দাবি
আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা'র ব্যানারে কফিন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে 'কফিন মার্চ অব ফ্যাসিজম' ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা একটি কফিন বহন করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আন্দোলনে যারা হাত-পা হারিয়েছে তারা আর কখনো তা ফিরে পাবেন না। শহীদদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগ কেন ফিরবে? আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নেবে? হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সুযোগ এসেছে, কিন্তু দেখছি বড় দলগুলোর নেতারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আমরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এটা হতে দেব না’
তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, 'ফ্যাসিবাদের পতনের ১০০ দিন পরও ফ্যাসিস্টরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তাড়াতে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
২২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং তিন ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারী লোকজন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা পাননি। এ কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টিঅ্যান্ডজেড কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে এলে যানজট লেগে যায়। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানার দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
১ সপ্তাহ আগে
বকেয়া মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের আল্টিমেটাম
বকেয়া মজুরির দাবিতে সিলেট আম্বরখানা এলাকায় ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকেরা।
এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকরা রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেন।
এতে করে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। দুই দিনের মধ্যে বকেয়া মজুরি দেওয়া না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।
তবে আগামী দুদিন কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
জানা যায়, ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি পাচ্ছেন না সরকারের ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকরা। বকেয়া মজুরির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনের কারণে ৭ দিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে সরকারি মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগান।
৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ন্যাশনাল টি কোম্পানির সব পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। এতে কোম্পানিতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বন্ধ হয়ে পড়ে কোম্পানির সব বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও মজুরি।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে শ্রমিকরা। ১৭৮ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকরা ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বকেয়া মজুরির দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন এনটিসির মালিকানাধীন বাগানগুলোর শ্রমিকরা। সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে একযোগে আন্দোলন করছেন তারা।
সিলেটে এনটিসির মালিকানাধীন চা বাগানগুলো হলো- লাক্কাতুরা, দলদলি ও কেওয়াছড়া চা বাগান। দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে এনটিসির ১৮টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এই সবগুলো বাগানেই আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, গত দুর্গাপূজার আগ থেকেই তাদের মজুরি ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পূজার সময়ে বোনাস প্রদান করলেও দেড় মাসের মজুরি বকেয়া রয়ে গেছে।
শ্রমিক সজিব মুন্ডা বলেন, যে টাকা মজুরি পাই, তাদিয়ে সংসারই চলে না। কোনরকমে চালাতে হয়। এরমধ্যে দেড় মাস ধরে মজুরি বন্ধ। আমরা বাঁচব কী করে? দোকানে বাকির টাকার অংশ বেকল বড় হচ্ছে। এখন দোকানদারও বাকি দিতে চায় না। ফলে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।
লাক্তাতুরা বাগানের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, আন্দোলনের শুরুতে প্রথমে তারা সিলেটের জেলা প্রশাসরকর কাছে বকেয়া মজুরির দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এরপর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল।
রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা। তিনি নিজেও এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিক।
রাজু বলেন, আমাদের দেড় মাসের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। মজুরি না পেয়ে লক্ষাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কে সরকারে আসল বা গেল তা নিয়ে নিরীহ চা শ্রমিকদের কিছু আসে যায় না। আমরা কোনো রাজনীতিতে নেই। আমরা কেবল আমাদের মজুরি চাই।
এ ব্যাপারে লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আক্তার শহিদ বলেন, শ্রমকিদের মত আমরা নিজেরাও সমস্যায় আছি। আমাদেরও বেতন বন্ধ হয়ে আছে। তবে শুনেছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক বলেন, কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন হয়েছে। সেজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি, দুই থেকে একদিনের মধ্যে চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দেবে সরকার
৩ সপ্তাহ আগে
বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরে ৩ কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুরের তিনটি কারখানার শ্রমকিরা।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ
১২ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বাঘের বাজার জোনের পরিদর্শক সুমন মিয়া জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে সকালে কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করেন। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক বন্ধ কারখানার ভেতরে জোর করে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন তারা।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টায় কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
১ মাস আগে
ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
ঢাকায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভিসা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে আকস্মিক বিক্ষোভের জেরে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন।
হাইকমিশনের এক ভারতীয় কর্মকর্তা সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। আমরা কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আমাদের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয়।’
আজকের ঘটনায় তারা কোনোভাবে আস্থাশীল নয় উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত জনগণের অনুরোধে পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং লোকজনকে 'হুমকি দেওয়া হয় এবং আতঙ্কিত'।
ভারতীয় ভিসার দাবিতে হঠাৎ করেই ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) বিক্ষোভ করেছেন ভিসাপ্রত্যাশীরা।
ভারতীয় হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তা জানান, তারা তাদের আবেদনপত্র ঠিক রেখে সব পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন, যাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে আবেদনকারীরা আবার তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারেন।
জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু অনেকে পাসপোর্ট ফেরত চাইছেন, তাই তাদের আবেদন বাতিল না করেই আমরা পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছি।’
মেডিক্যাল ভিসার যেসকল আবেদন এখনো নিষ্পত্তি হয়নি ভারতীয় হাইকমিশন ইতোমধ্যেই সেগুলোর ছাড়পত্র দিয়েছে।
কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টা থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ ভিসা প্রত্যাশী ওই কেন্দ্রে ভিড় করলেও কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। বিকাল ৩টার দিকে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে লোকজনকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
‘ভারতীয় দালালেরা, সাবধান ... এক দফা, এক দাবি- আমরা ভিসা চাই,’ স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি) বাংলাদেশ এর আগে জানিয়েছিল, সীমিত কার্যক্রমের কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় বেশি সময় লাগতে পারে। ‘তাই আমরা এখন পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছি এবং কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলে এটি পুনরায় প্রক্রিয়া করা হবে। আবেদনকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে তার পাসপোর্ট পুনরায় জমা দেওয়ার জন্য অবহিত করা হবে।’
বাংলাদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রম রয়েছে এবং গত বছর ১৬ লাখ মানুষ ভারত ভ্রমণ করেছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যটন উদ্দেশ্যে, ৩০ শতাংশ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশে ভারতীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ভার্মা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
২ মাস আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকদের তিন মাসের ও কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিন্স লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শ্রমিকেরা জানায়, শ্রমিকদের তিন মাসের ও কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তার বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা কারখানার পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। পরে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরানো হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল ব্যাহত
গাজীপুরে বেতন-ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
২ মাস আগে
দ্রুত দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রিজভীর
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা শেখ হাসিনার সৃষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।’
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পুলিশ বাহিনীকে উসকানি দিয়েছে তাদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিক্ষোভ ও আন্দোলন দমনে পুলিশের শর্টগানের মতো নৃশংস অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করাও সরকারের দায়িত্ব।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু শিশু-তরুণদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র তাদের নানা অর্জন পেছনে ফেলে এসেছে। ‘আমরা হাসপাতালে নিষ্পাপ শিশুদের কান্নাকাটি করতে দেখছি এটা শেখ হাসিনার অর্জন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, শর্টগানের গুলি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম মার খেয়ে ১২ বছরের শিশু থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণরা এখনও ঢাকা শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাঁচার জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভয়াবহ বর্বরতা সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি গণতন্ত্রকামী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে এবং পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্রে সুসজ্জিত করে সমগ্র বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দিতে দমন করেছিলেন।’
রিজভী বলেন, ভয়ংকর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করেছিল।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ৮০ বছরে পা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, 'এ অবস্থায় যে সকল শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরেছে, দেশবাসীর মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যারা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন বিএনপির এই জেষ্ঠ নেতা।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় আহত রোগীদের দেখতে হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ পক্ষ থেকে রিজভীসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হামলায় আহত রোগীদের দেখতে হাসপাতালে যান।আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার: ফখরুল
৩ মাস আগে
২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঁবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য নাসিম আখতার ও অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাঁবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম হোসেন খান ও তাজনীন তাজ ছোঁয়া।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে সড়কে অবস্থান নেন। ওই সময় আমাদের নিরাপত্তা না দিয়ে উপাচার্য নাসিম আখতার বিরোধিতা করেছেন। আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দেননি এবং ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দিয়েছেন। পরে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ফোন করে আমাদের হুমকি দিয়েছেন। এতে আমাদের অবস্থাটা কীরকম হয়- বুঝতে চেষ্টা করুন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, উপাচার্য আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বলপ্রয়োগ করে বন্ধ করেছেন ও আমাদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আমাদের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করেননি। যে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই উপাচার্যকে আর দায়িত্বে দেখতে চাই না। অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের যে অস্থায়ী রেজিস্ট্রার আছেন, তাকেও পদত্যাগ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের নতুন উপাচার্য ও স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করে দিতে হবে। উপাচার্য পদত্যাগ ও নতুন নিয়োগের মধ্যবর্তী সময়ে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন প্রশাসনিক কাঠামোর কাছে আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদন থাকবে, খুব দ্রুত স্থায়ী ক্যম্পাসের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বর্তমান উপাচার্যের কাচে এই বিষয়ে বারবার বলা হলেও তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০২০ সালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পর্যন্ত যতগুলো বাজেট এসেছে, সেই বাজেটের টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হয়েছে তার একটি যৌক্তিক প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাশা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভন, এনটিভির চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি শরীফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) চাঁবিপ্রবি উপাচার্য ড. নাসিম আখতার ইউএনবিকে বলেন, যারা আন্দোলন করছেন, তারা যৌক্তিক মনে করছেন বলে পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। তবে আমার মনে হয় না পদত্যাগের মতো কিছু ঘটেছে। আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। আমি নিজ থেকে পদত্যাগ করব না। নতুন সরকার যদি মনে করে এই ভিসিকে রাখব না, তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করব; নচেৎ নয়।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্যকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি
৩ মাস আগে
হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবির ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি দফায় দফায় পরিবর্তন কেন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সম্যকধারণার কিছুটা অভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাদের দাবি পরিবর্তন করা হচ্ছে কেন?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বারবার তারা দাবি পরিবর্তন করছে, একেকবার রাষ্ট্রের একেক অঙ্গের কাছে তারা দাবি জানাচ্ছে, এখানে মনে হচ্ছে তাদের সম্যকধারণার কিছুটা অভাব আছে।’
আরও পড়ুন: অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমসমায়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আছে। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভা। এ তিনটি অঙ্গ কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে যদি ধারণা না থাকে তখনই বিভ্রান্তি তৈরি হয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল করা। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ রাস্তায় আন্দোলন করে পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। এটি পরিবর্তনের একমাত্র উপায়, সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করল যে, সরকারকে কমিশন গঠন করতে হবে। সরকার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সর্বোচ্চ আদালতে আইনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছে। এ অবস্থায় কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা বা সংস্কার করার ঘোষণা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ এটা অসাংবিধানিক। কিন্তু তারা (আন্দোলনকারীরা) সেই অসাংবিধানিক দাবি করা শুরু করল।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে সরকারের পরিপত্র বলবৎ: কোটা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার যখন আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিমাংসার পথে এগোচ্ছে তখন আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করে, বিচারবিভাগ নয়, নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমাধান চায়। অথচ, সর্বোচ্চ আদালতের প্রক্রিয়া পুরোপুরি সমাপ্ত না করে সরকার এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ যখন হাইকোর্ট বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের আংশিক প্রকাশ হলো, সে রায়ে হাইকোর্ট সরকার তথা নির্বাহী বিভাগকে কোটা সংস্কারের জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তখন তাদের দাবি আবার পরিবর্তন হয়ে গেল। এখন তারা দাবি করছে সংসদ বা আইনসভাকে আইন করতে হবে। প্রথমে আদালতের কাছে দাবি, তারপর নির্বাহী বিভাগের কাছে দাবি, তারপর এখন সংসদের কাছে দাবি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি এবং সরকারের অবস্থান একই রকম প্রতীয়মান হওয়া সত্ত্বেও যারা বারবার দাবি পরিবর্তন করে বিভ্রান্তি তৈরি করছে আমি মনে করি তারা কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় না, তাদের অন্য কোনো দুরভিসন্ধি আছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, একটি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, মেধা না কোটা, কোটা না মেধা, মেধা, মেধা। স্লোগানটি খুবই যৌক্তিক। আমি এ স্লোগানের পক্ষে। অবশ্যই মেধা। কিন্তু এই স্লোগানের মাধ্যমে যে বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে সেখানে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত মেধার মাধ্যমে বাছাই করা হচ্ছে। যে কারণে পৃথিবীর সবদেশেই কোটা ব্যবস্থা আছে। কোটার উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বৈষম্য নিরসন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে