ফ্রান্স
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, রাষ্ট্র্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ক্রিশ্চিয়ান বেক।
আরও পড়ুন: জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি
বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
‘নির্বাচন, অর্থনৈতিক ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন; আমরা তা বলেছি।’
২৬ দিন আগে
ফ্রান্সে বৃৃদ্ধাশ্রমে আগুনে নিহত ৩
ফ্রান্সের একটি বৃৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডে তিনজন প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৯জন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভ্যাল-ডওইস বিভাগের বফেমন্টের একটি অবসরকালীন আবাসিক ভবনে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ফরাসি সংবাদ মাধ্যম বিএফএমটিভি এক প্রতিবেদনে এসব হতাহতের কথা জানিয়েছে।
ভ্যাল-ড'ওইসের প্রিফেকচারের বরাতে বিএফএমটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে (০৬১৫ জিএমটি) ভবনটির তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।
সংবাদ মাধ্যমটির মতে, ধোঁয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে- আগুন দুর্ঘটনাজনিত ছিল।
৫০ দিন আগে
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্স-জার্মানির
ডেনমার্কের কাছ থেকে গায়ের জোরে গ্রিনল্যান্ড কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এবার নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও জার্মানি। ইউরোপীয় মাটিতে কোনো আঘাত এলে তা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। জার্মানি ও ফ্রান্সকে বলা হয় ইউরোপের চালিকাশক্তি।
গ্রিনল্যান্ড হস্তান্তর করা না হলে ডেনমার্কের ওপর অতিরিক্ত রাজস্ব চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। এবার গায়ের জোরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি কেড়ে নিতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
গ্রিনল্যান্ড দখল করতে কোনো সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা হবে না; এমন নিশ্চয়তা দেবেন কিনা, প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। ৬০০ বছর ধরে এটি ডেনমার্কের অংশ হয়ে আছে। ৫৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ গ্রিনল্যান্ডে আছে স্বায়ত্তশাসন। ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চেয়ে আসছেন দ্বীপদেশটির প্রধানমন্ত্রী।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ বলেন, ছোট কিংবা বড়—প্রতিটি দেশের সীমান্তের ক্ষেত্রে অলঙ্ঘনীয় নীতি রয়েছে। সেটা মেনে চলতে হবে।
এদিকে ট্রাম্পের হুমকির ঘটনায় কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক; ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারট।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে মনে করেন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকে থাকতে এখন থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর দিকে ঠেলে দেবে সেটা তিনি ভাবতেও পারেন না বলে জানিয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন।
গ্রিনল্যান্ডে অনেকেই ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ডেনিশ রাজা এখনও দ্বীপটিতে জনপ্রিয়। এক স্থানীয় অধিবাসী বলেন, ‘তিনি (রাজা) জনপ্রিয়। সুতরাং, তিনি স্পষ্টতই ডেনিশ-গ্রিনল্যান্ড সম্পর্ক রক্ষায় সহায়ক হতে পারবেন।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসমুসেন বলেন, আমরা পুরোপুরি স্বীকার করি যে, গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আদৌ নেই।
রাসমুসেন অবশ্য সাংবাদিকদেরকে এও বলেছেন যে, চীন ও রাশিয়ার তৎপরতার কারণে আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়াটা বাস্তব। আমি মনে করি না যে আমরা পররাষ্ট্রনীতির সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ নিশ্চিত করতে আমরা কীভাবে আরও সহযোগিতা করতে পারি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমরা প্রস্তুত।
৭৪ দিন আগে
বেনজেমার চোখে মৌসুম-সেরা ফরাসি ফুটবলার নন এমবাপ্পে!
টানা দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা ফরাসি ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল গত সপ্তাহে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
অতীতে এই পুরস্কার জেতা ফুটবলারদের ভোটে প্রতি বছর দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করে থাকে ফ্রান্স ফুটবল।
২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম সালিবাকে (৫১ ভোট) হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেরা হয়েছেন এমবাপ্পে (৫৬ ভোট)। এ নিয়ে মোট চারবার দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পিএসজি থেকে চলতি মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর সে বছর প্রথমবার ফ্রান্স-সেরা হন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও এই খেতাব জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
তবে এবারের ভোটে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের ভোটন পাননি এমবাপ্পে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দেশসেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে তিনজনকে ভোট দিতে পারেন সাবেক বিজয়ীরা। বেনজেমার পছন্দের তালিকায় এই তিনজনের মধ্যে জায়গা হয়নি এমবাপ্পের।
গত মৌসুমে পিএসজিতে খেলা এমবাপ্পের পরিবর্তে বেনজেমার প্রথম পছন্দ ছিলেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এছাড়া পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ ব্রাদলে বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরিকে বাকি দুই ভোট দিয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, তাকে ভোট দেননি বেনজেমার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এন’গলো কান্তেও। আল-ইত্তিহাদের এই মিডফিল্ডার ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে সালিবা, বার্সেলোনা ফুলব্যাক জুল কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে।
এই তালিকায় রয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিজমানও। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছেন তার দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে। তার প্রথম ও তৃতীয় পছন্দ ছিলেন ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের আলেকজান্ডার লাকাসেত ও দেল কাস্তিয়ো।
আরও পড়ুন: এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
অন্যদিকে, সালিবার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আর্সেনাল মিডফিল্ডারকেই সেরার ভোট দিয়েছেন এমবাপ্পে। তার বাকি দুই ভোট ছিল ক্লাব সতীর্থ কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জন্য।
গত মৌসুমের সেরাদের তালিকায় এমবাপ্পে ও সালিবার পর রয়েছেন যথাক্রমে এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ঁ (২৪), কামাভিঙ্গা (১৭) ও চুয়ামেনি (১৬)। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্তের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পিয়েরে লিস-মেলুর সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন গ্রিজমান।
১০০ দিন আগে
নেশন্স লিগের শেষ আটের ড্র: কে কাকে পেল, কী সমীকরণ
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই, এবার নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র এবং ফাইনালের পথ স্পষ্ট করে দিল উয়েফা।
শুক্রবার নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমের ‘রোড টু ফাইনাল’ নির্ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এছাড়া ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়ার, জার্মানি ইতালির এবং ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ মার্চ। এর তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের চার দল নিশ্চিত হবে। এরপর আগামী ৪ ও ৫ জুন সেমি ফাইনাল এবং ৮ জুন ফাইনালের পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বিজয়ী দল।
চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে নেদারল্যান্ডস
শিরোপা ধরে রাখতে এবারও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে স্পেনের। কোয়ার্টারে এবার তাদের প্রতিপক্ষ রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কুমানের অধীনে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে দলটি। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। তার আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে উঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা।
চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও জার্মানির মতো দলগুলোর সঙ্গে এক গ্রুপে পড়ে প্রথম ম্যাচেই জার্মানির কাছে হেরে বসে ডাচরা। তবে তারপর অপরাজিত থেকে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে কুমানের শিষ্যরা।
ফলে সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ডাচ বাধা পেরোনো সহজ হবে না ইউরো ও নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ-ইউরো-নেশন্স লিগ জেতা একমাত্র ফটুবলার অবসরে
এছাড়া চোটের কারণে বারবার স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হচ্ছে লুইস দেলা ফুয়েন্তের। চোট নিয়ে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহাল ও রদ্রি।
তবে তরুণ এবং ফর্মে থাকা স্পেনের যেকোনো ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাক দিয়ে বারবার ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে দেখা গেছে স্পেন বসকে। ফলে এই দুই দলের লড়াইটা দর্শকের জন্য হবে দর্শনীয়।
ফিরছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল
শেষ আটের ড্রয়ে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। এর ফলে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তা-ও একবার নয়, দুবার।
ফ্রান্সের কাছে সেবার ৪-২ গোলে হেরে ক্রোয়েশিয়ার স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্রোয়াটদের সামনে।
অবশ্য ভালো পারফর্ম করলেও ক্রোয়েশিয়ার সেই দল এখন আর নেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবসরে চলে গেছেন। তবে এখনও লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞরা দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে আন্দ্রেই ক্রামারিচ, মাতেও কোভাচিচ, ইয়োস্কো গেভারদিওলের মতো প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকায় গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে জ্লাতকো দালিচের দল।
অপরদিকে, দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় থাকলেও ফর্মহীনতা, চোট ও সমন্বয়ের অভাবে ইউরোর পর থেকেই ধুঁকতে দেখা গেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও দলের বড় তারকারা নিজেদের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকারা।
গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলের কাছে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও শেষ ম্যাচে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তাদেরই টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফ্রান্স।
শেষ চার ম্যাচেই দলের সঙ্গে ছিলেন না এমবাপে। চোটে আক্রান্ত না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে দলে ফেরাতে পারেন দেশম। ফলে কৌশল দিয়েই দুর্দান্ত এই দলটিকে মাত করতে হবে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার।
১২২ দিন আগে
এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
চোটের কারণ দেখিয়ে অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে ফ্রান্স দলে ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার নভেম্বরে নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের পঞ্চম ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর ইসরায়েলকে আতিথ্য দেবে দিদিয়ের দেশমের দল। এর তিন দিন পরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০২১ সালের শিরোপাজয়ীরা।
এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পারফর্ম করা লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েঁ। তবে ঘোষিত স্কোয়াডে জায়াগা হয়নি এমবাপ্পের।
অক্টোবরে চোটের কারণ দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে থেকে যান এমবাপ্পে। এরপর ইউরোপীয় সংবাদধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রান্স যখন নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলছে, তখন তিনি সুইডেনের একটি ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছেন।
ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী ফরাসি অধিনায়ক।
স্টকহোমের যে হোটেলে তখন তিনি ছিলেন, সে সময় সেখানে একটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। এ খবর চাউর হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পোশাকের একটি বিজ্ঞাপন থেকেও সরিয়ে দেয়। এবার রিয়ালের জার্সিতে মাঠে বেশ কিছুদিন ধরে বিবর্ণ থাকার পর ফ্রান্স দলেও ব্রাত্য হলেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
স্কোয়াড ঘোষণার সময় এমবাপ্পের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশম বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে এটিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’
এমবাপ্পেকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ফুটবলের বাইরের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিলিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সে দলে ফিরতে চায়। তবে আগামী দুই ম্যাচের জন্য এটি একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত।’
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক: লুকা শেভালিয়েঁ (লিল), মাইক মাইনিয়ঁ (এসি মিলান) ও ব্রাইস সাম্বা (লঁস)।
ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লুস (নিস), লুকা দিনিয়ে (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়েসলে ফোফানা (চেলসি), থেও এরনান্দেস (এসি মিলান), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), জুল কুন্দে (বার্সেলোনা), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল) ও দায়োত উপামেকানো (বায়ার্ন মিউনিখ)।
মিডফিল্ডার: এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা (রিয়াল মাদ্রিদ), মাতেও গেন্দুসি (লাৎসিও), এনগলো কান্তে (আল ইত্তিহাদ), মানু কোনে (রোমা), আদ্রিয়েন রাবিও (অলিম্পিক মার্শেই) ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
ফরোয়ার্ড: ব্রাদলে বারকোলা (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), রান্দাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি), ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু (চেলসি), মিকেল অলিস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও মার্কাস থুরাম (ইন্টার মিলান)।
১৩৭ দিন আগে
‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না কিলিয়ান এমবাপের। আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একের পর এক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে চলেছেন এই ফরাসি তারকা।
লা লিগার চলতি মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে থেকে গোল পেতে একরকম ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচক ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী এই ফরাসি তারকা। এরপর চোটের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে নেশন্স লিগে ফ্রান্সের হয়ে না খেলে রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নেমে এবং পরে সুইডেনে নৈশক্লাবে সময় কাটিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এবার ধর্ষণ অভিযোগের তদন্ত চলায় তাকে পড়তে হলো খোদ রিয়াল মাদ্রিদের খাঁড়ার নিচে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি পেয়ে সেদিন সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপে। সেখানে তিনি যে হোটেলে ওঠেন, সেখানে নাকি তার অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনির নেতৃত্বে মাঠে নামবে ফ্রান্স
সুইডেনের সংবাদপত্র আফ্টনব্লাডেট সর্বপ্রথম ওই ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে। তবে, অভিযুক্তের নাম খোলাসা করেনি তারা। এরপর আফ্টনব্লাডেটের বরাত দিয়ে রবিবার ফ্রান্সে খবরটি প্রচার করে ফরাসি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট।
এমবাপে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা উল্লেখ না করে ঘটনাটি নিয়ে সুইডিশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এমবাপে পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে কি না, খবরে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, এ নিয়ে আরএমসির স্পোর্টের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সোমবার এক্স পোস্টে তিনি ‘খবরটি ভূয়া’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
১৬০ দিন আগে
৩১ বছরেই বিদায় বলে দিলেন ভারান
চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এবার থেমেই গেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রাফায়েল ভারান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন আগেই, এবার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার থেকেও ছুটি নিয়ে নিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা দেন এক যুগের বেশি সময় ধরে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে আলো ছড়ানোর পর সম্প্রতি ইতালির ক্লাব কোমোয় যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
তিন মৌসুম খেলার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এ বছরের জুলাইয়ে ইতালিতে পাড়ি জমান ভারান। সদ্য সেরি-আয় উঠে আসা সেস্ক ফাব্রিগাসের ক্লাব কোমোয় যোগ দেন তিনি। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই চোটের কবলে পড়েন তিনি।
১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ায় সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তার। এরপর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন ভারান। গতরাতে আতালান্তার মতো বড় দলকে হারিয়ে সেরি-আয় প্রথম ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তার দল। অথচ, এই ম্যাচেও তিনি দর্শক হয়ে ছিলেন।
এরপর গতরাতেই জানা যায়, অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ক্যারিয়ারে অসংখ্য ট্রফি জেতা এই ফুটবলার, আর সকাল হতেই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
ইনস্টাগ্রামে ভারান লিখেছেন, ‘(ফুটবল ক্যারিয়ারে) আমি নিজের সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছি। প্রতিবার মাঠে নামলে আমি শক্তভাবেই নামতে চাই, খেলার জন্য জোর করে আমি (ফুটবল) আঁকড়ে থাকতে চাই না। নিজের হৃদয় ও অনুভূতি যা বলছে, তা শোনার জন্য অসামান্য সাহসের প্রয়োজন হয়।’
২০১০ সালে ফরাসি ক্লাব লঁসের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে প্রথম মাঠে নামেন ভারান। সেখানে এক বছর কাটানোর পর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো এলিট ক্লাবে পা রাখতেই নিজেকে মেলে ধরা শুরু করেন ভারান। দীর্ঘ ১০ বছর ক্লাবটির জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৩৬০ ম্যাচ। এ সময়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৮টি শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি পরে খেলেন তিন বছর। অবশ্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাটানো সময়টা খুব বেশি সাফল্যমণ্ডিত হয়নি এই ফুটবলারের।
২০২৪ সালের এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে তিনি ইংলিশ ফুটবল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোল জিতে এফএ কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর কোমোয় যোগ দেন ভারান। বিদায়ী বার্তায় ওই ট্রফিটিরই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।
‘ক্যারিয়ারে আমি অসংখ্যবার পড়েছি, আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তবে এবার মনে হয়েছে, থেমে যাওয়ার এখনই সময়। ওয়েম্বলিতে শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার এটাই সঠিক সময়।’
ক্যারিয়ারে কোনো অনুশোচনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে গর্ববোধ হয় তার।
‘আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি কোনো কিছুরই পরিবর্তন চাই না। (ক্যারিয়ারে) এত ট্রফি জিতেছি যা আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে নিজের নীতিতে অটল থাকতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। যেখানে যা পেয়েছি, আন্তরিকতা দিয়ে তা আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সবাইকে গর্বিত করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার ভারানের। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের পর ক্রমেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালে জেতেন বিশ্বকাপ। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে ফ্রান্সের উয়েফা নেশন্স লিগজয়ী দলেও ছিলেন তিনি। পরে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি এই ডিফোন্ডারের।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান। এর সাত মাস না পেরোতেই ফুটবল থেকেই বিদায় নিয়ে নিলেন ভারান।
তবে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে গেলেও এখনই ফুটবল ছাড়ছেন না তিনি। কোমোয় মাঠের বাইরে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। তবে সেটা ঠিক কী, তা এখনই স্পষ্ট করেননি ভারান।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। কোমোর সঙ্গেই থাকছি, তবে শুধু বুট আর শিন প্যাড পরা হবে না আর। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাব।’
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
১৮০ দিন আগে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
রিয়াল মাদ্রিদের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ করে এবার মূল ধারার ফুটবল থেকে খানিকটা সরেই গেলেন ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বিবর্ণ এক অধ্যায়ের পর এবার তিনি পাড়ি জমালেন ইতালিতে, যোগ দিয়েছেন ২১ বছর পর সেরি’আয় উঠে আসা ক্লাব কোমোয়।
মে মাসে ইউনাইটেড ছাড়ার ঘোষণা দেন ভারান। সে সময় তিনি জানান, মৌসুম শেষে রেড ডেভিলসদের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি আর নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চান না।
এরপর থেকেই ভারানকে দলে টানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেস্ক। সেরি’আয় উঠে আসার পর গত মৌসুমে কোমোর সহকারী কোচ থাকা আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক এই মিডফিল্ডারকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
সেস্ক ফাব্রিগাস ভারানকে যে দলে ভেড়াতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, গত মাসেই তা এক্স পোস্টের মাধ্যমে জানান ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। তার ওই পোস্টের ঠিক এক মাস পর এই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিল।
কোমোর সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিপত্রে সই করেছেন ভারান। সেইসঙ্গে চাইলে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারবেন তিনি।
ভারানকে পেয়ে দারুণ খুশি ফাব্রিগাস। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাফায়েল দারুণ ফুটবলার। সে স্পেশাল। এই ক্লাব নিয়ে আমাদের কতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাকে দলে টানতে পারাটা তারই প্রমাণ।’
এদিকে, ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে রোমাঞ্চিত হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ভারান।
তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে আর তর সইছে না। আসন্ন মৌসুমের জন্য শারীরিকভাবেও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এর আগে, মাঠের লড়াইয়ে সেস্ককে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেও এই প্রথম তার কোচিংয়ে খেলবেন তিনি। এ বিষয়েও দারুণ রোমাঞ্চিত ৩১ বছর বয়সী ভারান।
তিনি বলেন, ‘সেস্কের সঙ্গে আবার দেখা হবে, তবে এবার আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়। তার খেলোয়াড়ি দর্শন এবং ফুটবল নিয়ে তার যে তাড়না, এসব আমাকে সত্যিই আকৃষ্ট করে। (চুক্তির আগে আলোচনার সময়) সে নিজের পরিকল্পনার ব্যাপারে সবকিছু খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছে। আশা করছি, সবাই মিলে (ক্লাবকে) ভালো কিছু এনে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: আর্সেনালে যাচ্ছেন ইউরোয় চমক দেখানো কালাফিওরি
২০১০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফরাসি ক্লাব লঁসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করেন ভারান। এরপর পরের বছরই সান্তিয়াগো বের্নাবেউ হয় তার ঠিকানা। দশ বছর লস ব্লাঙ্কোসদের সাদা জার্সিতে খেলে চারটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ এবং তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৭টি ট্রফি জয়ের পর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি।
তবে ম্যানচেস্টার ইউনাটেডে তিন মৌসুম খেললেও সেখানে আলো ছড়াতে পারেননি ভারান। চোটের কারণে পুরোটা সময়জুড়ে ভুগতে হয়েছে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডারকে।
২৩৮ দিন আগে
ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সমৃদ্ধির সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা, সুষ্ঠু পরিবেশ এবং উন্নত জীবন ধারণের মতো সম্ভাবনাগুলোর দ্বার উন্মোচন করে উচ্চশিক্ষা। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার সর্বোচ্চ আদর্শ মান বজায় রাখা উন্নত বিশ্বের দেশগুলো আকৃষ্ট করে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। বিগত কয়েক দশক জুড়ে পৃথিবীর প্রথম সারির বিদ্যাপীঠগুলোর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার নিয়ে সগর্বে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে শৈল্পিক দেশ ফ্রান্স। বিশ্বের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশের মেধাবীদেরও প্রতি বছর স্বাগত জানাচ্ছে দেশটি। চলুন, ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশটিতে আবেদন ও খরচসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীর পূর্ববর্তী ডিগ্রি থেকে ন্যূনতম ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ মার্কস নেওয়া হয়।
মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য পূর্বে ডিগ্রিগুলো একই বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে থাকতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিন্ন একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার পরেও অতিরিক্ত ক্রেডিট কোর্সের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়। পিএইচডির জন্য আলাদাভাবে প্রয়োজন হয় একই বিষয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনার। এ ছাড়া সেমিনার ও কনফারেন্সের মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপ অতিরিক্ত মান সংযোজন করে।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
এমবিএর ক্ষেত্রে ফ্রান্সের শীর্ষ বিজনেস স্কুলগুলোতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। প্রাথমিক নিরীক্ষণে মূল্যায়ন করা হয় জিআরই কিংবা জিম্যাটের স্কোরকে।
সাম্প্রতিক শিক্ষাবর্ষগুলোতে পাঠদানের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোর ক্লাস ইংরেজিতেই করানো হয়। তাই ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য প্রয়োজন হবে টিওইএফএল এবং আইইএলটিএস।
তবে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি বিকল্প পেতে হলে ফরাসি ভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি এই ভাষার দক্ষতা খণ্ডকালীন চাকরি এবং পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি পাওয়ার জন্যও অপরিহার্য।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রান্সের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সগুলো
ফ্রান্সের পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- টুলুজ, গ্রেনোবল ও বোর্দোর জাতীয় পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং লিলি, লিয়ন, মার্সেই ও নান্টেসের সেন্ট্রাল স্কুল।
লিয়ন, রেনেস, টুলুস, রুয়েন, স্ট্রাসবার্গ ও সেন্টারভাল ডি লোয়ারের প্রত্যেকটি স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
কম্পিয়েনি, বেলফর মন্টবেলিয়ার ও ট্রয়াতে রয়েছে একটি করে টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্যারিস, ক্যাচান, লিয়ন ও রেনেসে আছে ৪টি হায়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউট।
আরো পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
২০টি জাতীয় ইন্সটিটিউটের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কলেজ ডি ফ্রান্স, ন্যাশনাল কনজারভেটরি অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড সিভিলাইজেশন এবং স্কুল অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সাইন্স।
এগুলোসহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়গুলো হচ্ছে পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থায়ন, কৃষিবিদ্যা, জীববিদ্যা, কলা, সংস্কৃতি, নকশা ও ফ্যাশন।
২৩৯ দিন আগে