শেবাচিম
শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) তৃতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি। এতে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বান্দ রোডে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
এর আগে, শিক্ষক সংকট দূরের দাবিতে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শেবাচিম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের চলমান এই কর্মসূচিতে বন্ধ রয়েছে কলেজের প্রশাসনিক ও ছাত্র শাখার কার্যক্রম। এছাড়াও কলেজের প্রধান দুটি গেট তালাবদ্ধ রয়েছে এবং গেট দুটিতে ‘শাটডাউন’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত
কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে এলেও নিয়মিত কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করতে পারেননি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতেও দেখা যায়নি। এতে ব্যাহত হচ্ছে কলেজটির স্বাভাবিক কার্যক্রম।
এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজে চলমান শিক্ষক সংকট নিরসনে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া অবধি আন্দোলন চলমান থাকবে।
তবে কলেজ প্রশাসন বলছে, তারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নিলে মেডিকেল কলেজের শূন্যপদে শিক্ষক পদায়ন সম্ভব নয়।
শেবাচিম কলেজের প্রশাসনিক শাখা জানায়, কলেজে শিক্ষকদের ৩৩৪টি পদের মধ্যে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছেন। বাকি ১৮৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে ব্যহত হচ্ছে। কয়েকটি বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ প্রভাব চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবি যৌক্তিক এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলা হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে নিশ্চিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার।
২৮ দিন আগে
শেবাচিম হাসপাতালের ৩ কর্মীর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ
বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে রোস্টার বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে ওয়ার্ড মাস্টারসহ তিনজনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারী।
অভিযুক্তরা হলেন-ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন, তরিকুল ইসলাম সোহাগ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বরাবর লিখিত আবেদন দিয়ে অভিযুক্তদের অপসারণ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হেযবুত তওহীদের ওপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন
এ সময় হাসপাতালটির পরিচালকের দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা দেন, রাব্বি আল মামুন, মাহমুদুল হাসান, নূরনবী প্রমুখ।
হাসপাতালের বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা বলেন, ‘ওয়ার্ড মাস্টার রোস্টার বাণিজ্যের মাধ্যমে হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকে। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় অভিযুক্তরা বাধা দিয়েছে। তাই তাদের অপসারণ জরুরি। তবে অভিযুক্তরা এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
১৪৯ দিন আগে
বরিশাল শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণে উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) শিক্ষার্থীরা।
এসময় শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ৮ জন চিকিৎসকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি হাসপাতালের ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ২ বছরের জন্য স্থগিতের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এসব চিকিৎসকদের ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি পেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ৮ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এছাড়া ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানান, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট সুদীপ কুমার হালদার, আবসিক সার্জন মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, মেডিকেল অফিসার শিরিন সাবিহা তন্নী, ইন্টারন্যাল মেডিকেল এ.এস.এম. সায়েম, হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বাকির হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সরোয়ার, উপাধ্যক্ষ জিএম নাজিমুল হক, সহকারী অধ্যাপক সৌরভ সুতারের পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। এছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসক মহসীন বিভা, আরিফুজ্জামান ইমন, সাদমান বাকির সাবাব, প্রীতম দেবনাথ, অর্ঘ্য বিশ্বাস ও আসিফুল ইসলামকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি আমরা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তারা ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি সংস্থার কাছে প্রদান করেছে। এছাড়া আন্দোলন বানচালের উদ্দেশে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে চিকিৎসকরা নৈতিকভাবে তাদের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে বলে মনে করছি।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দায়িত্বরত ৪ জনকে অবিলম্বে বদলির ব্যবস্থা করা হবে।
শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ৬ শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কমিটি গঠন নিয়ে ইন্টার্নদের ধর্মঘট, শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
শেবাচিম হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
২০০ দিন আগে
কমিটি গঠন নিয়ে ইন্টার্নদের ধর্মঘট, শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকদের ধর্মঘট।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আজ বুধবারেও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পেলে এ আন্দোলন চলবে।
মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটি দুটির পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া চিকিৎসকরা সেবা বন্ধ করে দেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একজন নবগঠিত ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ডা. নাজমুল হাসান বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকে সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে মিটিং করবো। এতেও যদি আমাদের দাবি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পদ না দেওয়া হয় তাহলে এ ধর্মঘট চলবে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েসন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েশনের দুটি কমিটি সুপারিশ করেছেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি মঙ্গলবার দুটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতী পালন করছেন। অন্যদিকে কমিটিতে সন্তুষ্ট চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। একাংশের ধর্মঘটে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
৩৬৪ দিন আগে
শেবাচিমের কোয়ার্টার থেকে আইএইচটি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কোয়ার্টার থেকে আইএইচটির শিক্ষার্থী অন্তরা পানুয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কোয়ার্টারের রুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে দরজার ফাঁক দিয়ে অন্তরাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় সহপাঠীরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ভুট্টা খেতে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
অন্তরা পটুয়াখালী জেলার খলিসাখালি উপজেলার অনুকূল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে। তিনি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) বরিশালের দ্বিতীয় বর্ষের ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অন্তরার সহপাঠী সুরাইয়া আক্তার বলেন, আইএইচটির ইন্সট্রাক্টর তাহের সুমনের মাধ্যমে অন্তরা রবিবার এই রুমে উঠেন। সোমবার সকালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। অন্তরার মৃত্যুর বিষয়টি তার স্বামী তাপসকে জানিয়েছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ভুট্টা খেত থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় পদ্মার চর থেকে যুবকের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার
৪০৮ দিন আগে
শেবাচিম হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন মুক্তা আক্তার পুতুল।
আরও পড়ুন: বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
তিনি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় তিনি প্রসব বেদনা শুরু হলে শেবাচিম হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে - সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।
এদিকে মা সুস্থ থাকলেও নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন বলেন, চারটি বাচ্চারই ওজন কম। অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর শরীরে যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। এখনও কোনো শিশু শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব জানিয়েছেন, তবে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বাহ্যিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় তাদের স্বজনেরা সবাই খুশি।
সন্তানদের নানী মায়া বেগম জানান, ১০ বছর আগে তার মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়েছে। গেল রমজানে দেশে থাকলেও বর্তমানে মুক্তার স্বামী সিদ্দিকুর রহমান বাহারাইন আছেন। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
৫২৯ দিন আগে
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
গত কয়েকদিন ধরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
জানা যায়, গত তিন দিন ধরে জি ব্লকের ৩ ও ৪ নং সার্জারি ওয়ার্ড, এ ব্লকের ১ নং সার্জারি ওয়ার্ড (পুরুষ) এবং আই ব্লক (চক্ষু) বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। অন্যদিকে রেডিওলজি বিভাগ গত ১৮ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় নাইমুল ইসলাম জানান, ‘ওয়ার্ডে আলো না থাকায় আমরা অন্ধকারে টয়লেটে পর্যন্ত যেতে পারছি না। চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছি আজ কয়েক দিন ধরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
আরেক রোগীর স্বজন আরাফাত হোসেন শাওন বলেন, ‘হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা পাই না। তারপরও আসতে হয়। কারণ আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। এখন এখানে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। এভাবে মনিটরিং ছাড়া হাসপাতাল চলতে পারে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন নার্স জানান, রাতের অন্ধকারে তারা রোগীদের সঠিকভাবে ইনজেকশন দিতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
ওই নার্স বলেন, ‘আমরা বর্তমানে মোমবাতি ও চার্জার লাইটের সাহায্যে আমাদের কাজ করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে গেট নির্মাণ করছে, যা অপ্রয়োজনীয়। বৈদ্যুতিক তারগুলো ঠিক করতে এবং জেনারেটরের মাধ্যমে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যয় করা উচিত ছিল।’
ওই নার্স আরও বলেন, গেট নির্মাণ না করে কীভাবে রোগীদের আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা দেয়া যায় তার ওপর জোর দিতে হবে।
বিদ্যুৎ সংকটের ব্যাপারে কথা বলার জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামকে ইউএনবির পক্ষ থেকে একাধিকবার কল দিলেও, তিনি রিসিভ করেন নি।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রেডিওলজি বিভাগ। এতে করে সরকারিভাবে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। নার্সরাও সেবা দিতে পারছে না। রোগীরা বেকায়দায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, হাসপাতালটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করা হয়নি। এজন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিদ্যুতের কেবল নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ’
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
৮৫৯ দিন আগে
বরিশালে বাসচাপায় নিহত ২
জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চরাদি ইউনিয়নের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-চরাদি ইউনিয়নের সন্তোষদি গ্রামের নান্না মল্লিকের ছেলে নাজমুল মল্লিক (২০) ও একই গ্রামের জসিম গাজীর ছেলে রাব্বি গাজী (২১)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নাজমুল বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র। রাব্বি বেঙ্গল বিস্কুটের সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল।
চরাদি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন মৃধা জানান, নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গোমা ফেরিঘাটগামী যাত্রীবাহী সাগর পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসময় মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত নাজমুল মল্লিক ও রাব্বি গাজীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া খেয়াঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাকেরগঞ্জের ডিসি রোডে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়েছে তবে পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যু
৯১০ দিন আগে
নার্সের ওপর হামলা: ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামের ওপর হামলা করায় ট্যুরিস্ট পুলিশের তিন সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশাল রিজিওন এর পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
তিনি জানান, নার্সের ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেড কোয়াটারে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশাল জোনের ইন্সপেক্টর বুলবুল আহমেদ, কনস্টেবল জাভেদ ও মেহেদী।
প্রসঙ্গত, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক বুধবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় রোগীর নাম জিজ্ঞাসা করা নিয়ে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক বুলবুলের সঙ্গে। এই নিয়ে এক পর্যায়ে নার্স সাইফুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের নার্সরা দুই ঘন্টা কর্মবিরতি করলে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কাজে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের ব্রাদারকে মারধর, নার্সদের কর্মবিরতি
ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
১১০৫ দিন আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে শেবাচিমে র্যাবের ডিজি
ঝালকাঠিতে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে শুক্রবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) পরিদর্শন করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বলেন, র্যাবের ডিজির নির্দেশে একটি হেলিকপ্টার বরিশালে পৌঁছেছে এবং গুরুতর আহত দুই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ এবং আহত ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
১১৮১ দিন আগে