কোটি টাকা
সাবেক এমপি আলাউদ্দিনের হাজার কোটি টাকা পাচারের শাস্তি চেয়ে দুদকে আবেদন
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের ঘটনায় ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর পরশুরামের আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম এক সময় ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রটোকল। নাসিমের বাড়ি সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরাম পৌরসভার গুথুমা গ্রামে। যার তিন পাশে সীমান্ত। তার নেতৃত্বে এই সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা থেকে অবৈধভাবে মাদক, ফেন্সিডিল, গরু, শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক আসে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় স্বর্ণ। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার পদবি ব্যবহার করে প্রশাসনে বদলি, পদায়ন থেকে শুরু বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ কোম্পানির লাইসেন্স করে দেওয়া কাজ শুরু করে আলাউদ্দিন নাসিম।
এতে আরও বলা হয়, আলাউদ্দিন নাসিম দেশটিকে বানিয়েছিলেন অনিয়ম ও দুর্নীতির ‘স্বর্গরাজ্য’। বালুমহাল, টেন্ডারবাণিজ্য, সালিশিবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্য ও সীমান্ত থেকে চোরাকারবারী চলত তার নির্দেশে। তিনি মিস্টার টোয়েন্টি পার্সেন্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন দেশব্যাপী। তাকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন না দিলে কোনো টেন্ডারই পেতো না ব্যবসায়ীরা। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই তিনি বুঝে নিতেন তার কমিশনের টাকা। বিভিন্ন সময় দুর্নীতির কারণে অনেকেই ধরা পড়লেও সব সময় অন্তরালে থেকে গেছেন দুর্নীতির বরপুত্র খ্যাত আলাউদ্দিন নাসিম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া সিন্ডিকেটের গডফাদার আলাউদ্দিন নাসিমের হাত ধরে দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পতিত শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হওয়ায় বিনা পুঁজিতে ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বিদেশে পাচার করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা।
ডাচ-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এস আলমের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেডের মালিকানাও রয়েছে নাসিমের। প্রতিমাসে ব্যাংকে এসএস পাওয়ার থেকে মোটা অঙ্কের চেক নাসিমের এবং তার ওয়াইফ অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজুর নামে জমা হয়। শুধু এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে বিদেশে পাচার করেন তিনি। জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
২০২৪ এর নির্বাচনী হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমি ১০ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৭ টাকা, তার স্ত্রীর ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৬ টাকা, অকৃষি জমি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্ত্রীর ৭৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
তার রয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৬ টাকা মূল্যের তিনটি দালান (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) রয়েছে। ১২ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২০ টাকা মূল্যের ৬টি ও তার স্ত্রীর ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০১ টাকা মূল্যের ৪টি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আলাউদ্দিন নাসিম, রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় এনই(কে) ব্লকের ৮৩ নং সড়কের ১৩/বি প্লটটি জমি ও ভবনসহ কিনে নেন। জমির পরিমাণ ১২ কাঠা। গুলশানে জমির সর্বনিম্ন মূল্য কাঠা প্রতি ১০ কোটি টাকা, সেই হিসেবে হাসিনার এই সাবেক এপিএস গুলশানে ১২ কাঠা জমি ক্রয় করেন ১২০ কোটি টাকায়। যদিও তার হলফ নামায় এই জমির বিস্তারিত উল্লেখ নেই।
নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার ও স্ত্রীর মোট ১০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিমের মদের গুদাম আছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এমপি ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশ-বিদেশে নামে-বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ। এ ছাড়াও কানাডায় রয়েছে বাড়ি-গাড়ি।
২০১৪ সালের ২০ মে সকালে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় গাড়িতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এই পুরো ঘটনাটি ঘটে আলাউদ্দিন নাসিমের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলাউদ্দিন নাসিম আত্মগোপনে চলে যান।
ফেনীর পরশুরামে ৩০ একর জায়গায় ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ। জোরপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে কলেজের জন্য কৃষিজমির জায়গা দখল করে নেওয়া হয়। ফিল্মিস্টাইলে লাল কাপড় লাগিয়ে এস্কেভেটর দিয়ে শুরু করেন মাটি কাটা। লাল পতাকা টাঙানোর পর বলা হতো, এই জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পরে দেখা যায়, অধিগ্রহণ নয়, মানুষ জানতে পারেন দখল করা হয়েছে। নাসিম কলেজের নামে কয়েক বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আলাউদ্দিন নাসিমের বাবা একাত্তরের রাজাকার ছিল। ২০১৩ সালে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঢোকানো হয়। ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা নামধারী রাজাকার সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মারা গেলে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে দাফন করা হয়! পজির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেনীর পশুরাম উপজেলা উত্তর গুথুমা গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট ফেনী মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশিত ০৯ সদস্য বিশিষ্ট পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগীদের তালিকায় ৭ নম্বর নামটি ছিল আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের বাবা সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর। কালের বিবর্তনে ৪২ বছরের ব্যবধানে এই রাজাকার ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল সরকারের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। যা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
৪৪ দিন আগে
‘অস্বিত্ব নেই বেক্সিমকোর ১৬ কারখানার, ঋণ গ্রহণ ১২ হাজার কোটি টাকা’
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ৩২টি কারখানার মধ্যে ১৬টির কোনো অস্বিত্ব না থাকলেও এসব কোম্পানির নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ১২টি কারখানাকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃকপক্ষ বন্ধ করেছে, যা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বর্তমানে সেখানে মাত্র ৩টি কারখানা চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত ৩২টি কারখানার বিপরীতে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকাসহ বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট ব্যাংক ঋণ বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে শুধুমাত্র জনতা ব্যাংকের পাওনা ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘গত সরকারের লুটপাটের একটা উদারহরণ এটি। সর্বোচ্চ ব্যাংক লুট এটি।’
উপদেষ্টা বলেন, গত ২১ জানুয়ারি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মচারী ও শ্রমিকরা গাজীপুরের শ্রীপুর মায়ানগর মাঠে জমায়েত হয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দিয়েছিল যে, ২২ জানুয়ারি বিকাল ৩টার মধ্যে কারখানা খুলে না দিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ শাটডাউন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
সাখাওয়াত বলেন, সরকার গত বছরের ২৪ নভেম্বর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে পারিপার্শ্বিক শিল্প স্থাপনাদি ও জনজীবনে সৃষ্ট অভিঘাত পর্যালোচনা ও তৎপ্রেক্ষিতে করণীয় কার্যকর ব্যবস্থার সুপারিশ তৈরির জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট 'বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি' গঠন করেছে।
এসময় বিগত কয়েক মাসে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার হিসাবও তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অর্থ বিভাগ ৫০ কোটি টাকা এবং সরকারের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অত্যধিক ঋণগ্রস্ত অবস্থায় কারখানাগুলো চালানোর জন্য কোনো ব্যাংকই তাদেরকে নতুন ঋণ দিতে পারছে না।
আরও পড়ুন: সাভারে বেক্সিমকো শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ৩ গাড়িতে আগুন
৫৫ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুসহ কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার তাদের ৪৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী বাংলাবাজার, বিছনাকান্দি, দমদমিয়া, সোনারহাট, তামাবিল, কালাইরাগ, কালাসাদেক, উৎমা এবং সংগ্রাম বিওপির সদস্যরা মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এসব পণ্য জব্দ করে।
জব্দ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বড় সংখ্যার ভারতীয় গরু, বিপুল পরিমাণ চিনি, গার্নিয়ার ক্রিম, সুপারি ও মদ। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ আটক করা হয়।
আটককৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ১৪ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ
৭১ দিন আগে
ফেনী সীমান্তে কোটি টাকার পণ্য জব্দ
ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযানে ভারতীয় ২০ কেজি গাঁজাসহ ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বার) রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযানে পণ্যগুলো জব্দ করা হয়।
জব্দ করা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিপুল পরিমাণ ভারতীয় লেহেঙ্গা, শাড়ি, কাশ্মিরী শাল, থ্রি পিস, চশমা ও ২০ কেজি গাঁজা।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার রাজেষপুর, দেবপুর, ছাগলনাইয়া, চম্পকনগর ও মধুগ্রাম বিওপির টহলদল সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় ভারতীয় ২০ কেজি গাঁজাসহ বিপুল পরিমাণ লেহেঙ্গা, শাড়ি, কাশ্মিরী শাল, থ্রি পিস, চশমা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, বিজিবি’র অভিযানে গাঁজাসহ ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।
এছাড়া জব্দ করা পণ্যগুলো কাস্টমস এবং গাঁজাগুলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতীয় কসমেটিক্সসহ ৫০ লাখ টাকার পণ্য জব্দ
১১৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী এলাকার হুদাপারায় প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ৮৭০ গ্রামের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটেলিয়ন।
আরও পড়ুন: যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও
বিজিবি জানায়, বুধবার দুপুর ২টার সময় গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী হুদাপাড়ায় রাস্তায় অবস্থান নেয় বিজিবি। এসময় একজন লোক মোটরসাইকেল নিয়ে সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি ওই মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের ভেতরে কসটেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
১৪০ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
এক সময় তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এখন উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে আমানতকারীদের আস্থা বৃদ্ধির কারণেই এই পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন করে আস্থা ফিরে আসা সত্ত্বেও ২০২৪ সালের আগস্টে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি বছরে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আর এটিই ব্যাংকগুলোর মধ্যে তারল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে ৪৬টি ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। যার মধ্যে চারটি শরিয়াহভিত্তিক এবং ৪২টি প্রচলিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর মধ্যে উদ্বৃত্ত তহবিলের শীর্ষে রয়েছে সোনালী ব্যাংক। এরপর রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আমানতকারীরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ তারা মনে করেন তাদের কষ্টার্জিত অর্থের জন্য বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হয় এসব প্রতিষ্ঠানে।
এই পরিবর্তনের ফলে সরকারি ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে।
বিপরীতে শরিয়াভিত্তিক বেশ কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা কম অনুকূলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
এস আলম গ্রুপের মতো বড় শিল্পগোষ্ঠী একাধিক ব্যাংক অধিগ্রহণের পর বেশ কয়েকটি আমানতকারী এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদের তহবিল তুলে নিয়েছলেন।
এস আলম, বেক্সিমকো ও সিকদার গ্রুপের মতো গ্রুপের বিরুদ্ধে বড় আকারের ঋণ খেলাপির কারণে শরিয়াহভিত্তিক ও প্রচলিত কিছু ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, বৃহত্তর ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যাংক বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তারল্য ধরে রেখেছে।
বেসরকারি ঋণে নীতিগত প্রভাব
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাহাদ আবদুল মান্নান বলেন, বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিকে দায়ী করা যেতে পারে, যার লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।
উচ্চ সুদের হার এবং স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামাও উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সন্ধানে নিরুৎসাহিত করেছে। এর ফলে অনেক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত তারল্য সরকারি বন্ড ও বিলে পুনর্নির্দেশিত করেছে।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক অধিগ্রহণের আগে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা মান্নান বলেন, বেসরকারি খাতের ঋণ বিতরণে স্থবিরতার কারণে ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডে নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে।
ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের অধিকাংশ ব্যাংকে পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে। বেসরকারি খাতের ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেকেই মানসম্মত ব্যাংকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে ট্রেজারি ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ব্যাংকের বাইরে প্রচলিত নগদ অর্থ যেমন কমছে, তেমনি প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার বেশি হওয়ায় আমানত বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনেয়ারা শিখা বলেন, শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। ফলে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণেই এ খাতের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ঊর্ধ্বগতি প্রবণতায় ৩৫৮.২২ কোটি টাকার লেনদেন
১৪৭ দিন আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলন: পূর্ব রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতায় ভাঙচুর করা হয়েছে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ট্রেনের বগি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথ। এতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রেলওয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেল সূত্র বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় চারটি ট্রেনের ৪০টি বগি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রেল চলাচল না করায় চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করে। তাছাড়া জনগণের নিরাপত্তায় সরকার কারফিউ জারি করে। ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত ১৮ জুলাই থেকে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ রাখে। কার্যত এর পর থেকে আর কোনো রেল চলাচল করেনি।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে গতকাল শুক্রবার চারটি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকা, সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন সিলেট, সকাল সাড়ে ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারী এবং ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন হাটহাজারী স্টেশনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রতিটি ট্রেনে বিজিবি চট্টগ্রাম থেকে এক প্লাটুন করে সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
এসব তাণ্ডবের পর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দপ্তরপ্রধানদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে বলেছে, দুষ্কৃতকারীরা রেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যিক বিভাগের, এরপর যান্ত্রিক বিভাগের।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে একমত, আলোচনায় বসতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চারটি ট্রেনের ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের চারটি বগি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।
রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল না করায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। এর পরিমাণ ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেনে। বৈঠকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ-আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি ফখরুলের
২৩৫ দিন আগে
কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যে অপারেশন করতে দেশের বাইরে গেলে লাগত এক কোটি টাকা, বাংলাদেশে সেটি করা হয়েছে বিনামূল্যে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের দশম তলায় নাভা ও নোভা নামের দুই শিশুর জোড়া মাথার সফল অস্ত্রোপচার শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতি বছর মেডিকেলের পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোনো রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি। যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয়নি। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোনো কাজ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে। আজ বিএসএমএমইউতে নাভা ও নোভা নামের দুটি শিশুর জোড়া মাথা আলাদা করার অপারেশন সাকসেসফুল (সফল) হলো। এটি সাধারণ কোনো কাজ নয়।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমাদের অভিজ্ঞ বড় একটি চিকিৎসক টিম একটানা ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় অপারেশন করে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হতো।
বাংলাদেশে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ফান্ডিং বৃদ্ধি করার বিষয়ে গ্লোবাল ফান্ড প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলে অনেক কাজ করার রয়েছে।
এগুলোর পাশাপাশি দেশব্যাপী বার্ন বা পোড়া অনেক রোগীর নানাবিধ চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলের সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য সেবাখাতে অর্থায়ন বাড়ালে এসব রোগ বাংলাদেশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যেই যেমন নির্মূল করা সম্ভব হবে, একইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের মানও বেড়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, নাভা-নোভার মাসহ অন্যান্য সিনিয়র চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩৯৩ দিন আগে
বগুড়ায় কোটি টাকার তক্ষকসহ আটক ১
বগুড়ার গাবতলীতে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ লেবু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছে থাকা তক্ষকটি জব্দ করে পুলিশ।
লেবু গাবতলী উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার মৃত শামসুল ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গাবতলী মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাবতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তক্ষকসহ লেবু মিয়াকে আটক করে। এ সময় চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। তক্ষকটির দৈর্ঘ্য ১১ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম, যার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, লেবু মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- সে চোরাচালান চক্রের হোতা। তার সঙ্গে আরও সদস্য রয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তক্ষকটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৭: শেরপুর থেকে বাসচালক ও হেলপার আটক
বগুড়ায় পিকনিকের বাস থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য আটক
৩৯৪ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান, কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কমলনগরের হাজিরহাট বাজারে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলো- সফিক স্টোর, হোসেন স্টোর ও শিমুল স্টুডিওসহ আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাজারে হঠাৎ আগুন দেখতে পায়। মুহূর্তের মধ্যেই পাশের থাকা অন্য দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ'র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের ভয়াবহতা ছিল বেশি। তারপরও সময় মতো আসাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লেগে আটটি দোকান পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
পুরান ঢাকার জুতা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
৪০৪ দিন আগে