অপসারণ
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল আন্দোলনকারী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
পরে হাইকোর্ট মাজার মোড়ের কাছে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। তবে বাধা অতিক্রম করে তারা বঙ্গভবন পর্যন্ত অগ্রসর হন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান ধর্মঘটের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সেখানে যেতে বাধা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরে আধা ঘণ্টা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন।
দাবি মানা না হলে বুধবার বিকাল ৪টায় আবারও বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হবেন বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ নামে আরেকটি গ্রুপ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানিয়ে কয়েকজন আহত ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে পৃথক অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পর সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টার শেয়ার করে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'আমি অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই কথোপকথন প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
৪ সপ্তাহ আগে
জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যেতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ।
এই রায়ের ফলে বিচারকদের বিরুদ্ধে অক্ষমতা বা পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তের ভার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের থাকলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাস করা ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।
তবে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ মে এক রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তে ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন একটি বিশেষ বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সরকার আপিল করলেও একই বছরের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে তা খারিজ করে দেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং এটি নিশ্চিত করেছে যে তদন্ত ও বিচারকদের অপসারণ রাজনৈতিক বিষয় নয় বরং বিচারিক বিষয় হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গোলাম মর্তুজাকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
১ মাস আগে
বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে কর্মবিরতি পালন করেছে নার্সিং মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এর আগে গত ১ অক্টোবরেও কর্মবিরতি পালন করেছিল তারা। কর্মবিরতি চললেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, ইমার্জেন্সি ওটি, আইসিইউ, সিসিইউ, ডায়ালাইসিস, পিআইসিইউ লেবার ওয়ার্ডসহ ইউনিটগুলো কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।
এ বিষয়ে হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘এক দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। গত ১ অক্টোবর দাবি মানার আশ্বাস দেওয়ায় আমাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়। কিন্তু আমাদের দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছি।
১ মাস আগে
যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে রিকশা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন তুলে দিয়ে বৈজ্ঞানিক পন্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এ ব্যবস্থা চালু করা গেলে ঢাকার যানজট সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে বলে দাবি তাদের।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। নগরীর এক প্রান্ত থেকে যেকোনো গন্তব্যে যেতে ৪/৫ ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার যানজটে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে কর্মক্ষম মানুষের ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা।
বুয়েটের তথ্য বলছে, প্রতি বছর এই যানজটে আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সংগঠনের মহাসচিব আরও বলেন, নগরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪ লাখ প্যাডেলচালিত রিকশা, ৬ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১ লাখ ৩৪ হাজার রাইডশেয়ারিং এর ছোট ছোট যানবাহন, ৩০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা অবাধ যাতায়াতের কারণে নগরীর যানজট ও জনজট চরমভাবে বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনো সেকেলে পদ্ধতিতে রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরে নগরীর ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয়। যানজট কমাতে জরুরি ভিত্তিতে অত্যাধুনিক প্রকৌশলগত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলগত গবেষণা করে ২ বা ৩ লেইনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
বিআরটিএর তথ্যমতে, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ছোট ছোট ৮০০ গাড়ি নামছে। জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি টিপ যাত্রী যাতায়াত হয় এর ৬০ শতাংশ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এসব যাত্রীদের ৬৭ শতাংশ কেবল বাস ব্যবহার করেন।
মোজাম্মেল চৌধুরি বলেন, নগরীর প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেলচালিত রিকশা, মোটরচালিত রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানগাড়ি, ডেলিভারিভ্যানসহ অযান্ত্রিকযান, ত্রি-চক্রযান চলাচল বন্ধ করা গেলে যানজট সমস্যা বাকি ২০ শতাংশ সমাধান সম্ভব।
রাজধানী ঢাকার যানজট সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো-
১. রাজধানী ঢাকায় উন্নত সিটিবাসের ব্যবস্থা করা, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
২. এই মুহূর্তে ঢাকায় মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন নিবন্ধন জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা।
৩. রাজধানীর ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেল চালিত রিক্সা, ইজিবাইকসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা।
৪. ফুটপাত দখল মুক্ত করা, ফুটপাতে সাচ্ছন্দ্যে পদচারী যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সড়কের মিডিয়ানে উড়াল ফুটপাত তৈরি করা।
৫. ট্রাফিক সিগন্যাল ডিজিটাল করা, আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম উন্নত বিশ্বের মত ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা। জরিমানার অর্থ পরিবহন মালিক- চালকের ব্যাংক হিসাব থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করা।
৬. প্রধান সড়কে, সড়কের বাঁকে পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা।
৭. যত্রতত্র হাত তুলে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে জেব্রাক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
৮. যানজট সমস্যা চিহ্নিত করা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডিটিসিএ, ডিএনসিসি, ট্রাফিক বিভাগের সমন্ময়ে ৪ থেকে ৬ সদস্যের একটি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক নগরজুড়ে যানজট পরিস্থিতি মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে এমন একটি অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা।
৯. ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলো যানজটমুক্ত রাখার উপায় বের করা। বিকল্প সড়কসমূহ ব্যবহারে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
১০. মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যানজটমুক্ত করতে গুলিস্থান পার্ককে অস্থায়ী টার্মিনাল বানানো, কারগারি দিক বিবেচনা করে রাজধানীতে প্রবেশমুখী র্যাম্প বাড়ানো।
১১. বৈজ্ঞানিক পন্থায় গবেষণা করে ২ বা ৩ লেইনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর ৩ বা ৪ লেইনের বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
১২. বাস দাড়ালে যানজট হয় না, সমীক্ষা চালিয়ে এমন স্পটগুলো খুজে খুজে নগরজুড়ে ৩০০ বাসস্টপেজের ব্যবস্থা করা। এ সব বাসস্টপেজে যাত্রী উঠা-নামা বাধ্যতামূলক করা। নির্মিত যাত্রীছাউনিগুলো জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী উঠা-নামায় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
আরও পড়ুন: ‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে প্রতিহত করার ঘোষণা যাত্রী কল্যাণ সমিতির
১ মাস আগে
বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এসংক্রান্ত পত্র জারী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে আকস্মিক পরিদর্শনে ধর্ম উপদেষ্টা
ইফা কর্তৃক জারীকরা এই পত্রে বলা হয়েছে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব রুহুল আমিন তার দায়িত্ব পালনকালে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। গত ১৯/০৭/২০২৪, ০২/০৮/২০২৪, ০৯/০৮/২০২৪, ১৬/০৮/২০২৪ ও ২৩/০৮/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শুক্রবারের জুমার নামাজে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। গত ২৯ আগস্ট স্মারক নম্বর-১৬.০১.০০০০.০২৭.০৫.০০৮.২২.১৭৭৬ মারফত এ কার্যালয় হতে তাকে কারণ দর্শানো হয়। এছাড়া গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ জুম্মার নামাজ পড়াতে তার মসজিদে আগমন ও খুতবা দেওয়ার চেষ্টাকালে এক অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
পত্রে আরও বলা হয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রুহুল আমিন ও তার অনুগত ছাত্র বা বহিরাগত লোকদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররমের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে জুম্মার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে একজন যোগ্য আলেমকে খতিব হিসেবে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।
এছাড়া, রুহুল আমিনের প্রতি সাধারণ মুসল্লিদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি জুম্মার নামাজ পড়াতে এলে আবারও হৈচৈ-হট্টগোলসহ ঘটনার আশঙ্কা থাকায় বায়তুল মোকাররমের খতিব পদ হতে অপসারণের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন। এ অবস্থায়, বায়তুল মোকাররমে সুষ্ঠুভাবে জুম্মার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে রুহুল আমিন, মুহতামিম, গহরডাঙ্গা মাদরাসা, গোপালগঞ্জকে নির্দেশক্রমে বায়তুল মোকাররমের খতিব পদ হতে অপসারণ করা হলো।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমের সামনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
১ মাস আগে
স্থানীয় সরকারের ৮৭৬ জনপ্রতিনিধি অপসারণ
স্থানীয় সরকারের ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপস-আতিকসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র অপসারণ, প্রশাসক নিয়োগ
এর মধ্যে মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এছাড়া দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান: দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, অবহেলিতদের অগ্রাধিকার
৩ মাস আগে
প্রশাসনিক অচলাবস্থার মধ্যেই অনুপস্থিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যান। একারণে সারাদেশে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা পরিষদের মেয়র, চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় নাগরিকদের সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
সংকট মোকাবিলায় অনুপস্থিত প্রতিনিধিদের অপসারণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যমান স্থানীয় সরকার আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সরকার সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ও সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক বসাতেও পারবে সরকার।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
গত ১৭ আগস্ট এই পরিবর্তন এনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চারটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন:
- স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪;
- স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪;
- জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং
- উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪
প্রশাসনিক অচলাবস্থা দূর করতেই ১৬ আগস্ট এই অধ্যাদেশগুলোর অনুমোদন দিয়েছেল উপদেষ্টা পরিষদ। বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদে এ সভা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অধিক্ষেত্রে জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ, প্ৰশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা এবং জরুরি কারণে, সময়ের প্রয়োজনে, জনস্বার্থে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪', ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশগুলোর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন খসড়া ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করিপোরেশন) আইন, ২০০৯'-এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ (ক) ও ধারা ২ ৫(ক)।
১৩(ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করতে পারবে।
বিধি দিয়ে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেটে আদেশ দিয়ে মেয়র এবং কাউন্সিলর অপসারণ কার্যকর করতে পারবে।
২৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করে বা পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।
প্রয়োজনে যথাযথ বলে বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্ম সম্পাদনে সহায়তা দিতে নিয়োগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
নিযুক্ত প্রশাসক এবং নিযুক্ত কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পৌরসভা প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো- ধারা ৩২ (ক) ও ধারা ৪২ (ক)।
ধারা-৩২ (ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।
ধারা-৪২(ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভায় একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে।
জেলা পরিষদ খসড়া ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১০(ক) ও ধারা ৮২ (ক)।
ধারা-১০ (ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে জনস্বার্থে অপসারণ করতে পারবে।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে বলে ধারা ৮২ (ক) তে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এ প্রস্তাবিত ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ (ঘ) ও ধারা ১৩(ঙ)।
সংশোধন অনুযায়ী,বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা নারী ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে সরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়োগ দিতে পারবে প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন
৩ মাস আগে
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র।
আরও পড়ুন: প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের এবারের প্রস্তুতি আগেরবারের চেয়ে আরও ভালো। আমাদের সক্ষমতা আরও বেড়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা অনেক যান ও যন্ত্রপাতি আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইতোমধ্যে অনেক দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলে রূপান্তরিত হয়েছে। দুপুর ২টার জন্য অপেক্ষা না করে তার আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আমরা এবার আত্মবিশ্বাসী যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি, তার অনেক আগেই আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারব।’
ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী গতবারের মতো এবারও বর্জ্য অপসারণে সফল হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ঢাকাবাসীর যে প্রত্যাশা এবং আমাদের যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, সেটি হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাতে বর্জ্য অপসারণ হয়, শহর পরিষ্কার হয়।’
এ সময় তিনি ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি 'বৃষ্টি হলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাই যেন এ ব্যাপারে সজাগ থাকে' সেলক্ষ্যে নানাবিধ দিকনির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় মিরপুর-২ এর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, 'আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১২'শ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতোগুলো পশু কোরবানি দেওয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দিবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেব।'
আরও পড়ুন: দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। সব কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করব। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেবে।'
মেয়র বলেন, 'এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এই সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।'
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
এ বছর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও আমি নিজে মাঠে থাকব।
শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া হটলাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে।
মেয়র বলেন, বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে এই তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করব।
বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবর সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।
মেয়র বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫ মাস আগে