ব্যবসার নামে যারা অর্থ লুটপাট করেছেন তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকেরগভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা ব্যবসার নামে সম্পদ লুটপাট করেছে, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং যারা ব্যাংক লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে বলেছি। আমরা ব্যবসায়ীরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,‘আমরা প্রতারণা, লুটপাট ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে। মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।’
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণের কিস্তির মেয়াদ বাড়াতে বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা না হলে অনেক ব্যবসা খেলাপি হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা গভর্নরকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’
মাহবুবুল বলেন, অর্থনীতি সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব ভালো পদক্ষেপে ও দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করবেন।
বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইডিএফের অর্থ বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে তিন মাসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
হাতেম আরও বলেন, ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিকেএমইএ নেতা হাতেম বলেন, 'সব ব্যাংকিং নীতিমালা ঠিক ছিল না, সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইডিএফের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে থাকবে, যারা জালিয়াতি করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস