ইলিশ শিকার
চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ৭ কিশোর জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আটক এক জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন- আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী, হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি, নাজমুল হাসান।
আর দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ইব্রাহিমের।
মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া কিশোর জেলেরা হলেন- মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব।
আটক জেলেদের বাড়ি সদরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২২ জেলেকে আটকসহ ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ করা কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে এনে পুড়িয়ে ফেলে এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ জনের কারাদণ্ড
৩ সপ্তাহ আগে
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীতে চলছে ইলিশ শিকার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীতে ইলিশ শিকার করছে এক শ্রেণির অসাধু জেলে ও সৌখিন মৎস্য শিকারিরা। রাজবাড়ীর ৪২ কিলোমিটার পদ্মা নদীর অংশে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের আড়ালে মাছ ধরছে জেলেরা। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার বাহির চর দৌলতদিয়া পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাড়েই প্রকাশ্যে এসব ইলিশ বিক্রি চলছে।
মা মাছ রক্ষায় ও মাছের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এ সময় মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাড়তি লাভের আশায় ইলিশ শিকার করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পদ্মা নদীর পাড় থেকে তারা ইলিশ কিনে গ্রাম ঘুরে বিক্রি করছেন। আবার অনেকে ‘হোম ডেলিভারি’ও দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার উড়াকান্দা, বরাট অন্তারমোড়, গোয়ালন্দের দেবগ্রামের তেনাপচা ও দৌলতদিয়া কলাবাগান এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ইলিশ শিকার ও বিক্রির সত্যতা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
সদর উপজেলার বরাট ইউপির অন্তারমোড়ে দেখা যায়, নদীতে অসংখ্য জেলে নৌকায় মাছ শিকার করছেন। এর এক কিলোমিটার দূরে দেব গ্রামের তেনাপচায় নদীর পাড়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের ভিড়। নদী থেকে মাছ নিয়ে জেলেরা আসলেই ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। প্রতিটি নৌকায় ১০ থেকে ৩০ কেজি করে ইলিশ দেখা যায়।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকা দেখা না গেলেও ঘাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভাটিতে বাহির চর কলাবাগান এলাকায় সারি সারি নৌকা দেখা যায়। নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা কলাবাগান এলাকার নালায় গিয়ে বিক্রি করছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ১০০ গ্রাম করে তারা বাড়তি ছাড় পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা গ্রাম ঘুরে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে মৎস্য বিভাগকে সহযোগিতা করছেন। প্রকাশ্যে ইলিশ শিকার ও বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, ৪২ কিলোমিটার পদ্মা নদীপথের মধ্যে ধাওয়া পাড়া থেকে বাহির চর দৌলতদিয়া পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। জনবল স্বল্পতার কারণে এতবড় এলাকায় অভিযান চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকালে, দুপুরে ও সন্ধ্যার পর পৃথক ভাগ করে অভিযান চালানো হচ্ছে।
একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত আসা যাওয়ার ফাঁকে জেলেরা নেমে পড়েন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অভিযান চালাতে সরকারিভাবে ২২ দিনের জন্য মাত্র ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ মিলেছে। অথচ এই অভিযানে প্রতিদিন শুধুমাত্র ট্রলারভাড়া, জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ মিলে ১০ হাজার টাকার বেশি লাগছে। পাশাপাশি নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না থাকায় অভিযানকালে ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।
এসব সমস্যা সমাধান হলে ২৪ ঘণ্টা নির্বিঘ্নে অভিযান চালানো সম্ভব বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।
ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইলিশ শিকার, আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্য করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
৪ সপ্তাহ আগে
গোয়ালন্দে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৬ জেলের কারাদণ্ড
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করায় ছয় জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার সকালে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আশরাফুর রহমান এই ছয় জেলেকে সাজা দেন।
জানা গেছে,গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া দেবগ্রাম ও উজানচর এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটি। এসময় এই জেলেদেরকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে মা ইলিশ নিধনের দায়ে ছয় জেলেকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলেদের কাছ থেকে জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো.শাহরিয়ার জামান, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল।
আরও পড়ুন: ইউএনওর নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার পোড়ানোর অভিযোগ
ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অভিযোগে চার জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার ভোরের দিকে একজন এবং তার আগে শুক্রবার রাতে তিন জেলেকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ নিধনের দায়ে তিন জেলেকে ১৬ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং এক জেলেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
২ বছর আগে
শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
মাছের সর্বোচ্চ প্রজনন সময়কালে ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ইউএনবিকে জানান, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও খুলনায় ইলিশের দাম চড়া
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
২ বছর আগে
ইলিশ শিকারের দায়ে মেঘনা থেকে ১২ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকারের দায়ে মেঘনা নদী থেকে ১২ জেলেকে আটক করেছে চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স টিম।
৪ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় শুরু হয়েছে ইলিশ শিকার
দেশে ইলিশের প্রজনন ও জাটকা নিধন রক্ষায় ঘোষিত মার্চ-এপ্রিল দুমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারে যাচ্ছেন জেলেরা।
৪ বছর আগে