উখিয়া
উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
রবিবার(১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ আমিন উখিয়া ৩ নং ক্যাম্পের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আরসা ও আরএসও'র সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
তাদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। পরে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১১ মাস আগে
উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে উখিয়া পালংখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মোহাম্মদ কবির আহমদ (২৮) কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী শুক্রবার (১২ মে) দুপুর ২টার দিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের মুখোশধারী দুর্বৃত্তের দল হঠাৎ রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে এনজিও এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, কী কারণে এ যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দস্যুদের গুলিতে ৪ বনকর্মী আহত
খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
১ বছর আগে
উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ ‘আরসা’ সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় শুক্রবার সকালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চার সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটককৃতরা হলেন-মো. জোবায়ের (২০), নুর মোহাম্মদ (২৫), জামিলা বেগম (৪৮) ও বিবি (১৬)। তারা সকলেই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা।
১৪-এপিবিএন কমান্ডার সৈয়দ হারুনুর রশিদ সাক্ষরিত এপিবিএন মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী ছামিউদ্দিনসহ ১০ থেকে ১৫ জন আরসা সদস্য সেখানে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নটি ক্যাম্পের ৭ নম্বর ব্লকের জি ব্লকে অভিযান চালায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা এপিবিএন সদস্যদের ওপর গুলি চালায় বলে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, এসময় তারা (এবিপিএন সদস্যরা) নিজেদের জীবন রক্ষার স্বার্থে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়; এ ঘটনায় একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
আরও জানানো হয়, বন্দুকযুদ্ধের পরে এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প নং সি ব্লকে আরেকটি অভিযান চালায়, কারণ তারা জানতে পারে যে ছামিউদ্দিনসহ আরসা কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ছামিউদ্দীনসহ সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গুলিবিদ্ধ একজনসহ চারজনকে অস্ত্রসহ আটক করে এবিপিএন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি চারটি ওয়ান শুটারগান, চাইনিজ রাইফেলের ৩০ রাউন্ড গুলি, ২৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, শটগানের পাঁচটি কার্তুজ, তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন, চারটি ওয়াকিটকি, পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
১ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে একটি ব্লকের হেড মাঝি নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ হোসেন ওরফে কালা বদ্দা উখিয়ার কুতুপালং ২- ইস্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি।
১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ছৈয়দ হারুন উর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৈয়দ হোসেন সকালে ঘর থেকে বের হন। আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী অতর্কিতভাবে তাকে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নারী নিহত, হেড মাঝি আহত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
১ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার।
তিনি বলেছেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেখুন এটি কোনো নাশকতা কিনা, ষড়যন্ত্র কিনা; সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সিলিন্ডারে রান্নাবান্না করেন। সেখানে পাশেই আমাদের সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগলে নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি সে রকমই ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখবো। সে নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসায় হামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আহমদনগর এলাকায় কয়েক হাজার কাদিয়ানি ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রতিবারই তারা দুদিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এবারও সেই অনুষ্ঠান করতে যাওয়ায় তাদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর অ্যাকটিভিস্ট ও বিএনপি নেতারা একসঙ্গে জড়িত হয়ে তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরায়। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন ধরায়।
তিনি বলেন, ‘এতে একজন কাদিয়ানি সদস্য মারা যায়। মারামারি করতে গিয়ে একজন জামায়াতের সদস্যও আহত হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে সাতটি মামলা হয়েছে। ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে সমাবেশটি বন্ধ করতে আসছিলেন। ঘটনাগুলোর নেপথ্যে তিনিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, সেখানে র্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। র্যাবের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। যারাই মামলা দিচ্ছে, মামলা নেয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার তারা এতোটা মারমুখী কেন হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা; সেটাও আমরা দেখছি। আমাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমরা দেখছি, সেটি নিয়ে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা অবশ্যই দেখবো, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকালে উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএন-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমদ।
নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম রফিক (৩৫)। তিনি ক্যাম্প-১৯ ব্লক-এ/৯ এর দিল মোহাম্মদের ছেলে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে পিটিয়ে ও পরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এএসপি ফারুক আহমদ জানান, মুখে কালো কাপড় বাধা ১০-১৫ জনের সশস্ত্র দল শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্প-১৯ এলাকার রোহিঙ্গা রফিককে তার নিজ ব্লক থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এএসপি ফারুক আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বিকাল ৫টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রফিক নামের ওই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারসহ পাঁচজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আরসা কমান্ডার ডা. রফিক (৫৪), সদস্য মোহাম্মদ রফিক (২০), নুরুল আমিন (৩৪), মোহাম্মদ রফিক (২১) খায়রুল আমিন (৩২)। তারা সবাই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উখিয়া বাজারে আরসা’র আহত সদস্যদের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে এলে অভিযান চালায় আর্মড পুলিশ ও র্যাবের দল। এসময় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও পুলিশ লাঞ্ছিতসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তাদের মামলা দিয়ে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
১ বছর আগে
উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী নবী হোসেন গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রেজুআমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের ফের গোলাগুলিতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামংখালীর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নারী-পুরুষ দু’জন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। এ সময় সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের ২০-৩০ অস্ত্রধারী বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট উভয় পক্ষের গোলাগুলি চলে। পরে অস্ত্রধারীরা মিয়ানমারের পাহাড়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে বিজিবি তাদের লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি এর অধিনস্থ বালুখালী বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার-২০ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব কোণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী নামক এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল নিকটাবস্থানে টহলরত থাকা অবস্থায় দ্রুত উক্ত সংঘর্ষ এলাকায় গমন করে রণকৌশলগত অবস্থান নেয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে ফায়ার শুরু করে।
উক্ত সময়ে বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থানে থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ফায়ার করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বালুখালী বিওপি হতে অতি দ্রুত আর একটি টহল দল প্রতিহতরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিওপি হতেও আরও একটি টহল দল পিকআপ যোগে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করে।
বিজিবি তড়িৎ এবং সুসংহত তৎপরতায় উক্ত ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এছাড়া ফায়ারের ঘটনায় বিজিবি টহলদলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন সদস্য আহত/নিহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
বর্তমানে সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
১ বছর আগে
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ হোসেন (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বালুখালী ক্যাম্প-১৮ ইস্টে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত
নিহত হোসেন ব্লক-৮ এর মোহাম্মদ শফিকের ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা বা হেড মাঝি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই নুর হাশেম জানান, সকালে মোহাম্মদ হোসেন বাড়ির পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, একদল সন্ত্রাসী হঠাৎ এসে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত: জৈন্তাপুর পুলিশ
১ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মঙ্গলবার ভোররাতে এক রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শাহাব উদ্দিন (৩৫) ছিলেন ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একজন সাব-মাঝি। তিনি ওই ক্যাম্পের এইচ/১৪ ব্লকের মনির আহমেদের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তার বাড়িতে ঢুকে ২০ থেকে ৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা তার বুকে, ডান হাতে ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছুরিকাঘাত করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শিবিরে একাধিক গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার ফলেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটল। নিহতের পরিবার ও অন্যদের কাছ থেকে হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
তিনি বলেন, পরবর্তী যেকোনো ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
১ বছর আগে