ্যাম হবে সংসদে এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত হবে। মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে সাড়ে ১২ হাজার ডলারে। মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাল্টি ডাইমেনশনাল ইম্পেক্ট পড়বে। সকলের গাড়ি ক্রয় করার সামর্থ্য হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি এখন থেকে পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো এবং রাস্তাঘাট নির্মাণ না করি তাহলে উপজেলাতেও ট্রাফিক জ্যাম হতে পারে বলে আমি বলেছিলাম। এখন থেকে প্রস্তুতি না গ্রহণ করলে এই সমস্যা দেখা দিবেই।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের কাছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিটি করপোরেশন নিজেদের অর্থায়নে এয়ারপোর্ট বানিয়েছে, সাবওয়ে নির্মাণ করেছে। আমাদের দুই সিটি করপোরেশন অনেক দায়িত্ব পালন করছে। দুই মেয়রের কাজ করার অনেক আগ্রহ রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করার সক্ষমতা আছে কি না তা দেখতে হবে।
ডুরার সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বুয়েটের পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক যানজটে দুর্ভোগে ঢাকাবাসী
২ বছর আগে
৩ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব ‘সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্যচিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আগামী ২৭ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু শিরোনামে চলচ্চিত্র উৎসব।
তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজনে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্ট। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সহযোগিতায় সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসবের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এস এস কমিউনিকেশন।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক দিলদার হোসেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীরা উৎসবে বিনা টিকেটে শুধুমাত্র আইডি কার্ড দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। আর দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। যা দিয়ে একদিনে প্রদর্শিত সবগুলো চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ থাকছে।
২৭ মার্চ সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ দিলাম আর্কাইভ মিলনায়তনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২৭ মার্চ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্র টুঙ্গি পাড়ার মিয়া ভাই,চিরঞ্জীব মুজিব,বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ও তোমারই হোক জয়।
উৎসব চলবে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
২ বছর আগে
ডিআরইউতে শ্রদ্ধায় সিক্ত সাংবাদিক হাবীবুর রহমান
সাংবাদিক, বন্ধু-স্বজন, শুভানুধ্যায়ীদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক হাবীবুর রহমান।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী, আড়াই বছরের শিশুপুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার বাদ যোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। প্রথমেই ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বে হাবীবুর রহমানের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি। এরপর আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা সমবেতদের উদ্দেশ্যে ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘হাবীবুর রহমান একজন প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অসাবধানতার কারণে এ রকম ভালো মানুষ যেন হারিয়ে না যায়, ভালো সাংবাদিক যেন হারিয়ে না যায়।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব বলেন, ‘আমরা একসাথে ২০১৭ সালে কার্যনির্বাহী কমিটিতে কাজ করেছি। তিনি তখন কার্যনির্বাহী সদস্য। আমি দেখেছি হাবীবুর রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠা। তিনি ডিআরইউ’র জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ।’
ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে হাবীবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তারা বলেন, ডিআরইউ আগামী দিনগুলোতেও হাবীবুর রহমানের পরিবারের পাশে থাকবে। শিগগিরই হাবীবুর রহমান স্মরণে একটি শোকসভার আয়োজন করা হবে বলে তাঁরা জানান।
ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান, কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল হাসান, সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো. আল-আমিন, এস কে রেজা পারভেজ ও তানভীর আহমেদ।
এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, শাহেদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, মুরসালিন নোমানী; সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজু আহমেদ, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, কবির আহমেদ খান ও মসিউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, হাবীবুর রহমান দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট কাভার করতেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন ও হাসান জাহিদ তুষার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ও এ.বি.এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এবং সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট পরিবার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ও দিনাজপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকেই বেছে নিয়েছিলেন হাবীবুর রহমান। সময়ের আলোতে যোগদানের আগে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
ডিআরইউ’র পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা এবং তার কর্মস্থল দৈনিক সময়ের আলো কার্যালয়ে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। কুমিল্লার জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার শশিদল ইউনিয়নের মানোরা গ্রামে চতুর্থ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
২ বছর আগে
নিজেদের অপকর্মের ভারে আ ’লীগ সরকার এখন পতনের পথে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার বলেছেন, নিজেদের অপকর্মের ভারে আওয়ামী লীগ সরকার এখন পতনের পথে।
বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) 'হিউম্যান রাইটস ইস্যুস অ্যান্ড দ্য ইমেজ অব বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন,বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এতদিন ক্ষমতায় থাকার পর, এই সরকার এখন তার নিজের অপকর্মের ভারে পতনের দ্বারপ্রান্তে। তারা আন্তর্জাতিকভাবেও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। এখন আমাদের জনগণের সঙ্গে একযোগে এটিকে এগিয়ে নেয়ার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
এসময় গণআন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপকে কেন্দ্র করে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, আপনারা নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সংঘর্ষ দেখেছেন, যার ফলে প্রাণহানি হয়েছে।
তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার অভিযোগ করে বলেন,এটা স্পষ্ট যে এই সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরে আসবে না।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে ক্ষমতার পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের দেশ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কিন্তু এখন গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে। এই শাসন ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে যেমনটা তারা অতীতেও করে এসেছে।
মোশাররফ বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নেই সেখানে মানবাধিকার অনুপস্থিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং র্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রের একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা খুবই লজ্জার বিষয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতা বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে মানবাধিকারহীন দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না দিয়ে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
২ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি না দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়ে সরকার এখন তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়ে চায় না তারা।’
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে তারা শনিবার দেশব্যাপী গণঅনশন পালনের পর আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগের জন্য তার পরিবারের আবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই; আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা কথা।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ ধারা অনুযায়ী, তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। ‘এমনকি সরকার চাইলে তাকে সাজা থেকেও সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দিতে পারে।’
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅনশন
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশব্যাপী গণঅনশনের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাত ঘণ্টা গণঅনশন করবেন তারা।
এ সময় তিনি বলেন, অন্য জায়গায় তারা এ কর্মসূচি পালন করতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা অনুমতি পাননি।
ফখরুল বলেন, অন্যান্য মহানগর ও জেলা শহরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বাসায় নেয়ার ছয়দিন পর ১৩ নভেম্বর আবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়ে ১১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবারের পক্ষে তার ছোট ভাই শামিম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার বিএনপির গণ-অনশন
২ বছর আগে