এসআই
খুলনায় হাজতির প্রহারে এসআই আহত
খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সামনে অবস্থিত গারদখানায় দুটি ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় কারা পুলিশ ও হাজতির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাজতির প্রহারে ওই হাজতখানার এটিএসআই শুভংকর সাহা ওরফে শুভ (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত কারা পুলিশ সদস্যকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসসাধীন দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই আদালতে চত্বরের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ সময় হাজতখানা থেকে আসামিরা এডিসি হুমায়ুনের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডিসি কোর্ট (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘আজ (রবিবার) বেলা ১১টার দিকে ওই হাজতখানার মধ্যে তিনজন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রী করা মামলায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।’
‘অপরজন সোনাডাঙ্গা থানার ডাকাতি মামলার আসামি। ৪১ শিপইয়ার্ড মেইন রোড মতিয়াখালী লবণচরা এলাকার বাসিন্দা ইউনুস শেখের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম রাজ ওরফে রাজউজ্জামান রাজু ওরফে গলাকাটা রাজু। তিনি মূলত এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটান।’
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাহিদুলের নেতৃত্বে তিন আসামি প্রথমে হাজতখানার দুটি ক্যামেরার ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পরে তা ভাঙচুর করেন। জানতে পেরে এটিএসআই শুভংকর ওই তিন আসামির কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তিনজন তাকে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের আঘাতে এটিএসআইয়ের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ১৭ দোকান, আহত ১৫
তিনি আরও বলেন, ‘ওই তিন আসামি শোরগোল সৃষ্টি করে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেননি।’
তিনি জানান, আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি হুমায়ুন কবির উজ্জল বলেন, ‘হাজতখানার আসামিরা এডিসি প্রসিকিউশনকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করতে থাকেন। তাদের চিৎকারে আদালত চত্বরে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। এর মধ্যে দেখা যায়, আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শুভংকরকে হাসপাতালের উদ্দেশে নিয়ে যায় কিছু পুলিশ সদস্য।’
২৪ দিন আগে
এসআইকে মেরে হাতকড়াসহ পালাল ধর্ষণ মামলার আসামি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতকড়াসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে ধর্ষণ মামলার আসামি। এ ঘটনায় পরে হাতকড়া উদ্ধার করলেও আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পলাতক আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজু যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।
পুলিশের দাবি, আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরানোর পর তার পরিবারের লোকজন রৌমারী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেনের ওপর হামলা করলে আসামি হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। আহত এসআইকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারসহ স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, রাজুকে আটক করতে সোমবার রাতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযানে যায়। তাকে আটকের পর হাতকড়াও পরায় পুলিশ। এ সময় রাজু, তার মা ও খালাতো বোন পুলিশের ওপর হামলা করে। ঘটনার একপর্যায়ে এসআই আউয়ালের হাতে সে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আউয়ালকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া এবং খালাতো বোন রুনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও দেশীয় রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।’
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালানো ধর্ষণ মামলার আসামি। পুলিশের অভিযানে হাতকড়া উদ্ধার হলেও, আসামিকে আটক করা যায়নি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
৫০ দিন আগে
ফের সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের অবস্থান
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেটের বিপরীতে অবস্থান নেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছেন। দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা বলেন, ‘তখন স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যান আমাদের একটি প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন সচিব। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অব্যাহতি পাওয়া একজন এসআই বলেন, ‘২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফল হওয়ার কথা না।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হওয়ার কথা, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।’
পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে ৮৫৭ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। এর মধ্যে ৮২৩ জন এসআই সদস্য চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয় গেটে পুলিশ-শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ অবস্থায় ১৯ জন বিভিন্ন কারণে ট্রেনিং থেকে চলে যান। গত বছরের ৪ নভেম্বর এ এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ করে পাসিং আউট নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কয়েক দফায় ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তারা। তবে পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে যদি শৃঙ্খলাজনিত কারণে কাউকে বের করে দেওয়া হয়, তাকে আর নেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গেল ৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের পুলিশ অ্যাকাডেমি বলে নয়, পৃথিবীর সব জায়গায় একই নিয়ম। আমাদের রাজশাহী সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমি পুরো এশিয়ার মধ্যে খুবই নাম করা। তাদের শৃঙ্খলাজনিত কারণে বের করা হয়েছে। এটা যে সত্য তার বড় প্রমাণ হচ্ছে তারা সচিবালয় এসে বিশৃঙ্খলা করছেন।’
৯৪ দিন আগে
প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, এসআইসহ আটক ২
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইকালে পুলিশের উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ২ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
রবিবার (১৯ মে) বিকালে খুলশী থানা আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করার পর পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক আমিনুল ইসলাম পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এবং অপরজন হলেন পুলিশের সোর্স। তার নাম জাহেদ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে খুলশী থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামকে ১৬ ভরি স্বর্ণসহ আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ৪
পলাশবাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গৃহবধূ নিহত, আটক ১
৩৩২ দিন আগে
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কনস্টেবল নিহত, এসআইসহ আহত ২
গাজীপুরে লরির ধাক্কায় পিকআপ ভ্যান উল্টে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন এসআই (উপপরিদর্শক) ও একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
নিহত পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল বিতান বড়ুয়া। আহতরা হলেন- এসআই মোছাব্বির ও কনস্টেবল মো. আক্কাস উদ্দিন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দিবাগত (২৫ নভেম্বর) মধ্যরাত পৌনে ৪টার দিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় রাত্রিকালীন ডিউটি করা অবস্থায় পিকআপ ভ্যানটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইউটার্ন নেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা একটি লরি ডিউটিতে থাকা পুলিশ বহনকারী পিকআপ ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানে থাকা পুলিশের এসআই মোছাব্বির, কনস্টেবল বিতান বড়ুয়া ও মো. আক্কাস উদ্দিন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বিতান বড়ুয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।’
চালক লরি নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য নিহত
গাজীপুরে এপিসি কারে বিস্ফোরণ, ৫ পুলিশ আহত
৫০৯ দিন আগে
গাইবান্ধায় বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির ৩৬জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ মোট ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ব্যবহার ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. ময়নুল হাসান সাদিক জানায়, সারাদেশের মতো গাইবান্ধায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নেয়। সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালে গাইবান্ধা শহরের জেলা বিএনপি অফিস থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পৌর শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশ তাদের মিছিল করতে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও শটগানের গুলি বর্ষণ করে।
এসময় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, কাঁদানে গ্যাস, শটগানের গুলিসহ মোট ২৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
৫৯২ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত এক উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দীন প্রামানিক (৪২) ও মানিক দাস (৩৫) নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্য এক ধারায় উল্লেখিত ২ আসামিকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলায় অপর আসামি মাসুদ রানাকে (২৮) অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
হেলাল উদ্দীন প্রামানিক নওগাঁ জেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত জগি প্রামানিকের ছেলে এবং মানিক দাস ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের মৃত বাদল দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের সাধারণ ডায়েরি নং-১৮৫ এর প্রেক্ষিতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় পীরগঞ্জ থানার সেনুয়া বাজারে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ডিবি পুলিশের টিম জানতে পারে যে, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুরাতন ডাক বাংলোর আঙ্গিনায় ৩ জন লোক মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা) বিক্রির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ডিবি পুলিশের টিমটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দীন প্রমানিককে (৪২) নীল রংয়ের পলিথিন ব্যাগ ধরে রাখা অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে নীল রংয়ের ব্যাগটি থেকে মোট ৫ হাজার পিস ও অপর আসামি মানিক দাসের দেহ তল্লাশি করে ৩ হাজার পিস ইয়াবা মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে হেলাল উদ্দীন প্রামানিকের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির শয়ন ঘরের খাটের নিচ থেকে ২ কেজি গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই ডিবি পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) রুপ কুমার সরকার বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন বিচারান্তে অবশেষে মামলার প্রথম আসামি তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এসআই হেলাল উদ্দীন প্রামানিক ও মামলার দ্বিতীয় আসামি মানিক দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করে আদালত।
মামলার রায় প্রদানের সময় মানিক দাস পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৩ নং আসামি মো. মাসুদ রানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায়। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬৬৫ দিন আগে
চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
এসআই সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে আয় করা ১৭ লাখ টাকার খোঁজ পেয়েছে দুদক পাঁচ বছর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মামলা করে।
এর আগে সুমন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকায় হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুমন দের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৮ সালের মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এসআই সুমন দে। সম্পদ বিবরণীতে সুমন নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।
দুদক জানায়, সুমন কুমার ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ নেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাকা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি।
এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমারের ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোন দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
এক্ষেত্রে সুমন কুমার ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
৬৭৩ দিন আগে
বরিশালে বাসের ধাক্কায় পুলিশের উপপরিদর্শক নিহত
বরিশালে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে।
শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে নগরের রুপাতলী এলাকার গ্রামীন চক্ষু হসপিটালের সামনে বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
নিহত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ফায়েজ আহমেদ ঢাকায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) কর্মরত ছিলেন।
তার গ্ৰামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রায়াপুর গ্ৰামে।
জানা গেছে, ফায়েজ আহমেদ এক আরোহীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বরিশাল নগর থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির রায়পুরে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই পুলিশ সদস্য নিহত ও অপর আরোহী গুরুতর আহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের লাশ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ঘাতক বাসটিকে আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
৭২৫ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাহত এসআই বিপদমুক্ত নয়: চিকিৎসক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পুলিশের এসআইয়ের মৃত্যু
তিনি জানান, নিহতের বুকে, বাম হাতের নিচে ও হাতে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল এবং তিনি এখনও বিপদমুক্ত নন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত আহত উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহকে রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় র্যাবের একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার দুপুরের দিকে বেহাইর গ্রামে সাইদুল ইসলাম নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী তার মা-বাবাকে ঘরে বন্দি করে আগুন দিতে যাচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে তাকে আটক করতে গেলে হামলার শিকার হন উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহ।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
পিকআপভ্যানের চাপায় ডেমরা থানার এসআই নিহত
৮২২ দিন আগে