শোলাকিয়া
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন: জামাত সকাল ৯টায়
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ঈদুল আজহার জামাত নির্বিঘ্নে করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, ঈদগাহ কমিটির কর্মকর্তাদের তৎপরতা ও দিন-রাতের পরিশ্রমে নামাজের উপযোগী হয়ে উঠছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। এ মাঠে একসঙ্গে এক লাখের বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা ও টয়লেট। চলছে শোভাবর্ধনের কাজও।
তাছাড়া মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি, মেডিক্যাল টিম, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে এরই মধ্যে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দুটি মুসল্লি নিয়ে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে এসে নামাজের শেষে আবার ফিরে যাবে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জামাতের মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যেন মুসল্লিরা নিরাপদে জামাতে এসে নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারেন। জামাতে শুধু টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া কিছুই বহন করা যাবে না।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবারও অন্যান্য বারের চেয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাঠসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, নামাজের সময় ২ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব. আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এছাড়াও মাঠসহ প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। আর আকাশে উড়বে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। এর ফলে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। সে বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশ নেন বলে মাঠের নাম হয় “সোয়া লাখি মাঠ”। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে পরিণত হয়ে নাম হয়েছে আজকের শোলাকিয়া মাঠে। মাঠে একসঙ্গে দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে নামাজের ২৬৫টি কাতার রয়েছে। এবার এ মাঠে ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায়
পদ্মায় গোসলে নেমে তাবলিগ জামাতের সদস্যের মৃত্যু
৫ মাস আগে
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদের জামাত সকাল ৯টায়
প্রতিবছরের মতো এবারও সকাল ৯টায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। এদিন পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
এছাড়া ৬টি এ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিয়ন সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে জানান, এ বছর ১৯৬ তম ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ১৯৬ তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত করতে পারব।
এ ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। ৪টি ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
১ বছর আগে
শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদ্গাহ মাঠে রবিবার পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে দলে দলে মাঠে আসতে থাকেন। সকাল ৯টায় ঈদের জামাত শুরু হয়। এবারের ১৯৫তম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়।
নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ ও বন্যায় কবলিত মানুষের কল্যাণে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আারও পড়ুন: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে
জেলা পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ঈদ জামাত ঘিরে মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে ঈদগাহে প্রবেশ করানো হয়। আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সাদা পোশাকে নজরদারি করেছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ বছর আগে
শোলাকিয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
করোনার কারণে দুই বছর বিরতির পর, মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এশিয়ার বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঈদ জামাত শেষে জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম সাংবাদিকদের জানান, জামাতে প্রায় তিন লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
এবছর কিশোরগঞ্জ বড় বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সোয়েব বিন আব্দুর রউফ জামাত পরিচালনা করেন।
জামাতে মুসল্লিরা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, পুরো শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও গোয়েন্দাদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মোট পাঁচ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও ড্রোন দিয়ে পুরো এলাকায় নজর রাখা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ ট্রেন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে যাত্রা করেছে যাতে ভক্তরা বৃহত্তম ঈদ জামাতে যোগ দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই: বিএনপি
চলমান সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যেও ভারতে ঈদ উদযাপিত
২ বছর আগে
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে শোলাকিয়া, জামাত সকাল ১০টায়
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় সকাল ১০টায় ঈদের জামাত শুরু হবে। জঙ্গি হামলার সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়া মাঠে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন ও সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিংসহ পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিয়ন সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
বৃস্পতিবার ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সকল ধরনের প্রস্তুতির তদারকিকালে ও মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হচ্ছে না
জেলা প্রশাসক জানান, কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৯৫তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এবং বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবে মাওলানা সোয়াইব বিন আ.রউফ।
তিনি জানান, ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, এর মধ্যে চারটি পুলিশের ও ২টি র্যাবের। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বোম ডিসপোসাল টিম, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, মাইন ডিটেক্টর ইউনিটসহ পুলিশের অন্যান্য টিম কাজ করে যাবে।
মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, মুসুল্লিদের দেহ তল্লাশির পাশাপাশি একমাত্র জায়নামাজ ও মাস্ক ছাড়া আর কোন কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে আসার বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকবে।
এসময় পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পৌর মেয়র মো.পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, র্যাব- ১৪ (সিপিসি- ২), কিশোরগঞ্জের ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হবে শোলাকিয়া
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহনের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ১ ভৈরব থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় ভৈরব পৌঁছবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে সকাল পৌনে ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছবে বেলা ৩টায়।
২ বছর আগে
দুই বছর পর মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হবে শোলাকিয়া
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দুই বছর পর আবারও মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য ইতোমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি। এবার চার স্তরে নিরাপত্তা বলয়ের বেষ্টনী থাকবে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ।
জানা যায়, ১৭৫০ সাল থেকে শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সেই হিসাব অনুযায়ী শোলাকিয়া ঈদগাহের বয়স ২শ’ ৭১ বছর। প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পর ১৮২৮ সালে প্রথম বড় জামাতে এই মাঠে একসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়ালাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই সোয়ালাখ থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’, যা উচ্চারণ বিবর্তনে হয়েছে শোলাকিয়া। কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যের প্রতীক শোলাকিয়া ঈদগাহ স্থান করে আছে মানুষের হৃদয়ে। স্থানীয় হয়বতনগর সাহেব বাড়ির ঊর্ধ্বতন পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.) ওই জামাতে ইমামতি করেন।
সর্বশেষ ১৯২তম জামাতে ইমামতি করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মো. ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
শোলাকিয়ার এ ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহটি প্রতিষ্ঠা করেন কিশোরগঞ্জ শহরের হয়বতনগর জমিদার বাড়ির লোকজন। বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশাখাঁ’র ৬ষ্ঠ বংশধর হয়বতনগরের জমিদার দেওয়ান মান্নান দাদ খান তার মায়ের অসিয়াত মোতাবেক ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য ৪.৩৫ একর জমি ওয়াক্ফ করেন। সেই ওয়াক্ফ দলিলে উল্লেখ রয়েছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
কিশোরগঞ্জ মৌজার এ মাঠের মূল আয়তন বর্তমানে ৬.৬১ একর। চারপাশে অনুচ্চ প্রাচীর ঘেরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মোট ২৬৫টি কাতার রয়েছে যেখানে একসঙ্গে দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহ সংলগ্ন খালি জায়গা, রাস্তা এবং নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে সমসংখ্যক মুসল্লি এ বৃহত্তম ঈদজামাতে শরিক হন।
পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারে ৫০ শতাংশ হোটেল আগাম বুকিং
প্রতি বছরই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিণত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মহামিলন কেন্দ্রে। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে। সবার উদ্দেশ্য একটাই, যেন কোন অবস্থাতেই হাত ছাড়া হয়ে না যায় জামাতে অংশগ্রহণ, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ। সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে এক নতুন সমাজ গড়ার শিক্ষা নিয়েই জামাত শেষে বাড়ির পথে শোলাকিয়া ছাড়েন তাঁরা।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এবারের জামাতে জায়নামায ও মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল নিয়েও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থধাকবে। শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে ঈদের দিনে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। ড্রোন ক্যামেরাসহ ৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও মাঠে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হবে। এ কাজে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডের দুটি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এবার ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
পড়ুন: ঈদে পরিবহন খাতে ‘নৈরাজ্যের’ আশঙ্কা আরএসএফের
২ বছর আগে
ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হচ্ছে না
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও দেশের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও ঈদ উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করার নির্দেশ
তিনি জানান, মঙ্গলবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি সভা হয়। সেখানে সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সে অনুযায়ী খোলা জায়গায় ঈদের বড় জামাত আয়োজনের সুযোগ নেই। তাই শোলাকিয়াতে এবারও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
ঈদের জামাত স্থানীয় মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাধিক জামাত আয়োজন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও আমাদের অন্য কর্মকর্তারা মিলে সুন্দর একটি সময়সূচি তৈরি করেছেন, যাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা স্থানীয়ভাবে ঈদের জামাত আদায় করতে পারেন।
কিশোরগঞ্জের পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের মতো এবারও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। তাই শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও শহীদি মসজিদসহ স্থানীয় মসজিদগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল ফিতরের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৬ এপ্রিল সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় না করার জন্য এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ে ১২টি শর্ত দেওয়া হয়।
গত বছরও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ঐতিহাসিক এই ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনার ১ম ডোজের টিকাদান সোমবার থেকে স্থগিত
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর তীরে ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের তিন লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করে আসছেন।
৩ বছর আগে
শোলাকিয়ায় হচ্ছে না ঈদুল আজহার জামায়াত
করোনা পরিস্থিতির কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ বছর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসন্ন ১৯৩তম ঈদুল আজহার জামায়াত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
৪ বছর আগে
এবার শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হচ্ছে না
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় হচ্ছে না ঈদুল ফিতরের জামাত।
৪ বছর আগে