আরএমজি
কসোভোকে নিজেদের উচ্চমানের আরএমজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করার পরামর্শ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কসোভোকে বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের আরএমজি ও ওষুধ আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন।
রবিবার (ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুনার উরেজা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করার সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশে কসোভোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে চার বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর, গুনার উরেজা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে চলেছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রদূতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত কসোভো প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
তিনি বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন। কসোভোর বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও কসোভো দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আগ্রহ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান।
তারা নারীর ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তির পূর্বশর্ত নিয়েও আলোচনা করেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ চিরকাল তার হৃদয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
'সবুজ' অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানায় বিশ্বনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে বাংলাদেশ।
দেশের ২০৪টি কারখানা এখন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেশন (সবুজ কারখানার জন্য প্রশংসাপত্র) পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে গোল্ড ক্যাটাগরিতে ইউএসজিবিসি থেকে গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন পেয়েছে আরও একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা।
১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পয়েন্ট পাওয়া গাজীপুরের গ্রিন সার্টিফাইড কারখানাটি হলো ‘ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড’।
বাংলাদেশ ২০২২ সালে ২৭টি গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যার মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে; যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
মোট ২০৪টি সবুজ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৭৪টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১৬টি গোল্ড-রেটেড এবং বাকিগুলো অন্যান্য-রেটেড।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ইউএসজিবিসি’র লিড সার্টিফিকেশন পেতে আরও ৫০০টি কারখানা পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি লিড সার্টিফিকেশন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।
এটি সত্যিই গর্বের বিষয় বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০৪ স্কোর পাওয়া কারখানাটি বাংলাদেশেই অবস্থিত।
ইউএসজিবিসি বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সম্মানিত করে। যেমন- রূপান্তর কার্যক্ষমতা, জ্বালানি, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম দিয়ে রেট দেওয়া হয়, এরপরে গোল্ড ও সিলভার।
আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
১ বছর আগে
এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বছরে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি এর তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৫৮বিলিয়ন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
১ বছর আগে
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি করে মোট ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ একবছরে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ওভেন পোশাক থেকে আরএমজি রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই মাসে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রবিবার (১৩ আগস্ট) এক চিঠিতে জানিয়েছেন, একই সময়ে নিটওয়্যার রপ্তানি বছরে ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই বৃদ্ধি অবশ্যই চিত্তাকর্ষক। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিতে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানি একটি বড় নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।
তাই বাজারের পূর্বাভাস দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ২০২৩ সালের বাকি সময়ের জন্য আমাদের সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, কারণ পোশাক এবং সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
১ বছর আগে
বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) অধীনে পরিচালিত দু’টি নতুন তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এলইইডি সার্টিফিকেশন তথা সবুজ কারখানার (নিরাপদ কারখানার সনদ) স্বীকৃতি পেয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড ১১০ এর মধ্যে ৬৪ পয়েন্ট এবং গাজীপুরের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ১১০ এর মধ্যে ৮৫ পয়েন্ট পেয়ে সবুজ কারখানার সনদ পায়।
শনিবার বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল বলেন, ‘দুটি নতুন কারখানা এলইইডি সার্টিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে এখন মোট নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃত সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৮টি। এই অর্জন আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আমাদের ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মোট ৫৮টির মধ্যে ১৩টি কারখানা ইতোমধ্যে এই বছর প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
রুবেল আরও বলেছেন, সবুজ কারখানাগুলো বাংলাদেশ থেকে আরএমজি পণ্য কেনার ব্যাপারে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ায়।
রুবেল বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমাদের অর্ডার যখন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে, ঠিক সেসময়ে আমাদেরকে আবার নিরাপদ কারখানার জন্য স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যা আমাদের ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়াও সবুজ কারখানাগুলোতে অন্যান্য সাধারণ কারখানার তুলনায় কম জ্বালানি খরচ হয়।’
রুবেল আরও বলেন, এলইইডি সার্টিফিকেশন দেশের আরএমজি উৎপাদকদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে এবং সেরা দাম পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে রপ্তানি বাড়াতে চাই: বিজিএমইএ সভাপতি
৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
২ বছর আগে
প্লাস্টিক খাতকে উৎসাহিত করতে আরএমজি সাফল্য মডেল অনুসরণের আহ্বান
এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্লাস্টিক খাতের টেকসই উন্নয়ন, প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ,সংশ্লিষ্ট নীতির আধুনিকীকরণ, বায়ো-প্লাস্টিকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা, সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েবিনারের বক্তারা।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি-পরবর্তী বিশ্বে টেকসই রপ্তানি বৃদ্ধি: প্লাস্টিক খাতের কৌশল’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব বিষয়ের ওপর জোর দেন।
বক্তারা প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) আকৃষ্ট করার জন্য দেশীয় বাজার রক্ষায় আলোচনার দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়ন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, স্বীকৃত বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব সুবিধা বাড়ানোর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক ব্যবসা বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল পণ্য ডিজাইনিং এর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী দশকে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী যা বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন।
তিনি আরও ভালো প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানের আহ্বান জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব সার্টিফিকেশন এজেন্সি থাকা উচিত এবং তিনি পিপিপি মডেলকে সর্বোত্তম বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সার্টিফিকেশনের জন্য এখন আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করছি। ‘আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার এড়াতে পারি না, বরং দূষণ কমানোর জন্য আমাদের ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওষুধ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক পণ্য নিতে আগ্রহী ইথিওপিয়া
প্লাস্টিক খাতের রপ্তানির জন্য লজিস্টিক খরচ সত্যিই বেশি এবং এটি হ্রাস করা দরকার বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
রিজওয়ান রহমান বলেন, জিডিপিতে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির অবদান দশমিক ৩৩ শতাংশ। তিনি উল্লেখ করেন, প্লাস্টিক খাতে প্রায় পাঁচ হাজার ১১০টি কোম্পানি কাজ করছে এবং এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই এসএমই।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, টেকসই শিল্প প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকার একটি খসড়া প্লাস্টিক নীতি তৈরি করেছে। যেহেতু এলডিসি-পরবর্তী সময়ে অনেক অগ্রাধিকার থাকবে না তাই সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ এবং আরটিএ স্বাক্ষর করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের আরএমজি সাফল্যের মডেলটিকে অন্যান্য রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাতেও প্রযোজ্য করতে হবে।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) বাইরে যেতে হবে এবং দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষায়িত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশনের অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপের মূল বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সংলাপে বক্তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু বাংলাদেশে আরও সফল গল্প খুঁজছে সেহেতু আরএমজির বাইরে বিশেষ করে প্রযুক্তি বিনিময় থেকে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস, ফ্যাশন, উদ্যোগ, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় দ.কোরিয়া: রাষ্ট্রদূত
৩ বছর আগে
শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। এই বিধি নিষেধের আওতায় সকল প্রকার কলকারখানা বন্ধ রয়েছে। এই দুর্যোগ মুহূর্তে কোন শ্রমিক ছাঁটাই এবং কোন প্রকার শিল্প-কলকারখানা লে-অফ ঘোষণা না করতে মালিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
আজ এক বিবৃতিতে আরএমজি এবং নন আরএমজিসহ সকল প্রকার শিল্প ও কলকারখানা মালিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি এ অনুরোধ জানান।
করোনা মহামারি শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্য দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাই মিলে একসঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
আরও পড়ুন: কারখানা ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পোশাক খাতের নারীদের ওপর: আইএলও
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে (আরএমজি) করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এ শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
৪ বছর আগে
বাংলাদেশের আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা জরুরি: অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেছেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারি সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া যাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগের সুবিধা নিতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য দুই দেশকেই তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।
৪ বছর আগে