স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনগুলোতে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কার্যক্রম বিষয়ে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ হাতিয়ার, আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এখন ঢাকার বাইরেও তা ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুইবার বরাদ্দরোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জলাশয় ও পানির সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলাশয়গুলো সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
৮ মাস আগে
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পথনকশা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা, সক্ষমতা এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত হলেই বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকলে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে তবেই জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৮ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকা ওয়াসার ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের ডেব্ট সার্ভিস লায়াবিলিটিস বা ডিএসএল চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছ থেকে গৃহীত ঋণ পরিশোধের এ উদাহরণকে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতার দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলা গেলে আমাদের জাতীয় উন্নতির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সহজ হবে।
মো. তাজুল ইসলাম এ সময় ওয়াসার পানির জন্য ভর্তুকির বিরোধিতা করে বলেন, আমাদের আরও অনেক জনকল্যাণমূলক বিষয় এবং প্রকল্প রয়েছে, যেখানে ভর্তুকি দেওয়া অধিকতর যুক্তিসঙ্গত। কারণ, তাতে অনেক মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। তারপরও ভর্তুকি যদি দিতেই হয় তা দরিদ্র ও অক্ষম মানুষের পাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন রাষ্ট্র কেন ধনী ও সক্ষম মানুষের পানির বিলের অর্থ যোগান দিবে। এ ধরনের মন মানসিকতা আমাদের পরিহার করা উচিত বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া অবৈধ: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির এই অগ্রগতির ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এখন আমাদের সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বসবাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএ অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য। সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
স্থানীয় মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারব না। তাই আমাদের মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
১ বছর আগে
বসবাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সবার জন্য বসবাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণির মানুষ ঢাকায় বসবাস করে। তাই সবার বিষয়কে বিবেচনায় রেখেই ঢাকাকে গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, যেকোন শহরেই সকল শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে রাজধানী ঢাকায়ও সকল শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। রাজধানীতে শ্রেণিভেদে মানুষের আয়ের তারতম্য রয়েছে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণে মানুষের আয়ের বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য জোনভিত্তিক পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করা যৌক্তিক।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি জানান, গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষ যে নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন যাত্রাবাড়ী অথবা পুরান ঢাকার মানুষ তা পায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। সমাজ ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নগরে মানুষের অভিবাসন কমাতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ গ্রামেই উন্নত সকল সুযোগ-সুবিধা পেলে শহরমুখী হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কাজ করে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থান ও গাছপালা ধ্বংস করে একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নগরে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, এগুলো কেন করা হচ্ছে, কার পরামর্শে হচ্ছে? সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন সময় এসেছে নগরে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। সবুজ এলাকা ও উন্মুক্ত স্থান ধ্বংস করে কিছু করতে দেয়া হবে না এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম। অন্যান্যের মধ্যে সেন্টার অব আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘ উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে
বন্যার পানি নামতে রাস্তা কাটার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সড়ক বাধা হয়ে থাকলে তা কেটে পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।এছাড়া, সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পানি ঢুকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সিটি করপোরেশনকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।শনিবার বিকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত সরকারি বাসভবনে সিলেট অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে যে সকল রাস্তার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না, সেসব রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে কাটার ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এই বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্যার কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা। আটকে পড়া মানুষদের কাছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: বাজেট শুধু বাৎসরিক দলিল নয়, আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীএ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী নৌবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে বন্যা কবলিত লোকজনদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করছে। এছাড়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের আগাম প্রস্তুতি ছিল বলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে। বন্যায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজসহ অন্যান্য যে ক্ষয়-ক্ষতি হবে তার জন্য সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করবে।যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিডিয়া কর্মীদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেয়ার ফলে সরকার জানতে পারে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের উদাহরণ বেমানান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২ বছর আগে
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থ্য ও মেধাবী জাতি গঠনে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বাজারে ভেজাল খাদ্য বন্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা'স ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের আওতায় 'ন্যাশনাল ফুড সিস্টেম প্রায়োরিটিস অ্যান্ড প্রিপারেশন অন দ্য ঢাকা ফুড এজেন্ডা- ২০৪১’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে সরবরাহ করা অসম্ভব। ভোক্তা যে পণ্যটি গ্রহণ করছে, সেটির গুণগত মান সম্পর্কে অসচেতন। এক্ষেত্রে ভোক্তার সচেতনতা অনেক জরুরি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে এই প্রকল্পটি ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। অনিরাপদ খাদ্য কৃষক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা সবার জন্যই ক্ষতিকর। খাবার সময় আমাদের খাদ্যমান যাচাই-বাছাই করা উচিত।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, স্ট্রীট ফুড চাইলেই বন্ধ করা যাবে না। তবে এগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। সিটি করপোরেশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে যা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজাল রোধে এই ল্যাবটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ, ভেজাল খাদ্য বন্ধ, সাধারণ মানুষকে খাদ্য-পুষ্টি বিষয়ে সচেতন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অধিকতর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের কল্যাণ এবং সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: করোনার মহাসংকটে শেখ হাসিনার কৌশল বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রধান অতিথি আরও জানান, অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ খাদ্যের গুণগত মান নষ্ট করে এবং মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ বিষয়ে কৃষকদেরও বেশি সচেতন করতে হবে। কীটনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকে অবগত নন। উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থাপনা একটি জটিল বিষয়। সে জন্য প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরই গরমকালে দেশে ডায়রিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এব্যাপারে তাৎক্ষণিক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। অনিরাপদ পানি ডায়রিয়া রোগের একটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদকে আরও কার্যকর করতে আইন সংশোধন হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আসন্ন মৌসুমে এডিসসহ অন্যান্য মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশন কাছে প্রয়োজনীয় কীটনাশক, জনবল এবং যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এনে ভ্যান লিউয়েন, রবার্ট ডি সিম্পসন অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া, প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীসহ এ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা এবং খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।
সুয়ারেজ লাইন কোনভাবে সরাসরি লেক অথবা খালে দেয়া যাবে না।রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে আয়োজিত 'নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা'-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লংঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি দিয়ে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনো বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউককে নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রধান অতিথি আরও বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেয়া হয় যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টি নন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। গৃহীত কাজ সমাপ্ত হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।মন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আইনই মানুষকে সভ্য করেছে। আইন সবার জন্য সমান। মন্ত্রী-এমপি, মেয়র এবং ক্ষমতাবানদের জন্য আলাদা কোনো আইন নেই। কাউকে ছাড় দিবেন আর কাউকে ধরবেন এটা হবে না। রাষ্ট্রকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি অর্পিত দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালন করে তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা নিরসনে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে
রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীতে অবৈধভাবে দখল হওয়া সমস্ত খালগুলোকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।উদ্ধারকৃত খালসমূহ সংস্কার করা হলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীকে একটি আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগর উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তারা স্বাভাবিক ভাবেই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে সব জায়গায় একটি মেসেজ চলে যাবে যে অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীতিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র এখানকার খাল উদ্ধার হবে আর অন্যগুলো হবে না এমনটা ভাবা উচিত হবে না। ঢাকা শহরের যত জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ করেছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন তারা সতর্ক হবেন। কোনো দখলবাজদের বরদাস্ত করা হবে না। জনগণের কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবকিছু করবে সরকার।মো. তাজুল ইসলাম জানান, রাজধানীর সকল খালগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ তৈরি করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে একাধিক সভা করে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিলে খাল উদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণ থাকে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। সে উদ্দেশ্যেই রাজধানীর কিছু খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুই সিটি করপোরেশন জোরালো অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে যার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।
আরও পড়ুন: এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীমো. তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরে এখনও ৫৩ টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে যদি নৌ চলাচল ও দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করা যায় তাহলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।রাজধানীর অন্যান্য খালগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়াটার বোর্ডের অধীনে থাকা খালগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থাকা খালগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২ বছর আগে
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে: মন্ত্রী
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
৪ বছর আগে
বদলি কোনো শাস্তি নয়, অনিয়মে জড়িত থাকলে বরখাস্ত: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়, দেশের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকলে বরখাস্ত অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪ বছর আগে