সরবরাহ
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ চায় ঢাকা
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। আগামী দিনগুলোতে আরও 'জনগণের সম্পৃক্ততার' ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তিনি ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের ঘটনাবলী সম্পর্কে একটি অত্যন্ত অতিরঞ্জিত মিডিয়া প্রচারণার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ইউনূসের প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংগঠনগুলোর আহ্বান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা এ ধরনের বক্তব্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারত সরকারের দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যাক্ত করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সরকার সকল ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শন সহ্য করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কনস্যুলার সেবা বন্ধ: মার্কিন দূতাবাস
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে সাহসী ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অজর্ন করেছে।
বৈষম্য ও অন্যায় দূর করার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত শক্তি স্বৈরাচার ও নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক নিয়োগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সাহসী ছাত্র আন্দোলন অচিরেই একটি নিয়মভিত্তিক, ন্যায়পরায়ণ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে বিপ্লবী সংগ্রামে রূপ নেয়।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থী ও জনগণের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে সম্মত হন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
জনগণের, বিশেষ করে যুবসমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার অর্থবহ সংস্কার ও দীর্ঘস্থায়ী রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে সম্পৃক্ততা আবারও অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
২ মাস আগে
নিম্নমানের অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধে এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প-কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাজারে মানহীন অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের সরবরাহ রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
রবিবার (২ জুন) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ডিজাস্টার অ্যান্ড এক্সপ্লোশন বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যেকোনো ভবন বা কারখানা নির্মাণের সময় অগ্নি নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মানহীন ফায়ার সেফটি সরঞ্জাম কারা বাজারে আনছে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য ইসাবসহ এই খাতের সব অংশীজনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
অগ্নি নিরাপত্তাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
তিনি বলেন, অনেকে বাড়ি নির্মাণে দামি উপকরণ ব্যবহার করেন কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তার জন্য কোনো খরচ করেন না। সম্পদ ও জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে ফায়ার সেইফটি এবং সিকিউরিটির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ফায়ার সেইফটির প্রয়োজনীয়তা, যন্ত্রপাতির বাজার ও চাহিদা, আমদানি নির্ভরতা, স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি করার কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইসাবসহ ফায়ার সেইফটি ইকুইপমেন্ট শিল্পের অংশীজনদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নকল ও মানহীন সরঞ্জাম বাজারজাতকারীদের তথ্য স্ট্যান্ডিং কমিটিকে সরবরাহের আহ্বান জানান কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. নিয়াজ আলী চিশতি।
বিষয়টি নিয়ে ইসাবের উদ্যোগে বিএসটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এফবিসিসিআই ও বিএসটিআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ইসাব এবং সহযোগী সংগঠনগুলো নকল পণ্য রোধে আরও কঠোর হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিএসটিআই, এনবিআরসহ সব অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজনের কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় পর্যায়ে ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্টের উৎপাদন শুরুর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
এছাড়াও নকল ও মানহীন যন্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে ভোক্তাদের সচেতন করা, মানহীন পণ্য আমদানি নিরুৎসাহীতকরণ, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক ফায়ার কোড বা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানির ব্যয় হ্রাস, ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ সাজসজ্জায় নিরুৎসাহিতকরণ, ফায়ার সেইফটি শিল্প এবং এই খাতের ট্রেডিং হাউজের জন্য অভিন্ন কাস্টমস ডিউটি নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি কনসালটেন্সি সার্ভিসের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া, পাঠ্যক্রমে অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়কে আরও গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
সভায় আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব, মো. আবুল হাশেম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবু নাইম মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন কমান্ডার ফয়সালুর রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে এফবিসিসিআইর আহ্বান
৫ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর বুধবার(২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ৯৩ শতাংশ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পেরেছে। এছাড়া ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) ৮৭ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সোমবার(২৭ মে) বিআরইবির প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে, যা ৯৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ
একই সময়ে ডব্লিইজেডপিডিসি তার ২ লাখ ৮২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করেছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহকের ৮৭ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২৫ হাজার জনবল কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য ডব্লিউজেডপিডিসি জনবল নিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৫ মাস আগে
সিলেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন, নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সোমবার (১৫) এপ্রিল সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন শুধু ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে আছে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
এদিকে আগুনের ঘটনায় বড় কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সিলেট নগরীর বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। তবে সিলেট জেলার বাকী অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘৩৩কেভি গোলাপগঞ্জ উপজেলা সরবরাহ লাইনের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।
অগ্নিকাণ্ডে সিলেটের অনেকই জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আর পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন ৫টি ফিডারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি দুটিও কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। ফলে সিলেট নগরীতে ৩১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ১০টি দোকান
৬ মাস আগে
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
৭ মাস আগে
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি, ঢাকায় গ্যাসের ঘাটতি কমে আসবে এবং দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, দেশে ফ্লোটিং স্টোরেজ ও রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) থেকে আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
‘এর মধ্যে একটির শিগগিরই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত শীতকালে গ্যাস সরবরাহে কিছু সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু প্রায় ৮০ শতাংশ আবাসিক গ্রাহক এখন এই তরল গ্যাস ব্যবহার করছে, তাই সরকার এলপিজি সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা ও আশপাশের এলাকার গ্রাহকরা পাইপলাইন গ্যাস ব্যবহার করে, অবশিষ্ট গ্রাহকরা এলপিজি ব্যবহার করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি মোট গ্রাহক থেকে শিল্পভিত্তিক গ্রাহকদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে গৃহস্থালি গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ লাখ।
তিনি আরও জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের সব গ্রাহকের জন্য গ্যাস মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
শীত মৌসুমের শুরু থেকেই তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে দেশবাসী। কিন্তু শুক্রবার এফএসআরইউগুলোর মধ্যে একটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিলে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। তবে এফএসআরইউ মেরামত করে চালু করা হলে চট্টগ্রাম ও আশপাশের গ্যাস সরবরাহে সামান্য উন্নতি হয়।
এদিকে, ৪৫ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে থাকা আরেকটি এসএফআরইউও পুনরায় কাজ শুরু করে যার ফলে সরবরাহে আরেকটু উন্নতি হয়। কিন্তু গ্যাস সংকট পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কোনো কোনো এলাকায় প্রচণ্ড গ্যাস সংকট এবং কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপ খুবই কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
৯ মাস আগে
সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ-মাংসের দাম বেশি
সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলু ছাড়া শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাংস ও মাছের দাম ছিল চড়া।
সবজির দাম কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হারুন অর রশীদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজিসহ সব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মৌসুমের এই সময়ে আলু, টমেটো ও গাজরের দাম সাধারণত প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু মান ভেদে এসব জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির মধ্যে।
এই অতিরিক্ত দাম অবসরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের গোষ্ঠীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমালে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারে শীতকালীন সবজির প্রায় সবগুলোই বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সূর্যমুখী ফুলে আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে অসন্তোষ রয়ে গেছে মাছ ও মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি (পাকিস্তানি জাতের) ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনেক স্থানে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন সর্বত্র ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন বাদামি ডিম (মুরগি) ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, সাদা ডিম ৫-১০ টাকা কম। হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং দেশি গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
কয়েক মাস আগের তুলনায় এখন মাছের দাম বেশি। তবে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য মাছের মধ্যে আড়াই কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ (চাষের) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল ও ইলিশ মাছ কেজিতে ৬০০ টাকার নিচে নয়।
কারওয়ান বাজারে কোরাল, বোয়াল, নদীর পাঙ্গাসের মতো বড় সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১১০০ টাকায়।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তার অফিস থেকে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
শফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জেলার হিমাগার পরিদর্শন করে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ পেয়েছেন, যদিও দাম বাড়তি ছিল।
পেঁয়াজ ও আলুর উচ্চমূল্য অব্যাহত থাকলে সরকার এসব পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশে ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
খামারের ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষের মাছ দেশের লাখ লাখ দরিদ্রের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।
নাজের বলেন, এ ধরনের সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী তাদের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
৯ মাস আগে
ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি, তাই বিনিময় হার কমানো যৌক্তিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিবির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, গত বছর স্বল্পমেয়াদী বৈদেশিক ঋণের দায় ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।
এছাড়া চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তাৎক্ষণিক ডলার পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ এখন চাহিদার চেয়ে বেশি। ফলে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও জানান ওই মুখপাত্র।আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে মার্কিন ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডলার পরিষেবা এবং পণ্য ক্রয় এবং পরিষেবা ঋণ এবং বৈদেশিক দায় পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
এখন আমদানি মূল্য মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে ডলারের চাহিদা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার এক বছরের ও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারের বিনিময় হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম ০.৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
এছাড়া আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় বাফেডা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এক বৈঠকে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী কিনতে ডলারের দাম হবে ১১০ টাকা এবং রপ্তানি আয় হবে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা।
তবে প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারে। এর ফলে সুবিধাভোগীরা অভ্যন্তরীণ প্রবাসী আয়ের জন্য ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন বিবৃতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো এখনো ডলার প্রতি ১২১ টাকা বা তার বেশি হারে প্রবাসী আয় কিনছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
১১ মাস আগে
মিশরকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি ইসরায়েলের
বুধবার ইসরায়েল বলেছে, তারা মিশরকে গাজা উপত্যকায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেবে। গাজার একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে শত শত মানুষ নিহত এবং গাজার সংগ্রাম করা চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টির একদিন পর ওই অঞ্চলে ১০ দিনের অবরোধের প্রথম ফাটল দেখা দেয়।
গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাত রোধের আশায় ইসরায়েল সফর করার সময় পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণাটি ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণের পেছনে কারা ছিল তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি করা হলেও অনেক আরব নেতা ইসরায়েলকে দায়ী বলে মন্তব্য করায় বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাজায় হামাসের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি বিমান হামলাকে দায়ী করে বলেছেন, এতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েল তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং ভিডিও, অডিও ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করেছে যা দেখায়- গাজায় সক্রিয় আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের রকেট মিসফায়ারের কারণে বিস্ফোরণটি হয়েছিল। ইসলামিক জিহাদ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে কোনও দাবি বা প্রমাণ যাচাই করেনি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস গাজায় হামলা চালানোর পর পরই ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজার অনেক পরিবার দিনে এক বেলা খাবার কমিয়ে দিয়েছে এবং নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হয়েছে।
বাইডেন বলেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট ক্রসিংটি খুলে দিতে এবং মানবিক সহায়তাসহ ২০টি ট্রাকের একটি প্রাথমিক দলকে প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, হামাস যদি সহায়তা বাজেয়াপ্ত করে, তাহলে তা ‘শেষ হয়ে যাবে’। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে।
উত্তর সিনাইয়ের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান খালিদ জায়েদ জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হওয়া সীমান্তের ওপারের রাস্তাটি মিশরকে অবশ্যই মেরামত করতে হবে। ২০০টিরও বেশি ট্রাক এবং প্রায় ৩ হাজার টন পরিমাণ সহায়তা রাফাহ ক্রসিংয়ে বা তার কাছাকাছি অবস্থান করছে। স্থানটি মিশরের সঙ্গে গাজার একমাত্র সংযোগ।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি আল-আরাবিয়া টিভিকে বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহায়তা সরবরাহ করা হবে। বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকদের দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রসিংটি স্বাভাবিকভাবে চলছে এবং (ক্রসিং) সুবিধাটি মেরামত করা হয়েছে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, বাইডেনের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েল মিশর থেকে খাদ্য, পানি বা ওষুধ সরবরাহ ‘বাধা দেবে না’, যতক্ষণ না তারা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং হামাসের কাছে না যায়। বিবৃতিতে জ্বালানির কোনো উল্লেখ করা হয়নি, যা হাসপাতালের জেনারেটরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
১ বছর আগে
সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাজারে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য তৎপরতা চলছে।’
তিনি বলেন, বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে আমদানি বাধা অপসারণ, শুল্ক হ্রাস, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিককরণ, বন্দরে দ্রুত ছাড়পত্র নিশ্চিতকরণ, এলসি খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্য আমদানি তদারকিসহ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, চিনি ও ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত শুল্কহার আরও যৌক্তিক করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ওষুধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে সড়কে যাতে কোনো ধরনের বাধা না পড়ে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পোল্ট্রি মার্কেটে অনিয়ম বা একচেটিয়া আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনির স্থানীয় বাজার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়ে সময়ে সমন্বয় করা হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের দর বৃদ্ধি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘যার প্রভাব মশলাদার পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে মোট বাণিজ্য ঘাটতি ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
অন্যদিকে নেপাল, শ্রীলঙ্গা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ সংসদে পাস
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১১ লাখ ২৫ হাজার প্রবাসী কর্মী বিদেশে নিযুক্ত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, জনশক্তি রপ্তানির জন্য ১৮টি দেশ ও হংকংয়ের সঙ্গে চুক্তি/সমঝোতা স্মারক রয়েছে।
কুয়েত, কাতার, ওমান, লিবিয়া, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডান, বাহরাইন, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, কম্বোডিয়া, গ্রিস ও জাপান।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মাল্টা, আলবেনিয়া, রোমানিয়াসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে চুক্তি/সমঝোতা স্মারক সইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
১ বছর আগে