এডিপি
অর্থের প্রবাহ বাড়াতে এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুত করার উদ্যোগ সরকারের
অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ সচল করার লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসার পর থেকে যেসব প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে সেগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সরকার নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল মাত্র ৮ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একনেক সভা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকারের অনুমোদিত এডিপি প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এভাবে আমরা চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ বাস্তবায়নের হার বাড়াতে পারব বলে আশা করছি।’
তবে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দুর্নীতিমুক্ত ভালো ও উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয় সরকার। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী যে কোনো দিক থেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঠিকাদার নিয়োগসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে নানা অনিয়ম হয়। এর ফলে বেশ কিছু প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল।
উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই সরকারি অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়েছে। এতে বাস্তবায়নের হার অনেকাংশে কমে যায় এবং অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা অবশ্যই প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করব। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেসব ভালো প্রকল্পের কথা ভাবছি এবং যেগুলো নতুন প্রকল্প পরিচালক পেয়েছে সেগুলো দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে।’
গণ অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক উন্নয়ন প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেক করে কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের চার মাসে উন্নয়ন বাজেটের মাত্র ৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের রেকর্ড গড়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এটি বাস্তবায়নের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাদের ক্ষেত্রে এ হার ১২-১৩ শতাংশ।
বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক সভায় উন্নয়ন বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়।
এডিপিতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (বাজেট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত।
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিসহ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এডিপির মোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
১ সপ্তাহ আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৮ বছরে সর্বনিম্ন
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন ব্যাপকভাবে কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সোমবার প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘এমন বাজে অবস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের বিলম্বিত মুক্তির কারণ হতে পারে এডিপি বাস্তবায়নের দুর্বলতা।
ড. মজিদ এডিপি বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকল্পগুলোর গতি আনতে দক্ষ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
আইএমইডি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের ৫৮টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় ব্যয় করেছে ২০ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।
অর্থাৎ বরাদ্দের বিপরীতে এই ৩ মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এটি গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে সরকারি নথিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৭ শতাংশ। এরপর গত কয়েক বছরে একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
এছাড়া বাকি বছরগুলোতে গড় হার ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এই হার ছিল ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৩টি প্রকল্পের বাস্তবায়নের হার ১ শতাংশেরও কম। এর মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ০ দশমিক ০৭ শতাংশ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ০ দশমিক ০৫ শতাংশ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ৬টি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৭টি ও সরকারি কর্ম কমিশনের ১টি প্রকল্পে এক পয়সাও ব্যয় হয়নি।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
১ বছর আগে
২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আগামী অর্থবছরের (২০২৪ অর্থবছর) জন্য দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে। এতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা (বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৮৮শতাংশ) বরাদ্দ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মূল এডিপি বরাদ্দের মধ্যে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে এবং ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া হবে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ১১ হাজার ৬৭৪ দশমিক ০২ কোটি টাকা (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা থেকে) বরাদ্দ বিবেচনা করে সামগ্রিক এডিপি আকার দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ দশমিক ০২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা এক হাজার ৩০৯টি যার মধ্যে এক হাজার ১১৮টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২২টি জরিপ প্রকল্প, ৮০টি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের ৮৯টি প্রকল্প রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে (অর্থবছর) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক ০৩ শতাংশে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যার ব্যয় হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৪ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদায়ী অর্থবছরে মাথাপিছু আয় টাকায় হিসাব করলে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব দিক দিয়ে দেশের আত্মসম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বলেছেন।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং বিলাসবহুল মানসিকতা পরিহার করে সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে এবং কঠোরতা বজায় রাখতেও বলেছেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মান্নান বলেন, আমরা খরচ করব কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে খরচ করতে হবে।
মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর এড়াতে নিরুৎসাহিত করেছেন, বিকল্প রপ্তানি বাজার অন্বেষণ করেছেন যেহেতু বছরের পর বছর উৎপাদন এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের পরিমাণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এডিপির আকার বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিদেশি ঋণ সমর্থিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এসডিজি-৩ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আরও প্রকল্প নিয়ে আসার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাধারণভাবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের বাস্তবায়নের গতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কঠোরতা অনুসরণে ব্যয় করতে হবে… প্রতিটি পয়সা যেখানে প্রয়োজন সেখানে নিয়ম-কানুন এবং মানুষের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় করা উচিত।’
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার জনগণকে সন্তুষ্ট করার প্রকল্প গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে মান্নান ও আলম উভয়েই বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
মান্নান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব... আমরা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করি।’
তিনি বলেন, এডিপি বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করতে আগামী বছরেও তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরে বিশ্বব্যাংককে বলেছিলেন যে বাংলাদেশ যদি আরও ঋণ দেয় তাহলে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, এখন থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক সাহায্যের পরিবর্তে সরাসরি প্রকল্প ঋণ বা সরাসরি প্রকল্প অনুদান শব্দটি ব্যবহার করবেন।
তিনি জানান যে এনইসি এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে করা বিনিয়োগের প্রতিফলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং এডিপি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মন্ত্রণালয় আরও প্রকল্প নিয়ে আসতে পারে।
সর্বোচ্চ ১০টি খাতভিত্তিক বরাদ্দ বিবেচনা করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা (১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ) এবং তারপরে শিক্ষা খাতে ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা (১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবাসন সম্প্রদায় সুবিধা ২৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা (১০ দশমিক ২৮ শতাংশ), স্বাস্থ্য খাতে ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা (সাত দশমিক ১৮), স্থানীয় সরকার ও গ্রামীণ উন্নয়ন ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা (ছয় দশমিক ১৬ শতাংশ), কৃষি খাতে ১০ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা (চার দশমিক ০৭ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ আট হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা (তিন দশমিক ৪২ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা পাঁচ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা (দুই দশমিক ০৪ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে পাঁচ হাজার ৩২১ কোটি টাকা(দুই দশমিক ০২)।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
২০২৪ অর্থবছরের নতুন এডিপি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০টি বরাদ্দ গ্রহীতা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ যার ৪০ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা (বরাদ্দের ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা (১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ, ৩৩ হাজার ৭৭৫কোটি টাকা। (১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা (পাঁচ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ১৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ১৮ কোটি টাকা (চার দশমিক ৫৭ শতাংশ), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা (তিন দশমিক ৬০ শতাংশ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা (চার দশমিক ৯৪ শতাংশ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ১২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা(চার দশমিক ৬৪ শতাংশ), এবং সেতু বিভাগ ৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা(তিন দশমিক ৪৫ শতাংশ)।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত ১০টি প্রকল্প হলো- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি ৯ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে এবং তার পরে মাতারবাড়ি ২*৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প ৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা, প্রথম সংশোধিত চতুর্থ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৪) আট হাজার ৫৮৬ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ পাঁচ হাজার ৮৭০ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, প্রথম পর্যায় পাঁচ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত, ভৌত সম্ভাব্যতা উন্নয়ন (পিএডি) চার হাজার ৬৯৬ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত, তিন হাজার ৯১১ কোটি টাকায় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প তিন হাজার ৩৭৭ কোটি টাকায় এবং দ্বিতীয় সংশোধিত ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) তিন হাজার ৪২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
১ বছর আগে
আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
জাতীয় অর্থনীতি পরিষদ (এনইসি) ২০২৩ অর্থবছরে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ দশমিক ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি’র (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, অপব্যবহার রোধ করে সরকারি তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এডিপিতে নতুন প্রায় এক হাজার ৪৩৫টি প্রকল্প রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় এক হাজার ২৪৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ১০৬টি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প এবং প্রায় ৮৫টি প্রকল্প স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং কর্পোরেশনগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।
এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষ এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে অংশ নেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের মূল এডিপির দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ দশমিক ৯ কোটি টাকার মধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ দশমিক ৯ কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে আসবে এবং বাকি ৯৩ হাজার কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেয়া হবে।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং কর্পোরেশনগুলোর বিপরীতে ৯ হাজার ৯৩৭ দশমিক ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ বিবেচনা করে, আগামী অর্থবছরের জন্য এডিপির সামগ্রিক বরাদ্দ দুই লাখ ৫৬ হাজার তিন দশমিক ২৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল এডিপি’র আকার ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ দশমিক ১৪ কোটি টাকা; যা পরে সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) দুই লাখ সাত হাজার ৫৫০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের নতুন এডিপি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে প্রায় ৯ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি এবং চলতি অর্থবছরের আরএডিপি থেকে ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫টি সেক্টরের মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৯৫ দশমিক ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের পরের অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৯ হাজার ৪১২ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা, শিক্ষা খাতে ২৯ হাজার ৮১ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্য খাতে ১৯ দশমিক ৮৭৭ কোটি টাকা।
নতুন এডিপি বরাদ্দসহ অন্যান্য খাতগুলো হল- সাধারণ সরকারি পরিষেবা খাতে দুই হাজার ৮৭৫ দশমিক ২৮ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা খাতে এক হাজার ২৭০ দশমিক পাঁচ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে তিন হাজার ৬০৯ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক পরিষেবা খাতে পাঁচ হাজার ৪০৭ দশমিক ২৬ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ১০ হাজার ১৫৭ দশমিক চার কোটি টাকা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়নে ১৬ হাজার ৪৬৫ দশমিক দুই কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জলসম্পদ খাতে নয় হাজার ৮৫৯ দশমিক ২৫ কোটি টাকা, ২৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ২২ কোটি টাকায় আবাসন ও কমিউনিটি সুবিধা, দুই হাজার ৩৬৪ দশমিক ৯১ কোটি টাকায় ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে, দুই হাজার ৩৬৪ দশমিক ৯১ কোটি টাকায় বিজ্ঞান ও আইসিটি খাতে চার হাজার ৯০১ কোটি টাকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দুই হাজার ৫৬৯ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক নতুন এডিপি বরাদ্দ হলো- স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রায় ৩৫ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রায় ৩১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ প্রায় ২৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় প্রায় ১৬ হাজার ১১ কোটি টাকায় প্রযুক্তি, প্রায় ১৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রায় ১৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকায় রেলপথ মন্ত্রণালয়, প্রায় ১৪ হাজার এক কোটি টাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রায় ১১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, প্রায় নয় হাজার ২৯০ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় সাত হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপির হার ৭৬ শতাংশ
মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি প্রায় ১৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকার সর্বোচ্চ নতুন এডিপি বরাদ্দ পেয়েছে। তারপর চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রায় আট হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা, প্রায় ছয় হাজার ৫৫৪ কোটি টাকায় মাতারবাড়ি ২x৬০০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রায় ছয় হাজার ১৯ কোটি টাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়), প্রায় পাঁচ হাজার ৮০৯ কোটি টাকায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপারনেস (ডব্লিইবি-জিওবি) প্রকল্প, প্রায় চার হাজার ২৫৪ কোটি টাকা, প্রায় তিন হাজার ৮৫১ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প, প্রায় তিন হাজার ৭০৩ কোটি টাকায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প, প্রায় তিন হাজার ৫৯ কোটি টাকা দিয়ে ডিপিডিসি এলাকায় পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ এবং প্রায় দুই হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড প্রকল্প ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬)।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি তহবিলের সব স্তরে অপব্যবহার রোধ করতে।
তিনি বলেন, সভায় জানানো হয় যে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ আরও বাড়বে এবং এইভাবে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসবে।
তিনি উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পায়রা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে।
এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ সময়সূচি অনুযায়ী চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী অর্থবছরে সরকারের সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মান্নান বলেন, সরকার অবশ্যই অপব্যবহার বন্ধ করে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যয় করার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি, তবে আমরা কিছুতেই ভয় পাই না।’
তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ প্রবাহে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা কমানো হলেও সার্বিক এডিপিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশিদ বলেছেন, মহামারি পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মক্ষমতা বিবেচনা করে, নতুন এডিপিতে এর বরাদ্দ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
২ বছর আগে
আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম) কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকলে রাজপথে মারামারি হতো।’
২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে জনগণের অর্থ ব্যয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এগুলোর প্রভাব আমাদের ওপরও দৃশ্যমান হবে। আমদানি পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। যেখানে যুদ্ধ চলছে সেখানে পরিবহন খরচ (নৌযান ভাড়া) বাড়ানো হয়েছে, উৎপাদন কমেছে।
তিনি আবারও জনগণকে সবকিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে, এটা জনগণকে জানাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সরকার দেশের উর্বর জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা অর্থনীতির ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ এড়াতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) বুধবার চলতি অর্থবছরের জন্য দুই লাখ সাত হাজার ৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন করেছে। মূল এডিপির দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে এই অনুদান ঘোষণা করা হয়।
এনইসি চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী ও সচিবসহ অন্যান্য এনইসি সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
এনইসি সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘এনইসি মূল এডিপির আকার ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা কমিয়ে অনুমোদন করেছে।’
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৮ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট প্রকল্প ছিল ৮৫টি। প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা বরাদ্দের ৯৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেও এ সাফল্য অর্জন খুবই সন্তোষজনক। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সবাইকে মন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামীতে এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষিতে পড়ছে। অন্যদিকে মানুষ বাড়ছে, নগরায়ন-শিল্পায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে চলমান কোভিডের প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে অত্যন্ত সচেতন ও সাবধানী হতে হবে যাতে করে স্বল্প প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেও কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যায়। চলতি অর্থবছরে যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে তার সফল বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে মন্ত্রণালয়ের মোট ৮৫টি প্রকল্পের ৯৮% বাস্তবায়ন হয়েছে যা খুবই প্রশংসনীয়। চলমান বছরেও এ সাফল্য ধরে রাখা ও তা আরও এগিয়ে নিতে প্রকল্প পরিচালকদের তিনি তাগাদা প্রদান করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ ঊর্ধ্বধন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গত বছরে মতো এবারও হাওরের ধান কাটার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে। ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক সরবরাহ ও কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে এ বছর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অনলাইন বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে। হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদেরকে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরোতে ৯-১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
এ বছর সারা দেশে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসার ও এ বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪৯.১০ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪১.৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরের জন্য ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের ছেড়ে যাওয়া স্থানে গাছ লাগানো হবে: পরিবেশ মন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে স্থানান্তরের ফলে যেসব জায়গা খালি হচ্ছে, সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
৩ বছর আগে