সংলাপ
লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা: সিআরআইয়ের সংলাপে তরুণদের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ‘লেটস টক’ সিরিজের ৫৩ তম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৩০০ জনেরও বেশি তরুণের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এদের মধ্যে সুপার অ্যাচিভারস, ট্রান্সজেন্ডার আইকন, ক্রীড়া তারকা ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ীরাও ছিল। তবে এদিন তারা সবাই অভিন্ন উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিলেন।
এই তরুণেরা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত তরুণ বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা সঞ্চালিত ‘লেটস টক’-এর বিশেষ পর্বটি যুব ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদের উত্তর নিয়ে আসছে 'লেটস টক'
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব ডিসিসিআই সভাপতির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী দল ও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মো. সমীর সাত্তার।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যবসা ও অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড এড়াতে ঐক্যমতে পৌঁছানো উচিত। অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে এটি করা উচিত।’
সাক্ষাৎকারটি একটি সিরিজের একটি অংশ, নির্বাচন-সম্পর্কিত অবরোধ কীভাবে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা বোঝার জন্য সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এই সিরিজ প্রকাশ করছে।
সমীর বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেক উপায়ে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন- সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত, রপ্তানি আয় হ্রাস এবং উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হরতাল ও অবরোধের পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। যা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে পারে।
একজন কর্পোরেট আইনজীবী হিসেব সমীর বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস ফেরানো এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখার উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘যদি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য দেখি, আমরা দেখছি কোভিড-১৯ মহামারি এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন অস্থিরতা; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই ঘটনাগুলো বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তোলে।
ডিসিসিআই প্রধান বলেছেন, এতে জ্বালানির দাম এবং ব্যবসা করার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে কোম্পানি আইন দ্রুত সংস্কারের আহ্বান ডিসিসিআইয়ের
তিনি বলেন, বিরোধীদের ডাকা চলমান অবরোধ ও হরতালের কারণে পরিবহন চলাচল কমে যাওয়ায় স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়, ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কিভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে হরতাল ও অবরোধ অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল।
ঢাকা চেম্বার জানিয়েছে, ২০১৩ সালে এই ধরনের অস্থিরতার কারণে দৈনিক ১৬০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
২০১৪ সালে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, দৈনিক আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।
এসব গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ডিসিসিআই প্রধান সমীর বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা শুধু ব্যবসার পরিবেশকেই বিপন্ন করছে না, জীবনযাত্রার মানকেও প্রভাবিত করছে।
জাতীয় অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে ডুবে যেতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে এটি বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করছে।
সমীর বলেন, বাংলাদেশের হরতাল-অবরোধ সংস্কৃতি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে মারাত্মক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি মনে করেন, এই ব্যাঘাত সমগ্র অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে; যা উৎপাদন, কৃষি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন শিল্পকে প্রভাবিত করতে পারে।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাতের ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, চাকরি হারানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থান দুর্বল হতে পারে। চলমান হরতাল-অবরোধ রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে।
তিনি আরও বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ হ্রাস পাওয়ার একটি প্রধান হুমকি; বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগের (এসএমই) জন্য।
তিনি সতর্ক করেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের ৮০ শতাংশ কর্মকাণ্ডে হরতাল ও অবরোধের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’- শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরিফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুলঘর পোড়ায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। তারা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে, ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।'
গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে মিছিলকারীদের ভাঙচুর করা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো পুনস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বক্তব্য দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে।'
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা অবরোধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুই দিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।'
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে লু’র চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে প্রধান তিনটি দলকে আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র চিঠি পেয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এই পর্যায়ে তাদের দল যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার আহ্বান মেনে নেবে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র চিঠিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি স্ক্যান করে তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে ক্ষমতা থেকে সরকার সরে না দাঁড়ালে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে না নিলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবে না তারা।
অন্যদিকে, সরকারও বারবার বলেছে নিবার্চন হবে সংবিধান মেনে।
আরও পড়ুন: ৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বনানী কার্যালয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই চিঠি দেওয়া হবে।
চিঠি সম্পর্কে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি ইউএনবিকে বলেছেন, তারা তাদের ‘দীর্ঘদিনের চর্চার’ অংশ হিসেবে তারা ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেন না।
অন্যদিকে, জানা গেছে রাষ্ট্রদূত হাস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের উপর জোর দিতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন।
মার্কিন দূতাবাসের জারি করা একটি মিডিয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘থ্রিসি নীতি’ কার্যকর করবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না।
যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) বা ‘থ্রিসি’-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা সীমিত করতে পারবে।
২৮ অক্টোবর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবারের (৪ নভেম্বর) সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেন, এই সংলাপ লোক দেখানো। এটি কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলনতিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজকের সংলাপে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংলাপ কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখতে পারবে না।
দলটির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে সংলাপের আয়োজন লোক দেখনো ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সংলাপ এবং ইসির ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরুতাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা ঠিক না করে এই সংলাপ সরকারের একতরফার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রুপরেখা প্রস্তাব করেছে। এধরনের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ না নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনার আয়োজন করেছে, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
সংলাপে যোগ দিতে ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন। তার সঙ্গে যোগ দেবেন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।
বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা বার্ষিক ২+২ সংলাপে অংশ নিতে ভারত সফর করবেন, যেখানে তারা অন্যান্য দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করবেন।
২০১৮ সালে ২+২ সংলাপ শুরু করা হয়। যেখানে দুই দেশ কৌশলগত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এছাড়াও, সেক্রেটারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এটি সেক্রেটারির এশিয়া সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত, উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত রাখতে ভারতের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা হবে আলোচনার অন্যতম বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইমরান
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করবেন নেতারা।
ইসরায়েল-হামাসের বিষয়ে, ভারত সরকার হামাসের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দায় সরাসরি ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ গাজায় টেকসই মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘ভারতের সঙ্গে এই সংঘাতের বিস্তার রোধ, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যগুলো আমরা ভাগ করি।’
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
সরকারের নির্দেশে সংলাপের নামে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে ইসি: বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের নামে সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা আজ (বৃহস্পতিবার) সংলাপের জন্য একটি চিঠি (বিএনপি কার্যালয়ে) নিয়ে এসেছেন। এটা কোন সংলাপ এবং কার জন্য? তিনি বলেন, 'আমাদের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে এবং অন্যদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে তারা কী সংলাপ চায়?
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর তাকে চিঠি পাঠানো এবং দলীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, 'আপনারা (ইসি) কি সংলাপের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন? সরকারের নির্দেশে তারা (ইসি) সংলাপের নামে এই উপহাস ও প্রহসন করতে যাচ্ছে।’
আমরা জানি আপনারা (ইসি) কী করবেন। কোনো ভোট হবে না। সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যাদের নামের তালিকা দেয়া হবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করবেন। এটা ছাড়া তিনি (সিইসি) কিছুই করতে পারবেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নয়াপল্টনে দলের কর্মীসহ কাউকে ঢুকতে না দেওয়ায় ৪/৫ দিন ধরে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় জনশূন্য।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
তিনি বলেন, 'বিএনপির সব নেতা-কর্মী আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন এবং ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি গাড়ি দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকার সহিংসতার দায় দলের ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিন-রাত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং বিএনপি নেতাদের খুঁজে না পেলে তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিপজ্জনক অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। জাতীয় নেতাদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, যা ঔপনিবেশিক আমলেও হয়নি।’
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ, রবিবারের হরতাল ও তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৯৬টি মামলায় অন্তত চার হাজার ৫৫৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ হাজার ৪৭৬ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং একজন সাংবাদিকসহ ৯জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে লেখা একটি আমন্ত্রণপত্র রেখে যান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক কর্মকর্তা। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন থেকে কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে।
রবিবার গ্রেপ্তার হওয়ায় ফখরুল নিজে কারাগারে আছেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার বিএনপিকে সংলাপে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি হস্তান্তর করতে বিএনপির অন্য কোনো নেতা-কর্মীকেও পাওয়া যায়নি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে শনিবার বিকাল ৩টায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।
বিএনপি মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে সংলাপে তাদের দুজন প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
গত শনিবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দলের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে সারাদেশে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মতো একটি ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তাদের নাশকতা ও সন্ত্রাসের পুরোনো রূপে ফিরে গেছে। তাই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপথনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। আমিও বলছি, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকবার সংলাপের জন্য ডাকা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের ডেকেছে, রাষ্ট্রপতিও তাদের ডেকেছেন; কিন্তু তারা সংলাপে আসেনি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই নিজেদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যার পর তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। অন্যান্য দেশ আমাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচন করে না, তাহলে আমরা কেন তাদের কথা শুনব?’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তিনি সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ সংলাপের পক্ষে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত পন্থা বজায় রাখা এবং আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে সরকার বাধা দেবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে সংলাপের তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপের অপরিহার্যতার বিষয়টি স্বীকার করে এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত পোষণ করেন সারাহ কুক।
সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলেও জোর দেন মন্ত্রী। তিনি কুকের সঙ্গে সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের উপর জোর দেন। তারা উভয়েই সংলাপের জন্য সংবিধানের কাঠামো মেনে চলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি ভুল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চলমান অবরোধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এটি দীর্ঘদিনের অবস্থান এবং প্রশ্নবিদ্ধ দলগুলো ধারাবাহিকভাবে সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবর্তে সহিংসতা ও প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থী।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের উচিত সবাইকে সহিংসতা পরিহার ও সংলাপের নীতি মেনে চলতে উৎসাহিত করা। সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সহিংসতা সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আশা প্রকাশ করেছেন, উত্তেজনা প্রশমন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করতে সব পক্ষ কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ‘সংলাপে’ অংশ নেবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস সহিংসতার ব্যবহার, জনগণকে তাদের সংগঠন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়াসহ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়ানোর এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা, হাসপাতাল ও বাসে আগুন অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র
সিইসিকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সাক্ষাৎকালে তিনি নির্বাচন আয়োজনে অপরিহার্য কাজে নির্বাচন কমিশনের অনন্য সাংবিধানিক ভূমিকাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যেমনটা তারা সবাই জানেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুরু হয় প্রকৃত ভোটগ্রহণের দিনের কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস আগে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশন সবাই এ ব্যাপারে দায়ী।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশের দিন রাস্তা বন্ধ করা হবে কিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত হাস
সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান