চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈষম্য এবং হয়রানি, নারীদের কণ্ঠ রোধ, অসম মজুরি ও পারিবারিক বিধিনিষেধ।
আইএলও’র বেটার ওয়ার্ক প্রকল্পে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, কেনিয়া, লেসোথো ও ভিয়েতনামের পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, মজুরিভুক্ত চাকরি সমাজে নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনেন বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরতদের ৬০ শতাংশই নারী। নারীদের কর্মসংস্থান হ্রাস পেলে তা কেবল তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নে বাধা সৃষ্টি করবে না, সেই সাথে অভিজ্ঞ, অনুগত এবং দক্ষ কর্মীদের ঘাটতিও বাড়িয়ে তুলবে।’
বেটার ওয়ার্ক প্রকল্প পরিচালিত সমীক্ষায় বলা হয়, ‘কর্মসংস্থানের ফলে আলোচ্য দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে। ফলে ঘরেও আয়-ব্যয়ের সিদ্ধান্তে তাদের সম্মান ও প্রভাব বেড়েছিল। শুধু তাই নয়, পুরুষরাও ঘরের কাজে অংশ নিয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এসব নারী শ্রমিকের কাজ হারানো, কিংবা আয় কমে যাওয়ায় তাদের সেই স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। তাদের ফের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।’
পোশাক কারখানা চালু করা হলে সেখানে কর্মচ্যুত নারী শ্রমিকদের ফেরার পথ খোলা রাখার বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আইএলও বর্তমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতকে আগের অবস্থায় ফেরাতে বিভিন্ন সুপারিশও করেছে।