অপসারণ
ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থতার’ দায়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাশেদ ইকবাল জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রাবণের ভূমিকায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন ২৯ জুলাই তাকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি বলেই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ
রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে যানবাহনের সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও দলের আহ্বায়ক রেজা তার ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে যুগ্ম আহ্বায়ক-১ রাশেদ খানকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভায় সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
আরও পড়ুন:গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় সভায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাই দলের উচ্চ পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক (নূর) নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নুর ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে ৩ বার সাক্ষাৎ করেছেন: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে যাতে অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে, যাতে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সকল আয়োজন রাখা হবে।
ছাদ বাগান বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষ করাকে উৎসাহিত করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে অপসারণের নিন্দা জানিয়েছে। যিনি গত সপ্তাহে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক সুজিত কুমার বালা।
মঙ্গলবার টিআইবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগকারী বোর্ড চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ঢাকা ওয়াসা অভিযুক্তদের রক্ষার উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসকে মুক্তি দিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন: টিআইবি
এতে বলা হয়েছে, ‘এটি সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুর্নীতির জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগকারীদের রক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
সাবেক চেয়ারম্যানের অভিযোগ বিবেচনা করে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ওয়াসার সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ গত বছর অক্টোবরে শেষ হওয়ার পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়নি। অথচ, ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে বোর্ড চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলো।’
তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটিকে যদি ‘কাকতালীয়’ হিসেবে মেনেও নেওয়া হয়, তবুও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অভিযোগকারীকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ‘ওয়াসা পরিচালনায় এমডির ইচ্ছা-ই শেষ কথা, আর নিজের স্বার্থ সুরক্ষায় যে কাউকে ওয়াসা থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষমতা ওয়াসা এমডির রয়েছে’- এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করা হলো।’’
আরও বলা হয়েছে, ‘‘যার ফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই বার্তাই দেওয়া হলো যে ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থানের বলে অবারিত বিচারহীনতার লাইসেন্স পাওয়া যায়; প্রয়োজনে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বার্তাবাহক বা অভিযোগকারীকে, তা যে-ই হোক না কেন, তাকে স্তব্ধ করতে ‘শ্যুট দ্য মেসেঞ্জার’ চর্চার ব্যবহারে কোনো দ্বিধা করা হবে না।’’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘‘ঢাকা ওয়াসাকে স্বেচ্ছাচার, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত করার যে অভিযোগ বোর্ডের চেয়ারম্যান করেছেন, তা ২০১৯ সালে টিআইবি প্রকাশিত ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’- শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতিফলন। তাছাড়া, দীর্ঘসময় ধরে সংবাদমাধ্যমেও একই ধরনের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিহীনতার প্রকট উদাহরণ। ওয়াসায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাবদিহির লক্ষ্যে তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং আরও এক দফা দুর্নীতি ও অনিয়মের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতার দৃষ্টান্তই স্থাপিত হলো, যা হতাশাজনক।’
বিভিন্ন সময়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ডিএসএ বাতিলের দাবি টিআইবি’র
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন সমাধান নয়, অবিলম্বে বাতিল করুন: টিআইবি
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
রবিবার সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন, যা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংসদে অনুপস্থিত।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সংসদে তার অনুপস্থিতির কারণে কোনো বৈঠক করতে পারেনি।
সংসদীয় সংস্থাটি ২০২২ সালে মাত্র দুটি বৈঠক করেছে।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, একটি সংসদীয় সংস্থার প্রতি মাসে অন্তত একটি সভা করার কথা।
কিন্তু গত ১০ মাসে সংসদীয় কমিটি কোনো বৈঠক করেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের আদালত বর্জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আদালত তিনদিনের জন্য বর্জন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালত বর্জন করে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন-জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লিটন,মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, গেল ১ ডিসেম্বর বিকালে মামলা করতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে জেলার সকল আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন।
এর আলোকে ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। সে সঙ্গে জাল স্ট্যাম্প,জালিয়াতির উৎস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়ায় ঘুষখোর ও ঘুষখোরের মদদদাতা আদালতের নাজির মুমিনকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
অথচ তাকে রক্ষায় জেলা জজের ইন্ধনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: বিচারককে গালিগালাজ : ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বার সভাপতি-সম্পাদককে তলব
এরই প্রতিবাদে জেলার আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল হকের অপসারনের দাবিতে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত তিনদিনের জন্য সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান বক্তারা।
এদিকে বর্জনকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা জজ আদালত, মূখ্য বিচারিক আদালতসহ সবকটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সময় পার হয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মামলাটি নেননি। তবে এ কারণে একজন বিচারককে আইনজীবীরা যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সঙ্গে আচরণ করেছে তা দুঃখজনক।
এছাড়াও তিনি আইনজীবী কর্তৃক জেলা জজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, জেলা জজকে নিয়ে এ ধরণের মন্তব্য সংবিধান পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় মূলত গেল ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত-কর্মচারীদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তারা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন সভা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে।
আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে এসে বিচারবিভাগীয় কর্মচারীদের মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এসময় শত শত আইনজীবী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গনে জেলা জজ শারমিন নিগারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
লালমনিরহাট থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী নাটোরে উদ্ধার
খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুই শিক্ষককে অপসারণ করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষকদের আবেদনে জারি করা রুল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ওই তিন শিক্ষক হলেন-বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন দণ্ডিত এনামুল বাছির
তিনি সাংবাদিকদের জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষককে ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন তিন শিক্ষক। টানা দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে উচ্চ আদালত আজ শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং তিন শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আদেশ দিয়েছেন।
ওই শিক্ষকদের ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করেন রেজিস্ট্রার। সে চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা এ রিট দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, সরকার দুশ্চিন্তা থেকেই সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা(সরকার) খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার সরকার এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ শুরু করেছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে কয়েকজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও অন্যান্য মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় দলের ক্ষোভ প্রকাশের জন্যও এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়।
একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার এখন বিদেশ ও বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা থেকে যে ঋণ নিয়েছে তা পরিশোধ করতে পারছে না। ‘তাহলে এখন কি হবে? রিজার্ভ কমতে থাকলে সব বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা ঋণ দেয়া বন্ধ করে দেবে।’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বর্তমান সরকারের এখন আর দেশ শাসন করার অধিকার নেই। ‘আপনি দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। আপনি দয়া করে সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। আপনি যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে দেশের জনগণ জানে কিভাবে আপনাকে পদচ্যুত করতে হবে।'
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা এবং জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা সব ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
খুলনার জনসভায় গণজোয়ার হবে
তাদের দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকার নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছে এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘ময়মনসিংহে আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের সময় পরিবহন পরিষেবা বন্ধ ছিল। একইভাবে সমাবেশের দুই দিন আগে খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণকে সমাবেশে যোগদান থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ‘জনগণ সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে... লক্ষাধিক মানুষ সমাবেশে যোগ দেবে।’
ফখরুল সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মিথ্যা মামলা, দমন-পীড়ন এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা বন্ধ করতে বলেন।
অন্যথায় এদেশের মানুষ অতীতে কোনও নিপীড়ককে ক্ষমা করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘আপনাদেরও ক্ষমা করা হবে না।’
বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকার মধ্যে শনিবার খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
দুদক কর্মকর্তাকে অপসারণে সহকর্মীদের প্রতিবাদ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তারা দুদক সচিব মাহবুব হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেন।
কক্সবাজারের সিআইপি ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতনসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার দুদক কর্মকর্তা শরীফকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করেছে দুদক।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল আমাদের এক সহকর্মীকে ৫৪ (২) ধারায় অপসারণ করা হয়েছে। শরীফকে অন্যায়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আশা করি আমাদের সচিবেরা আমাদের সমস্যাগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে দেখবেন।’
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত
ধারাটিকে অসাংবিধানিক ও আদালতে বিবেচনাধীন বিষয় উল্লেখ করে দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহকর্মী শরীফের অপসারণের নির্দেশ বাতিলেরও দাবি জানান।
কমিশনের ভিশন ও মিশন বাস্তবায়নে দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করেছেন বলেও জানান তারা।
দুদকের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, দুদক (স্টাফ) রুলস, ২০০৮ এর ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী শরীফ উদ্দিনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে। তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
এর আগে গত বছরের ১৬ জুন দুদকের পরিচালক মনিরুল ইসলাম অফিস আদেশে শরীফ উদ্দিনসহ ২১ কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করেন। ২০২০-২১ সালে চট্টগ্রামে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে শরীফ উদ্দিন তার অন্যায় ও অনিয়মের জন্য সমালোচিত হন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
ইউজিপিপি প্রকল্পে দুর্নীতি: ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মহসিন খানের আত্মহত্যার ভিডিও অপসারণ অব্যাহত রাখতে নির্দেশ
মডেল মুশফিকা তিনার বাবা ও চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খানের ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভিডিওর লিংক কোথাও পেলে তা অপসারণের জন্য আবেদনকারী (আদালতের নজরে আনা) আইনজীবীকে আদালত বা বিটিআরসির আইনজীবীকে সরবরাহ বলা হয়েছে। আবেদনকারী আইনজীবী কোন লিংক দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে অপসারণ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই রাকিব। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম ফয়েজ।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় বসে ফেসবুক লাইভে এসে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন ব্যবসায়ী আবু মহসিন খান (৫৮)। রাজধানীর ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির এক ফ্ল্যাটে ওই ঘটনা ঘটে। পরে ‘ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা’ শিরোনামে ৩ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেদিন ওই প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। ভিডিওগুলো অবিলম্বে অপসারণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান তিনি। শুনানি নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করা আবু মহসিন খানের ফেসবুক ভিডিও এবং ওই ঘটনার স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যার ভিডিও সরানোর নির্দেশ
আদেশ পাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ওই ভিডিও ও স্থিরচিত্র সরাতে বিটিআরসিসহ তিন বিবাদীর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মহসিন খানের লাইভ ভিডিও ও স্থিরচিত্র সব ধরনের ছাপা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ অন্য সব মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে পদক্ষেপ জানিয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন রাখা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে। শুনানিতে অংশ নিয়ে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, ২২৭টি লিংক চিহ্নিত করে বিটিআরসি। এর মধ্যে চিহ্নিত ২১১টির মধ্যে ১৯০টি লিংক ফেসবুক থেকে সরানো হয়েছে। ইউটিউবে ১০টি লিংক চিহ্নিত করে তার মধ্যে ৬টি ইতিমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। আর লাইকি ও টিকটক থেকে তিনটি করে ছয়টি লিংক সরানো হয়েছে।
অন্যদিকে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে আনা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলেন, কিছু কিছু লিংক সরানো হলেও এখনো সামাজিক মাধ্যমে ওই ভিডিও অহরহ দেখা যাচ্ছে। আদালতের আদেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ওই ঘটনার সূত্রে একজন কলেজছাত্র আত্মহত্যাও করেছে। চাইলে বিটিআরসি কেন সব সরাতে পারবে না? বিটিআরসির কাজ কি এগুলো বন্ধ করা। এ বিষয়ে খন্দকার রেজা-ই-রাকিব আদালতকে বলেন, ফেসবুক একটি বিদেশী কোম্পানি। এরা সবকথা শোনে না। আদালত এসময় বলেন, বাধ্য করতে হলে আইনের মধ্যে আনতে হবে। অনেক লিংক অপসারণ হয়েছে উল্লেখ করে আদালত বলেন, লিংক দিলে বিটিআরসি তা অপসারণে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন নায়ক রিয়াজের শ্বশুর
বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূর আত্মহত্যা!