তিনি বলেন, ‘আমরা কেবলমাত্র অন্যান্য প্রজাতির বিলুপ্তির কারণই হচ্ছি না, আমরা যদি আমাদের কর্মকাণ্ডগুলোকে নিয়ন্ত্রণ না করি, তাহলে প্রকৃতপক্ষে মানবজাতিকে চূড়ান্ত বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সদরদপ্তরে জীববৈচিত্রের ওপর ‘লিডার্স ডায়ালগ: হারনেসিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, অ্যাক্সেস অ্যান্ড বেনিফিট শেয়ারিং অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফর ডায়োভার্সিটি’ শীর্ষক সম্মেলনে ধারণকৃত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘টেকসই উন্নয়নের জন্য জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তার মধ্যে রয়েছে- টেকসই উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগের সময় জীববৈচিত্র্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে; শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং নিজ নিজ দেশের আইন ও তদারকি ব্যবস্থ জোর করতে হবে। তবে তার আগে পৃথিবী ও মানবজাতিকে রক্ষায় বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ একটি আন্তঃনির্ভরশীল বিশ্বে বাস করছে, যেখানে পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতির ইকোসিস্টেমটিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) ও লন্ডনের জুয়োলজিক্যাল সোসাইটির তথ্য অনুসারে ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বন্য জীবনের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মিষ্টি পানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু মিষ্টি পানির জীববৈচিত্র্য বিশ্বে দ্রুততম হারে হ্রাস পাচ্ছে এবং শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ জলাভূমি হারিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপরটি মৌলিক নীতিমালায় স্থান দেয়া হয়েছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের ব্যাপারে আদেশ জারি করেছিলেন।
‘জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত কনভেনশনটি বাস্তবায়নের জন্য আইন প্রণয়নকারী কয়েকটি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি বলেও উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।