খন্দকার মোশাররফ হোসেন
আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ইঙ্গিত মোশাররফের
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং আন্দোলন সফল করতে দলের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
শনিবার রাজধানীর এক সমাবেশে বক্তৃতায় তিনি জনগণের ওপর গুলি না চালাতে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দেন।
এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে অংশ নিতে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কঠোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ‘দুঃশাসন’, লুণ্ঠন ও দমন-পীড়নে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
'মিথ্যা মামলায়' দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কমলাপুর এলাকার পীর জঙ্গী মাজার সড়কে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখা।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'গায়েবি' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঘন ঘন বিদ্যুত বিপর্যয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের 'সবক্ষেত্রে' দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ হিসেবে আরও ২০টি নগর ও জেলায শহরে সমাবেশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার খুলনায় এবং শনিবার লালমনিরহাট, রাজবাড়ী ও পটুয়াখালীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ হামলা ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা প্রশাসন এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে মনে করিয়ে দিতে চাই তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক…আপনাদের জনগণের সেবা করার কথা। কিন্তু আপনারা এখন দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুলি চালাচ্ছেন।’
তিনি জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে আপনাদের অনেকের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) অনেক সমস্যায় পড়ার আশংকা আছে। তাই আমরা বলছি আপনারা এখনই নিজেদের সংশোধন করুন। আপনারা এখন থেকে জনগণের পক্ষে দাঁড়ান। ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, যারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের ওপর গুলি চালাবে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে, দেশের জনগণ ও তাদের সরকার তাদের ক্ষমা করবে না।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসতে গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাট ও দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ তাদের ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেশবাসীকে চরম সমস্যায় ফেলেছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকার রাজনীতিকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে বলে দেশে আইনের শাসন নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। ‘তাই মানুষ এখন এই সরকারের পতন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ‘যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, অতীতের মতো বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে উচ্ছেদ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা বিএনপির দায়িত্ব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা হামলা করলে তাদের দলও পাল্টা হামলা করবে।
তিনি ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিন্দা করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যারা মানুষের ওপর গুলি চালাচ্ছে তাদের মনে রাখতে হবে যে সবসময় আপনার ইউনিফর্ম থাকবে না। যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যা করছে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
১ বছর আগে
আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সবক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতায় জনগণ বিরক্ত হওয়ায় শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও গণঅভ্যুত্থান হবে।
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ভয়ে তারা আমাদের ঢাকায় সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। আমি বলতে চাই দেশে আজ বা কাল বিস্ফোরণ নয়, গণঅভ্যুত্থান হবে; কারণ জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।’
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অতীতে পাকিস্তান শাসনামলে জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের মতো শক্তিশালী একনায়ককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।
মোশাররফ বলেন, ‘এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারী শাসক বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষ বারবার স্বৈরাচারী শাসকদের পদত্যাগে বাধ্য করেছে। শ্রীলঙ্কা পারলে আমরাও পারব ইনশাআল্লাহ। খুব শিগগিরই বাংলাদেশে সেই দিন আসবে।’
বুধবার জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ‘লুট’ করেছে: নজরুল
রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের বিষয়ে মোশাররফ বলেন, সরকারের ব্যর্থতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে এখন মানুষের জীবন নিরাপদ নয়।
দেশে খারাপ কিছু ঘটার জন্য বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর জন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিন্দা করেন।
মোশাররফ বলেন, ‘সরকার বলেছে (সিদ্দিক বাজার) বিস্ফোরণে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। পঞ্চগড়ে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে...একজন মন্ত্রী এলাকায় যেতেই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন বলেছে যারা আপনাদের সঙ্গে এসেছে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে এবং আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীরা বলেছেন এতে বিএনপির হাত থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে কম উদ্বিগ্ন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারের গাফিলতি ও ব্যর্থতার কারণেই এসব বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো তাদের (সরকার) ব্যর্থতার কারণে আক্রান্ত হয় এবং তাদের গুণ্ডা ও ক্যাডাররা এ ধরনের হামলা চালায় ও এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। কিন্তু তারা অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএনপি
জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের দলের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার কী করছে বা করছে না, সে বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নের বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের দলের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করা।
আরও পড়ুন: এবার ১৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন, দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে তারা চিন্তিত নন, কারণ তাদের মূল ফোকাস এখন সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের দিকে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। কারণ ক্ষমতাসীন দল তাকে দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সকালে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: হামলা ও বাধার মধ্যেই ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করল বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
১ বছর আগে
আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সকল মহানগর ও জেলা সদরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল শাসন চালু হয় এবং গণতন্ত্র ধ্বংস হয়। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি জানাতে আগামী ২৫ জানুয়ারি বিএনপি সব শহর ও জেলায় দেশব্যাপী সমাবেশ করবে।’
এর আগে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে এবং সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনার প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করেন।
সকল মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভা সদরে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
গত ১১ জানুয়ারি বিএনপি দেশব্যাপী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) পৃথকভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে এবং ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ দেশের ৯টি বিভাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
১ বছর আগে
সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধকতার ৫১ বছর পরও আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠা। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এই সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আমরা সমগ্র দেশের জনগণ সঙ্গে নিয়ে এই শাসককে উৎখাত করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বলপ্রয়োগ করে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই সংসদ গঠন করেছিল এবং ২০১৮ সালে তারা রাতে ভোট দেয়। তারা এখন আবারও দেশে একটি একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য ১০ দফা দাবি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের দল ক্ষমতায় এলে কীভাবে দেশ মেরামত করবে তার একটি রূপরেখাও তারা উপস্থাপন করবেন। ‘আসুন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সেই রূপরেখা এবং ১০ দফা নিয়ে এগিয়ে যাই। দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার এই দিনে আমরা শপথ নিই।’
মোশাররফ বলেন, লাখ লাখ মানুষ সারাদেশে তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে বার্তা দেয় যে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতি ও বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে এবং সমাজকে কলুষিত করেছে তারা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং জনগণ যে পরিবর্তন চায় তা আনার দায়িত্ব এখন বিএনপি, সব জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির।’
এর আগে সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
পরে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় তুলে নিয়ে যায়।
এ উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
১ বছর আগে
সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের অবহেলার কারণে দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থবারের মতো দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের গাফিলতির কারণে এমনটি হচ্ছে।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, চীন ভাইরাস সংক্রমণের একটি নতুন ঢেউয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। যা বাংলাদেশ সরকারের জন্য কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি সতর্কতার আহ্বান ছিল। কিন্তু সরকার কিছুই করেনি। এ বিষয়ে কোনো মনোযোগ দেয়া হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আক্ষেপ করে বলেন, সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার কারণে বিএনপি নেতাসহ অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস ও তার ধমনীতে ব্লকেজ সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এবং মির্জা ফখরুল সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বন্যা সম্পর্কে মোশাররফ বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষ যখন চরম দুর্বিপাকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তখন বিভিন্ন নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে, নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। ‘এটি ঘটছে ভারত থেকে উজানের পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে।’
তিনি বলেন, বর্ষায় ভারি বর্ষণে ভারত ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়, তাই বাংলাদেশের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না, আমরা ডুবে যাই। আর যখন আমাদের প্রয়োজন হয়, তখন ওই বাঁধগুলোর কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ থাকে না। আমাদের নদীগুলো মৃতপ্রায় পরিণত হচ্ছে এবং আমাদের কৃষি, আমাদের জীববৈচিত্র্য সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
মোশাররফ বলেন, ‘সরকার শুধু ক্ষমতায় বসার জন্য জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে। এটা জনগণের সরকার নয়। এরা জনগণের কথা কমই চিন্তা করে। এই সরকার কেবল নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে।’
তিনি বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
২ বছর আগে
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। খবরের কাগজে দেখেছেন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ কীভাবে অমানবিক জীবনযাপন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে বিপর্যয়কর বন্যা মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
মঙ্গলবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তারা (সরকার) অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিল। জনগণের ভোটের সরকার যদি না হয় তাহলে জনগণের কষ্ট, জনগণের দুঃখ প্রাধান্য পায় না, পায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ।’
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য ইস্যু অব ওয়াটার শেয়ারিং বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শিরোনামে এ অলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার এখন পর্যন্ত হিসাব করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, জয়েন্ট রিভার কমিশনের কোনো রিপোর্ট ছাড়াই বৈঠকে মন্ত্রী শুধু লিপ সার্ভিস দিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের অনেক এলাকা যখন বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছিল, তখনও ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা উজান থেকে পানিতে ডুবে থাকি যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না। আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন উজানের পানি অন্য অঞ্চলে (ভারতের) প্রবাহিত করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যমুনা নদীর ওপর একটি বড় সেতু নির্মাণ করা হলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচে গরুর গাড়ি চলে। ‘ভারতে ব্যারেজ এবং বাঁধের জন্য এটি ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভারতের সাধারণ নদী থেকে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী তাদের গভীরতা ও প্রস্থ হারাচ্ছে, যার ফলে বর্ষাকালে বন্যা হয়।
মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
২ বছর আগে
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের দ্বারা ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মম হামলা এবং ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের ওপর নিপীড়ন সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে…আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অপরাধীরা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।’
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিষ্ঠুর’ হামলারও তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, তাদের ঊর্ধ্বতনদের কু-পরামর্শে সহপাঠীদের ওপর হামলার অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের রেহাই দেয়া হবে না। আগামী দিনে জনগণের আদালতে আপনাদের অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (ছাত্রলীগের সদস্যদের) সতর্ক করতে চাই যে আপনাদের সিনিয়র নেতাদের প্ররোচনায় নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন না। জনসমর্থনের অভাবে সরকার ছাত্রদের সন্ত্রাসীতে পরিণত করছে এবং স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী স্টাইলে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের ব্যবহার করছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকারের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ‘দেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে; এখানে জনগণের ভোটাধিকার সহ কোনো অধিকার নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষও অসহায় হয়ে পড়েছে।’
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, তাদের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ‘দেশ ও বিদেশে সর্বত্র এই শাসকগোষ্ঠী সমর্থন শূন্য হয়ে গেছে। তাই এই সরকার ও শেখ হাসিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি দুর্বল শাসন এবং এটি অপসারণের জন্য শুধুমাত্র একটি ধাক্কা প্রয়োজন।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল রাজপথে গণজাগরণ সৃষ্টি করে সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। ‘আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় রক্ত দিয়ে এই শাসকদলকে অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
২ বছর আগে
অর্থ পাচার মামলা: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি। এর আগে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ। সেখানে বিস্তারিত জানোনো হবে।
পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
এর আগে গত বছরের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্নিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।
পড়ুন: কারা অর্থ পাচার করে জানি না, একটি তালিকা আমাকে দেন: অর্থমন্ত্রী
অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে জানিয়ে জনগণ কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভোক্তা পর্যায়ে দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা এবং এক চুলার দাম ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম তিনগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। আমরা এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকার কয়েকদিন আগে জ্বালানি তেল, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, এতে জনগণের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং ক্ষমতাসীনদের বড় কমিশন পাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লুটপাট ও ‘দুর্নীতি’ করে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ নিয়ে তারা কোনো চিন্তা করে না।
মোশাররফ বলেন, ‘আমরা এ সরকারের অন্যায় কর্মকাণ্ড আর সহ্য করব না। এই সব অন্যায় থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) শান্তিরক্ষা মিশনে নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রায় ১২টি মানবাধিকার (এইচআর) সংস্থার জাতিসংঘে চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল মানুষের ওপর দমন-পীড়নের পরিণতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন জানে যে বাংলাদেশে কোনো মানবাধিকার নেই... বাংলাদেশের একটি সংস্থা ও তার কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সর্বস্তরের জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মোশাররফ।
আরও পড়ুন: ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রত্যাখান বিএনপির
২ বছর আগে