জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাসের সামনে আন্দোলনরত চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ওই শিক্ষার্থীদের গুলি করে আহত করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা যখন রায় সাহেব বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তখন একটি গলি থেকে গুলি ছোড়া হয়, এতে চার শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফেরদৌস আহমেদ ও অনিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা কাদেরের
আহতদের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি জোনের এএসপি নজরুল বলেন, ‘গুলির খবর শুনেছি। কিন্তু আমরা দেখলাম মাত্র একটি দল মিছিল করছে। আমরা হামলাকারীকে দেখিনি।’
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আরিফ জানান, গুলিবিদ্ধ চার শিক্ষার্থীসহ আরও একজনক আহতকে হাসপাতালে আনা হয়।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
৩ মাস আগে
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এরই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতার অভিযোগে অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানান জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
উপাচার্য বলেন, 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের দেওয়া প্রতিবেদনে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
এ বিষয়ে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমি উপাচার্য হিসেবে এখানে আসার পর আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে গঠিত কমিটি সম্পর্কেও সিন্ডিকেট সদস্যদের জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
৭ মাস আগে
অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও শোক র্যালি করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৮ মার্চ) বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোক র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা অবন্তিকার আত্মহত্যার কারণ উদঘাটন ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
অবন্তিকার সহপাঠী সেতু পাল বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবিনি ও এমন কাজ করবে। আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারা জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তানিম বলেন, ‘আমি অবন্তিকার জন্য বিচার চাই। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য যারাই দায়ী থাকুক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আইন বিভাগের শিক্ষক আহমেদ এহসানুল কবির বলেন, ‘সে একজন সক্রিয় এবং মেধাবী ছাত্রী ছিল। আমরা একজন মেধাবী তরুণকে হারালাম। আমি তদন্ত কমিটির কাছে আমার বক্তব্য জানিয়েছি। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আক্কাস সরকার বলেন, ‘আমার ৩৪ বছরের শিক্ষকতা জীবনে অনেক ঘটনা দেখেছি কিন্তু অবন্তিকার মৃত্যু খুবই কষ্ট দিয়েছে। সে তার অনার্স সম্পন্ন করেছিল। বিচারক হতে পারত। আমরা তার আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
৭ মাস আগে
অবন্তিকার মৃত্যু: আম্মান ও দ্বীন ইসলামের আংশিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিএমপি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের আংশিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে কুমিল্লায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের আংশিক সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’
দুজনকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘তাদের সম্পৃক্ততার গভীরতা তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আমাদের যা করার কথা ছিল আমরা করেছি, এখন কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা তদন্ত করবে।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেসবুকে সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এর আগে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।
আত্মহত্যার আগে এক ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা বলেছিলেন, তার আত্মহত্যার জন্য তার সহপাঠী রায়হান আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম দায়ী।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। ’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার।’
শুক্রবার রাতে আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে জবি ক্যাম্পাসে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্রতিবাদের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি দেয় এবং ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
এছাড়া আইন অনুষদের ডিন মাসুম বিল্লাহকে আহ্বায়ক ও আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাসকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত শনিবার ছয় দফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
৭ মাস আগে
জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজের সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিবৃতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে লেখা সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য দুই ব্যক্তিকে দায়ী করেন। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
তার দেওয়া ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
‘আসসালামু আলাইকুম,
আমি দ্বীন ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক,
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথমত আমি একজন মানুষ, দ্বিতীয়ত আমি একজন শিক্ষক, তৃতীয়ত আমি দুইজন কন্যা সন্তানের বাবা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং প্রকৃত ঘটনা জানুন। দয়া করে আমার জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে আমার সন্তানদের এতিম করবেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার অকাল মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। অবন্তিকার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
আমাদের ছাত্রী অবন্তিকা ও তার সহপাঠীদের নিয়ে প্রকৃত ঘটনা নিচে তুলে ধরলাম:
ঘটনা প্রায় দেড় বছর আগের। অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে, সেখানে অবন্তিকাও উপস্থিত ছিল। জিডিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেউ একজন ফেইসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে তাদের হয়রানি করে। পুলিশ তখন উচ্চতর তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইডিটা কে চালায় সেটা বের করে দেবে। এই কথা শুনে অবন্তিকা থানা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথেই তার বন্ধুদের কাছে স্বীকার করে যে, আইডিগুলো (ফেইক একাউন্টসগুলো) সে নিজেই চালায়।তখন তার বন্ধুরা তাকেসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ০৮.০৮.২০২২ ইং তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার আমাকে এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা (গণিত বিভাগ) স্যারকে গত ১১.০৮.২০২২ তারিখে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পরবর্তীতে গত ১৬.০৮.২০২২ তারিখে প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা অবন্তিকা এবং অবন্তিকার অভিভাবকদের প্রক্টর অফিসে আসার জন্য আহ্বান করি। পরে অবন্তিকার মা মিটিং এ আসে এবং এখানে অবন্তিকার ক্লাসমেইটস সহ (অভিযোগ কারীরা) সবাই উপস্থিত ছিল। তখন অবন্তিকার মা তার ব্যাচমেইট (যারা এ অভিযোগ করেছে) তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা শুনে বলে যে, আমার মেয়ে যা করেছে ভুল করেছে, ঘটনার জন্য অভিযোগকারী সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আমার মেয়ে আর এই ধরনের কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বলে, যদি করে তার দ্বায় আমরা নেব। এবারের মতো বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান এবং বলেন, আমার মেয়ে ভালো শিক্ষার্থী কিন্তু সে কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ওষুধ খাচ্ছে।
তখন তার ব্যাচমেইটরা বিষয়টা মানবিক এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। এভাবে বিষয়টা প্রাথমিকভাবে মিমাংসা করা হয়। মিমাংসার পরে অবন্তিকার মা জিডিটা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীদের বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা জিডি তুলে নিতে অসম্মতি জানায়, কারণ তাদের ধারণা অবন্তিকা ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আবারও করতে পারে।
তখন আর জিডিটা সাথে সাথেই তোলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা তাকে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণ করব এবং যদি অবন্তিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে আমরা ৩ মাস পরে জিডিটা তুলে নেব। ঝামেলা এখানেই প্রাথমিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এর কিছুদিন পরে অবন্তিকা ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমাকে প্রক্টর অফিসে না পেয়ে আমার বিভাগে আসেন। যেহেতু আমার এলাকার আমি তাদের আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। যেহেতু তিনি আমার এলাকার এবং তিনি একজন অভিভাবক আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আপ্যায়ন করি। ওইদিন অবন্তিকার মা আমাকে জানান অবন্তিকার হলের বন্ধুরা ওর সাথে ভালো ব্যবহার করছে না, এতে অবন্তিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
তখন আমি তাদের প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। তখন অবন্তিকার মা বলে যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না এবং বলেন আমি আমার মেয়েকে হলে রাখবো না, এতে করে তার পড়াশুনা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। তখন আমি তাকে বলি আপনি অভিভাবক যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির ৩ মাসেরও কিছুদিন পরে অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসে কিন্তু তার ব্যাচমেইটরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানায়।তখন অবন্তিকার মা-বাবা ও অবন্তিকা আবার আমাকে ফোন করে আমার বিভাগে দেখা করতে আসে।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
আমি তখন ক্লাস নিচ্ছিলাম এবং পরে ক্লাস থেকে বের তাদের আমার রুম এ নিয়ে আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। তখন তারা জিডি তুলার বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করে। আমি তখন তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি যে বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমাদের কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা এবং আমরা তাই করি। জিডির বিষয়ে প্রক্টর স্যার এবং অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেই।
তৎক্ষনাৎ অবন্তিকার মা কিছুটা হতাশার ভাষায় বলেন, আমি দুজন (অবন্তিকা এবং ওর বাবা) ডিপ্রেশনের রোগীকে নিয়ে এত বছর সংসার করে আসছি। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছি।এবং বলেন আমার মেয়েটা মারাত্মক ডিপ্রেশনে পড়ে গেছে। এরপরে অবন্তিকা ও তার পরিবারের কারো সাথে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
এ ছাড়া মৃত্যুর আগে ফেইসবুকে দেওয়া অবন্তিকার স্ট্যাটাস নিয়ে তিনি লেখেন:
‘প্রথমত আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, আম্মানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা, যা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ ঘটনা নিস্পত্তি হয় ১৬-০৮-২০২২ সালে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আর কারো সাথে কোনো আলোচনা হয়নি কখনোই।
প্রক্টর অফিসে অবন্তিকা ও তার মাকে একবারই ডাকা হয়েছিল। সেই সময় প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার সহকারী প্রক্টর গৌতম সাহা স্যার এবং অভিযোগকারী তার বন্ধুরা উপস্তিত ছিলেন। একাধিকবার ডেকে হেনস্তা করার বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ বিষয়টি ওইদিনই মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল।
সুইসাইড নোটে প্রক্টর অফিসে আম্মানের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতির অভিযোগের বিচার না পাওয়ার বিষয়টি তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার ভালো বলতে পারবেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।
সুইসাইড নোটে আনিত অভিযোগ অবন্তিকাকে বহিষ্কার করার বিষয়ে পরবর্তীতে আমি কখনো কিছুই বলিনি। কারণ বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পরে অবন্তিকার সাথে বিগত দেড় বছরে একবারের জন্যেও অবন্তিকা বা তার পরিবারের সাথে আমার কোনো কথা বা যোগাযোগ হয়নি।’
এ বিষয়ে তিনি আরও কিছু কথা বলেন।
তিনি লেখেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। দীর্ঘ ১১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।’
‘শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। সবাই ভালো থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৭ মাস আগে
জবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার আরেক শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংগীত বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমীম সানজানা সৃষ্টিকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।
তাকে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার।
তিনি বলেন, 'বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনা সত্য প্রমাণ হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী রবিবার তাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে।
১১ তলার হলের দায়িত্বে থাকা হাউস টিউটর নিপা দেবনাথ বলেন, 'বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আসনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
এর আগে হলের রান্নাঘরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে মারধর করেন সংগীত বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টি। পরে ভুক্তভোগী হলের হাউস টিউটর ও প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
তাসমীম সানজানাও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।
ইতি বলেন, 'আমি রান্না করছিলাম। সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার রান্না বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার ক্লাস থাকায় আমি তাকে তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করতে বললাম, তখন তিনি গালিগালাজ করতে লাগলেন। প্রতিবাদ করলে আমাকে চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি মারেন। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং আর কিছু আমার মনে নেই।’
ঘটনার পর এক সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সৃষ্টি তার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ইশতিয়াককে দিয়ে হুমকি দেন।
অভিযুক্ত সৃষ্টি বলেন, ‘জুনিয়র ওই শিক্ষার্থীও গালিগালাজ করেছেন। তিনি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এ কারণে তাকে মারধর করেছি। আমাকেও আঘাত করেছেন তিনি।’
৭ মাস আগে
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাদেকা হালিম।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নারীদের কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে নারীদের নিয়ে আসতে হবে।’
জেন্ডার ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী পরিচয়ের আগে আমার বড় পরিচয় হলো আমি একজন মানুষ। নারী-পুরুষের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি, নারীকে হেয় করা, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের থেকে দুর্বল মনে করা হচ্ছে এবং এ কারণে নারীকে অধস্তন করে রাখতে হবে, এটা সম্পূর্ণ অমূলক।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন হয়েছে, যে সমাজে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের নারী ও পুরুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে নারীকে পুরুষের সমান ভাবা হয়।’
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয় নিয়েও রাজনীতি করা হয়। সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানের অধিকার কীভাবে হবে সেটা আমরা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারণ করি। বাবা ও মায়ের অধিকার কতটুকু, আমাদের সিভিল ল’তে কতটুকু, শরিয়া ল’তে কতটুকু, এসব বিষয় অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক। পুরুষকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়। পুরুষরাই এ সমাজের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।’
এ উপমহাদেশে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে ড. সাদেকা উল্লেখ করেন, ‘ভারত উপমহাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন যে এখন হয়েছে, তা নয়। অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু ইউরোপের নারীদের আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নারীরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, রানি হয়েছে, ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু নারীদের পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার কাজ কে কাজ হিসেবে আমরা দেখিনি। নারীরা স্ত্রী, মা বা মেয়ে হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে সেটিকেও অবমূল্যায়ন করা হয়।’
আরও পড়ুন: রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নারী চাকরি করলেও তাকে আমরা প্রশ্ন করি তার স্বামী কী করে। সে যদি স্বামীর থেকে বেশি বেতন পায়, তাহলে পুরুষও হীনমন্যতায় ভুগে।’
সমাজের সাধারণ নারীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন তো নারীদের অনেকেরই হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টর, চিংড়ি মাছের ঘের, কল-কারখানায় নারীরা কাজ করছে। এটি ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু নারীর সামাজিক মর্যাদা কি বেড়েছে? এটা খুবই জটিল একটা বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যের শিকার নারীরা কোনো কিছু ভাবে না। তারা জানে তাদেরই কাজ করতে হবে, ক্ষুধা মেটাতে হবে, তারাই শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। সাধারণ নারীরা অনেক পরিশ্রমী, সামাজিক সমালোচনা গ্রাহ্য না করে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে বা প্রবাসে যে পরিমাণ নারী কাজ করে সেখানেও আমরা দেখি যে নারীরা নিরাপদ না। খুব নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়।’
তবে নারী সমাজের পরিবর্তনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, এবং এবারকার কেবিনেটে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক। সংখ্যার দিক থেকে নারীর অংশ গ্রহণ অনেক বেশি, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদার জায়গায় গুণগত মানের দিক থেকে কতটা বদলেছে সেটি বড় বিষয়। যখন নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আসবে, নেতৃত্ব দেবে, সমাজ কিন্তু তখনই বদলাবে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ বোধ করেন না প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী
৭ মাস আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ এবং প্রথম নারী ভিসি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম আগামী চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে বহাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আর নেই
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাবেক উপাচার্য ইমদাদুল হকের মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদ শূন্য হওয়ার পর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম দেশের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি-২০১০-এর সদস্য হয়েছেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জবির লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান
জবি কলা অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন
১১ মাস আগে
জবির ৩ শিক্ষার্থী পেলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়: আইইবি নেতারা
বৃত্তিপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন-
১) ইসলামিক স্টাডিজ ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তামান্না সুলতানা সুমাইয়া (টেবিল টেনিস)।
২) আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী রচনা তৃপ্তি (ক্রিকেট)।
৩) ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন (শুটিং)।
মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে চেক তুলে দেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো ক্রীড়াবিদদের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তি চালু করেছে।
সারা বাংলাদেশ থেকে মোট ১ হাজার জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
১১ মাস আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্রদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি, ১০ অক্টোবর (ইউএনবি)- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বর্তমানে ছাত্র নয় এমন ব্যক্তি এবং যাদের দাপ্তরিক কাজ নেই তাদেরকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৫ বছর আগে