জনবল সংকট
খুলনার আবু নাসের হাসপাতালে জনবল সংকট, সেবা দিতে হিমশিম
জনবল সংকট সমস্যার সমাধান যেন নেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের।
২০১০ সালে ৩০ মার্চ মাত্র ৩০টি শয্যা নিয়ে শুরু হয় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। বর্তমানে ২৫০শয্যায় উন্নীত হলেও রয়েছে জনবল সংকট।
এতো বড় হাসপাতালে মাত্র ১ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। তাছাড়া চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসার সংকটতো রয়েছেই। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দ্বারা কাজ চালানো হচ্ছে।
এছাড়া গেল কয়েক মাস আগে পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন কয়েকজন সিনিয়র কনসালটেন্ট। আর সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন চিকিৎসক বদলি হওয়ার আদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ১০ টাকার টিকিট কেটে সেবা নিচ্ছেন। যেখানে রয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগ সিসিইউ, পোস্ট সিসিইউ, গাইনি, নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, অর্থপেডিক্স মেডিসিন, ডায়াবেটিস, নিউরো মেডিসিন, মেডিসিন, ফিজিওথ্যারাপি, নিউরো সার্জারি, হোমো ডায়ালাইসিস, দন্ত বিভাগ, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইউনিটসহ ইনটেনসিভ কেয়ার আইসিইউ সাপোর্টের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২৭০ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে লাইসেন্স আছে ৯৮টির
এক সময় যা গরীব অসহায় মানুষের জন্য এ সব ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছিল শুধুই স্বপ্ন। পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগীদের জন্য কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য মনিটর, আলট্রাসনো, সিটিস্কান, এমআরআই, ইকো, ইটিটি, ইসিজি, ইটিটি, ডক শর্ট দেওয়ার ব্যবস্থাসহ কার্ডিয়াক মনিটর, লাইফ সাপোর্ট ভেন্টিলেটার ও স্বল্প খরচে প্যাথলজি পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।
হাসপাতালটিতে গরীব অসহায় রোগী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এ ছাড়া স্বল্প খরচে এমআরআই, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইকোসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। তবে এত সব থাকলেও নেই চাহিদামতো জনবল। বিশেষ করে ৪র্থ শ্রেণীর চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী সংকট আরও তীব্র হচ্ছে।
এখানে প্রতিনিয়ত বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের চিৎকার, চেঁচামেচি শোনা যায়। তবে, এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একজন মাত্র টেবিল বয়কে রোগীর টিকিট জমা নিতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী রোগী শেখ রহিমা বলেন, ‘আমি কার্ডিওলজি বিভাগে ১১২নং কক্ষে টিকিট জমা দিতে পারিনি। কারণ হলো অতিরিক্ত রোগীর চাপ, আর দায়িত্বে আছে মাত্র একজন টেবিল বয়। আমি এতো ভিড়ের মধ্যে টিকিট জমা দিতে পারিনি। এখন বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এর থেকে ভালো হবে টাকা কিছু খরচ করে ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে নিরিবিলি সেবা নেওয়া।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ, খুলনায় তবুও চলছে ইটভাটা
নাম না প্রকাশ করার শর্তে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মচারী বলেন, ‘প্রতিদিন হাজার, হাজার রোগী বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসেন। আমাদের উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। তারপরও চাকরি করতে হয়। এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কী করব!’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে তিন শিফট ডিউটি করতে হয়। আমাদের ১৩৩ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে চালক, মালীসহ অন্যান্য কর্মচারী আছেন। যারা রোগীর সেবার কাজে নিয়োজিত নেই। অন্যান্য হাসপাতালে সরকারিভাবে ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী থাকলেও আমাদের নেই। প্রতি বছর শোনা যায় জনবল বৃদ্ধি হবে, কষ্ট কম হবে। তবে এখনও আগের মত অবস্থানে আছে।’
এ ব্যাপারে হাপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, জনবল সংকট আছে। এছাড়া আরও কিছু শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কারণে আরও জনবল সংকট হয়ে গেছে। বিশেষ করে ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল অফিসার ও আনসার সদস্য, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে জনবল ঘাটতি থাকলেও সেবা বন্ধ করা যাবে না। হয়তো একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক জনবল সংকট আছে, বৃদ্ধিকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
৯ মাস আগে
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় জনবলের ঘাটতিকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এটা মেটাতে অনেক সময় লাগে। আমাদের হাসপাতালগুলোতে ৩০ হাজার শয্যা থেকে এখন ৭০ হাজার শয্যা করা হয়েছে। ৭০ হাজার শয্যা পরিচালনা করা এবং নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি চালাতে প্রশিক্ষিত জনবল দরকার হবে। এটার একটু ঘাটতি আছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পদে বিজয়ী, কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়ার নির্মূলের সুখবর দিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে, মানুষ সেবা পাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন হয়েছে, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বিধায় গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ভালো আছে বিধায় পোলিও, টিটেনাস, ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে। এই অর্জন বিশ্ববাসীও গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলায় হাসপাতালগুলো কত উন্নত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ৫টি থেকে ৩৭টি হয়েছে। আইসিইউয়ের সংখ্যা ৫০০ থেকে ১৫০০ হয়েছে। বাংলাদেশে ওষুধের কোনো অভাব নেই। বাংলাদেশের ওষুধ এখন রপ্তানি হয়।
তিনি আরও বলেন, ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন বসানো আছে। অক্সিজেন প্লান্ট বসানো আছে। যার ফলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছি।
এসব কিছু কোনো জাদু না, কাজের মাধ্যমেই অর্জন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা করোনার ৩৭ কোটি টিকা বিনামূল্যে দিয়েছি। অর্জন যারা দেখতে পায় না, তারা কখনো দেখতে পাবে না। চোখ বন্ধ করে থাকলে তো অর্জন দেখা যাবে না।
দেশের বাইরে অনেকেই চিকিৎসার জন্য যায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ধরেন ৫ লাখ লোক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেল। আর ১৭ কোটি লোক তো এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। বছরে ৩৬ কোটি লোক বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এখানে বাইপাস সার্জারি হচ্ছে, কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনে প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের জনবলের একটু ঘাটতি আছে। জনবল ওভারনাইট বাড়ানো যায় না। শুধু বাংলাদেশে না আমেরিকাতেও ঘাটতি আছে, ইউরোপেও ঘাটতি আছে। আমরা চেষ্টা করছি ঘাটতিগুলো কমিয়ে আনতে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে স্বাস্থ্যসেবা মানুষ আরও ভালো পায়।
৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
চিকিৎসা নিতে বেশি খরচ হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটি আমি আংশিক গ্রহণ করতে পারি। সরকারি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে সেবা নিয়ে থাকেন। ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ এটা আমরা এখনও পুরোপুরি শুরু করতে পারিনি, এটা একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাচ্ছে তার চিকিৎসা ব্যবস্থাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ, এগুলো মোবাবিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী হিসেবে কতটুকু ভালো করেছেন তা মানুষ বিবেচনা করবে বলে জানান জাহেদ মালেক।
সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ভোটদানে অংশ নেয়। এতে সায়মা ওয়াজদে পান আট ভোট ও নেপালের প্রার্থী শম্ভু আচার্য পেয়েছেন দুই ভোট। ২০২৪ সাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্বগ্রহণ করবেন সায়মা।
কালাজ্বর নিমূলে সফলতার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে কালাজ্বর সংক্রমণ কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি দশ হাজারে একজনের কম রোগী হলে রোগটি নির্মূল হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সেই যোগ্যতা অর্জন করেছে। কালাজ্বর সম্পর্কে গেল তিন বছরের তথ্য উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কালাজ্বরমুক্ত ঘোষণা করে।
একইসঙ্গে ফাইলেরিয়া নির্মূলে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও জানান জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, গেল ৫ মে বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এই সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৮তম ও এশিয়ার চতুর্থ দেশ।
আরও পড়ুন: কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
জনবল সংকটের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) পরিষেবা প্রায় নয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে করে জেলায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে কারণ ইতোমধ্যেই দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।
জেলার বাসিন্দারা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলো খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, ২০২০ সালে ২১ মার্চ ‘সাজেদা ফাউন্ডেশন’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি করে যে তারা আইসিইউ এবং এইচডিইউ রোগীদের নিজস্ব জনবল এবং ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে দুই মাসের জন্য চিকিৎসা দেবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ফাউন্ডেশন পরে হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ছয়টি আইসিইউ শয্যা, আটটি এইচডিইউ শয্যা, দুটি ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করে।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ
ফাউন্ডেশনের ৪৪ জন সদস্যের একটি দল এর মধ্যে ১০ জন চিকিৎসক, ১৪ জন আইসিইউ স্টাফ নার্স, সাত জন ওয়ার্ডবয়, একজন করে ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও এক্স-রে টেকনোলজিস্ট এবং অন্যান্যরা মিলে একই বছর ২৬ জুলাই থেকে বিশেষ করে করোনার সময় রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার গত বছরের ৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিটগুলোর উদ্বোধন করলেও ফাউন্ডেশনটি অনেক আগেই রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন ৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিগুলোর উদ্বোধন করেন। তবে এর অনেক আগেই ফাউন্ডেশনটি রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকল যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও জনবল সংকটের কারণে ৯ মাস আইসিইউ বিভাগ এবং এইচডিইউ পরিষেবাটি বন্ধ রয়েছে। কারণ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ফাউন্ডেশন তাদের জনবল নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আমিনু ইসলাম ও আব্দুল কাদের ইউএনবিকে বলেন, গত বছর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট চালুর খবর পেয়ে তারা খুবই খুশি হয়েছিলেন, কারণ এই জেলায় সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই।
আরও পড়ুন: দৃশ্যমান হলো রূপসা রেল সেতু
চালুর দুই মাস পর দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা আইসিইউও এইচডিইউ ইউনিটগুলো স্থায়ীভাবে চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের তৎকালীন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নাফিজ উল্লাহ সানি ইউএনবিকে জানিয়েছে, চুক্তি অনুসারে করোনা মহামারি সময়ে চুয়াডাঙ্গায় সাজেদা ফাউন্ডেশন সরঞ্জাম ও জনবল দিয়ে দুই মাস আইসিইউ এবং এইচডিইউ ইউনিটের সেবা দিয়েছে।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাজেদা ফাউন্ডেশন আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিটটির সম্পূর্ণ সেটআপ হাসপাতালগুলোকে দান করে দেয় এবং জনবল চলে যায়।
তিনি জানান, তারা একটি সার্ভে করে দেখেছেনে যে জনবলের স্বল্পতার কারণে ইউনিটগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ব্যয়বহুল ভেন্টিলেটরসহ সরঞ্জামগুলো অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান ইউএনবিকে জানান, ফাউন্ডেশন রোগীদের চিকিৎসা ও সরঞ্জাম দান করার সময় তিনি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন না।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: খুলনার পর্যটন শিল্পের দুয়ার উন্মোচন
তিনি জানান, কার্যকরী জনবল নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না হওয়ায় আইসিইউ বিভাগ থাকলেও তা চালানো সম্ভব নয়। তাই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ডা. আতাউর বলেন, আমরা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইউনিটগুলো আবারও চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছি।
২ বছর আগে
ফরিদপুর মেডিকেলের আইসিইউতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালের ১৬ শয্যার অত্যাধুনিক ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) প্রথম শ্রেণির সব পদই শূন্য রয়েছে। ২০১৬ সালে স্থাপিত এই আইসিইউতে এখন পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বর্তমানে ওই হাসপাতালের একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন রোস্টারের মাধ্যমে করোনা রোগীদের জন্য কোনমতে ইউনিটটি চালু রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট জনবল না থাকায় এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু জীবনের বিনিময়ে এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই আইসিইউতে একজন সহকারী অধ্যাপক, দুজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, দুজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও দুজন মেডিকেল অফিসার নিয়মানুযায়ী থাকার কথা। তবে প্রথম শ্রেণির এই সাতটি পদই এযাবত পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। নির্ধারিত জনবল না থাকায় বর্তমানে বিএসএমএমসি হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অনন্ত কুমার বিশ্বাস অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে এই আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদপুর সনাক সভাপতি ও নাগরিক মঞ্চের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, বিএসএমএমসি হাসপাতালের এই আইসিইউ বিভাগটি অত্যাধুনিক মানের। এখানে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই, ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লো, নজেল ক্যানোলাসহ অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত উৎপাদনের আশায় ফরিদপুরের‘সোনালী আঁশ’ চাষিরা
তিনি বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্য কোন হাসপাতালে এই অত্যাধুনিক সুবিধা না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও গুরুতর রোগীদের এখানে প্রেরণ করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের একমাত্র এই সম্বল আইসিইউতে রোগী সেবা পাওয়ায় বহু মানুষের জীবন রক্ষা পায়।
তিনি জরুরি ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠানের আইসিইউ বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবল দেয়ার দাবি জানান।
৩ বছর আগে
জনবল সংকটে নীলফামারীর কুষ্ঠ হাসপাতাল
আট একর জমির ওপর ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নীলফামারী সরকারি ২০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্ঠ হাসপাতাল। জেলা সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানায় অবস্থিত হাসপাতালটিতে এক সময় দেশের উত্তরাঞ্চালের আট জেলার কুষ্ঠ রোগীদের একমাত্র ভরসার স্থল ছিল।
৪ বছর আগে
কুমিল্লায় জনবল সংকটে বন্ধ ১৩ রেলস্টেশন
কুমিল্লা, ১৩ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- জনবল সংকটের কারণে কুমিল্লা অঞ্চলে গত এক যুগে ১৩টি রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেশন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
৫ বছর আগে