ফ্রান্স
এবার এমবাপেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
চোটের কারণ দেখিয়ে অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে ফ্রান্স দলে ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। এবার নভেম্বরে নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের পঞ্চম ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর ইসরায়েলকে আতিথ্য দেবে দিদিয়ের দেশমের দল। এর তিন দিন পরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০২১ সালের শিরোপাজয়ীরা।
এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পারফর্ম করা লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েঁ। তবে ঘোষিত স্কোয়াডে জায়াগা হয়নি এমবাপের।
অক্টোবরে চোটের কারণ দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে থেকে যান এমবাপে। এরপর ইউরোপীয় সংবাদধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রান্স যখন নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলছে, তখন তিনি সুইডেনের একটি ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছেন।
ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী ফরাসি অধিনায়ক।
স্টকহোমের যে হোটেলে তখন তিনি ছিলেন, সে সময় সেখানে একটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। এ খবর চাউর হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পোশাকের একটি বিজ্ঞাপন থেকেও সরিয়ে দেয়। এবার রিয়ালের জার্সিতে মাঠে বেশ কিছুদিন ধরে বিবর্ণ থাকার পর ফ্রান্স দলেও ব্রাত্য হলেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
স্কোয়াড ঘোষণার সময় এমবাপের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশম বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে এটিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’
এমবাপেকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ফুটবলের বাইরের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিলিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সে দলে ফিরতে চায়। তবে আগামী দুই ম্যাচের জন্য এটি একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত।’
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক: লুকা শেভালিয়েঁ (লিল), মাইক মাইনিয়ঁ (এসি মিলান) ও ব্রাইস সাম্বা (লঁস)।
ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লুস (নিস), লুকা দিনিয়ে (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়েসলে ফোফানা (চেলসি), থেও এরনান্দেস (এসি মিলান), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), জুল কুন্দে (বার্সেলোনা), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল) ও দায়োত উপামেকানো (বায়ার্ন মিউনিখ)।
মিডফিল্ডার: এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা (রিয়াল মাদ্রিদ), মাতেও গেন্দুসি (লাৎসিও), এনগলো কান্তে (আল ইত্তিহাদ), মানু কোনে (রোমা), আদ্রিয়েন রাবিও (অলিম্পিক মার্শেই) ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
ফরোয়ার্ড: ব্রাদলে বারকোলা (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), রান্দাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি), ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু (চেলসি), মিকেল অলিস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও মার্কাস থুরাম (ইন্টার মিলান)।
২ সপ্তাহ আগে
‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না কিলিয়ান এমবাপের। আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একের পর এক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে চলেছেন এই ফরাসি তারকা।
লা লিগার চলতি মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে থেকে গোল পেতে একরকম ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচক ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী এই ফরাসি তারকা। এরপর চোটের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে নেশন্স লিগে ফ্রান্সের হয়ে না খেলে রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নেমে এবং পরে সুইডেনে নৈশক্লাবে সময় কাটিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এবার ধর্ষণ অভিযোগের তদন্ত চলায় তাকে পড়তে হলো খোদ রিয়াল মাদ্রিদের খাঁড়ার নিচে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি পেয়ে সেদিন সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপে। সেখানে তিনি যে হোটেলে ওঠেন, সেখানে নাকি তার অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনির নেতৃত্বে মাঠে নামবে ফ্রান্স
সুইডেনের সংবাদপত্র আফ্টনব্লাডেট সর্বপ্রথম ওই ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে। তবে, অভিযুক্তের নাম খোলাসা করেনি তারা। এরপর আফ্টনব্লাডেটের বরাত দিয়ে রবিবার ফ্রান্সে খবরটি প্রচার করে ফরাসি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট।
এমবাপে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা উল্লেখ না করে ঘটনাটি নিয়ে সুইডিশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এমবাপে পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে কি না, খবরে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, এ নিয়ে আরএমসির স্পোর্টের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সোমবার এক্স পোস্টে তিনি ‘খবরটি ভূয়া’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
১ মাস আগে
৩১ বছরেই বিদায় বলে দিলেন ভারান
চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এবার থেমেই গেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রাফায়েল ভারান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন আগেই, এবার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার থেকেও ছুটি নিয়ে নিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা দেন এক যুগের বেশি সময় ধরে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে আলো ছড়ানোর পর সম্প্রতি ইতালির ক্লাব কোমোয় যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
তিন মৌসুম খেলার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এ বছরের জুলাইয়ে ইতালিতে পাড়ি জমান ভারান। সদ্য সেরি-আয় উঠে আসা সেস্ক ফাব্রিগাসের ক্লাব কোমোয় যোগ দেন তিনি। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই চোটের কবলে পড়েন তিনি।
১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ায় সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তার। এরপর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন ভারান। গতরাতে আতালান্তার মতো বড় দলকে হারিয়ে সেরি-আয় প্রথম ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তার দল। অথচ, এই ম্যাচেও তিনি দর্শক হয়ে ছিলেন।
এরপর গতরাতেই জানা যায়, অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ক্যারিয়ারে অসংখ্য ট্রফি জেতা এই ফুটবলার, আর সকাল হতেই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
ইনস্টাগ্রামে ভারান লিখেছেন, ‘(ফুটবল ক্যারিয়ারে) আমি নিজের সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছি। প্রতিবার মাঠে নামলে আমি শক্তভাবেই নামতে চাই, খেলার জন্য জোর করে আমি (ফুটবল) আঁকড়ে থাকতে চাই না। নিজের হৃদয় ও অনুভূতি যা বলছে, তা শোনার জন্য অসামান্য সাহসের প্রয়োজন হয়।’
২০১০ সালে ফরাসি ক্লাব লঁসের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে প্রথম মাঠে নামেন ভারান। সেখানে এক বছর কাটানোর পর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো এলিট ক্লাবে পা রাখতেই নিজেকে মেলে ধরা শুরু করেন ভারান। দীর্ঘ ১০ বছর ক্লাবটির জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৩৬০ ম্যাচ। এ সময়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৮টি শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি পরে খেলেন তিন বছর। অবশ্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাটানো সময়টা খুব বেশি সাফল্যমণ্ডিত হয়নি এই ফুটবলারের।
২০২৪ সালের এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে তিনি ইংলিশ ফুটবল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোল জিতে এফএ কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর কোমোয় যোগ দেন ভারান। বিদায়ী বার্তায় ওই ট্রফিটিরই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।
‘ক্যারিয়ারে আমি অসংখ্যবার পড়েছি, আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তবে এবার মনে হয়েছে, থেমে যাওয়ার এখনই সময়। ওয়েম্বলিতে শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার এটাই সঠিক সময়।’
ক্যারিয়ারে কোনো অনুশোচনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে গর্ববোধ হয় তার।
‘আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি কোনো কিছুরই পরিবর্তন চাই না। (ক্যারিয়ারে) এত ট্রফি জিতেছি যা আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে নিজের নীতিতে অটল থাকতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। যেখানে যা পেয়েছি, আন্তরিকতা দিয়ে তা আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সবাইকে গর্বিত করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার ভারানের। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের পর ক্রমেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালে জেতেন বিশ্বকাপ। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে ফ্রান্সের উয়েফা নেশন্স লিগজয়ী দলেও ছিলেন তিনি। পরে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি এই ডিফোন্ডারের।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান। এর সাত মাস না পেরোতেই ফুটবল থেকেই বিদায় নিয়ে নিলেন ভারান।
তবে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে গেলেও এখনই ফুটবল ছাড়ছেন না তিনি। কোমোয় মাঠের বাইরে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। তবে সেটা ঠিক কী, তা এখনই স্পষ্ট করেননি ভারান।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। কোমোর সঙ্গেই থাকছি, তবে শুধু বুট আর শিন প্যাড পরা হবে না আর। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাব।’
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
১ মাস আগে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
রিয়াল মাদ্রিদের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ করে এবার মূল ধারার ফুটবল থেকে খানিকটা সরেই গেলেন ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বিবর্ণ এক অধ্যায়ের পর এবার তিনি পাড়ি জমালেন ইতালিতে, যোগ দিয়েছেন ২১ বছর পর সেরি’আয় উঠে আসা ক্লাব কোমোয়।
মে মাসে ইউনাইটেড ছাড়ার ঘোষণা দেন ভারান। সে সময় তিনি জানান, মৌসুম শেষে রেড ডেভিলসদের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি আর নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চান না।
এরপর থেকেই ভারানকে দলে টানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেস্ক। সেরি’আয় উঠে আসার পর গত মৌসুমে কোমোর সহকারী কোচ থাকা আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক এই মিডফিল্ডারকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
সেস্ক ফাব্রিগাস ভারানকে যে দলে ভেড়াতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, গত মাসেই তা এক্স পোস্টের মাধ্যমে জানান ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। তার ওই পোস্টের ঠিক এক মাস পর এই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিল।
কোমোর সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিপত্রে সই করেছেন ভারান। সেইসঙ্গে চাইলে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারবেন তিনি।
ভারানকে পেয়ে দারুণ খুশি ফাব্রিগাস। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাফায়েল দারুণ ফুটবলার। সে স্পেশাল। এই ক্লাব নিয়ে আমাদের কতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাকে দলে টানতে পারাটা তারই প্রমাণ।’
এদিকে, ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে রোমাঞ্চিত হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ভারান।
তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে আর তর সইছে না। আসন্ন মৌসুমের জন্য শারীরিকভাবেও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এর আগে, মাঠের লড়াইয়ে সেস্ককে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেও এই প্রথম তার কোচিংয়ে খেলবেন তিনি। এ বিষয়েও দারুণ রোমাঞ্চিত ৩১ বছর বয়সী ভারান।
তিনি বলেন, ‘সেস্কের সঙ্গে আবার দেখা হবে, তবে এবার আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়। তার খেলোয়াড়ি দর্শন এবং ফুটবল নিয়ে তার যে তাড়না, এসব আমাকে সত্যিই আকৃষ্ট করে। (চুক্তির আগে আলোচনার সময়) সে নিজের পরিকল্পনার ব্যাপারে সবকিছু খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছে। আশা করছি, সবাই মিলে (ক্লাবকে) ভালো কিছু এনে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: আর্সেনালে যাচ্ছেন ইউরোয় চমক দেখানো কালাফিওরি
২০১০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফরাসি ক্লাব লঁসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করেন ভারান। এরপর পরের বছরই সান্তিয়াগো বের্নাবেউ হয় তার ঠিকানা। দশ বছর লস ব্লাঙ্কোসদের সাদা জার্সিতে খেলে চারটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ এবং তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৭টি ট্রফি জয়ের পর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি।
তবে ম্যানচেস্টার ইউনাটেডে তিন মৌসুম খেললেও সেখানে আলো ছড়াতে পারেননি ভারান। চোটের কারণে পুরোটা সময়জুড়ে ভুগতে হয়েছে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডারকে।
৩ মাস আগে
ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সমৃদ্ধির সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা, সুষ্ঠু পরিবেশ এবং উন্নত জীবন ধারণের মতো সম্ভাবনাগুলোর দ্বার উন্মোচন করে উচ্চশিক্ষা। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার সর্বোচ্চ আদর্শ মান বজায় রাখা উন্নত বিশ্বের দেশগুলো আকৃষ্ট করে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। বিগত কয়েক দশক জুড়ে পৃথিবীর প্রথম সারির বিদ্যাপীঠগুলোর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার নিয়ে সগর্বে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে শৈল্পিক দেশ ফ্রান্স। বিশ্বের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশের মেধাবীদেরও প্রতি বছর স্বাগত জানাচ্ছে দেশটি। চলুন, ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশটিতে আবেদন ও খরচসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীর পূর্ববর্তী ডিগ্রি থেকে ন্যূনতম ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ মার্কস নেওয়া হয়।
মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য পূর্বে ডিগ্রিগুলো একই বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে থাকতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিন্ন একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার পরেও অতিরিক্ত ক্রেডিট কোর্সের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়। পিএইচডির জন্য আলাদাভাবে প্রয়োজন হয় একই বিষয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনার। এ ছাড়া সেমিনার ও কনফারেন্সের মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপ অতিরিক্ত মান সংযোজন করে।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
এমবিএর ক্ষেত্রে ফ্রান্সের শীর্ষ বিজনেস স্কুলগুলোতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। প্রাথমিক নিরীক্ষণে মূল্যায়ন করা হয় জিআরই কিংবা জিম্যাটের স্কোরকে।
সাম্প্রতিক শিক্ষাবর্ষগুলোতে পাঠদানের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোর ক্লাস ইংরেজিতেই করানো হয়। তাই ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য প্রয়োজন হবে টিওইএফএল এবং আইইএলটিএস।
তবে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি বিকল্প পেতে হলে ফরাসি ভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি এই ভাষার দক্ষতা খণ্ডকালীন চাকরি এবং পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি পাওয়ার জন্যও অপরিহার্য।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রান্সের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সগুলো
ফ্রান্সের পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- টুলুজ, গ্রেনোবল ও বোর্দোর জাতীয় পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং লিলি, লিয়ন, মার্সেই ও নান্টেসের সেন্ট্রাল স্কুল।
লিয়ন, রেনেস, টুলুস, রুয়েন, স্ট্রাসবার্গ ও সেন্টারভাল ডি লোয়ারের প্রত্যেকটি স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
কম্পিয়েনি, বেলফর মন্টবেলিয়ার ও ট্রয়াতে রয়েছে একটি করে টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্যারিস, ক্যাচান, লিয়ন ও রেনেসে আছে ৪টি হায়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউট।
আরো পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
২০টি জাতীয় ইন্সটিটিউটের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কলেজ ডি ফ্রান্স, ন্যাশনাল কনজারভেটরি অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড সিভিলাইজেশন এবং স্কুল অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সাইন্স।
এগুলোসহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়গুলো হচ্ছে পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থায়ন, কৃষিবিদ্যা, জীববিদ্যা, কলা, সংস্কৃতি, নকশা ও ফ্যাশন।
৩ মাস আগে
ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৪ অভিবাসীর মৃত্যু
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পথে একটি রাবারের নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৪ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ এসব হতাহতের তথ্য জানিয়েছে।
ওই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর ফ্রান্সের বুলোন-সুর-মের উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের রাবারের নৌকাটি ফুটো হয়ে ডুবে যায়। ফরাসি উপকূলরক্ষী বাহিনী ৬৩ জনকে উদ্ধার করেছে।
কর্তৃপক্ষের দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ফরাসি নৌবাহিনীর একটি টহল নৌযান ফরাসি উপকূলে ভেসে আসা নৌকাটি দেখতে পায়। বিবৃতিতে বলা হয়, বেশ কয়েকজন 'পানিতে ডুবে যাচ্ছিলেন এবং অন্যরা তখনও ফুটো রাবারের নৌকাটি আঁকড়ে ধরে ছিলেন।’
নৌবাহিনীর জাহাজ, একটি মাছ ধরার নৌকা এবং একটি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার এই উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। জীবিতদের চিকিৎসা ও অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য বুলোনের তীরে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীরা ব্যস্ত ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার চেষ্টার সময় ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি নেয়। অভিবাসন প্রত্যাশীরা প্রায়ই সমুদ্রে চলাচলের অযোগ্য নৌকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি চড়ে থাকে।
চ্যানেল এবং উত্তর সাগরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফরাসি সামুদ্রিক কর্মকর্তারা বিপজ্জনক যাত্রায় জড়িত অনেক ঝুঁকির কারণে চ্যানেলটি অতিক্রম করার পরিকল্পনা করা যে কাউকে পুনর্বিবেচনা করতে সতর্ক করেছেন। চ্যানেলটি বিশ্বের ব্যস্ততম নৌপথগুলোর মধ্যে একটি। এই চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন ৬০০টিরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করে।
আরও পড়ুন: গত ৭ দিনে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৩০৩ অভিবাসীকে: আইওএম
কর্মকর্তারা বলেছেন, বছরে ১২০ দিন প্রবল বাতাসের কারণে আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রায়শই প্রতিকূল হয়।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, 'সমুদ্রকে শান্ত মনে হলেও এটি বিপজ্জনক।’
অভিবাসন ইস্যু নিয়ে কাজ করা ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ছয়টি নৌকায় ৪১৯ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। এর ফলে ২০২৪ সালে দেশটিতে অস্থায়ী অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা মোট ১৪ হাজার ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত মাসে ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময় একটি ছোট নৌকা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সাগর থেকে ৮০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে।
যুক্তরাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষ এই সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: মৌরিতানিয়ায় সাগরের উপকূল থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
৪ মাস আগে
স্পেন-জার্মানি সেমিফাইনাল: ম্যাচজুড়ে যা হলো
শুরুতে এগিয়ে গিয়েও চার মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ফ্রান্স ম্যাচের বাকিটা সময়জুড়ে নিজেদের খুঁজে ফিরল। তবে দলীয় ঐক্য ও সঠিক সময়ে কোচের সঠিক সিদ্ধান্তে বারবার ম্যাচের রাশ টেনে ধরে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পেন।
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
এদিন ফ্রান্সের নেওয়া ১৫টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে স্পেনের ১০টি শটের লক্ষ্যে থাকা দুটি শট থেকেই আসে গোল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে ফ্রান্স একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করলেও ম্যাচে বল দখলে সার্বিকভাবে এগিয়ে ছিল স্পেনই (৫৮ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
দলের তিন নিয়মিত সদস্যের অনুপস্থিতিতে দানি কার্ভাহালের পরিবর্তে ইউরোর সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে হেসুস নাভাসকে (৩৮) রাইট উইং ব্যাক হিসেবে মাঠে নামান লুইস দে লা ফুয়েন্তে। এছাড়া রবিন লে নরমান্দের পরিবর্তে রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক নাচো এবং পেদ্রির বদলি হিসেবে শুরুর একাদশে খেলতে নামেন দানি অলমো।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে স্পেন। বক্সের মধ্যে ডান পাশে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে দূরের পোস্টের দিকে অসাধারণ এক ক্রস বাড়ান লামিন ইয়ামাল। তবে ঠিকঠাক জায়গায় থেকেও উড়ন্ত হেডারে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বঞ্চিত করেন ফাবিয়ান রুইস।
তবে এরপরই ম্যাচে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। অষ্টম মিনিটে স্পেনর আক্রমণের কার্বন কপি থেকে গোল আদায় করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
ডান পাশে প্রতিপক্ষের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দূরের পোস্টে ক্রস দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তা থেকে হেডারে বল জালে জড়ান পিএসজি ফরোয়ার্ড কোলো মুয়ানি।
এটিই চলতি ইউরো আসরে ওপেন প্লে থেকে ফ্রান্সের প্রথম গোল। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮৭টি প্রচেষ্টার পর অবশেষে গোল পায় ফ্রান্স।
৪ মাস আগে
দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে নিষ্প্রভ থাকার পর সেমিফাইনালে অবশেষে জ্বলে উঠল ফ্রান্স। শুরুতেই গোল করে সমালোচকদের দাঁতও ভেঙে দিল। তবে স্পেনের ভ্রাতৃপ্রতিম ফুটবলের সামনে আক্রমণের পর আক্রমণ করে আর একবারের জন্যেও রক্ষণের লাল তালা ভাঙতে পারলেন না এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা।
অপরদিকে, আসরজুড়ে দলীয় পারফরম্যান্স, ক্ষিপ্র গতি আর প্রতিভার জোরে দুর্দান্ত ফ্রান্তের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে গেল স্পেন। মাঝে চার মিনিটে দুই গোল করে ব্যবধান গড়ে দিলেন দুই স্প্যানিশ তরুণ। একজন ১৬ বছরের স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল, অপরজন ২৬ বছর বয়সী লাইপসিগের প্রতিভাবান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানি অলমো।
ফলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিফাইনালে এসে অবশেষে নিজেদের মেলে ধরলেও স্পেনের ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্সের’ কাছে হার স্বীকার করে নিয়ে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: সুন্দর ফুটবলের মধ্যে দিয়েই জিততে চায় স্পেন: দে লা ফুয়েন্তে
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়ানো দারুণ এক ক্রসে হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সের রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
৪ মাস আগে
ইউরোয় এমবাপ্পের প্রথম গোলেও জিততে পারল না ফ্রান্স
ইউরোতে ক্যারিয়ারের প্রথম গোল পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, চলতি আসরে নিজেদের খেলোয়াড়দের পা থেকে প্রথম গোল পেল ফ্রান্স, তবুও ‘ডি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচটিতে জয়বঞ্চিত হয়েছে ফ্রান্স।
ডর্টমুন্ডের জিগনাল ইডুনায় মঙ্গলবার রাতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। দুই গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে ও পোল্যান্ডের হয়ে রবের্ট লেভানডফস্কি গোল দুটি করেন।
এই ড্রয়ে তিন ম্যাচে এক জয় ও দুটি ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। অপরদিকে, মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে বিদায় নিয়েছে পোল্যান্ড।
দিনের অন্য ম্যাচে নাটকীয় লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে অস্ট্রিয়া। ফলে ফেবারিট ফ্রান্স ও ডাচদের টপকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে তারা।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে মদ্রিচদের কাঁদিয়ে শেষ ষোলোয় ইতালি
নাকে আঘাত লাগায় এক ম্যাচ বিশ্রামে থেকে এদিন বিশেষ মাস্ক পরে মাঠে নামেন এমবাপ্পে। অন্যদিকে, ইনজুরিতে পড়া লেভানডফস্কিও ইউরোরর চলতি আসরে প্রথমবার পোল্যান্ডের শুরুর একাদশে ফেরেন।
এমবাপ্পে একাদশে ফেরায় ফ্রান্সের আক্রমণে কিছুটা ধার বাড়ে। তবে প্রথম দুই ম্যাচ হারা পোল্যান্ডও ভয়ডরহীন ফুটবল খেলে। ফলে সমানে সমানে লড়াইতে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
তবে, তারকা আর অভিজ্ঞতায় ভরা ফ্রান্সই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ, গোলের সুযোগ তৈরি, বলের দখল ইত্যাদি ক্ষেত্রে পোলিশদের চেয়ে এগিয়ে ছিল।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছু আগে পোল্যান্ডকে চেপে ধরে ফ্রান্স। দেম্বেলে ও এমবাপ্পে দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করলেও তা থেকে গোলবঞ্চিত হয় তারা। ফলে জাল অক্ষত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
৪ মাস আগে
জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে 'ইনক্লুসিভ বাজেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফর ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (আইবিএফসিআর)' প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি সই করেছে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
এই ১.২ মিলিয়ন ইউরোর অনুদান বাংলাদেশে এএফডি’র ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু নীতিকেন্দ্রিক ঋণ প্রকল্পকে জোরদার করবে।
ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কর্টেস।
এ সময় আরও ছিলেন ফ্রান্স দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এই কারিগরি সহযোগিতা চুক্তির লক্ষ্য হলো জলবায়ু-সংবেদনশীল কৌশলগত পরিকল্পনা এবং তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন, জলবায়ু-সংক্রান্ত সরকারি অর্থায়নের সুনিয়ন্ত্রিত পরিচালনা এবং স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আরও কার্যকর পরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়ন।
ক্লাইমেট ফিসকেল ফ্রেমওয়ার্ককে (সিএফএফ) ঘিরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএনডিপির পূর্ববর্তী কার্যক্রম এবং আইবিএফসিআর প্রকল্পের প্রথম পর্বটি জলবায়ু-সংবেদনশীল সরকারি অর্থায়নের (ক্লাইমেট সেন্সেটিভেটি পাবলিক ফাইন্যান্স) ভিত্তি প্রস্তরের ভূমিকা পালন করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে সহায়তা করতে এবং জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই, স্বল্প-কার্বন নির্ভর উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে আইবিএফসিআর প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে নীতিনির্ধারণী ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু ইস্যুকে আরও গভীরভাবে একীভূত করা হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বগ্রাসী প্রভাবের কারণে এই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নও বিফলে চলে যাচ্ছে। অর্থনীতির প্রতিটি খাত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আক্রান্ত।’
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক অভিঘাতের দিক বিবেচনা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেন না নারীরা, মেয়ে শিশুরা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক অবস্থায় থাকা অন্যান্য জনগোষ্ঠীগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সামনে আরও বেশি অসহায়।
আরও পড়ুন: ১ বিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জানিয়েছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত
এ প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএনডিপি বাংলাদেশের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান জাতীয় ও স্থানীয় উভয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু সম্পর্কিত সরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজেট প্রণয়ন এবং মনিটরিং জোরদারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
ফ্রান্স রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই অনুদান তহবিল চুক্তিটি (গ্রান্ট ফান্ডিং এগ্রিমেন্ট) একটি টেকসই এবং স্বল্প-কার্বনভিত্তিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে ফ্রান্সের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই স্বাক্ষর বহন করে।”
স্টেফান লিলার বলেন, ‘জলবায়ু তথ্য নির্ভর সরকারি অর্থায়ন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। জলবায়ুকে সরকারি অর্থায়নের ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ায় মূলধারায় এনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই উদ্যোগ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এর ফলে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের উপাদানগুলো আরও কার্যকরভাবে সংযোজিত হবে এবং একটি জলবায়ু সহনশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরে আনন্দিত এবং বিশ্বব্যাপী ইউএনডিপির বিভিন্ন উদ্যোগে পাশে থাকার জন্য ফ্রান্সের প্রতি আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৫ মাস আগে