জীববৈচিত্র্য
হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি: শাহাব উদ্দিন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের অনন্য বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে হালদা নদীর ৯৪ কিলোমিটার এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বনভূমি সংরক্ষণে বন বিভাগের কর্মচারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় জীববৈচিত্র্য কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র হালদা নদী নয়, দেশের সব অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। একাজে সফল হতে সর্বস্তরের জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ পরিবেশ ও জীববৈচিত্রে্যর সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মো.শাহাব উদ্দিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সকল ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকল উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল পরবর্তী বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের জন্য কমপক্ষে আটশ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা প্রয়োজন। মোট বরাদ্দের ৫০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বরাদ্দ করা প্রয়োজন।পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত কনভেনশন অন বায়োলজিকাল ডাইভার্সিটি, জীববৈচিত্র্য প্রটোকল এবং নাগোয়া প্রটোকলে স্বাক্ষর করেছে। এ লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে জীববৈচিত্র্য আইন এবং জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২১ চালু করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ৪৮টি সংরক্ষিত এলাকা এবং ১৩টি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সহযোগে দেশের পাঁচ দশমিক ৭৭ শতাংশ এলাকা প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, চারটি সমুদ্র এলাকা সহযোগে মোট সমুদ্র এলাকার ছয় দশমিক ২০ শতাংশ এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অর্থায়ন দ্বিগুণ করবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তি হস্তান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লিন এনার্জি, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনমূলক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইইউ’র সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ বিশ্ব গড়তে এখনই উদ্যোগী হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে: পরিবেশমন্ত্রী
২ বছর আগে
সুন্দরবনে লবণাক্ততা বাড়ছে, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুন্দরবনে লবণাক্ততা বাড়ছে। বনের নদী-খালে মিঠা পানির প্রবাহ ক্রমশ কমে যাচ্ছে।এদিকে পলিমাটি জমে বনের বেশকিছু খাল ভরাট হয়ে গেছে। এতে করে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সুন্দরবনে অতিমাত্রায় লবণাক্ততায় সুন্দরী গাছ মরে যাচ্ছে, বন্যপ্রাণীরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ওপর অবাধে বন্যপ্রাণী শিকার ও নদী-খালে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার তৎপরতা তো রয়েছেই। এসব নানা কারণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
এ অবস্থায় সুন্দরবনকে রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি তোলা হয়েছে। জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের দাবি ২১ বছরেও সাড়া পায়নি। অনেক দাবির মধ্যে সুন্দরবনের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিও রয়েছে।
এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার ‘সুন্দরবন দিবস’। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জেলায় গত ২০০২ সাল থেকে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন করা হচ্ছে। করোনার কারণে বিগত বছরের মতো এবারও বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও বরগুনায় ভার্চুয়ালি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
তবে ২১ বছরেও জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সাড়া মেলেনি। সুন্দরবন দিবস পালনের আয়োজকরা প্রথম থেকেই জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের দাবি জানিয়ে আসছে।
দেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় গড়ে উঠেছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি বলা হয়। সুন্দরবন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের’ আবাসস্থলও। তাছাড়া দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দেয়াল হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে সুন্দরবন। বিভিন্ন সময়ে সুপার সাইক্লোনে নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে চলেছে সুন্দরবন। সুন্দরবন বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনও বলা চলে।
আরও পড়ুন: সাত মাসেও আলোর মুখ দেখেনি ‘সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প’
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন এলাকায় ২০টির ওপর খাল পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়া জয়মনি থেকে দাসের ভারানী পর্যন্ত ভোলা নদী, খড়মা খাল ও আড়ুয়ারবেড় খালের ৩০ কিলোমিটার এলাকা ভরাট হয়ে গেছে। সুন্দরবনের মধ্যে লবণাক্ততাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুলনার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ২০০১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রূপান্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাপাসহ ৭০টি সংগঠন যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করে। উক্ত সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের দাবি জানানো হয় সরকারের কাছে।
তিনি জানান, আজ পর্যন্তও জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের সাড়া মেলেনি। ২০০২ সাল থেকে সুন্দরবনসংলগ্ন জেলাগুলোতে সুন্দরবন একাডেমি, সুন্দরবন বিভাগ, বিভিন্ন প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠন ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন করে আসছে।
নির্বাহী পরিচালক জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এ বছরও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থান।’
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কাদির বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনে লবণাক্ততা বেড়ে চলেছে। মিঠা পানির উৎস কমে গেছে। বনের বেশকিছু খাল পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে আছে এবং বিভিন্ন এলাকায় চড় জেগেছে। বনে লবণ পানির আধিক্য বেশি। অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে সুন্দরীসহ বিভিন্ন গাছ নানা রোগে মারা যাচ্ছে। লবণ পানি খেয়ে বন্যপ্রাণী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র হুমকির মুখে।
তিনি বলেন, তারা সুন্দরবন সংরক্ষণ ও বনসংলগ্ন মানুষের জীবন জীবিকার মানউন্নয়নের জন্য সুন্দরবন পরিচালনার ক্ষেত্রে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি পূরণ হলে বন এবং বনসংলগ্ন মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নানা ভাবে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জীবিকার জন্য বনের ওপর মানুষের চাপ রয়েছে। বন রক্ষায় বনসংলগ্ন স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি জানান।
আমীর হোসাইন আরও জানান, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে অরক্ষিত সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী
সুন্দরবনের ইতিহাস:
সুন্দরবনের মোট আয়াতন ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থল ভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ ও জল ভাগ এক হাজার ৮৭৩ বর্গ কিলোমিটার। অষ্টাদশ শতব্দীতে সুন্দরবনের আয়তন ছিল বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্যকে বিশ্বঐতিহ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১৭ সালে সরকার সুন্দরবনে অভায়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করে। মোট ছয় লাখ এক হাজার ৭০০ হেক্টর বনের মধ্যে এখন তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর অভয়ারণ্য এলাকা। আগে ছিল মাত্র এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর।
সুন্দরবন জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি ইকোসিস্টেম। এই বনে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর উত্তম আবাসস্থল। ২০০১ সালে সুন্দরবনের প্রশাসনিক এলাকা দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। পূর্ব বন বিভাগের কার্যালয় বাগেরহাটে ও পশ্চিম বিভাগের কার্যালয় খুলনায় অবস্থিত।
নামকরণ
সুন্দরবনের প্রধান উদ্ভিদ প্রজাতি ‘সুন্দরী গাছ’। কারো কারো মতে সুন্দরী গাছের নাম অনুসারে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা বনের নাম হয়েছে সুন্দরবন। আবার সমুদ্রের কাছে অবস্থান হওয়ায় ‘সমুন্দর’ শব্দ হয়ে প্রথমে ‘সমুন্দবন’ ও পরে ‘সুন্দরবন’ নামকরণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
লবণাক্ততা
সুন্দরবনের পূর্ব থেকে পশ্চিমে ও উত্তর থেকে দক্ষিণে লবণাক্ততার পরিমাণ পর্যাক্রমে বেশি। সুন্দরবনের সর্বত্র মাটির লবণাক্ততার পরিমাণ ২-৪ দশমিক ৫ ডিএস/এম। তবে শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে লবণাক্ততার পরিমাণ ছয় ডিএস/এম মধ্যে থাকে। পানির লবণাক্ততার ওপর নির্ভর করে সুন্দরবনকে তিনভাবে ভাগ করা হয়েছে, স্বাদু পানির অঞ্চল, মধ্যম লবণাক্ত পানির অঞ্চল এবং লবণাক্ত পানির অঞ্চল।
জীববৈচিত্র্য
সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। সুন্দরবনে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বনজদ্রব্য
সুন্দরবনের প্রধান বনজদ্রব্য হচ্ছে সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, ধুন্দুল ও কাকড়া গাছ। এছাড়া গোলপাতা, হেতাল, ছন, মাছ, মধু ইত্যাদি সুন্দরবনে রয়েছে।
প্রাণী
সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির অধিক বন্যপ্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ প্রজাতির সরিসৃপ, ৩১৫ প্রজাতির পাখি ও ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী অর্ন্তভুক্ত। ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৪৩ প্রজাতির মলাঙ্কা রয়েছে সুন্দরবনে।
বন্যপ্রাণী
সুন্দরবনের প্রধান প্রধান বন্যপ্রাণী হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বন্যশকুর, বানর, কুমির, ডলফিন, কচ্ছপ, উদবিড়াল, মেছো বিড়াল ও বন বিড়াল ইত্যাদি।
বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুসারে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি, এক থেকে দেড় লাখ হরিণ, ৫০ হাজার বানর, ২৫ হাজার বন্যশকুর ও ২৫ হাজার উদবিড়াল রয়েছে।
নদী-খাল
সুন্দরবনে নদী-খাল জালের মতো জড়িয়ে আছে। সুন্দরবনে ৪৫০টি ছোট বড় নদী-খাল রয়েছে। বনের প্রধান নদীগুলো হচ্ছে পশুর, শিবসা, আড়পাঙ্গাসিয়া, শেলা, মরজাত, ভদ্রা, যমুনা, রায়মঙ্গল ও ভোলা ইত্যাদি।
পর্যটন স্থান
গোটা সুন্দরবন জুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। এর মধ্যে করমজল, কটকা, কচিখালী, দুবলারচর, হিরণপয়েন্ট, কলাগাছিয়া, মানিকখালী, আন্দারমানিক ও দোবেকী এলাকায় পর্যটকরা বেশি ভ্রমণ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
২ বছর আগে
সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’র
সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্কার বিজয়ী হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা (বাংলাদেশ সময়) তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন,‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন প্রতিষ্ঠিত সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন, যা জীববৈচিত্র্যের একটি অসাধারণ পরিমণ্ডলকে রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল জোগান দেবে।’
সেন্টমার্টিনের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবিও টুইটে শেয়ার করেছেন ডিক্যাপ্রিও। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সৌজন্যে এটি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
তার এই টুইটটি ৫০০ বারের বেশি রিটুইট হয়েছে। টুইটারে তার ফলোয়ার ১ কোটি ৯৫ লাখের বেশি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বন্যপ্রাণী রক্ষায় লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর ৩ মিলিয়ন ডলার
২ বছর আগে
পৃথিবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শংকা, মানুষের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভাবার আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের বর্তমান কর্মকাণ্ডগুলো অব্যাহত থাকলে শুধু অন্য প্রজাতিই বিলুপ্তি হবে না, নিজেদেরকেও চূড়ান্ত বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাবে।
৪ বছর আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বনেতাদের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য বিষয়ক চলমান সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় রোধে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬৪টি* দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
৪ বছর আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষা: ছোট নদী, খাল, জলাভূমি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা সরকারের
সারা দেশে খাল, জলাভূমি ও ছোট নদী পুনরুদ্ধার এবং এগুলোর নাব্যতা, পানি সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভূগর্ভস্থ পানি পুনরায় জমা করাসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য পুনরায় খননের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
৪ বছর আগে