রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও কারা মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, রিটে দেশের সকল কারাগারে কারাবন্দি ও কারারক্ষীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া সংস্থাটির সুপারিশের আলোকে কী কী প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে তাও আদালতকে জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এ আইনজীবী বলেন, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দিদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি কারাবন্দি রয়েছেন।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে সেখানে ৮৫ হাজার বন্দি রয়েছেন। এ অবস্থায় কারাগারের বন্দিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। এরইমধ্যে ২৩ জন করারক্ষী এবং দুজন বন্দির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও জানান আইনজীবী শিশির।
যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রায় তিন হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার উদ্যোগের প্রসংশা করেছেন। সেইসাথে করোনা পরিস্থিতিতে এটি যথেষ্ট নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে বন্দিদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে চেয়ে গত ১৪ মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী শিশির মনির। নোটিশে বিবাদীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।