সমুদ্র বন্দর
সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
প্রবল মৌসুমি বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি থাকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে,মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কাল শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ১৬০৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
১ বছর আগে
নামল ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে রবিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায়ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
রবিবার, ভারতের ঝাড়খন্ডে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ছত্তীশগড় এবং তৎসংলগ্নে অবস্থান করছে।
এটি ক্রমান্বয়ে আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ বছর আগে
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সম্ভাব্য ঝড়ো হাওয়ার কারণে জাহাজগুলোকে সতর্ক করে এই সংকেত দেখানো হয়েছে।
এতে বলেছে, এর প্রভাবে একই এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্বল হয়ে পড়েছে নিম্নচাপ, ৩ নম্বর সংকেত বহাল
সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মালামালের প্রথম চালান নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে জাহাজ দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলায় ভিড়েছে। পণ্যবাহী দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী এমভি উহইওন হোপ নামের ওই জাহাজটি শনিবার বিকালে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
জাহাজটিতে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ কাজের দুই হাজার ৩৫৬ মেট্রিক টন মালামাল রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ফ্যাবরিকেটেড স্টিল ট্রাস মেম্বার উইথ লেটারাল ফোর্স সাপোর্ট ( প্রজেক্ট কার্গো) এর প্রথম চালান নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। এমভি উহইওন হোপ নামের ওই জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে গত ২৫ জুলাই ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর ত্যাগ করে। জাহাজে ২৬৭টি প্যাকেজে দুই হাজার ৩৫৬ মেট্রিকটন বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। রাতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। চার দশমিক আট কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল-লাইন ডুয়েল গেজের এই রেল সেতু নির্মাণ হলে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এই ডুয়েলগেজ ডাবল-ট্রাক সেতুটি দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু হবে।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, দেশের একের পর এক বৃহৎ মেগা প্রকল্পের মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আমাদানি করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরের রুপান্তরিত হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকার গার্মেন্টস পণ্যসহ অন্যান্য সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এর সুফল হিসেবে মোংলা বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন হামলার পর প্রথম রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
২ বছর আগে
সমুদ্র বন্দরসমূহকে সর্তক থাকার নির্দেশ
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং শনিবার সকাল ৬টায় একই এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় এক হাজার ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে এক হাজার ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে এক হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কী অচিরেই সাগরের পানিতে ডুবে যাবে!
২ বছর আগে
মোংলা বন্দরে ১২ বছরে ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলার উন্নয়নে বর্তমান সরকাররের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গত ১২ বছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩৭২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
প্রকল্পের সংখ্যা (জিওবি অর্থায়নে) এবং বরাদ্দে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মোংলা বন্দর। বন্দরের কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ‘যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে মোট ৭৫ টি ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে যা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান মো. জহিরুল হক জানান, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে এক হাজার ৩৭২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্দরে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আউটার বারে ড্রেজিং কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ইনার বারে ২৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে মেট্টোরেলের সপ্তম চালান
আউটারবারে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হওয়ায় মোংলা বন্দরের অ্যাংকোরেজে ইতোমধ্যে ৯ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেল করা হচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সারাদেশে যখন ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৯৭০টি জাহাজ, ১১৯ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিকটন কার্গো, ৪৩ হাজার ৯৫৯ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডেল এবং ৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা বন্দরের ৭০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তিনি আরও বলেন, বন্দর কেন্দ্রিক অন্যান্য অবকাঠামোসহ পদ্মা সেতু নির্মিত হলে রাজধানী ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে বন্দরের ব্যবহার বহুগুনে বেড়ে যাবে। এ বিবেচনায় ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মোংলা বন্দরকে আরও সক্ষম করে তোলার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
২ বছর আগে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় আরও বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত নিম্নচাপটি লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ সময়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২২-৪৩ মিলিমিটার থেকে ৪৪-৪৩ মিলিমিটার।
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উক্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ লঘুচাপে পরিণত হবে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে শৈশবে ফিরে গেলেন সাকিব
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ
৩ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রবিবার এক বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মেঘ সৃষ্টি এবং ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: খুলনা উপকূলে ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
৩ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বুলেটিনে জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এ পরিণত হয়েছে।
‘এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: খুলনা উপকূলে ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: ভোলায় ১১ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাগেরহাটে সাড়ে ৬ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে : মৎস্য বিভাগ
৩ বছর আগে