দাবি
জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক নির্দোষ: দাবি পরিবারের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫৩তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক আরজু মিয়াকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
পরিবারটি অভিযোগ করে বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাঁচির মৃত্যুর পরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমানোর জন্য প্রশাসন তড়িঘড়ি করে রিকশাচালক আরজু মিয়াকে ফাঁসিয়েছে। আরজু মিয়াকে নির্দোষ দাবি করে তাকে দ্রুত মুক্তির প্রার্থনা করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এই অভিযোগ করেন তারা।
এসময় আটক রিকশাচালক আরজু মিয়ার মেয়ে আরজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা আরজু মিয়া একজন দর্জি। তিনি সৎভাবে ব্যবসা করেন। এলাকার সবার কাছে তার একটা সুনাম আছে। পাশাপাশি তিনি অটোরিকশা কিনে রং করে পুনরায় বিক্রি করেন। জাবি শিক্ষার্থী রাঁচি যখন মারা যায় তখন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা বাজে। সেইসময় আমার বাবা এলাকার দোকানে বসে ছিলেন। তার অবস্থান সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও আছে— যা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে জমা দিয়েছি।’
আরজু মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ তাই কিছুই করতে পারি না। কেউ আমাদের সহযোগিতাও করে না। বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি বার বার কেউ সহযোগিতা করেননি। ভিসি স্যারের কাছেও গেছি কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমার পরিবারের একমাত্র আয়-রোজগার করতো আরজিনার বাবা। তিনি জেলে যাওয়ায় এখন আয় বন্ধ। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার স্বামী অসুস্থ। তার মুক্তি চাই।’
আরও পড়ুন: পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, এটি একটি সেনসিটিভ ইস্যু। বিষয়টি তদন্তের প্রক্রিয়ায় আছে তাই এখন আপাতত কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে আমরা চাই নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়। প্রকৃত অপরাধী শাস্তির আওতায় আসুক—এটাই চাই।
এর আগে, গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫৩ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আফসানা কারিম রাচি ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২৪ নভেম্বর ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী গেরুয়া এলাকা থেকে আরজু মিয়া নামের এক রিকশাচালককে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
১ দিন আগে
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কুয়েটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অন্যদিকে ভেতরে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কুয়েটের সব ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতের হামলার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল
মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
২৫ দিন আগে
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ শেষে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে একত্রিত হন।
এ সময় তাদের ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘হলে হলে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
ইতিহাস বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূইয়া বলেন, ‘আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী—কারোরই পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অজপাড়াগাঁয়ের একজন কৃষকের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরনগরে পড়াশোনা করতে পারে, তাহলে একজন শিক্ষার্থী যে জাহাঙ্গীরনগরে ছোট থেকে বড় হয়েছে, ভালো স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছে, তার কোনো ধরনের প্রিভিলেজ (সুবিধা) লাগবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।’
‘আমরা বিশ্বাস করি, কোটা একটি প্রিভিলেজ, এটি কোনো অধিকার নয়। এই প্রিভিলেজটা ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দরকার, কিন্তু এটি কোনোভাবেই দরকার না। আজ পোষ্য কোটা চিরতরে বাতিল করার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
আইন ও বিচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাওছার আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দলনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের যৌক্তিক দাবি ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এরই ধারাবাহিকতায় পোষ্য কোটা বাতিল নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করি। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ আমরণ অনশনে বসে। তারপর ভিসি মহোদয় ও সংশ্লিষ্টজনদের মাধ্যমে পোষ্য কোটার যৌক্তিক একটি সংস্কারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে আসে। তবে এই সংস্কারের বিপরীতে পোষ্য কোটার সুবিধাভোগীরা আজ অযোক্তিক আন্দোলন করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থানের সময় তারা এক সাধারণ শিক্ষার্থী ভাইয়ের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। তারই প্রতিবাদে আমরা শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিল ও তাদের হামলার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন: পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে এবার আমৃত্যু গণঅনশন
এর আগে, গত দুদিন ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান পোষ্য কোটা সংস্কারের ঘোষণা দেন।
এর বিরুদ্ধে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। এ সময় তারা পোষ্য কোটার পক্ষে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেললে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
৪০ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি শিক্ষার্থীদের
মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করেন। সমাবেশ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
গতকাল রবিবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৪০ বা ৪১ নম্বর পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। পক্ষান্তরে যারা তাদের চেয়েও দ্বিগুণ নম্বর পেয়েছেন— কিন্ত তারা ভর্তির সুযোগ পাননি।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি প্রফেসর ডা. মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল ওহাব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা কি বৈষম্য নয়?
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'তোমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছ, তখন রাজপথে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দোহা বলেন, 'বৈষম্য দূর করার দাবিতে সফল আন্দোলনের পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ হওয়া উচিত নয়। পাশ মার্ক যখন ৪০ হয়, তখন ৩৭ বা ৩৮ নম্বরের কেউ কীভাবে ভর্তি হতে পারে? আমরা আজ এই বৈষম্যের অবসান দাবি করছি।’
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, 'আগের বছরগুলোতে কাট-অফের সামান্য নিচে নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা কোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু এ বছর কাট-অফের নিচে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করে আজ পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকারও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, 'বাংলাদেশে আন্দোলনের পরও আমরা দেখছি মেডিকেল কলেজগুলোতে অযৌক্তিক কোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি, অথচ অনেকে ৪০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে মেডিকেল ভর্তির ফলাফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানাচ্ছি এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৫৫ দিন আগে
শাবিতে কোটা বাতিল ও ফি কমানোর দাবি
ভর্তি পরিক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল ও ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সমাবেশ করেন তারা। এ সময় সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা ও অতিরিক্ত ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, ‘দেশ থেকে এখনও বৈষম্য দূর হয়নি। যেখানে বিসিএসের ভর্তি ফি ২০০ টাকা করা হয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা আবেদন ফি নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। অতিদ্রুত সব ধরনের ফি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা আহ্বান জানাই।’
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিল বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম সেই বৈষম্য এখনও শেষ হয়নি। জুলাই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা। কিন্তু সেই মেধার অবজ্ঞা করে এখনো কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শুধুমাত্র কোটা রাখা যেতে পারে, কিন্তু পৌষ্য কোটায় যারা ভর্তি হয় তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত ও ধনী পরিবার থেকে আসে। এটা চরম বৈষম্য। এরকম বৈষম্য জুলাই বিপ্লবের শহিদদের সঙ্গে বেইমানি।’
কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী কিরণ হাওলাদার বলেন, ‘আবেদন ফি, ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি কমানোর জন্য দীর্ঘদিন আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বন্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘যেসব বিষয় টেবিলে বসে সমাধান করা যায় সেসকল বিষয় সমাধান করতে যেন আমাদের মাঠে নামতে না হয়।’
৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শুরু হতে যাওয়া আবেদন স্থগিত করে ফি পুনর্নির্ধারণ করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
৭১ দিন আগে
গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছেন।
পুলিশ ও কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
পরে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিকালে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেননি। সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকেরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবিও জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
৮৩ দিন আগে
লাইসেন্সের দাবিতে রবিবার বিক্ষোভের ডাক রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক শ্রমিকদের
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টন মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবুল হালিম মাইজভান্ডারী এসব কথা বলেন।
দাবি পূরণের বিষয়ে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে ইউনিয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম বলেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের ফলে ঢাকা শহরের ৮ থেকে ১২ লাখ মানুষ কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিকশা-ভ্যান-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দফা দাবি পেশ
তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছে।
নাদিম উল্লেখ করেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানবাহন পরিচালনাকারী শ্রমিকরা সরকারকে রাজস্ব দিতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে লাইসেন্স ইস্যু করা হলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় করা সম্ভব।’
তাদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মাধ্যমে লাইসেন্স ও বৈধ রুটের অনুমতি প্রদান।
এর আগে সকালে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চ্যালেঞ্জ সমাধান ও জীবিকা নির্বাহের লক্ষ্যে সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে।
গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে তিন দিনের মধ্যে ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।
১১৩ দিন আগে
আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা'র ব্যানারে কফিন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে 'কফিন মার্চ অব ফ্যাসিজম' ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা একটি কফিন বহন করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আন্দোলনে যারা হাত-পা হারিয়েছে তারা আর কখনো তা ফিরে পাবেন না। শহীদদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগ কেন ফিরবে? আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নেবে? হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সুযোগ এসেছে, কিন্তু দেখছি বড় দলগুলোর নেতারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আমরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এটা হতে দেব না’
তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, 'ফ্যাসিবাদের পতনের ১০০ দিন পরও ফ্যাসিস্টরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তাড়াতে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
১১৬ দিন আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং তিন ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারী লোকজন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা পাননি। এ কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টিঅ্যান্ডজেড কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে এলে যানজট লেগে যায়। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানার দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
১২৭ দিন আগে
বকেয়া মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের আল্টিমেটাম
বকেয়া মজুরির দাবিতে সিলেট আম্বরখানা এলাকায় ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকেরা।
এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকরা রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেন।
এতে করে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। দুই দিনের মধ্যে বকেয়া মজুরি দেওয়া না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।
তবে আগামী দুদিন কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
জানা যায়, ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি পাচ্ছেন না সরকারের ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকরা। বকেয়া মজুরির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনের কারণে ৭ দিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে সরকারি মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগান।
৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ন্যাশনাল টি কোম্পানির সব পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। এতে কোম্পানিতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বন্ধ হয়ে পড়ে কোম্পানির সব বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও মজুরি।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে শ্রমিকরা। ১৭৮ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকরা ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বকেয়া মজুরির দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন এনটিসির মালিকানাধীন বাগানগুলোর শ্রমিকরা। সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে একযোগে আন্দোলন করছেন তারা।
সিলেটে এনটিসির মালিকানাধীন চা বাগানগুলো হলো- লাক্কাতুরা, দলদলি ও কেওয়াছড়া চা বাগান। দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে এনটিসির ১৮টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এই সবগুলো বাগানেই আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, গত দুর্গাপূজার আগ থেকেই তাদের মজুরি ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পূজার সময়ে বোনাস প্রদান করলেও দেড় মাসের মজুরি বকেয়া রয়ে গেছে।
শ্রমিক সজিব মুন্ডা বলেন, যে টাকা মজুরি পাই, তাদিয়ে সংসারই চলে না। কোনরকমে চালাতে হয়। এরমধ্যে দেড় মাস ধরে মজুরি বন্ধ। আমরা বাঁচব কী করে? দোকানে বাকির টাকার অংশ বেকল বড় হচ্ছে। এখন দোকানদারও বাকি দিতে চায় না। ফলে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।
লাক্তাতুরা বাগানের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, আন্দোলনের শুরুতে প্রথমে তারা সিলেটের জেলা প্রশাসরকর কাছে বকেয়া মজুরির দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এরপর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল।
রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা। তিনি নিজেও এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিক।
রাজু বলেন, আমাদের দেড় মাসের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। মজুরি না পেয়ে লক্ষাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কে সরকারে আসল বা গেল তা নিয়ে নিরীহ চা শ্রমিকদের কিছু আসে যায় না। আমরা কোনো রাজনীতিতে নেই। আমরা কেবল আমাদের মজুরি চাই।
এ ব্যাপারে লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আক্তার শহিদ বলেন, শ্রমকিদের মত আমরা নিজেরাও সমস্যায় আছি। আমাদেরও বেতন বন্ধ হয়ে আছে। তবে শুনেছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক বলেন, কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন হয়েছে। সেজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি, দুই থেকে একদিনের মধ্যে চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দেবে সরকার
১৪০ দিন আগে