সংলাপ
জাতীয় ঐক্য: আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐক্য পুনর্নিশ্চিত করার পর আজ (বৃহস্পতিবার) ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে খবর, বিকাল ৪টার দিকে এই বৈঠক শুরু হতে পারে।
বুধবার অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, কোনো শক্তিই ৫ আগস্টের পর থেকে গড়ে ওঠা সংহতি নষ্ট করতে বা জাতিকে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সারা দুনিয়াকে জানাতে হবে, আমরা এক: প্রধান উপদেষ্টা
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, 'জাতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে এবং এটি অটল থাকবে। কেউ আমাদের ঐক্য ভাঙতে পারবে না বা আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবে না।’
তিনি জনগণের মধ্যে ভিন্ন মতামতের উপস্থিতি স্বীকার করে জোর দিয়ে বলেন, জাতির সম্মিলিত ঐক্যের বিষয়ে কোনো বিভেদ নেই।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ' অধ্যাপক ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য ডেকেছিলেন।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভুল তথ্য প্রচারণার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ, প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: এই দেশে আর কোনোদিন ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
২ সপ্তাহ আগে
কপ-২৯: জলবায়ু সংলাপের অগ্রভাগে বাংলাদেশের তরুণ নেতারা
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) কপ২৯-এর জন্য বৈশ্বিক নেতারা জড়ো হওয়ার পাশাপাশি তরুণ নেতা, নীতিনির্ধারক এবং জলবায়ু সমর্থকদের মধ্যে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ একটি শক্তিশালী আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে।
কপ-২৯ পূর্ববর্তী 'ইয়ুথ অ্যাজ এজেন্ট অব চেঞ্জ' শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন এবং অন্যান্য টিম ইউরোপ সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময়, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়াসহ জলবায়ু নীতিতে জরুরি অগ্রগতির দাবি জানাবে।
জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশের তারুণ্যের কণ্ঠস্বর
নিজ দেশ যে জলবায়ু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবং সেগুলোর মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে জোরালোভাবে কপ-২৯ পূর্ববর্তী সংলাপে তুলে ধরেন বাংলাদেশের তরুণ নেতারা।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে থাকায় তরুণ নেতারা জলবায়ু অভিযোজন, অর্থায়ন এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে মনোনিবেশ করেছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে তরুণ প্রতিনিধিরা বেশ কিছু সুপারিশ করেন। এর মধ্যে আরও উচ্চাভিলাষী নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাড়ানো এবং টেকসই শক্তির জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: কপ২৯: আজারবাইজানের পথে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশি তরুণ জলবায়ু কর্মী রিনা আহমেদ বলেন, 'আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই, যেখানে আমাদের সম্প্রদায়গুলো স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে, জাতীয় নীতি গঠনে আমাদের আহ্বানগুলো থাকবে এবং আমাদের জলবায়ু অভিযোজন পদক্ষেপগুলো সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় যথেষ্ট শক্তিশালী হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন: জরুরি সংকট
গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের কারণে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সংকটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ রহমান বলেন, ‘২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন শুধু উষ্ণায়ন নয়, বরং এটি খরাকে তীব্রতর করছে, বন্যা বাড়াচ্ছে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে এবং বিশ্বব্যাপী ঝড়কে আরও খারাপ করছে। বাংলাদেশের মতো দেশে এর প্রভাব আরও বেড়েছে ‘
অভিযোজন, প্রশমন এবং সমর্থন
গোলটেবিল বৈঠকে জলবায়ু কর্মকাণ্ডের জন্য দুটি প্রধান উপায়ের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে-
জলবায়ু অভিযোজন: জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়গুলোকে প্রস্তুত করা। বাংলাদেশের জন্য এর মধ্যে রয়েছে সমুদ্র প্রাচীরের মতো অবকাঠামো নির্মাণ এবং চরম আবহাওয়া সহনশীল কৃষি পদ্ধতির প্রসার ঘটানো।
জলবায়ু প্রশমন: নবায়ণযোগ্য জ্বালানি গ্রহণ, জ্বালানি দক্ষতা উন্নত করা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোসহ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা।
অভিযোজন এবং প্রশমনের সমন্বয়ে একটি বিস্তৃত পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ বলে জোর দেন এই তরুণ নেতারা।
সুইডেনের জলবায়ু দূত মায়া সোভেনসন বলেন, 'জলবায়ু অভিযোজনের জন্য আমাদের সমর্থন অবশ্যই এই মুহুর্তে জরুরিভিত্তিতে পূরণ করতে হবে। মারাত্মক জলবায়ুর প্রভাবের মুখোমুখি দেশগুলোর ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।’
ইউরোপ দলের ভূমিকা
আরেকটি মূল বিষয় আলোচনা হয়। আর তা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম), যা ২০২৬ সালে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগটি কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পদক্ষেপকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কম কঠোর জলবায়ু নীতিযুক্ত দেশগুলো থেকে আমদানিতে কার্বন মূল্য প্রয়োগ করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু উপদেষ্টা মার্গারেটা নিলসন বলেছেন, ‘সিবিএএম দেশগুলোকে তাদের নির্গমনের জন্য দায়বদ্ধ রাখতে এবং বিশ্ব বাজারে একটি সমান ক্ষেত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
কপ২৯’র বাইরে
জলবায়ু আলোচনা অব্যাহত থাকায় সংস্থাগুলো নির্গমন কমানো এবং জলবায়ু-ইতিবাচক উদ্যোগ উভয়ই অনুসরণে উৎসাহিত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু-ইতিবাচক প্রচেষ্টার লক্ষ্য কেবল কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করা নয়, বরং বায়ুমণ্ডল থেকে অতিরিক্ত সিও২ অপসারণ করা।
বাংলাদেশসহ টেকসই নেতাদের জন্য জলবায়ু পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুব নেতাদের এসব উদ্যোগ স্থানীয় সম্প্রদায়কে একত্রিত করছে এবং আন্তর্জাতিক পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করছে।
নির্গমন কমানো, অভিযোজন এবং সবুজ শক্তি রূপান্তরের জন্য ব্যাপক পরিষেবাগুলোর গুরুত্বকেও জোর দিয়ে আসছে পরিবেশগত পরীক্ষা এবং ছাড়পত্র প্রদানকারী একটি বৈশ্বিক সংস্থা এসজিএস। সংস্থার পরিষেবাগুলো জিএইচজি নির্গমন পরামর্শ থেকে শুরু করে কার্বন নিরপেক্ষতা যাচাইকরণ পর্যন্ত বিস্তৃত। বেসরকারি এবং সরকারি উভয় খাতের নেতৃত্বকে সমর্থন করে।
তরুণদের নেতৃত্বে বৈশ্বিক আন্দোলন
কপ২৯ গোলটেবিল বৈঠকে জোর দিয়ে বলা হয়, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে তরুণদের সম্পৃক্ততা নিছক প্রতীকী নয়। বরং এটি একটি প্রাণোচ্ছল এবং টেকসই ভবিষ্যত অর্জনের জন্য অপরিহার্য। টিম ইউরোপের সহযোগিতায় বাংলাদেশি তরুণ জলবায়ু নেতারা কার্যকর কৌশল এবং জবাবদিহিতার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাদের বার্তা পরিষ্কার: রূপান্তরমূলক পদক্ষেপের এখনই সময়।
বাকুতে কপ২৯ সম্মেলন যখন শুরু হচ্ছে, তখন এটা স্পষ্ট যে, আজকের তরুণরা কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নয়, বরং পরিবর্তনের কঠোর সমর্থকও। বিশ্ব সম্প্রদায় শুনছে, এবং এটি এই প্রজন্মের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টা যা অবশেষে জলবায়ু পরিবর্তনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনের আগে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন
১ মাস আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শনিবার
অংশীজনদের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবেন।
শনিবারের (১৯ অক্টোবর) সংলাপে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ (আন্দালিভ) ১৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরই: সিজিএস সংলাপে বক্তারা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ-জিএম কাদের) বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজাদ বলেন, সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত হলে সে অনুযায়ী জানানো হবে।
কথিত 'মাইনাস টু' ফর্মুলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটি সরকারের বিষয় নয় এবং এটি নিয়ে কখনও আলোচনা হয়নি।
বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে গত ৬ অক্টোবর শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহিত করা এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।আরও পড়ুন: সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
২ মাস আগে
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কবে হবে তার একটি রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানসহ বেশকিছু বিষয়ে তাদের উদ্বেগ নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত থেকে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে নতুন পর্যায়ের সংলাপ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথমে সংলাপে বসে বিএনপি।
বিএনপির ছয় সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংলাপে সংস্কার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান এবং সালাহউদ্দিন আহমদ।
ঘণ্টাখানেক বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিতর্কিত কেউ যেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যান। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের জাল ভোটে নির্বাচিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ভুয়া, ব্যর্থ ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের অভিযোগে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের সঙ্গে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’
ফখরুল আরও বলেন, 'তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজন করা তার এক নম্বর অগ্রাধিকার।’
বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা মনে করে আমাদের দাবি জনগণের দাবি, আমাদের দাবিও তাদের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'এক-দু'জন' সদস্যকে অপসারণ করার দাবিও জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে দু-একজন ব্যক্তি আছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল চেতনা ও গণঅভ্যুত্থানকে বাধাগ্রস্ত করছেন। আমরা তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছি।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে 'নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল' করার পেছনে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
ফখরুল বলেন, কিছু আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাহায্য করছে কারা- এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য ও নিরপেক্ষ প্রার্থী নিয়োগ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং পদবঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিএনপি।
হাইকোর্ট বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি উল্লেখ করে দলের বিচারকদের অপসারণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুটিও উত্থাপন করে এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের খুঁজে বের করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগ বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের একটি সত্যানুসন্ধানী দল সাম্প্রতিক বিক্ষোভ থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের দায়িত্ব হলো সত্য প্রতিষ্ঠা, দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলা ও এর পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সবাই নয়, কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং বিএনপি এটিকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছয়টি সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা ও তাদের পরামর্শ নেওয়া।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দুই দফা সংলাপ হয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
২ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের নেতারা।
প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'এ বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন করছেন, বিশেষ করে সাংবাদিক বন্ধুরা। আমরা এই খুনি সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসতে রাজি নই; আর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে শহীদ মিনারে রিকশাচালকদের ভিড়
আসিফ তার পোস্টে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি খুব স্পষ্ট; তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনগণের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। বুলেট ও সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি সমাধানে শিক্ষার্থীদের সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা সব সময় খোলা।
তিনি বলেন, 'গণভবনের দরজা খোলা, যখনই আন্দোলনকারীরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে চায়, আমি তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
৪ মাস আগে
লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা: সিআরআইয়ের সংলাপে তরুণদের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ‘লেটস টক’ সিরিজের ৫৩ তম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৩০০ জনেরও বেশি তরুণের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এদের মধ্যে সুপার অ্যাচিভারস, ট্রান্সজেন্ডার আইকন, ক্রীড়া তারকা ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ীরাও ছিল। তবে এদিন তারা সবাই অভিন্ন উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিলেন।
এই তরুণেরা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত তরুণ বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা সঞ্চালিত ‘লেটস টক’-এর বিশেষ পর্বটি যুব ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদের উত্তর নিয়ে আসছে 'লেটস টক'
১১ মাস আগে
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব ডিসিসিআই সভাপতির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী দল ও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মো. সমীর সাত্তার।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যবসা ও অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড এড়াতে ঐক্যমতে পৌঁছানো উচিত। অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে এটি করা উচিত।’
সাক্ষাৎকারটি একটি সিরিজের একটি অংশ, নির্বাচন-সম্পর্কিত অবরোধ কীভাবে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা বোঝার জন্য সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এই সিরিজ প্রকাশ করছে।
সমীর বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেক উপায়ে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন- সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত, রপ্তানি আয় হ্রাস এবং উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হরতাল ও অবরোধের পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। যা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে পারে।
একজন কর্পোরেট আইনজীবী হিসেব সমীর বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস ফেরানো এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখার উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘যদি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য দেখি, আমরা দেখছি কোভিড-১৯ মহামারি এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন অস্থিরতা; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই ঘটনাগুলো বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তোলে।
ডিসিসিআই প্রধান বলেছেন, এতে জ্বালানির দাম এবং ব্যবসা করার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে কোম্পানি আইন দ্রুত সংস্কারের আহ্বান ডিসিসিআইয়ের
তিনি বলেন, বিরোধীদের ডাকা চলমান অবরোধ ও হরতালের কারণে পরিবহন চলাচল কমে যাওয়ায় স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়, ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কিভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে হরতাল ও অবরোধ অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল।
ঢাকা চেম্বার জানিয়েছে, ২০১৩ সালে এই ধরনের অস্থিরতার কারণে দৈনিক ১৬০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
২০১৪ সালে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, দৈনিক আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।
এসব গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ডিসিসিআই প্রধান সমীর বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা শুধু ব্যবসার পরিবেশকেই বিপন্ন করছে না, জীবনযাত্রার মানকেও প্রভাবিত করছে।
জাতীয় অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে ডুবে যেতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে এটি বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করছে।
সমীর বলেন, বাংলাদেশের হরতাল-অবরোধ সংস্কৃতি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে মারাত্মক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি মনে করেন, এই ব্যাঘাত সমগ্র অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে; যা উৎপাদন, কৃষি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন শিল্পকে প্রভাবিত করতে পারে।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাতের ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, চাকরি হারানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থান দুর্বল হতে পারে। চলমান হরতাল-অবরোধ রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে।
তিনি আরও বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ হ্রাস পাওয়ার একটি প্রধান হুমকি; বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগের (এসএমই) জন্য।
তিনি সতর্ক করেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের ৮০ শতাংশ কর্মকাণ্ডে হরতাল ও অবরোধের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
১ বছর আগে
সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’- শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরিফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুলঘর পোড়ায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। তারা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে, ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।'
গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে মিছিলকারীদের ভাঙচুর করা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো পুনস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বক্তব্য দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে।'
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা অবরোধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুই দিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।'
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে লু’র চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে প্রধান তিনটি দলকে আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র চিঠি পেয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এই পর্যায়ে তাদের দল যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার আহ্বান মেনে নেবে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র চিঠিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি স্ক্যান করে তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে ক্ষমতা থেকে সরকার সরে না দাঁড়ালে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে না নিলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবে না তারা।
অন্যদিকে, সরকারও বারবার বলেছে নিবার্চন হবে সংবিধান মেনে।
আরও পড়ুন: ৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বনানী কার্যালয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই চিঠি দেওয়া হবে।
চিঠি সম্পর্কে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি ইউএনবিকে বলেছেন, তারা তাদের ‘দীর্ঘদিনের চর্চার’ অংশ হিসেবে তারা ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেন না।
অন্যদিকে, জানা গেছে রাষ্ট্রদূত হাস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের উপর জোর দিতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন।
মার্কিন দূতাবাসের জারি করা একটি মিডিয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘থ্রিসি নীতি’ কার্যকর করবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না।
যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) বা ‘থ্রিসি’-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা সীমিত করতে পারবে।
২৮ অক্টোবর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবারের (৪ নভেম্বর) সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেন, এই সংলাপ লোক দেখানো। এটি কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলনতিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজকের সংলাপে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংলাপ কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখতে পারবে না।
দলটির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে সংলাপের আয়োজন লোক দেখনো ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সংলাপ এবং ইসির ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরুতাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা ঠিক না করে এই সংলাপ সরকারের একতরফার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রুপরেখা প্রস্তাব করেছে। এধরনের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ না নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনার আয়োজন করেছে, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
১ বছর আগে