ঈদুল ফিতর
টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন ছুটিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও ব্যাংক বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। ঈদের সময় হাসপাতালগুলোতে রোগীরা আদৌ কাঙ্ক্ষিত সেবা পান কিনা এবং কোন প্রক্রিয়ায় এ সেবা দেওয়া হয়—সেসব নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল জাগে।
ঈদের ছুটিতে সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই পর্যাপ্ত রোগী আছে। যদিও ছুটির এ সময়ে অধ্যাপক পর্যায়ের চিকিৎসকদের পদচারণা কম; তবে রোগীদের ভাষ্যমতে, মেডিকেল অফিসার ও জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের খোঁজ খবর রাখছেন; আছেন নার্সরাও।
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের দিন প্রায় ৫০০’র মতো রোগী আছে হাসপাতালটিতে। এদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দেওয়া হয়নি ছাড়পত্র। ঈদের সময় জ্যেষ্ঠ ডাক্তাররা আসবেন কিনা বা এই সময়ে কতটুকু চিকিৎসাবা পাবেন—এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রোগীদের কপালে।
কিডনিতে পাথর নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সোহরাওয়ার্দীতে ভর্তি আছেন হবিগঞ্জ জেলার আহাদ মিয়া (৬০)।
পেশায় দিনমজুর আহাদ বলেন, ‘ডাক্তার কিডনি ওয়াশ করছে। তবে এখনও কিছু পাথর আছে। ডাক্তারই বলছে ঈদ এখানে করতে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি হয় নাই। ঈদের এ কয়দিনের ছুটিতে ডাক্তার রেগুলার আসছে। দেখি সামনের দিনগুলাতে কী হয়!’
বরগুনা থেকে মূত্রথলিতে টিউমার নিয়ে ২০ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন সফেদ হাওলাদার (৭২)। এবারের ঈদ তাকে হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছে। চিকিৎসকরা আগামী ৫ এপ্রিল ঈদের ছুটির মধ্যেই তার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সফেদের মেয়ে পারভীন আক্তার (৪০)।
তিনি বলেন, ‘ঈদের এ কয়দিনের ছুটিতেও ভালো সেবা পাচ্ছি। তবে বড় ডাক্তার না থাকায় ঈদের পর অপারেশন হবে। আগের থেকে আব্বার অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো।’
ঈদের সময় ডাক্তার-নার্স কম থাকা নিয়ে হাসপাতালটির সিনিয়র স্টাফ নার্স সাধনা হালদার বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের থেকে ঈদের ছুটির এ সময়ে হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কম থাকে। তবে এটা ভাবার কারণ নেই যে, হাসপাতাল নার্স-ডাক্তারশূন্য থাকবে। যেকোনো রোগীর জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার মজুত থাকেন। ঈদের নামাজের সময় বা দুপুরের দিকে অন্য ধর্মাবলম্বী ডাক্তার-নার্সরা ডিউটি করেন। এতে করে সংকটময় কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না।’
হাসপাতালটির আরেক সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি গোমেজ বলেন, ‘ঈদের আগে অনেকেই নিজ থেকে রিলিজ চায়। তবে সিরিয়াস রোগীদের রিলিজ দেওয়ার সুযোগ নেই। ওষুধ দেওয়া, ড্রেসিং করানো, ইনজেকশন পুশের মতো কাজ রোগী বাসায় নিজে করতে পারবে না, আবার এর জন্য তার সিনিয়র ডাক্তারদেরও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালে থাকলে প্রাথমিক সেবাগুলো নার্স ও মেডিকেল অফিসারই নিশ্চিত করতে পারেন।’
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ঘুরেও দেখা যায় একই দৃশ্য। ঈদের ছুটিতে জরুরি বিভাগে ডাক্তারদের তোড়জোড় থাকলেও ভর্তি থাকা রোগীদের ওয়ার্ডে সিনিয়র ডাক্তারদের আনাগোনা অনেকটাই কম।
হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৪৫) বলেন, ‘ডাক্তারদের সেবায় কোনো গাফলতি নেই। কিন্তু শুনছি ঈদে বড় ডাক্তাররা আসবেন না। তাদের দেখলে মনে জোর পাই। তারা না আসলে একটু ভয় ভয় লাগে।’
গোপালগঞ্জ থেকে আসা আরেক রোগীর আত্মীয় মিশকাত (২৮) বলেন, ‘ছুটির মধ্যে সেবা পাচ্ছি, কিন্তু যা পাচ্ছি সেটি আসলে আশানূরূপ নয়। তবে শুনেছি যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে সেবা ভালো হয়।’
জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি (জরুরি অস্ত্রোপচারকক্ষ) ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে দেশের হাসপাতালগুলোকে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি নির্ধারণ করা হবে।
ঈদের তিন দিন বন্ধ সরকারি হাসপাতালের আউটডোর সেবা। এ ব্যাপারে ছুটি শুরুর আগে কথা হয় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হকের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরদিন আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। তবে এর মানেই এই না রোগী আসলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আউটডোরে রোগী আসলে তাদের জরুরি বিভাগের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা হয়। রোস্টার অনুযায়ী জরুরি বিভাগ চলে।’
‘চেষ্টা থাকে ঈদের দিনটা অন্য ধর্মাবলম্বী ডাক্তারদের দিয়ে জরুরি বিভাগ চালানোর। তবে ঈদের ছুটি হোক বা অন্যকিছু, রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে মিস ম্যানেজমেন্ট (অব্যবস্থাপনা) এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে কর্তৃপক্ষের।’
তবে সরকারি হাসপাতালের চেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে সেবার মান ভালো দাবি করা হলেও ঈদের দিন প্রাইভেট হাসপাতালে ল্যাব কার্যক্রম প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়—এমন অভিযোগ এসেছে রোগীদের কাছ থেকে।
ভুক্তভোগী এমন একজন রোগী সাব্বির হোসেন (৩৭) বলেন, ‘এক বছর আগে ঈদের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ি। সকালে ডাক্তারের পরমার্শ অনুযায়ী ইমার্জেন্সি টেস্টের জন্য কম করে হলেও পাঁচ-ছয়টা হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। পরে আরেক ডাক্তার আত্মীয়ের মাধ্যমে তদবির করে টেস্ট করানো গেছে।’
প্রাইভেট হাসপাতালে ঈদের আগে রোগীদের একরকম জোরপূর্বক রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয়, সিনিয়র ডাক্তাররা আসেন না, নার্সদের সেবা পাওয়া যায় না—এমন সব অভিযোগের ব্যাপারে রাজধানীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. খান রাওয়াত বলেন, ‘ঈদের আগে রোগীরা নিজেরাই বাসায় ফেরার জন্য উতলা হয়ে ওঠেন। অনেক সময় ডাক্তারের সাজেশন না মেনেই তারা বাসায় ফিরতে চান। তাদের মনের অবস্থাটাও আমরা বুঝি। কে না চায় নিজ পরিবারের সঙ্গে শান্তিমতো ঈদ করতে! তাই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ঈদের আগে খুব সিরিয়াস কিছু না হলে যেসব রোগী রিলিজ চাইছেন, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, ঈদের দিনে ডাক্তার-নার্স ছাড়া হাসপাতালগুলো বিরানভূমিতে পরিণত হয়। আসলে মোটেও এমন কিছু নয়। নামাজের পর, আবার দুপুরের পর সিনিয়র ডাক্তারা হাসপাতালে এসে ঘুরে যান; রোগীদের খোঁজখবর নেন। সিরিয়াস কিছু হলে মেডিকেল অফিসাররা যখন তখন তাদের (সিনিয়র ডাক্তার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাই এটা ভাবার কারণ নেই যে, ঈদ বা ছুটি বলে রোগীদের চিকিৎসাসেবার বিন্দুমাত্র গাফলতি হয়।’
এদিকে, ঈদের দিন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে রোগীদের সেমাই খাওয়ানো হয়েছে; সঙ্গে ছিল পাউরুটি, কলা, দুধ, ডিম ও বিস্কুট। দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে মুরগির রোস্ট, রেজালা, ডিম কোরমা ও কোক দেওয়া হয়। অনেক হাসপাতালে রোগীদের খাওয়া শেষে আপেল কিংবা কমলাও দেওয়া হয়। আর রাতে নিয়মানুযায়ী থাকে ভাত, ডাল ও সবজি।
তবে আপ্যায়ন যেমনই হোক, হাসপাতালে ঈদ কাটানো একেবারেই কাম্য নয় রোগীদের। আর বাধ্য হয়ে যদি হাসপাতালে থাকতেই হয়, তাহলে পূর্ণাঙ্গ সেবার প্রত্যাশা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের।
১২ দিন আগে
যত বাধাই আসুক, ঐক্যবদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই: ড. ইউনূস
ঈদের দিন জাতির উদ্দেশে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শত বাধা সত্ত্বেও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই।
সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে জাতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, ‘ঈদ মোবারক! আজ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাজারে, প্রতিটি গঞ্জে, প্রতিটি শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জামাতে যারা শরিক হয়েছেন, আমরা জাতির পক্ষ থেকে তাদের ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’
‘যারা ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার সুযোগ পাননি, তাদেরও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আমাদের মা-বোনেরা যারা ঘরে আছেন, তাদেরও আমরা ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’
প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা, যারা বিদেশে আছেন, সারা বছর কষ্ট করেছেন, ঈদের জামাতে হয়তো যেতে পারবেন, হয়তো যেতে পারবেন না, তাদেরও ঈদ মোবারক জানাই। যেসব বাংলাদেশিরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছেন, তাদের আমরা ভুলে যাইনি, তাদেরও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’
‘অনেকে হাসপাতালে আছেন, রোগী, বিভিন্ন কারণে ঈদের জামাতে যেতে পারেননি, তাদেরও ঈদ মোবারক জানালাম।’
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা
এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ দিয়েছেন বীর সন্তানেরা, আত্মাহুতি দিয়েছেন, আমরা যেন মোনাজাতে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন, যারা স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছেন, এই দেশের জন্য নিজেদের স্বাভাবিক জীবন ত্যাগ করতে যারা বাধ্য হয়েছেন, তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য, রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে যেন আমরা প্রার্থনা করি আজকের দিনে।’
১৩ দিন আগে
ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এ সময়ে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জাতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।… আজ একটা অটুট ঐক্য গড়ে তোলার দিন। স্থায়ীভাবে এই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। ঈদের জামাতে আমাদের এই কামনা।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এদিন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জামাতে অংশ নেন।
আজ (সোমবার) বিকাল ৪টায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ড. ইউনূস ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
১৩ দিন আগে
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
এক মাস সিয়াম সাধনার পর সাম্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বার্তা নিয়ে আবার এসেছে খুশির ঈদ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। এছাড়া মোকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
জাতীয় ঈদগাহে এবার প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজের জন্য স্থান প্রস্তুত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জামাতে অংশ নেন।
এদিন সকাল থেকেই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ময়দানজুড়ে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। এ সময়ে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সবা সব বাংলাদেশিকে ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
১৩ দিন আগে
চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদ
দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসর চাঁদ দেখা গেছে। এতে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এ বছর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়েছে ২ মার্চ। সে হিসাবে রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা দেওয়ায় রোজা হয়েছে ২৯টি। এক মাস রোজা রাখার পর শাওয়ালের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করেন মুসলমানরা। তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এবারের ঈদে ঢাকায় কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদ রবিবার
এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ১১১টি ঈদগাহে ও ১৫৭৭টি মসজিদসহ মোট ১৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও ঢাকার অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠেয় ঈদ জামাতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস হয়ে থাকে। ২৯ রমজান শেষে যদি চাঁদ দেখা যায়, তাহলে পরদিন ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। আর চাঁদ দেখা না গেলে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয় ৩০ রমজান শেষে।
এরআগে শনিবার (২৯ মার্চ) সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে ঈদের চাঁদ দেখা গেছে। যে কারণে রবিবার মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে।
কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার খবর বলছে, বর্তমানে বিশ্বে ১৯০ কোটি মুসলমান রয়েছেন, যা বৈশ্বিক জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলমান বাস করেন ইন্দোনেশিয়ায়, প্রায় ২৪ কোটি। এছাড়া পাকিস্তানে ২২ কোটি, ভারতে ২১ কোটি, বাংলাদেশে ১৫ কোটি ও নাইজিরিয়ায় ১১ কোটি মুসলমান রয়েছেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে শাওয়ালের প্রথম তিনদিন ঈদ উদ্যাপিত হয়। কোনো কোনো দেশে তা আরও বেশি দিন হয়ে থাকে। এটা দেশগুলোর নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর বেশি নির্ভর করছে।
ঈদের দিন সকালে ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদ উদ্যাপন শুরু হয়। তার আগে সংক্ষিপ্ত খুতবা পরিবেশন করা হয়। ঈদের দিনগুলোতে মুসলমানরা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যান। তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময়ে মিষ্টান্ন ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন করা হয়। ইবাদত, খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ-উৎসব—সবই থাকে ঈদ উদ্যাপনে।
এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।
এছাড়া, ঈদের দিন বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলেও জানান তিনি।
১৪ দিন আগে
ছুটিতে প্রাণহীন জাবি, ক্যাম্পাসেই ঈদ নিরাপত্তারক্ষীদের
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটি হয়েছে ক্যাম্পাস। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, ঈদের আগের দিন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘরে ফেরার তোড়জোড়। ফলে সবুজ-শ্যামল ক্যাম্পাসে নেই প্রাণচাঞ্চল্য; নেই রিকশার টুংটাং বেলের শব্দ, গাড়ির হর্ণের বিরক্তিকর আওয়াজ, চিরচেনা কোলাহল। স্থবিরতা নেমে এসেছে চারদিকে।
শহিদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীদের জটলাও চোখে পড়ছে না। ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরিতেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। চিরযৌবনা ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) যেন মলিন হয়ে আছে। আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে ঝুলছে তালা। বটতলার দোকানিরা তাদের দোকানের শাটার নামিয়ে কবেই বাড়ি ফিরেছে! রেইনট্রি গাছে শুধু কাকেদের ডাক শোনা যায়। খাবার না পেয়ে ক্যাম্পাসের কুকুর-বিড়ালগুলোও পাশের এলাকায় আস্তানা গেড়েছে।
সাংবাদিক সমিতির অফিসটার সামনে ধুলার আস্তরণ জমে গেছে। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে পায়চারি করছেন দুই-তিনজন নিরাপত্তারক্ষী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে কয়েকটি রিকশা অপেক্ষা করছে, যদি কেউ বের হয়—এই আশায়।
বলছিলাম জাঁকজমকের রাজধানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কথা। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিতে ভরপুর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সবসময় প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর থাকলেও ঈদের ছুটিতে জনমানবহীন হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাস ছুটি হয়েছে গত ২০ মার্চ। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করে ক্যাম্পাস। যারা টিউশনি করান, কোচিংয়ে ক্লাস নেন কিংবা অন্য কোনো পার্ট টাইম কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কারও কারও এখনও বাড়ি ফেরা বাকি। এদের মধ্যে যারা বাড়ি ফিরবেন, ঈদের আগমুহূর্তে তারা ব্যাগ গোছানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন সকাল থেকেই।
আরও পড়ুন: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবিতে হামলা: ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
১৪ দিন আগে
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।
এছাড়া, ঈদের দিন বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলেও জানান তিনি।
১৪ দিন আগে
বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সেখানে ঈদুল ফিতরের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা ও ফিলিস্তিনে গাজাবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধে সৃষ্টিকর্তার দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশে রোজা শুরু হওয়ার এক দিন আগে রোজা পালন করা শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার চেয়ে এক দিন আগেই তারা ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদ রবিবার
এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ কিছু এলাকার মানুষও একই সঙ্গে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন, তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
আজ (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় রাখালতুলি জামে মসজিদে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা।
১৪ দিন আগে
সৌদি আরবে ঈদ রবিবার
শনিবার সৌদি আরবে ঈদের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল রবিবার সেখানে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন উদযাপন করবে সৌদি আরব।
খবরে বলা হয়েছে, আজ (শনিবার) স্থানীয় সময় মাগরিবের নামাজের পর বিষয়টি নিশ্চিত করে সৌদির চাঁদ দেখা কমিটি। এর ফলে দেশটিতে ২৯ রোজার পর এ বছর ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সৌদির রয়্যাল কোর্টের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ (শনিবার) রমজানের শেষ দিন এবং আগামীকাল (রবিবার) রাজ্যজুড়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
এর ফলে বাংলাদেশে সোমবার ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ উদযাপনের পরের দিন সাধারণত বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। তবে সৌদির সঙ্গে মিল রেখেও দেশের অনেক জায়গাতে ঈদ উদযাপন করে থাকে দেশের অনেক মুসল্লি।
১৫ দিন আগে
ঈদের দিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?
ঈদুল ফিতরের দিন দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা উল্লেখ করার মতো না।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক ইউএনবিকে এমন তথ্য দিয়েছেন।
এ বছর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়েছে ২ মার্চ। সে হিসাবে রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে রোজা হবে ২৯টি, আর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার। সোমবার চাঁদ দেখা গেলে ৩০ রোজাই পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
ঈদের দিনে বৃষ্টি হবে কিনা; জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
‘সেটা খুবই সামান্য। আর দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে মনে রাখবেন, অনেক সময় স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তবে এ নিয়ে আগে কিছু বলা যায় না। বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত তৈরি হতে পারে,’ বলেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের দৈনিক পূর্বাভাস দেখতে হবে। চাঁদ না দেখা বলা যাচ্ছে না, ঈদ সোম, নাকি মঙ্গলবার হবে। সে কারণে সবাইকে দৈনিক পূর্বাভাসের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, তাতে বৃষ্টিপাতের খুব একটা সম্ভাবনা নেই।’
তার ভাষ্য, ‘ঈদের দিন আশি শতাংশই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সম্ভাবনা আছে।’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবারের (৩১ মার্চ) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এরপর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৫ দিন আগে