সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সোমবার (১৫) এপ্রিল সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন শুধু ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে আছে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
এদিকে আগুনের ঘটনায় বড় কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সিলেট নগরীর বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। তবে সিলেট জেলার বাকী অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘৩৩কেভি গোলাপগঞ্জ উপজেলা সরবরাহ লাইনের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।
অগ্নিকাণ্ডে সিলেটের অনেকই জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আর পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন ৫টি ফিডারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি দুটিও কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। ফলে সিলেট নগরীতে ৩১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ১০টি দোকান