স্বাস্থ্য সুরক্ষা
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৬০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হবে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মানিকগঞ্জ জেলায় সম্প্রসারিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির (এসএসকে) উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা এসডিজির একটি লক্ষ্য। এসডিজি অর্জন করতে স্বাস্থ্য বিভাগে নতুন নতুন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জসহ দেশের আরও ছয়টি জেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি(এসএসডি) চালু করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৫লাখ পরিবারে ৬০ লক্ষ মানুষ এই স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতি পরিবারকে একটি স্বাস্থ্যসেবার কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রত্যেকেই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ঔষধ, যাতায়াত খরচ পাবে। নিজের পকেট থেকে মাত্র ৩৬ টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা দিবে সরকার। প্রতি পরিবারের স্বাস্থ্যসেবায় বছরে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এই স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্রদের প্রতিবছর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। বেশ কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইলে এর পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এ প্রকল্পটি আরও ছয়টি জেলায় উন্নীত করা হবে। এরমধ্যে সর্বপ্রথম মানিকগঞ্জে উদ্বোধন করা হলো। সাত উপজেলার দেড় লাখ পরিবারকে প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকার প্যাকেজে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করা হবে। প্রথমে এমন ব্যবস্থা সরকারি হাসপাতালে করা হলেও পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ঢাকা কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবাকে আমরা জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস ইউনিট করবো। আমরা টেলিমেডিসিন নিয়ে কাজ করছি যাতে মানুষ ঘরে বসে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। দিন দিন স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম, যুগ্ম সচিব মো হেলাল হোসেন, এনডিসি মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সানোয়ারুল হক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা: সারাদিন রোযা রেখে ইফতারে কেন খেজুর খাবেন?
রোযার মাসে সারা দিন রোযা রাখার পর সন্ধ্যাবেলায় ইফতারে খেজুর খাবার উপকারিতার দরুণ রোযাদারগণ তাদের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখেন। বহু বছর আগেই থেকেই সুপরিচিত ও সুমিষ্ট এই ফলটির চাষাবাদ হয়ে আসছে। মরুপ্রধান অঞ্চলের এই ফল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জন্য একটি সহজলভ্য খাবার। ইফতারের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রীতিমত নিয়ম করে রাখা হয় খেজুর। অনেক রোযাদাররা খেজুর খেয়েই তাদের রোযা ভেঙে থাকেন। চলুন, পবিত্র এই রমজান মাসে এই ছোট্ট ফলটির পুষ্টিগুণাগুণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খেজুরের উপকারিতাগুলো জেনে নেয়া যাক।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
ফ্যাটহীন উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খেজুরের বেশির ভাগ ক্যালরি আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে। খুবই অল্প পরিমাণ আসে প্রোটিন থেকে। ৮ গ্রামের একটি খেজুর প্রায় ২৩ ক্যালোরি সরবরাহ করে। ২৪ গ্রামের বড় মেডজুল খেজুরগুলোতে থাকে ৬৬.৫ ক্যালোরি। এছাড়াও খেজুর যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার সহ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সম্পন্ন।
ইউএসডিএ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার) অনুসারে, খেজুরে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানের মধ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ ০.২ মিলি গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬ গ্রাম, ফাইবার ০.৬ গ্রাম, শর্করা ৫ গ্রাম, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, পটাসিয়াম ৫৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩.৪ মিলিগ্রাম, এবং আয়রন ০.১ মিলিগ্রাম।
পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
একটি খেজুরে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার বেশিরভাগই আসে চিনি থেকে। খেজুরের মিষ্টি স্বাদের পেছনে দায়ী এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ, যা গ্লুকোজের চেয়েও দ্বিগুণ মিষ্টি। ফল পাকার সাথে সাথে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ফাইবার হ্রাস পায়।
খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক ৪৩ থেকে ৫৫ এর মধ্যে। আর এই পরিসরটি নির্ভর করে খেজুরে পরিপক্কতার ভিন্নতা এবং স্তরের উপর। সাধারণত মিষ্টি ফলগুলো উচ্চ গ্লাইসেমিকের হয়। কিন্তু খেজুরের বেলায় তা ভিন্ন। এগুলো আশ্চর্যজনকভাবে বেশ কম গ্লাইসেমিক ফল।
খেজুর পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের বেশ ভালো একটি উৎস। খেজুর ফোলেট এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড সহ ছয়টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন-বি সরবরাহ করে। খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার পলিফেনল, যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি সেলুলার ক্ষতি থেকে দেহকে রক্ষা করে।
পড়ুন: দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খেজুরের উপকারিতা
হজমে ভারসাম্য আনে
ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজমে উপকার করতে পারে। এটি পরিপাক ক্রিয়া ঝামেলামুক্ত রাখার মাধ্যমে নিয়মিত মলত্যাগে ভারসাম্য বজায় রাখে।
উপরন্তু, খেজুরের ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে। ফাইবার হজমের গতিকে ধীর করে দেয় এবং খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হওয়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
খেজুরে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মূলত দেহের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এই র্যাডিক্যাল গুলো হচ্ছে এক ধরনের অস্থির অণু, যা শরীরে ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি এবং রোগের কারণ হতে পারে।
পড়ুন: গোল্ডেন মিল্কের জাদুকরি উপকারিতা
খেজুরে বিদ্যমান সবচেয়ে শক্তিশালী তিনটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হচ্ছে-
- ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যারোটিনয়েডস, যা হৃদরোগ এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা এরকম চোখের ব্যাধিগুলোর ঝুঁকি কমাতে পারে।
- ফেনোলিক অ্যাসিড, যা প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হাড়কে শক্তিশালী করে
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে অস্টিওপরোসিসের মত হাড়ের ভয়ানক রোগ হতে পারে। খেজুরে সেই ম্যাগনেসিয়ামের যোগান দাতা। সাপ্লিমেন্ট-এর মাধ্যমে ম্যাগনেসিয়াম নেয়া অপেক্ষা খেজুর খাওয়া উত্তম। এতে বিষাক্ততার ঝুঁকি কমে। অধিকন্তু, খেজুর থেকে পাওয়া আয়রন অস্থিমজ্জার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
গর্ভাবস্থায় সুবিধা
শুকনো খেজুর গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে মহিলাদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা দেয়। খেজুরের উচ্চ ফাইবার বৈশিষ্ট্য কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত শুকনো খেজুর খাওয়া গর্ভধারণে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে এনে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণের দিকে ধাবিত করতে সহায়তা করে।
দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
নিয়মিত খেজুর খাওয়া দাঁতের এনামেলের সুরক্ষা ও উন্নতির জন্য বেশ উপকারী। খেজুর দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে আছে ফ্লোরাইড।
পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়
খেজুরের যাবতীয় প্রয়োজনীয় পুষ্টি লাভের জন্য প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তথা ৪ থেকে ৬টি খেজুরই যথেষ্ট। যদিও খাওয়ার পরিমাণ ক্যালোরির চাহিদা এবং অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
খেজুর নূন্যতম পরিমাণ প্রোটিন সরবরাহ করে। তাই দৈনন্দিন প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অন্যান্য প্রোটিন উৎসগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যেমন চর্বিহীন মাংস, মাছ, বাদাম, এবং বীজ জাতীয় খাবার।
ইফতারিতে ২ থেকে ৩টি খেজুর খাওয়া সারাদিনের ক্লান্তিকে নিমেষেই দূর করে দিবে। এছাড়াও দেহের যাবতীয় প্রক্রিয়াসমূহকে দ্রুত কর্মক্ষম করে তুলতেও সাহায্য করতে পারে। ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের একটি সমন্বিত খাদ্য তৈরির জন্য কিছু চিনাবাদাম ও মাখনের সাথে খেজুর মিশিয়ে ইফতারির আইটেমগুলোতে রাখা যেতে পারে।
পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
তবে খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
দুপুর বা রাতের ভরপেট খাবার পর খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফলস্বরূপ, ভরপেট খাবারের পরে প্রচুর পরিমাণে খেজুর গ্রহণ সারা শরীরে অস্বস্তিকর বোধ তৈরি করতে পারে।
খেজুরে অ্যালার্জি থাকা যদিও বিরল, কিন্তু এ যদি অ্যালার্জি থেকেই থাকে তবে খেজুর এড়িয়ে চলতে হবে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নেয়া উচিত।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে খেজুর খাওয়া পরিহার করা উচিত। খেজুরে থাকা সরবিটল নামের চিনির অ্যালকোহলটি কিছু কিছু লোকের ক্ষেত্রে মলত্যাগের অবস্থার আরো অবনতি ঘটাতে পারে। তাই অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খেজুর এড়ানো ভাল।
পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের খেজুর
বাংলাদেশের বাজারে আজওয়া, মরিয়ম, আদম, আম্বার, ছড়া, শুককারি, ছক্কা, সুগাই, গাওয়া, মেডজুল, কালমি, তিনপল, মাবরুম, জিহাদি, সায়ের, ফরিদা, বাটি, মাসরুক, ম্যাকজুয়েল, মাবরুল, কিমি, খালাস দাবাস, ও কাউন দাবাস সহ মোট ত্রিশ জাতের খেজুর পাওয়া যায়।
দেশে ফি বছর খেজুরের চাহিদা প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন, যেখানে শুধু রমজান মাসেই চাহিদা থাকে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।
দেশের পায়কারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মতে, কম দামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত খেজুর হচ্ছে ইরাক থেকে আগত জাহেদি খেজুর। এছাড়া বেশ ভালো বিক্রি আছে ইরান ও জর্ডানের মরিয়ম, সৌদি আরবের আজওয়া, মাবরুম, আম্বার, সাফাওয়ি বা কালমি, মাশরুক, আমিরাতের নাগাল, লুলু বা বরই, ও দাব্বাস খেজুরের।
পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
জাহেদির পাইকারি দাম পড়ে কেজি প্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা আর খুচরা দাম ১০০ টাকা। আম্বারের পাইকারি দাম ৪০০ টাকা, ৩৫০ টাকা দাম আলজেরিয়ার ডাল খেজুরের, বাদামি রংয়ের কালমি ও ফরিদা ২৫০ টাকা কেজি আর মেডজুলের দাম কেজি প্রতি ৮০০ টাকা। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ ধরনের আজওয়ার মধ্যে মানভেদে প্রতি ৫ কেজির দাম পড়ে ১২০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা।
মান অনুযায়ী চার থেকে পাঁচ ধরনের মাশরুক খেজুরের পাইকারি দর ২০০ থেকে ২৭৫ টাকা। মরিয়ম খেজুরের পাইকারি দাম ৫০০ টাকা আর সেটাই খুচরা বাজারে হয়ে যায় কেজিতে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। মিশর থেকে আগত বড় আকারের ও কোমল মেডজুল খেজুর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। খুচরা বাজারে এগুলোর দাম বেড়ে হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বর্তমানে এই খেজুরগুলোই দামের দিক থেকে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে।
শেষাংশ
ইফতারে খেজুর খাবার উপকারিতাগুলো রোযার মাসে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সহায়ক। দিনের একটি বিরাট অংশ না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি ভাব হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এ সময় তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলো মুখরোচক হলেও দুর্বল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাছাড়া রোযার সময় খাবার গ্রহণের ধারা পরিবর্তিত হওয়ার কারণে শরীরের স্বাভাবিক শক্তি যোগানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইফতারের সুষম খাদ্য তালিকায় একটি সেরা সংযোজন হতে পারে এই আরব্য ফলটি।
পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
২ বছর আগে
গোল্ডেন মিল্কের জাদুকরি উপকারিতা
হলদি দুধ নামে বহুল পরিচিত গোল্ডেন মিল্ক মূলত একটি ভারতীয় পানীয় যা ভারত উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতেও জনপ্রিয়তা লাভ করছে। হলুদ ফুলের নির্যাস থেকে পাওয়া এই উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের পানীয়টি পশু বা উদ্ভিদ জাত সাদা দুধের সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয় হলদি দুধ। এর মূল উপকরণ হলুদ মশলা হিসেবে বিভিন্ন খাবারের সাথে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ভেষজ উদ্ভিজ্জ উপাদানটির বিপুল পরিমাণে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে। আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ফিচারে জানা যাবে গোল্ডেন মিল্কের সেই জাদুকরি উপকারিতা।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গোন্ডেন মিল্কের উপকারিতা
প্রদাহ ও জয়েন্টের ব্যথা উপশম
গোল্ডেন মিল্কের প্রধান উপাদান হলুদ, আদা এবং দারুচিনি প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সক্ষম।
মানবদেহের কোষের সরক্ষণ
গোল্ডেন মিল্ক-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে রোগ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি সুক্ষ্ম রেখা অথবা বলিরেখার মত দ্রুত বয়স বৃদ্ধি জনিত লক্ষণ দেখা দেয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
হজমে সুবিধা
এই দুধের দুটি উপাদান আদা এবং হলুদ বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশম করতে হলুদের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে।
দেহের হাড়ের প্রতিরক্ষা
পশুজাত সাদা তরল দুধ দিয়ে তৈরি হওয়ায় গোল্ডেন মিল্ক প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হয়। এই পুষ্টি দুটি দেহের কাঠামো সুঠাম রাখে এবং হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত আবেগ হতে পারে শরীরের ক্ষতির কারণ
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
হলদি দুধের উপকরণ আদা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আদা বয়সের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যটি গ্লুকোমা এবং ছানি নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ সেবন দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও গ্লুকোমার অগ্রগতির বিরুদ্ধে কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
ত্বকের সুরক্ষা
হলুদের প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া ও অক্সিডেন্ট বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনুকূল ভূমিকা পালন করে। যেমন- ক্ষত সাড়ানো, ব্রণ প্রতিরোধ করা, একজিমার বিরুদ্ধে লড়াই করা, দাগ দূর করা, ত্বকে প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।
৩ বছর আগে
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
লবণের একাধিক প্রকারভেদ থাকলেও সাধারণভাবে শব্দটির মানে হিসেবে সবাই খাবার লবণকেই বুঝে নেয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড বৈজ্ঞানিক নামে এই খনিজ উপাদান মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীকূলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি এবং খাবারের মৌলিক স্বাদগুলোর মধ্যে একটি।
বিভিন্ন রান্নায় অপরিহার্য সাদা রঙের এই খাদ্য উপাদানটি শুদ্ধতার নিরীক্ষায় হেরে যায় গোলাপি রঙের হিমালয় লবণের কাছে। পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণও বিভিন্ন রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর বিশ্বব্যাপী প্রসারের পেছনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর অসামান্য উপকারিতা দায়ী। এই হিমালয় লবণ কড়চাই নিয়ে এবারে ফিচার।
পিংক সল্ট: পৃথিবীর সবচেয়ে শুদ্ধ লবণ
হিমালয় লবণ পাকিস্তান অংশের পাঞ্জাব থেকে উত্তোলন করা শিলা লবণ। প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর আগে হিমালয়ের স্ফটিক লবণের সমুদ্রতল লাভায় নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তা সহস্রাব্দ ধরে চাপা পড়ে ছিল বরফের নিচে, যা এটিকে ক্রমাগত বাড়তে থাকা দূষণ থেকে রক্ষা করেছিল। এখন এটি একমাত্র অপরিশোধিত, প্রক্রিয়াবিহীন ও প্রাকৃতিকভাবে হাতে উত্তোলন করা হয় লবণ। আর এভাবেই এটি পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ লবণে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
সমুদ্রতলের বিশুদ্ধ অবস্থা হিমালয়ের লবণকে প্রক্রিয়াজাত টেবিল লবণের চেয়ে বেশি খনিজ সমৃদ্ধ করে তুলেছে। ফসফরাস, ব্রোমিন, বোরন ও জিঙ্কসহ এতে প্রায় ৮০ খনিজ উপাদান রয়েছে। এর স্ফটিক পাথরের হওয়ায় সূক্ষ্ম টেবিল লবণের চেয়েও বড় ও স্বল্প পরিমাণে সোডিয়াম সমৃদ্ধ।
স্থানীয়দের মতে, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম হিমালয় লবণের মজুত আবিষ্কার করে। ১২০০ দশকে পাঞ্জাব গোত্রের জানজুয়ার লোকেরা সর্বপ্রথম খনি থেকে লবণ উত্তোলন করে।
পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
অম্লতা হ্রাস
হিমালয় লবণ একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করে। এটি শুধু গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর করে না, বদহজমও সারায়।
রক্তচাপ কমানো
হিমালয় লবণ প্রাকৃতিকভাবে আয়োডিনে সমৃদ্ধ, যা খাদ্য কোম্পানিগুলো কৃত্রিমভাবে টেবিল লবণে যোগ করে। হিমালয় লবণের প্রাকৃতিক আয়োডিন শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য তৈরি, অন্ত্রকে পুষ্টি শোষণ করতে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে খুব কার্যকর।
হাড় গঠন
পিংক লবণ হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কিছু খনিজ রয়েছে যা হাড়ের গঠন ও ঘনত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
গলার সংক্রমণ
এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে, হিমালয় লবণ গলনালীতে যে কোনও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। গরম পানিতে লবণটি দ্রবীভূত করে গার্গেল করলে ফোলাভাব সাড়তে পারে এবং যেকোনো জ্বালাপোড়া প্রশমিত হতে পারে।
ত্বককে নরম ও ময়শ্চারাইজ করে
গোলাপী লবণ দিয়ে গোসল করলে ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা বাড়তে পারে। এভাবে ত্বক নরম ও কোমনীয় হয়ে উঠবে। এতে কেবল মুখের ত্বকের মৃত কোষগুলোর বৃদ্ধি বন্ধ হবে না, ত্বক পূর্বাপেক্ষা আরও মসৃণতা পাবে।
বাংলাদেশে হিমালয় লবণ
চওড়া দাম থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব জুড়ে হিমালয় লবণের মার্কেট ক্রম বর্ধমান। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মত বাংলাদেশে হিমালয় লবণের বাজার খুব একটা প্রসার না পেলেও এখানকার অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের মতই বাড়ছে এর দাম। খুচরা মূল্যে প্রতি কেজির দাম ২১০ থেকে ২৯০ টাকায় বর্তমানে সরাসরি ভোক্তারা এই লবণ কিনতে পারছেন। তবে অনলাইন বাজারগুলোতে আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকেজিং করা লবণের দাম তোলা হচ্ছে আরও ওপরে।
আরও পড়ুন:অতিরিক্ত আবেগ হতে পারে শরীরের ক্ষতির কারণ
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে পিংক সল্ট-এর ১০০ গ্রামের দামই ৫ থেকে ৮ ডলারে বিক্রি হয় যা সাধারণ খাবার লবণের চেয়ে বিশ গুণ বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে হিমালয় লবণের মূল্য পড়ছে প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬৫ রুপি। স্বনামধন্য ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন-এ হিমালয় লবণের মূল্য প্রতি ৪০০ গ্রামের জন্য পড়ছে ১৫০ রুপি।
পরিশেষে বলা যায়, পুষ্টিগুণ অনুযায়ী সর্ব সাকুল্যে পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণ একটি সুষম খাদ্য উপাদান হতে পারে। মূল্যের পার্থক্যে সাধারণ খাবার লবণের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম সহজলভ্য হলেও পর্যটন শিল্প কেন্দ্রীক শহরগুলোতে অভিনব খাবারের রেসিপিতে এটি একটি অভিজাত সংযোজন।
৩ বছর আগে
দেশে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে, বাড়তে পারে মৃত্যুও
শীতকালে কোভিড -১৯ পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবনতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মাঝে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার গত এক সপ্তাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪ বছর আগে
বাজারে নতুন স্মার্টওয়াচ আনছে হুয়াওয়ে
বাংলাদেশের বাজারে ‘হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিট’ নামের নতুন স্মার্টওয়াচ আনছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
৪ বছর আগে
করোনা: জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সামগ্রী দিল নৌবাহিনী
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যসহ সংসদ সচিবালয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা হিসেবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
করোনায় কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্দেশনা চেয়ে রিট
সারাদেশের কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বন্দিদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে পাঠানোর আগে সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের এ সময়ে সম্মুখ যোদ্ধা গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে পাঠানোর আগে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৪ বছর আগে