কৃষিপণ্য
কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্ট্যাডি করতে চাই।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, মার্কেট দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোনো জমি খালি রাখতে চাই না। যেসমস্ত জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা ও সঠিক মাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও তৈরি পোশাক শিল্পের মতো দৃষ্টি পাচ্ছে না পাট: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশবান্ধব কৃষিপণ্য হওয়া সত্ত্বেও দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মতো পাট প্রত্যাশিত মনোযোগ ও প্রণোদনা পায়নি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন এবং ছয়টি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে গার্মেন্টস শিল্পকে প্রণোদনা দিই… কৃষিপণ্য হওয়া সত্ত্বের পাটকে ততটা দেয়া হয় না। পাটের জরুরি ভিত্তিতে সেই সুযোগ দরকার। আমি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য 'আসুন দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ি'।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় পাট দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এসেছে এবং এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে গভীরভাবে সচেতন করে তোলার ফলে সেই সুযোগ আবারও দেখা দিয়েছে। পাট একটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। পাট থেকে অসংখ্য পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, দেশের গবেষকরা এ বিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। পাটের ওপর আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি’র (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম এবং বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বস্ত্র খাতের উন্নয়নে অবদানরাখার জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন জেলায় ছয়টি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে।
কলেজগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের গৌরনদীতে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, নওগাঁয় শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জে বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, ভোলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং জামালপুরে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক দাম নির্ধারণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং কৃষকদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কিছু লক্ষ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করে নীতিটি তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, নীতিমালায় কৃষিপণ্যের বাজার কীভাবে মনিটরিং করা যায় এবং কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া যায় তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নীতি অনুসারে নেয়া অন্যান্য পদক্ষেপগুলো হলো- কৃষক ও বাজারের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো, তথ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, বিপণন অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডিজিটাল বাজারের প্রচার, গ্রুপভিত্তিক, গোষ্ঠীভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক বিপণনকে শক্তিশালী করা, ই-কৃষি বিপণনের প্রচারের অন্তর্ভুক্ত সিস্টেম এবং ডিজিটাল বাজার এবং সামগ্রিক সরবরাহ চেইন উন্নয়ন করা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ খাতের আধুনিকীকরণ, পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা পণ্য ব্যবহার করে এবং বিদেশি লোকেরাও পণ্যগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পাটজাত পণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পাট খাতকে কৃষি খাতের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ৯০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, পাটজাত পণ্যকে শিল্প পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু এখন পাটের আঁশের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাই, এখন এই বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পাটজাত পণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
শরীয়তপুরে দেশের নবম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এটি বর্তমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ইনস্টিটিউট হবে।’
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা একটি বিদ্যমান অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে, যা সরকারকে গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পথ প্রশস্ত করেছে।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’- বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে জারি করা হয়েছিল।
গত ৫ জানুয়ারি সংসদে নতুন অধ্যাদেশ পেশ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ এখন আইনে পরিণত হচ্ছে। এখানে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এটি অধ্যাদেশের মতোই।’
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
১ বছর আগে
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ল্যাব আধুনিকায়ন হচ্ছে
কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের ঝুঁকিমুক্ত আমদানি নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক বিদেশে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কার্যক্রম গতিশীল করতে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেজন্য, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ই-ফাইটোসেনেটারী সার্টিফিকেট পদ্ধতি প্রবর্তন এবং দেশের সকল সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবরেটরি আধুনিকীকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটে ‘স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি এবং টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড’ বিষয়ক পাবলিক কনসাল্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে: কৃষিসচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যের উল্লেখ করে সচিব জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক পণ্য রপ্তানি আয় ছিল ২৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোট পণ্যরপ্তানি আয়ের প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এছাড়াও কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এখন জিডিপিত প্রায় ১.৭ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে। মোট রপ্তানিতে এর অংশ এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৫ শতাংশ।
সচিব বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা উদ্ঘাটন এবং তা দূর করার জন্য বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) ‘স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি এবং টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড শীর্ষক গবেষণা পরিচালনা করছে।
এটি দেশের কৃষি এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিএফটিআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের ডিজি হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের পরিচালক মিজানুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং পরিচালক সৈয়দ রফিকুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
২ বছর আগে
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তার জন্য দেশের কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে কৃষিপণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের এক বা দুটি রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না।’
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পুরস্কারটি দেশের কৃষির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে স্বাবলম্বী করা ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বৃদ্ধিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা এটি মনে রাখা উচিত। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী ও কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
২ বছর আগে
কৃষিপণ্যের মান উন্নয়নে সহযোগিতা দিবে ডেনমার্ক
কৃষিপণ্য ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ডেনমার্ক। এর পাশাপাশি কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নিবে ডেনমার্ক।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যলয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন (Winnie Estrup Petersen) এ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ও এগ্রিবিজনেসে ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও ট্রেড মিশন পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
এই সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। দেশের আম, আনারস, কলা, টমেটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এক্ষেত্রে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রয়োজন। উত্তম কৃষিচর্চা (জিএপি) মেনে খাদ্য উৎপাদনেও ডেনমার্কের সহযোগিতা দরকার।
এছাড়া পূর্বাচলের দুই একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে ডেনমার্কের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে দুই দেশের কৃষিখাত, ডেইরি, নিরাপদ খাবার, খাদ্য অপচয় কমানো, ফুড ভ্যালু চেইন ও ল্যাব উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, কৃষিখাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ব্যাপারেও দুই দেশ সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ডেনমার্ক ও ডব্লিউএফপির’র সমর্থন বৃদ্ধির নিশ্চয়তা
ডেনিস রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব এসএম ইমরুল হাসান, ডেনমার্কের ঢাকা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আলি মুস্তাক বাট প্রমুখ।
২ বছর আগে
কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিপণ্যের সঠিক বিপণনের জন্য দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মহামারিকালেও চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। উৎপাদনে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বড় বড় কোম্পানিগুলো এগিয়ে না আসলে সুষ্ঠু ও টেকসই বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে না।
মন্ত্রী বুধবার সকালে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘মহামারিতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং সরবরাহ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদন একটু বেশি হলেই বিপণনে সমস্যা দেখা দেয়। এ বছর আম ও আলুর উৎপাদন বেশি। তবে দাম কম। বর্তমানে কৃষকেরা আলু বিক্রি করতে পারছেন না। প্রক্রিয়াজাত করে আমের জুস, জেলি, আলুর চিপস প্রভৃতি ব্যাপক হারে করতে পারলে বিপণনে সমস্যা হতো না। কৃষকেরা ভাল দাম পেতো। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই ও ডিসিসিআইকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: ধর্মান্ধদেরকে দেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বিএসটিআইর মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার, কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সালেহ আহমেদ, ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনকেএ মুবিন, এনএটিপির উপদেষ্টা মাহবুব আলম, ফুডপান্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারিন রেজা প্রমুখ ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মানসম্পন্ন পণ্যের রপ্তানি নিশ্চিত করতে ঢাকার শ্যামপুরে ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ’ আধুনিকায়নে ১৫৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সরকারের এখন লক্ষ্য হলো কৃষির প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষিকে লাভজনক করা। এজন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আরও বাড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন ও উদ্যোক্তাদের আরও কীভাবে সহায়তা দেয়া যায়, সেটা আমরা চিন্তা করছি।’
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারকদের’ সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাকবলেন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কীভাবে যেতে পারে, সরকার এর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য, যারা রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে তাদেরকে সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। কৃষি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালেরও যোগান দিয়ে থাকে। এ কাঁচামাল যোগান দিয়ে আমরা যে প্রক্রিয়াজাত পণ্য পাচ্ছি সেটা বিদেশে রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো আমাদের রপ্তানিটা বেশির ভাগ তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমিত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রায় শতকরা ৮০-৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তার সাথে সাথে কৃষি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। আমরা যদি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি এবং নিরাপদ সবজি ও ফলের নিশ্চয়তা দিতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে পারব।’
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
সভায় বক্তারা কৃষিপণ্য রপ্তানিতে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সঞ্চালনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক মোহম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ এসিআই, প্রাণ-আরএফএল এবং সবজি ও ফল রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের নেতারা বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেসরকারি শিল্পোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেশি করে বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি শিল্পোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন সারা বছরই বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। টমেটো, আনারস, আলুসহ বেশির ভাগ কৃষিপণ্যের ভরা মৌসুমে দাম কম থাকে। অনেকক্ষেত্রে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব পণ্যের প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবে। সেজন্য দেশের বেসরকারি শিল্পোক্তাদেরকে প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টিভি আয়োজিত ‘এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও বেশির ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার বিস্তৃত হওয়ার মাধ্যমে শিল্পায়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিখাতে পুরস্কার প্রদান একটি মহৎ উদ্যোগ। এ ধরনের পুরস্কার প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে আরও উৎসাহিত হবে।’
আরও পড়ুন: ৪-৫ বছর পরে কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না: কৃষিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নীতিমালার খসড়া অনুমোদন
নিরাপদ ও মানসম্পন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোগ করা পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়ায় উত্তম কৃষি চর্চার লক্ষ্যে সোমবার ‘বাংলাদেশ গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস প্রলেসি-২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
৩ বছর আগে