মৎস্যজীবী
খুলনায় এবার ইলিশের চড়া দাম
খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
খুলনার বেশ কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার বাজারে তুলনামূলক ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। বাজারে যে ইলিশ আছে তার আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। আর এসব ইলিশ হচ্ছে নদ নদীর ইলিশ।
শেখ সাদি নামের এক ক্রেতা বলেন, এ বছর ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া। দামের কারণে মাছটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ এই বর্ষাকালে ইলিশের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালে। মাইকিং করে বাজারে মাছ বিক্রি করা হতো। কিন্তু এ বছর ভরা মওসুমেও ইলিশ জোটেনি অনেকের ভাগ্যে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কেসিসি রূপসা মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্সের পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, খুলনায় এবার ইলিশের দাম স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেড় কেজি ওজনের নদীর ইলিশ ১৭০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ২০০ গ্রামের ইলিশ ১৫০০ টাকা। এক কেজির ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা। যা এখন থাকার কথা ছিল ৭০০-৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসময় ইলিশের সরবরার বেশি থাকার কথা হলেও সরবারহ কম।
খুলনা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যে কারণে বাজারে ইলিশের সংকট। ২৩ জুলাই এর পর সাগরে মাছ ধরা শুরু হলে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাবে। তখন এ সংকট থাকবে না।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান
২ বছর আগে
ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান
ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকাকালে ভিজিএফের পাশাপাশি মৎস্যজীবী-জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় বলেশ্বর নদীতে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ বিষয়ক অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণের সময় এবং মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণের যৌক্তিক, গবেষণালব্ধ ও বাস্তবতাসম্পন্ন কারণ রয়েছে। মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ দেয়াসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার। মৎস্যজীবীদের বিকল্প কাজের জন্য রিকশা, ভ্যান, গরু, হাঁস-মুরগির বাচ্চা দেয়া হচ্ছে যাতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় তারা কর্মহীন না হয়।
কর্মশালায় মন্ত্রী আরও বলেন, শূন্য থেকে দেশে মৎস্য উৎপাদন বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। একসময় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, নতুন প্রজন্মকে বলতে হবে ইলিশ জাতীয় একপ্রকার মাছ ছিল, তার গায়ের রং এমন ছিল, স্বাদ এমন ছিল। একটা সময় একেবারেই ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছিল। সে জায়গা থেকে ইলিশের উৎপাদন এমন জায়গায় আনা হয়েছে যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সাত লাখ মেট্রিক টন আহরণের পর আরও দেড় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা যাবে।
রেজাউল করিম আরও বলেন, আমাদের একটি প্রবণতা আছে যতক্ষণ নদীতে মাছ আছে ততক্ষণ আমরা সব মাছ তুলে ফেলবো। এ ধারণাটা মৎস্যখাতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা পরিমাণ মাছ নদী বা জলাশয়ে থাকতে হবে। নদী থেকে কতটা মাছ তোলা যাবে তার বিজ্ঞানসম্মত অভিজ্ঞতা ও রিপোর্ট রয়েছে। সার্বক্ষণিক আমরা যদি মৎস্য আহরণ করতে দেই তাহলে একসময় পানি থাকবে কিন্তু কোন মাছ থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘নদী দূষণ, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, অভয়াশ্রমে অবৈধ মৎস্য আহরণ, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, নদীতে ডিম ছাড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত করাসহ নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তখন ইলিশ উৎপাদনে শীর্ষ দেশের পরিচয় আমাদের আর থাকবে না। এজন্য ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র ও অভয়াশ্রম সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাময় মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বড় বড় দুর্বৃত্ত, জলদস্যু ও দেশের বাইরের লোক এসে যাতে অবৈধভাবে আমাদের মৎস্যসম্পদ আহরণ করতে না পারে তাদের উদ্দেশ্য করে এই আইন করা হয়েছে। এ আইন মৎস্যজীবী-জেলেদের সাজা দেয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এমনটি নয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ নিয়ে কথকতা
এসময় দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও কমিউনিটি সম্পৃক্তকরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
কর্মশালায় বিএফআরআই-এর গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বলেশ্বর নদী ও মোহনা অঞ্চলে ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩৪৮ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলকে প্রজনন ক্ষেত্র ঘোষণার জন্য প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত অঞ্চলকে প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণার মধ্যমে দেশে ইলিশের পঞ্চম প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে এবং সর্বমোট সাত হাজার ৩৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ অবাধে প্রজননের সুযোগ পাবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
প্রস্তাবিত প্রজনন ক্ষেত্র এলাকা হচ্ছে-বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার বগী বন্দর থেকে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার পক্ষীর চর সংলগ্ন পয়েন্ট পর্যন্ত এবং পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা থেকে পটুয়াখালী (বরগুনা জেলার সীমানা সংলগ্ন) জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়ন এর লেবুর বাগান পয়েন্ট পর্যন্ত। বিএফআরআই-এর গবেষকরা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করে এই প্রজনন এলাকা নির্ধারণ করেছেন বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জলাশয় সংস্কার: হাওরপাড়ের মৎস্যজীবী ও কৃষকেরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন
২ বছর আগে
৯৯৯ এ কল: সমুদ্রে বিকল ট্রলার থেকে ১৫ মৎস্যজীবী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে বঙ্গোপসাগরে বিকল ট্রলারে আটকে পড়া তিন দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১৫ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে ভাসান চর কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: ৩০ কেজি ওজনের অজগর উদ্ধার
উদ্ধারকারী দলের সদস্য ভাসানচর কোস্টগার্ডের জুনিয়র কমিশন অফিসার (জেসিও) শফিক জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জুয়েল নামে একজন বঙ্গোপসাগরে বিকল ট্রলার থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান যে, তিনিসহ মোট ১৫ জন জেলে একটি ট্রলার যোগে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর মেঘনা নদীতে দু’দিন মাছ ধরেন। এরপর তারা সাগরে যান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তারা ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেননি। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে থাকায় তারা কাউকে তাদের বিপদের কথা জানাতে পারেননি। এরপর তারা নিয়ন্ত্রণহীন সাগরে ভাসতে থাকেন। তিন দিন বিকল নৌযান নিয়ে সাগরে ভাসার পর রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তারিখ বিকালে অবশেষে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই লেক থেকে ৭ পর্যটক উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কোস্টগার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ভাসানচর কোস্টগার্ডকে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ পুলিশ ডিসপাচার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কোস্টগার্ড ও কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: নাফ নদী থেকে ৩৮ পর্যটক উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে ভাসান চর থেকে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল রওনা দেয়। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে কোস্টগার্ড বিকল নৌযানটিকে খুঁজে পায় এবং বিকল নৌযানটিসহ ১৫ জন জেলেকে উদ্ধার করে নিরাপদে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়েছে।
৩ বছর আগে
জরুরি সেবা ৯৯৯: সমুদ্রে বিকল নৌযান থেকে উদ্ধার ১৫
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা বিকল নৌযানের এক মৎস্যজীবীর ফোন কলে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড। বিকল নৌযানটি ভাসানচরের কাছাকাছি ঠেঙ্গারচরের নিকটবর্তী জায়গায় বিকল হয়ে যায়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ৯৯৯ নম্বরে ইব্রাহীম নামের একজন কলার ভাসানচরের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর থেকে ফোন করে জানান, তিনি সহ মোট পনের জন মৎস্যজীবী তিন দিন আগে আগষ্টের দশ তারিখ রাত বারোটার পরে একটি ফিশিং ট্রলার যোগে মাছ ধরার জন্য ভোলার চরফ্যাশন থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
বুধবার দুপুরের দিকে তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তারা ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেননি। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে থাকায় তারা কাউকে তাদের বিপদের কথা জানাতে পারেননি। এরপর তারা নিয়ন্ত্রণহীন সাগরে ভাসতে থাকেন।
একদিন বিকল নৌযানে সাগরে ভাসামান অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অবশেষে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে ইব্রাহীম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। কলার আরও জানান তারা এখন উপকূল থেকে গভীর সমুদ্রের আনুমানিক ত্রিশ থেকে চল্লিশ কি.মি. দূরত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কোষ্টগার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ভাসান চর থেকে কোষ্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল রওনা হয় সমুদ্রে বিকল নৌযান চিহ্নিত করার জন্য। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কোষ্টগার্ড বিকল নৌযানটিকে খুঁজে পায় এবং বিকল নৌযানটি সহ পনের জন জেলেকে উদ্ধার করে নিরাপদে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়েছে।
৩ বছর আগে
জলাশয় সংস্কার: হাওরপাড়ের মৎস্যজীবী ও কৃষকেরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন
সুনামগঞ্জে খাল, বিল ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে সহজেই মিলছে না দেশীয় প্রজাতির মাছ। এ অবস্থায় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ শুরু করেছে। ফলে আশাবাদী হয়ে উঠছেন হাওরপাড়ের মৎস্যজীবীরা।
জেলায় মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় জলাশয়ের খনন কাজ চলছে। হাওরপাড়ের সরকারি জলাশয়গুলো খননকাজে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
জেলার সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা ও দিরাইসহ মোট ৬টি উপজেলায় ৪৫টি স্কিমে ২৮টি জলাশয়ের খনন কাজের মধ্যে সিংহ ভাগ জলাশয়ের খনন কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। জলাশয়গুলো খনন করার ফলে হাওরপারের মৎস্যজীবীরা যেমন মাছ সংগ্রহ করতে পারবে অন্যদিকে সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে সুফলতা পাবে।
হাসামেলা চুন্নী গ্রুপ জলমহালের সাধারণ সম্পাদক মহরম আলী বলেন, আমরা জলাশয় খননের কাজ সম্পন্ন করেছি। জলাশয়টি খননের ফলে যেভাবে দেশীয় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি হাওরের কৃষকেরাও জমিতে পানি দিয়ে উপকৃত হবে।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, আমাদের হাওরের পাশেই পাংগাইয় জলাশয়। জলাশয়ের চারপাশে রয়েছে ২০০ একর জমি। পানির অভাবে অনেক সময় ধান ফলানো যায় না। জলাশয় খনন করার ফলে ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
প্রভাষক মো. মশিউর রহমান বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এ খালগুলো সংস্কার খুবই প্রয়োজন। সরকারের এ উদ্যেগকে স্বাগত জানাই।
ভারপ্রাপ্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস বলেন, জেলার ৬টি উপজেলার ৪৫টি স্কিমের আওতায় ২৮টি জলাশয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি’র খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। জলাশয় খননের ফলে জেলাবাসী সুফল পাবে। দেশীয় মাছ উৎপাদন ও কৃষি জমিতে পানি দেয়াসহ বিভিন্ন উপকারে আসবে।
৩ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যজীবীদের জন্য আরও ৪৩৯.১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
চট্টগ্রামের কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য আরও ৪৩৯ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
৪ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যজীবীদের জন্য ৮৮৯.৯৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
চলতি অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকার সময়ে সরকার মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৮৮৯ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা দেবে।
৪ বছর আগে