দাম
খুলনার বাজারে শীতকালীন সবজি আসলেও দামে নাগাল পাচ্ছে না ক্রেতারা
শীত আসি আসি করছে। এরইমধ্যে খুলনা মহানগরীসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা সবজি। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি।
মাঝে মধ্যে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আর অতিরিক্ত মূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে ফেলেছে বেকায়দায়। তাই চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ
এদিকে পাইকগাছা উপজেলা সদর চাঁদখালী বাঁকা কপিলমুনিসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দোকানির ওপরে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা। এছাড়া শীতের শুরুতেই বাজারে সকল ধরনের সবজির দাম আকাশ ছোয়া। যা নাগালের বাইরে।
বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ১২০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা বলেন, ‘সবজির দাম নাগালের বাইরে। কেনার সাধ্য নেই। আগে যে টাকায় সকল কিছু হয়ে যেত এখন আর সেই টাকা দিয়ে খাওয়াটাই হচ্ছে না। তাহলে কেমনে বাঁচব।’
এছাড়া সকল জায়গায় ভোগান্তি, তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না বলে জানান বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
দামের বিষয়ে চাঁদখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদুল বলেন, ‘গেল কয়েকদিন ধরে সবজির দামটা অনেক বেশি। কারণ উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা শীতকালীন শাকসবজি বাজারে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারের ৭ থেকে ৮ ধরনের সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই এবং বাকি সকল সবজির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে হবে বলে জানান তিনি।
সচেতন মহলের লোকজন বলছেন, বাজারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে। এই সময় বেশিরভাগ নতুন সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারের দাম চড়া।
তবে আমরা মনে করি বাজার যদি ঠিক মতো তদারকি করা হয় তবে দামটা অনেকটাই কমবে। তবে পুরোপুরি শীত চলে আসলে নতুন সব সবজি বাজারে উঠবে, তখন সবজির দাম অনেক কমে যাবে। বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণেই দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজগঞ্জে শীতকালীন পেঁয়াজের চাষে ব্যস্ত কৃষক
৬ দিন আগে
নভেম্বরে ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমছে ৫০ পয়সা
সরকার নভেম্বর মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৫ টাকা করেছে। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ১২৫ ও ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে খুচরা ক্রেতাদের আর্থিক সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধিতিতে এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে ২০২৩ সালের মার্চে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে।
আরও পড়ুন: ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমিয়েছে সরকার
৩ সপ্তাহ আগে
আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্যে দুর্ভোগে মাগুরাবাসী, বাজার না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে ঘরে
মাগুরায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে অনেককে বাজার না করেই ফিরতে হচ্ছে ঘরে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের দুর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের আক্ষেপ, আগের মতো বেচাকেনা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি হাট-বাজারে শাক-সবজিসহ সব কাঁচা বাজারের দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই বাজারে এসেও কাঁচা বাজার না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন।
মাগুরার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচ, ডিম ও সবজির দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা।
জেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি প্রায় ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মাঝারি লাউ প্রতিটি ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০, শসা ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম।
প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্য ১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি হালি ডিমের দাম ৬০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১৫০ টাকা। যার প্রতি হালি বিক্রি হতো ৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েকদিনে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
গরু, ছাগল এবং দেশি ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম না বাড়লে মাছের দাম ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারগুলোতে ছোট মাছ নেই বললেই চলে। যেগুলো আছে সেগুলো সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আবার বড় মাছের দামও অনেক বেশি। ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এছাড়া বেড়েছে সব ধরনের চাল ও তেলের দাম।
তবে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বিক্রিও কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়লেও তাদের উপার্জন বাড়েনি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি যে বাজারে যেতেই ভয় হয়। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে হু-হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সামুনুল ইসলাম জানান, অধিক পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় ও পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিনই কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পরিবহন খরচও বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়েই দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
১ মাস আগে
ভারতে রপ্তানির খবরে বেড়েছে ইলিশের দাম
ভারতে রপ্তানির খবরে আরও বেড়েছে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম। তাই মধ্য ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই ইলিশ রপ্তানি করা হয়। তবে এ বছরও সরকার ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে ইলিশের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী জেলার পৌর নিউমার্কেট মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে ইলিশের দাম ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে ১ কেজি ইলিশের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে তা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম বা দেড় কেজি মাছের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ঝাটকা ৬৫০ টাকা। ছোট ঝাটকা ৫০০ টাকা করে চলছে।
আরও পড়ুন: ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ
এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে ইলিশ কেনার সামর্থ্য হারাতে বসেছি। দাম এত বেশি যে, কিনতে গেলে সাধারণ পরিবারের বাজেটেই টান পড়ে।
মাছ বিক্রেতা মো. খোকন বলেন, রপ্তানির কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় তারা বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর পাশাপাশি, পরিবহন ও অন্যান্য খরচও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করেন, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়াতে সরকার উদ্যোগ নিলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
এ বিষয়ে এক মৎস্য আড়ৎদার জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে দেশীয় বাজারে ইলিশের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে। সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করে, তবে ক্রেতাদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে বিগত ২০-২৫ দিন গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধ ছিল। তাই আলিপুর, মহিপুর বন্দরে মাছ কম এসেছে। আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যে বাজারে মৎস্য সরবরাহ বাড়বে। খুব তারাতারি ইলিশের দাম কমবে ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে চলে আসবে।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। অস্বাভাবিক মূল্যে বিক্রয়ের কোনো প্রমাণ পেলে তারা আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেটে বলা হয়েছে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ৩৪ক ধারা বিলুপ্ত হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারকে দিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ৩৪ (ক) ধারা প্রবর্তন করেছিল।
গণশুনানি ছাড়া সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
সর্বশেষ এই সংশোধনীর পর সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বা গ্যাসের দাম বাড়াতে চাইলে তাকে বিইআরসিতে প্রস্তাব দাখিল করতে হবে এবং এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিইআরসি গণশুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
২ মাস আগে
চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় মসলাজাতীয় পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৭০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। কিন্তু মাংস রান্নায় বেশি পরিমাণে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবহার হয় বলে এসব পণ্য কিনতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
তাই ঈদকে সামনে রেখে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আর এই চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি জোরদার না করায় ব্যবসায়ীরা শাস্তি না পেয়েই পার পেয়ে যায়।
কারওয়ান বাজারে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকার নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা আম্বিয়া আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে বাজারের সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার ওপর আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করছে, পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়াতে হয়েছে তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মগবাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আদার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৭০ টাকার পরিবর্তে ৯০ টাকা এবং রসুন ২৪০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে প্রতি কেজি আদা ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। তবে মানভেদে বিভিন্ন বাজারে রসুনের দামে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ছাড়াও বিভিন্ন মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে এসব পণ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। গড়ে এই ৩টি পণ্যের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন বেশি দামে কিনি, তখন ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। কারণ বাজার থেকে এসব পণ্য কেনার পর একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১০ টাকা কেজি মুনাফা না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।’
ঢাকার কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে, কারণ রাজধানীর একটি বড় অংশ তাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহার আনন্দ উপভোগ করতে নগরী ছেড়েছে।
ঢাকার কাঁচাবাজারে শুক্রবার থেকে অন্যান্য পণ্য ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
৫ মাস আগে
বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সে অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম-
সিগারেট: তিন স্তরের সিগারেটের ওপর ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাড়বে সব ধরনের সিগারেটের দাম।
মোবাইল ফোন: সিম কার্ডের দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও বাড়বে মোবাইলে কথা বলার ব্যয়। বর্তমানে একজন গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। আর বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ মোবাইল অপারেটররা কেটে রাখে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তা ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
আইসক্রিম: আইসক্রিমে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে বাড়বে আইসক্রিমের দাম।
বৈদ্যুতিক মিটার: প্রি-পেইড মিটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মিটারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার পার্টস ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মিটার যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
পানির ফিল্টার: বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। দেশে উৎপাদনের কারণে পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
শুল্কমুক্ত গাড়ি: বর্তমানে সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে গাড়ি আমদানি করতে পারেন। সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোমল পানীয়-এনার্জি ড্রিংকস: কোমল পানীয়, কার্বনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকসের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া কার্বনেটেড পানীয়ের ওপর ন্যূনতম কর আরও ২ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। ফলে এসব পণ্য বেশি দামে কিনতে হবে।
কাজু বাদাম: দেশে কাজু বাদাম চাষকে গুরুত্ব দিতে খোসাযুক্ত কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে।
এসি: বিলাসিতা পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসর ও সব ধরনের উপকরণের ওপর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই এসির দাম বাড়তে পারে। এসি বিক্রিতে ভ্যাট ৫ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হওয়ায় ফ্রিজ উৎপাদনে খরচ বাড়বে।
এলইডি বাল্ব: এলইডি বাল্ব ও এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের জন্য উপকরণ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এলইডি বাল্বের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিএনজি-এলপিজিতে রূপান্তর ব্যয়: গাড়ির সিএনজি-এলপিজি রূপান্তরে ব্যবহৃত কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই কারণে গাড়ি রূপান্তর ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় কমেছে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা
বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
৫ মাস আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
এবার ঢাকার মধ্যে গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
সেইসঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
৫ মাস আগে
জুনে এলপিজির দাম কমেছে কেজিতে ২.৫৩ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুন মাসে কেজিতে ১১৬ টাকা ০৮ পয়সা থেকে ২ দশমিক ৫৩ টাকা কমে ১১৩ দশমিক ৫৫ টাকা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আরও পড়ুন: ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির বর্ধিত দাম কার্যকর আজ থেকেই
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি আরও জানায়, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৩০ টাকা কমায় এখন তা ১ হাজার ৩৯৩ টাকার পরিবর্তে (ভ্যাটসহ) ১ হাজার ৩৬৩ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
আকারের ভিত্তিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত আনুপাতিক হারে কমবে বলে জানায় বিইআরসি।
সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম কমেছে বলে জানান বিইআরসির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার অটো গ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দাম ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা থেকে কমে ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা (ভ্যাটসহ) হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হওয়ায় এই গ্যাসের বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির এলপিজিতে দাম কমল ৪৯ টাকা
কেজিতে ৩.৩৪ টাকা কমল এলপিজির দাম
৫ মাস আগে
ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাছ, মুরগি, মাংস, আলু, কাঁচা মরিচের দামের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম।
মসলার দাম বাড়ার জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে জিরা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়, যা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল ৫৭০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর এলাচের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। প্রিমিয়াম মানের এলাচ যা আগে ৩ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদ: চট্টগ্রামে মসলার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২২০ থেকে ২৭০ টাকা, আদা ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, শুকনো লাল মরিচ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের মসলার খুচরা বিক্রেতা সৌরভ সাহা শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে সাধারণত মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, তবে এবার দাম বেড়েছে ডলারের দাম সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বেড়ে যাওয়ায়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেশি দাবি করে পাইকাররা প্রতি সপ্তাহে মসলার দাম বাড়াচ্ছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশে সাধারণত মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়, তাই এই বৈদেশিক মুদ্রার যেকোনো উত্থান-পতন ভোগ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করে।
এছাড়া পাইকারি বাজারে গোল মরিচের দাম ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, আর ছোলা ১০২ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের চাঁদপুর ট্রেডার্সের রমজান আলী পুরান ঢাকার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মৌলভীবাজার থেকে সপ্তাহে দুবার মসলা সংগ্রহ করেন। তিনিও সম্প্রতি দাম বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'মাত্র ২ সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি জিরা ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকায় কিনেছিলাম, কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যদিও ডলারের নতুন হার কার্যকর হওয়ার আগেই এসব মসলা আমদানি করা হয়েছিল।’ এটি একটি সিন্ডিকেটের কাজ বলে মনে হচ্ছে- এমন দাবিও করেন এই ব্যবসায়ী।
অপর এক দোকানের এক কর্মচারী বলেন, মাত্র ৬ মাস আগেও প্রতি কেজি এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্পষ্টতই, একটি সিন্ডিকেট মসলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
পুরনা ঢাকার মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের এক পাইকারি বিক্রেতা মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, ডলারের বর্ধিত দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরু থেকেই ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসে প্রতি ডজনে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
বিশেষ মানের ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি (দেশি) মুরগি প্রতি কেজি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও বাচ্চার দাম বাড়ায় বেড়েছে মুরগির দাম। এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহে মুরগির খামারেও প্রভাব পড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রতি কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
রুই ও কার্প জাতীয় মাছ কেজি আকার ও মান অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার নদীর ছোট মাছসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখীতায় স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজিনা ডাটা, বরবটি শিম, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ, চাল কুমড়া, ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত মজুদ, তবুও ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ
৫ মাস আগে