অগ্নিকান্ড
সেগুনবাগিচায় কর কমিশন ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঢাকার সেগুন বাগিচায় কর কমিশনের ১২ তলা ভবনের চতুর্থ তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভবনের চতুর্থ তলার কার্নিশে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান সিকদার বলেন, ‘দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শ্যামপুরে প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ বছর আগে
২০২১ সালে দেশে ৫৩৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬২৮৪
২০২১ সালে সারা দেশে মোট পাঁচ হাজার ৩৭১ টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এসময় নিহত হয়েছেন ছয় হাজার ২৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন সাত হাজার ৪৬৮ জন। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৯২৭ নারী,৭৩৪ শিশু।
এর মধ্যে দুই হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুই হাজার ২১৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় এক হাজার ৫২৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৯৮ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই সময়ে ৭৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫৯ জন নিহত, ১৯২ জন আহত এবং ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঝালকাঠির সুগন্ধ্যা নদীতে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫১ জন নিহত, ২৩ জন চিকিৎসাধীন এবং অজ্ঞাত সংখ্যক নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়ার ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে তাড়াহুড়া করে নামার সময় ছয়জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে। ১২৩ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকনিক থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক দুর্ঘটনায় নিহতের চিত্র:
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুই হাজার ২১৪ জন (৩৫ দশমিক ২৩শতাংশ), বাস যাত্রী ৩৮৯ জন (৬ দশমিক ১৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি যাত্রী ৪৫৭ জন (৭ দশমিক ২৭শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ যাত্রী ২৭৬ জন (৪ দশমিক ৩৯শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-টেম্পু-লেগুনা) ৯৩৪ জন (১৪.৮৬শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-চান্দের গাড়ি-বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম)৩৫৯ জন (৫ দশমিক ৭১শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-ঠেলাগাড়ি আরোহী ১৩২ জন (২ দশমিক ১০শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দুই হাজার ১৪ টি (৩৮ দশমিক ৪৯শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, এক হাজার ৬৭০ টি (৩১ দশমিক ০৯শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৯৫৪ টি (১৭ দশমিক ৭৬শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৬৬৫ টি (১২ দশমিক ৩৮শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬৮ টি (১ দশমিক ২৬শতাংশ)দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ধরন:
দুর্ঘটনাগুলোর এক হাজার ৫৭ টি (১৯ দশমিক ৬৭শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, এক হাজার ৮১৩ টি (৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, এক হাজার ৫৬৬ টি (২৯ দশমিক ১৫শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৮২২ টি (১৫ দশমিক ৩০শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৩ টি (২ দশমিক ১০শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-কন্টেইনার ২৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক-তেলবাহী ট্যাংকার-লং ভেহিকেল ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ পিকআপ-জীপ ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু) ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি-মেসিগাড়ি-আলগানন) ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং অন্যান্য মোটরযান ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ (কোস্ট গার্ডের ট্রাক, রেকার, ডিসিসি’র ময়লাবাহী ট্রাক, হ্যান্ড ট্রলি, ডাম্পার, পাওয়ারটিলার, মাটি কাটার ট্রাক্টর, ইটভাঙ্গার মেশিন গাড়ি, রোড রুলার, রোড কাটার মেশিন, নির্মাণ সামগ্রীর মিকচার মেশিন)।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা আট হাজার ৩১৫টি। (ট্রাক এক হাজার ৪২৬, বাস ৮১৩, কাভার্ডভ্যান ২৫৪, পিকআপ ৩৭৯, ট্রলি ১৬৭, লরি ৮৩, ট্রাক্টর ১৩২, মাইক্রোবাস ১৯৭, প্রাইভেটকার ১৫৫, এ্যাম্বুলেন্স ৬৬, জীপ ১৮, মোটরসাইকেল ২১২৯, পুলিশ ও র্যাবের পিকআপ ১৬, ড্রাম ট্রাক ২৪, তেলবাহী ট্যাংকার ১৩, লং ভেহিকেল ৪, কন্টেইনার ৫, থ্রি-হুইলার ১৫১৩ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৯১ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু- পাখিভ্যান- বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি- মেসিগাড়ি- আলগানন), বাইসাইকেল- প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-ঠেলাগাড়ি ১৮১ এবং অন্যান্য মোটরযান ৪৯টি (কোস্টগার্ডের ট্রাক ২, রেকার ৪, ডিসিসি’র ময়লাবাহী ট্রাক ৫, হ্যান্ডট্রলি ৩, ডাম্পার ৭, পাওয়ারটিলার ৯, মাটি কাটার ট্রাক্টর ৩, ইটভাঙ্গার মেশিন গাড়ি ৪, রোড রুলার গাড়ি ৩, রোড কাটার মেশিন গাড়ি ২, নির্মাণ সামগ্রীর মিকচার মেশিন গাড়ি ৩ টি)।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৩১৫টি (৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ), সকালে এক হাজার ৬৪১টি (৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ), দুপুরে ৯৩৬টি (১৭ দশমিক ৪২ শতাংশ), বিকালে এক হাজার পাঁচটি (১৮ দশমিক ৭১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ৪৮৯টি (৯ দশমিক ১০ শতাংশ) এবং রাতে ৯৮৫টি (১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ)।
২ বছর আগে
শেরপুরে আগুনে পুড়লো ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
শেরপুরে আগুনে পুড়ে গেছে সদর উপজলার কুসুমহাটি বাজারের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রবিবার (২ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ জানা না গেলেও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে দমকল বিভাগ। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আনুমানিক কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
শেরপুর দমকল বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন তারেক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতের প্রমাণ মিলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই জানান, কুসুমহাটি বাজারটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। যুগ যুগ ধরে এখানে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু রবিবার দিনটি আমাদের জন্য কষ্টের। ভোর ৬টার দিকে আগুনে পুড়ে গেছে ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে ছোট বড় ২০ জন ব্যবসায়ী একদম পথে বসে গেছেন।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা নিহত
আগুনে ভস্মীভূত সাদিয়া কসমেটিকস দোকানের স্বত্তাধিকারী সুজন মিয়া জানান, গতরাতেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মালামাল ঢুকেছে। তার মোট তিনটি গোডাউনে কসমেটিকস, প্লাস্টিক ও সুতার আইটেম ছিল। আগুন তার সব শেষ করে দিয়েছে।
ঝর্ণা চাল আড়তের মালিক হযরত মিয়া বলেন, ভাই আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার পরিবারের খরচ কী দিয়ে চালাব। আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আতপসহ নানা ধরনের চাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আগুনে এখানকার ২০টি দোকানের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
২ বছর আগে
কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
শ্রমিকদের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, ‘কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না। কেউ অনিয়ম করলে আমরা তার শাস্তি চাই। সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক ভাই-বোনেরা দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি থাকবে অগ্নিকান্ডে নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন।‘
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৮ জন ৪ দিনের রিমান্ডে
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে মানুষের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় কারখানাটি পরিদর্শন কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা (টিম) কারখানায় যান এবং নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কারখানাটি ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানিতে ভারতের শোক
স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহতদের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। এ ঘটনায় তিনি খুব দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম,এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, এমপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক বাদল, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবুসহ স্থানীয় নেতারা ।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রীপ্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস (সেজান জুস নামে পরিচিত)কারখানাটিতে আগুন লাগে।
৩ বছর আগে
সুনামগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার লিক
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে আগুনে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। গ্রামের পূর্বহাটি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত মরম আলীর ছেলে বকুল মিয়ার ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকটি ঘর, গোডাউন
খবর পেয়ে জেলার দিরাই উপজেলা ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিট এবং গ্রামবাসী কয়েক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
টাইলা গ্রামের সুজন তালুকদার জানান, আগুন ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী ও দিরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু আগুন ১০ টি ঘর, ধানচাল, সোন গহনা সহ প্রায় দেড়কোটি কাটার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের টঙ্গীতে ঝুট মালামালের গোডাউনে আগুন
টাইলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মো. বকুল মিয়া জানান, গ্যাস সিলিন্ডার লিক হওয়ার কারণে তার ঘরে প্রথমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময়ের মধ্যেই পাশের ঘরসহ আরও কমপক্ষে দশটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিমিষেই সবকিছু ধবংস হয়ে গেছে। এ সময় তিনি সরকার ও প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণবাসনের দাবি জানান ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
দিরাই ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নদী পারাপারের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হলেও গ্রামবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পেরেছি। তবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড়কোটি টাকার কাছাকাছি হবে।
৩ বছর আগে
কোটচাঁদপুরে ফোম তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ফোম তৈরির কারখানায় আগুন লেগে কারখানার কাঁচামালসহ তৈরি পণ্য পুড়ে গেছে।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়ল ৬০ দোকান ও ৩৬২ বসতঘর
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার সকালে আগুন লেগে ৩৬২ বসতঘর ও ৬০ দোকান পুড়ে গেছে।
৪ বছর আগে