বোরো
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাঠে মাঠে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাঠে মাঠে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বোরো চাষিরা। কেউ জমিতে বোরোর চারা রোপণ করছেন, কেউ চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ বা জমির আইল ঠিক করতে ব্যস্ত রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে মাঠে এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে এখন।
সদর উপজেলার বিলবৈঠা মাঠ এলাকায় ইউএনবির এই প্রতিবেদকের কথা হয় কৃষক কওসার আলীর সঙ্গে। তিনি এবার ৮ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছেন।
কওসার বলেন, ‘শীতের জন্য লেবার আসছে দেরিতে। কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া গতবারের থেকে এবার সবকিছুর খরচ বেড়েছে। কিন্তু ধানের দাম বাড়েনি।’
একই মাঠে কৃষক ময়েজ উদ্দিন বলেন, ‘হালের দাম বেশি, প্যাঠের দাম বেশি, বিড়ির দাম বেশি। গত বছর হালের প্যাঠ ছিল ৩০০ টাকা, এবার হয়েছে ৩৫০ টাকা। তার উপর খাবার ও বিড়ি দিতে হচ্ছে। সময়ে সময়ে চা খাওয়াতে হচ্ছে। কৃষক মানুষ, কী করব! চাষাবাদ করেই চলতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউটিউব দেখে চিয়া সিড চাষে উদ্বুদ্ধ, লাভের প্রত্যাশা
কৃষি শ্রমিক মদন (৫৫) জানালেন, ‘শীতকালের সকালে আমাদেরকে কষ্ট করতে হয়। বিছন তুলে আমরা জমিতে চারা লাগাই। আমাদের দেয় ৫০০ টাকা। কাজ করি পেটের দায়ে। কিছু করার নাই।’
১৮ বছর বয়সী আদিবাসী নারী কৃষি শ্রমিক সুসমিতা হাসদা বলেন, সকাল বেলা অনেক ঠান্ডা লাগে। তাও আমরা ধান লাগাতে আসি। ধান লাগিয়ে যে ৪শ’ টাকা পাই তা দিয়েই আমাদের সংসার চলে।
কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৫২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বেরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ২২০ হেক্টর, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৭২০ হেক্টর, ভোলাহাট উপজেলায় ৬ হাজার ২৫০ হেক্টর, নাচোল উপজেলায় ৯ হাজর ৬৮০ হেক্টর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৩৩০ হেক্টর।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা
এর থেকে সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন চাল। বর্তমানে বোরো ধানের আবাদ কার্যক্রম চলছে। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলবে এ আবাদ কার্যক্রম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চাষিরা উফশী ও হাইব্রিড জাতের বোরো আবাদ করছেন। সার, বীজের কোনো সংকাট নেই। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকায় সেচেরও কোনো সংকট নেই।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বোরো চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা
৯ মাস আগে
বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর (২০২৩-২৪) বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপির হার ৭৬ শতাংশ
এর আওতায় সারা দেশের ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক প্রণোদনা পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
চলতি বছর এর আগে (গত মাসে) প্রথম ধাপে বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার আদেশ জারি হয়েছে। এসব প্রণোদনা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ চলছে।
সব মিলিয়ে দুই ধাপে বোরোতে প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
চলতি বছর বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এ প্রণোদনার আওতায় ১৪ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় দুই কেজি হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে পাবেন।
এর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ১ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর বাড়বে এবং হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৯৫ টন ফলন হিসাবে ৯ লাখ ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হবে।
প্রসেঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫ লাখ কৃষককে হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। এতে ২ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ বেড়েছিল এবং ৯ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল উৎপাদন বেড়েছিল।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে বোরোর বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক
কৃষিতে স্বনির্ভর দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়ায় প্রতিকূলতার কারণে গত মৌসুমে বোরোতে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হয়েছিল কৃষকদের।
এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো এবং গত মৌসুমের তুলনায় এই মৌসুমে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি জেলার কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তেমন বড় কোনো ঝড়-বৃষ্টি ও দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলনের গতবছরের তুলনায় এবার একরপ্রতি ৫-১০ মণ করে ফলন বেশি হয়েছে।
কারও কারও বিঘায় ৬০-৬৫ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে। আর বর্তমানে ৮০ কেজির এক বস্তা কাঁচা ধান ১৮শ’ থেকে প্রায় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে।
এক বিঘা জমিতে তাদের খরচ হয়েছে ২০-২২ হাজার টাকা, আর বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তাই এবার তারা ফলন ও দামে সন্তুষ্ট।
মাঠেই ধান মাড়াই করে আবার মাঠেই ধান বিক্রয় করছিলেন সদর উপজেলার রহিমানপুর দাসপাড়া গ্রামের কৃষক গোবিন্দ রায়।
তিনি বলেন, এবার আমাদের ৫০ শতকের এক বিঘা জমিতে ধান হয়েছে ৫০ মণ করে। আর প্রতি মণ ধান বিক্রয় করলাম ৯২৫ টাকা করে। তাতে এক বিঘা জমির ধানের মূল্য পেয়েছি ৪৬ হাজার টাকার ওপরে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলন
চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম সন্তোষজনক হওয়ায় খুশি চাষীরা।
তবে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে সার,কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বছর অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই তুলোনামূলক কম থাকায় বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২৪ মন থেকে ২৭ মণ করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
এখন মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটাই-মাড়াই এর কাজ। চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে।
বাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি এ হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে।
ফলন ও দর দুটোই ভালো পেয়ে খুশি বোরো চাষীরা। অন্যান্য জেলায় ধান কাটা মজুরের সংকট থাকলেও এ জেলায় তেমন সংকট নেই।
আরও পড়ুন: প্রথমবার বোরো চাষের আওতায় ২০০ বিঘা জমি
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ধানখেতে কেউ ধান কাটছে, কেউ ধানের আটি বাঁধছে, কেউ বা মাথায় করে ধানের বোঝা নিয়ে যাছে। আবার কোথাও চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ।
জেলার সদর উপজেলার আতাহার এলাকার বোরো চাষী ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘এবার ধানের ফলন খুব ভালো, বিঘায় ২৫-২৭ মণ করে ফলন হচ্ছে। গড়ে ২৫ মণের ওপর ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আমি তিন বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। আমার তিন বিঘা জমিতে ৮০ মণ ধান পেয়েছি। বিঘায় ২৭ মণ করে পড়ে। ধানের বর্তমান বাজারদর প্রতিমণ এক হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা চলছে। এ অবস্থায় আমি খুশি। ধানের ফলন যদি কম হত তাহলে সমস্যা হতো। ফলন বেশি হয়েছে এজন্য ঠিকই আছে। ’
একই মাঠের আর এক চাষী আকবর আলী জানান, ‘এবার আবহাওয়া ভালো, পোকামাকড় কম এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় সেচের কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে ফলন ভালো হয়েছে। দামটাও ভালো, ধান কেটে কেটেই এক হাজার ১০০ টাকা থেকে এক ২০০ টাকা মণ দর পাওয়া যাচ্ছে। ফলন বেশি হওয়ায় আমাদের পুষিয়ে যাচ্ছে।’
নুনাপোখর এলাকার আরেক চাষী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এবার ১২ বিঘায় বোরো আবাদ করেছি। এখন ধান কাটাকাটি চলছে। ধান কাটতে লেবারের কোনো সমস্যা নেই। এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। বিঘাতে ২৫-২৬ মণ করে ফলন হচ্ছে। দাম যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটাও ভালো। কিন্তু সার, সেচ খরচ, কীটনাশকের দাম কমলে আমাদের উৎপাদন খরচ কমতো। তাহলে আমরা কৃষকরা উপকৃত হতাম। এজন্য এসবের দাম কমানোর দাবি সরকারের কাছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, এ বছর জেলায় ৫১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলার ৩৬ হাজার ২০০ জন প্রান্তিক চাষীর মাঝে বিনামুল্যে বোরো বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা ধান কাটাই-মাড়াই কাজে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা উপসি জাতের বীজ ব্যবহার করেছে। এবার ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯ এর চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। এই বীজ ব্যবহারে বিঘাপ্রতি শুকনো অবস্থায় প্রায় ৩০ মণ করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
প্রথমবার বোরো চাষের আওতায় ২০০ বিঘা জমি
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরগাছিয়া গ্রামের একটি মাঠে ২০০ বিঘা জমি প্রথমবারের মতো বোরো চাষের আওতায় এসেছে। আগের বছরগুলোতে এই সময়ে পতিত থাকত।
এ বছর মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে ব্রিধান ৬৭, ৭৪, ৮৯, ৯২, ৯৯ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। নমুনা শস্য কর্তনে রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে।
প্রতি বিঘাতে ব্রিধান ৮৯ হয়েছে ৩৭ মণ, ব্রি৬৭ হয়েছে ২৮ মণ, ব্রি৭৪ পাওয়া গেছে ২৮ মণ, ব্রি৯৯ হয়েছে ২৮ মণ ও ব্রি৯২ হয়েছে ৩৩ মণ।
বুধবার দুপুরে নমুনা শস্য কর্তনে এই রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে এবং উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ কর্মসূচি’র আওতায় এই ২০০ বিঘা (২৭ হেক্টর) জমিতে ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৭ ও ব্রি ধান৯৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।
৩০০ জন কৃষককে বীজ, সেচ, সারসহ সকল উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। খাল থেকে পানি এনে সেচ সুবিধা দেয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
নমুনা কর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মো. মনিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ওসমান, ব্রি বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কাজী শিরিন আখতার জাহান, বরগুনার উপপরিচালক সৈয়দ জোবায়দুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, ধানের অবিশ্বাস্য ফলন হয়েছে। দেশের আর কোথাও বিঘাতে ৩৬ মণ ফলন পাইনি। অথচ উপকূলীয় এলাকার এরকম জমি পতিত থাকে, যা আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতির।
তিনি বলেন, এবছর সম্ভাবনাময় পাঁচ থেকে ছয়টা জাত চাষ করেছি। যেগুলোর ফলন তুলনামূলক বেশি পাওয়া যাবে, আগামী বছর সেটির চাষ করা হবে।
এতো ফলন পাওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১৬ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার
তারা জানান, সামনের দিনগুলোতে ধান চাষ চালু রাখবেন।
পানির সমস্যার কথা তুলে তারা আরও জানান, পানি পেলে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখবেন না।
উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। বরিশাল অঞ্চলে বিশেষত বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলায় শুকনো মওসুমে অনেক জমি পতিত থাকে।
লবণাক্ততার কারণে বেশিরভাগ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হয়। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকে।
এছাড়া লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় পাঁচ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়।
এর একটি কারণ হচ্ছে সেচ সুবিধার অভাব। যদিও এই অঞ্চলে বড় বড় নদী যেমন তেতুলিয়া, বলেশ্বর, বিষখালী, পায়রা, কীর্তনখোলাসহ বিভিন্ন নদীতে মিষ্টি পানির অনেক প্রাপ্যতা রয়েছে।
সেজন্য, সেচ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ‘উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ’ নামে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই কর্মসূচি’র মাধ্যমে বোরো ২০২২-২৩ মওসুমে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ৩৫০০ বিঘা (৪৭০ হেক্টর) জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল যেমন ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি ধান৯২ এবং লবণসহনশীল জাত যেমন ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৯৭ ও ব্রি ধান ৯৯ জাতের ব্লক প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে এই বছর বরগুনা সদর উপজেলায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৫০০ হেক্টর বেশি।
আরও পড়ুন: তাহিরপুরে বোরো খেতে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ, কৃষকেরা দিশেহারা
১ বছর আগে
বোরোর উৎপাদন বাড়াতে ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা
দেশে বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। সারা দেশের ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাচ্ছেন।
তিনটি ধাপে বা ক্যাটাগরিতে দেয়া হচ্ছে এসব প্রণোদনা।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলের বোরো ধানে পোকার আক্রমণ: লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা
হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৮২ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় ১৫ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে দুই কেজি ধানবীজ।
উচ্চফলনশীল জাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৭৩ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় উপকারভোগী কৃষক ১২ লাখ।
এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাচ্ছেন।
এছাড়া কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের সুবিধার্থে একটি মাঠে একই সময়ে ধান লাগানো ও কাটার জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
এর আওতায় ৬১টি জেলায় ১১০টি ব্লক বা প্রদর্শনী স্থাপিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনী হবে ৫০ একর জমিতে, খরচ হবে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।
ইতোমধ্যে গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রণোদনা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
হাওরের ৯০% বোরো ধান কাটা শেষ
১ বছর আগে
যা মজুদ আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে তিনি খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নওগাঁ-১ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য এই মন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে তার জন্য তার মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমের পরই আসছে বোরো মৌসুম। আমরা পদক্ষেপ নেব যাতে সব চাষযোগ্য জমিতে বোরো চাষ হয়। আমরা ইতোমধ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলেছি আসন্ন বোরো মৌসুমে যথাযথ সেচের ব্যবস্থা করতে।’
মন্ত্রী বলেন, আগামী ফসলের মৌসুমে কৃষকরা যাতে সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য তাদের জমি চাষ করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সংসদ সদস্যকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় সতর্ক থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, যেকোনো সংকট এড়াতে সরকার কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উর্বর জমিতে অসংখ্য ফসলের চাষ হয়। আমরা পাই আমন, আউশ ও বোরো। যদিও এ বছর বৃষ্টিপাত কম বা না হওয়ায় খরার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, পরে জুলাই-আগস্টের বৃষ্টিপাত আমাদের ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। কিছু ফসল আছে, যেগুলো রোপণ করতে দেরি হয়েছে। তাই সেগুলোর ঘাটতি হতে পারে। সব মিলিয়ে যে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি।’
দেশে বর্তমানে কী পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে সে সম্পর্কে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন যে প্রত্যেককে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কাছে ১৭ লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে। আরও পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টন চাল পাইপলাইনে রয়েছে। এছাড়া শিগগিরই মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ আমাদের কাছে মোট ২০ লাখ টন চাল মজুদ থাকবে।’
তিনি বলেন, দেশের খাদ্য চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
সাধারণত সবসময় ১০ থেকে ১২ লাখ টন চালের মজুদ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে যে খাদ্য মজুদ রয়েছে তা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস), পরীক্ষামূলক ত্রাণ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্যসহ (কাবিখা) বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে ব্যয় করা হয়। এই মজুদ ফুরিয়ে গেলে আমরা খাদ্য আমদানি করব।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের এর থেকেও বেশি মজুদ আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করলেও এখন মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে ছাড়পত্র পেয়েছি। আমাদের কাছে কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানির অফার রয়েছে। আমরা চাল আমদানির জন্য আরও উৎস খুঁজছি। খাদ্য সংকট দেখা দিলে আমরা এই দেশগুলো থেকে খাদ্য আমদানি করে যেকোনো সংকট মোকাবিলা করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, আমদানিকারকদের সরকারি কোষাগারে মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধ করে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তিনি বলেন, যদি দেখি যে কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন তাহলে আমরা এই এসআরও (সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ) বাড়াব।
বর্তমান বিদ্যুতের সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকলে অবশ্যই কৃষি কাজ ব্যাহত হবে। বিশেষ করে সেচের সময় এটি বেশি প্রয়োজন। এতে ধান উৎপাদন কম হবে। তবে এ বিষয়টি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ না। এটি কৃষি মন্ত্রণালয় দেখবে। আশা করি এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় সেচ মৌসমে কার্যকরী ব্যবস্হা নিবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিস্ট সংস্থা সমন্বয় করে মনিটরিং করা হবে।
২ বছর আগে
কৃত্রিম সংকট তৈরি না হলে দেশে খাদ্য সংকট হবে না: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত প্রফিট না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যে সকল মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা কৃত্রিম কোন সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেন মন্ত্রী। ভোক্তা যেন আতংকিত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোন কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন কোনভাবে হয়রানি না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ময়েশ্চার মিটার দিয়ে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সাথে কোন আপস হবে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো: মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
কুড়িগ্রামে তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাকা ধান বিনষ্টের আশঙ্কা
গত তিনদিনের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শত শত বিঘা আধাপাকা বোরো ধান। এসব ইউনিয়নের নদী অববাহিকায় এবং মরাখাল সংলগ্ন এলাকার জলমগ্ন থাকা পাকা ধানগুলোর অর্ধেকটা এখন চিটা হয়ে গেছে। বিপাকে পরে বাধ্য হয়েই সেই আধাপাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে কৃষক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় টার্গেট অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে সদরে ২৫ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। বাকী ধানগুলো এখনও জমিতে পড়ে রয়েছে। এসব ধান নিয়ে চিন্তিত রয়েছে কৃষক। গত তিনদিন অফিস বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কাছে বোরোধান জলমগ্ন হওয়ার কোন পরিসংখ্যান নেই।
আরও পড়ুন: ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কিশোরগঞ্জের হাওরের ধানচাষিরা
২ বছর আগে