অপসারণ
হাসিনার সচিব ও আমলাদের অপসারণে বিক্ষোভ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সচিব ও আমলাদের অপসারণের দাবিতে রাজধানীর খামারবাড়িতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও বিক্ষোভ চলছে।
এতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শেকৃবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছে।
শেকৃবির শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে আমলারা খামার বাড়িতে বসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার জন্য কাজ করতেন। তারা এখনো বহাল তবিয়তে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন, যা আমাদের দেশের জন্য কল্যাণকর না।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
১ দিন আগে
পঞ্চগড়ে চার বিচারকের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চগড়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে পঞ্চগড় আদালত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বিসহ সমন্বয়ক মোজাহার ইসলাম সেলিম, মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান ফয়সাল প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যা: ইসকন নিষিদ্ধ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
এ সময় তারা বলেন, পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সম্প্রতি জেলা জজ আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে মেধার মূল্যায়ন না করে নিয়োগের নামে বাণিজ্য করেছেন। ছাত্র-জনতা ও পরীক্ষার্থীরা নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে নিয়োগ স্থগিত করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই।
তারা আরও বলেন, তারা এখনও আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন। আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক।
আগস্ট বিপ্লবের পরেও যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুকসহ ওই চার বিচারক আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট। আদালতের নিয়োগে দুর্নীতি করে আইনমন্ত্রীর এলাকার লোকদের বারবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। সরকারি বাড়ি থাকা সত্ত্বেও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল আদালতকেই নিজের বাসভবন বানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
তিনি বলেন, ‘হাসিনার সময়ে প্রশাসনের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হলেও তার দোসর এই বিচারকদের এখনও সরিয়ে নেওয়া হয়নি। তাই তারা শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এখনও নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। তবু আর অন্যায়-দুর্নীতি হতে দেব না।’
এ বিষয়ে জানতে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জমিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
৫৪ দিন আগে
তথ্য কমিশনার পদ থেকে মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ
তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ‘গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত’ হওয়ায় রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণ করেছেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সামনে তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাটির ‘গুরুতর অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পুনর্বহালকৃত অনুচ্ছেদ ১৬ দফা (৬) তদসহ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ১৬ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ১৬ জানুয়ারি মাসুদা ভাট্টিকে তার পদ হতে অপসারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মেয়াদে ২০২৩ সালের আগাস্টে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শহীদুল আলম ঝিনুকের সঙ্গে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
মাসুদা ভাট্টি দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
মাসুদা ভাট্টির বিষয়ে কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। তার ১০ দিনের মাথায় সরিয়ে দেওয়া হলো তাকে।
৫৫ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল আন্দোলনকারী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
পরে হাইকোর্ট মাজার মোড়ের কাছে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। তবে বাধা অতিক্রম করে তারা বঙ্গভবন পর্যন্ত অগ্রসর হন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান ধর্মঘটের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সেখানে যেতে বাধা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরে আধা ঘণ্টা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন।
দাবি মানা না হলে বুধবার বিকাল ৪টায় আবারও বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হবেন বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ নামে আরেকটি গ্রুপ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানিয়ে কয়েকজন আহত ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে পৃথক অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পর সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টার শেয়ার করে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'আমি অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই কথোপকথন প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
১৪৬ দিন আগে
জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যেতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ।
এই রায়ের ফলে বিচারকদের বিরুদ্ধে অক্ষমতা বা পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তের ভার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের থাকলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাস করা ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।
তবে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ মে এক রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তে ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন একটি বিশেষ বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সরকার আপিল করলেও একই বছরের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে তা খারিজ করে দেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং এটি নিশ্চিত করেছে যে তদন্ত ও বিচারকদের অপসারণ রাজনৈতিক বিষয় নয় বরং বিচারিক বিষয় হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গোলাম মর্তুজাকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
১৪৮ দিন আগে
বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে কর্মবিরতি পালন করেছে নার্সিং মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এর আগে গত ১ অক্টোবরেও কর্মবিরতি পালন করেছিল তারা। কর্মবিরতি চললেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, ইমার্জেন্সি ওটি, আইসিইউ, সিসিইউ, ডায়ালাইসিস, পিআইসিইউ লেবার ওয়ার্ডসহ ইউনিটগুলো কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।
এ বিষয়ে হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘এক দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। গত ১ অক্টোবর দাবি মানার আশ্বাস দেওয়ায় আমাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়। কিন্তু আমাদের দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছি।
১৬০ দিন আগে
যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে রিকশা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন তুলে দিয়ে বৈজ্ঞানিক পন্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এ ব্যবস্থা চালু করা গেলে ঢাকার যানজট সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে বলে দাবি তাদের।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। নগরীর এক প্রান্ত থেকে যেকোনো গন্তব্যে যেতে ৪/৫ ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার যানজটে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে কর্মক্ষম মানুষের ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা।
বুয়েটের তথ্য বলছে, প্রতি বছর এই যানজটে আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সংগঠনের মহাসচিব আরও বলেন, নগরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪ লাখ প্যাডেলচালিত রিকশা, ৬ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১ লাখ ৩৪ হাজার রাইডশেয়ারিং এর ছোট ছোট যানবাহন, ৩০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা অবাধ যাতায়াতের কারণে নগরীর যানজট ও জনজট চরমভাবে বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনো সেকেলে পদ্ধতিতে রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরে নগরীর ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয়। যানজট কমাতে জরুরি ভিত্তিতে অত্যাধুনিক প্রকৌশলগত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলগত গবেষণা করে ২ বা ৩ লেইনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
বিআরটিএর তথ্যমতে, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ছোট ছোট ৮০০ গাড়ি নামছে। জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি টিপ যাত্রী যাতায়াত হয় এর ৬০ শতাংশ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এসব যাত্রীদের ৬৭ শতাংশ কেবল বাস ব্যবহার করেন।
মোজাম্মেল চৌধুরি বলেন, নগরীর প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেলচালিত রিকশা, মোটরচালিত রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানগাড়ি, ডেলিভারিভ্যানসহ অযান্ত্রিকযান, ত্রি-চক্রযান চলাচল বন্ধ করা গেলে যানজট সমস্যা বাকি ২০ শতাংশ সমাধান সম্ভব।
রাজধানী ঢাকার যানজট সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো-
১. রাজধানী ঢাকায় উন্নত সিটিবাসের ব্যবস্থা করা, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
২. এই মুহূর্তে ঢাকায় মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন নিবন্ধন জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা।
৩. রাজধানীর ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেল চালিত রিক্সা, ইজিবাইকসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা।
৪. ফুটপাত দখল মুক্ত করা, ফুটপাতে সাচ্ছন্দ্যে পদচারী যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সড়কের মিডিয়ানে উড়াল ফুটপাত তৈরি করা।
৫. ট্রাফিক সিগন্যাল ডিজিটাল করা, আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম উন্নত বিশ্বের মত ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা। জরিমানার অর্থ পরিবহন মালিক- চালকের ব্যাংক হিসাব থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করা।
৬. প্রধান সড়কে, সড়কের বাঁকে পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা।
৭. যত্রতত্র হাত তুলে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে জেব্রাক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
৮. যানজট সমস্যা চিহ্নিত করা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডিটিসিএ, ডিএনসিসি, ট্রাফিক বিভাগের সমন্ময়ে ৪ থেকে ৬ সদস্যের একটি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক নগরজুড়ে যানজট পরিস্থিতি মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে এমন একটি অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা।
৯. ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলো যানজটমুক্ত রাখার উপায় বের করা। বিকল্প সড়কসমূহ ব্যবহারে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
১০. মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যানজটমুক্ত করতে গুলিস্থান পার্ককে অস্থায়ী টার্মিনাল বানানো, কারগারি দিক বিবেচনা করে রাজধানীতে প্রবেশমুখী র্যাম্প বাড়ানো।
১১. বৈজ্ঞানিক পন্থায় গবেষণা করে ২ বা ৩ লেইনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর ৩ বা ৪ লেইনের বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
১২. বাস দাড়ালে যানজট হয় না, সমীক্ষা চালিয়ে এমন স্পটগুলো খুজে খুজে নগরজুড়ে ৩০০ বাসস্টপেজের ব্যবস্থা করা। এ সব বাসস্টপেজে যাত্রী উঠা-নামা বাধ্যতামূলক করা। নির্মিত যাত্রীছাউনিগুলো জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী উঠা-নামায় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
আরও পড়ুন: ‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে প্রতিহত করার ঘোষণা যাত্রী কল্যাণ সমিতির
১৬২ দিন আগে
বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এসংক্রান্ত পত্র জারী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে আকস্মিক পরিদর্শনে ধর্ম উপদেষ্টা
ইফা কর্তৃক জারীকরা এই পত্রে বলা হয়েছে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব রুহুল আমিন তার দায়িত্ব পালনকালে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। গত ১৯/০৭/২০২৪, ০২/০৮/২০২৪, ০৯/০৮/২০২৪, ১৬/০৮/২০২৪ ও ২৩/০৮/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শুক্রবারের জুমার নামাজে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। গত ২৯ আগস্ট স্মারক নম্বর-১৬.০১.০০০০.০২৭.০৫.০০৮.২২.১৭৭৬ মারফত এ কার্যালয় হতে তাকে কারণ দর্শানো হয়। এছাড়া গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ জুম্মার নামাজ পড়াতে তার মসজিদে আগমন ও খুতবা দেওয়ার চেষ্টাকালে এক অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
পত্রে আরও বলা হয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রুহুল আমিন ও তার অনুগত ছাত্র বা বহিরাগত লোকদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররমের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে জুম্মার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে একজন যোগ্য আলেমকে খতিব হিসেবে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।
এছাড়া, রুহুল আমিনের প্রতি সাধারণ মুসল্লিদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি জুম্মার নামাজ পড়াতে এলে আবারও হৈচৈ-হট্টগোলসহ ঘটনার আশঙ্কা থাকায় বায়তুল মোকাররমের খতিব পদ হতে অপসারণের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন। এ অবস্থায়, বায়তুল মোকাররমে সুষ্ঠুভাবে জুম্মার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে রুহুল আমিন, মুহতামিম, গহরডাঙ্গা মাদরাসা, গোপালগঞ্জকে নির্দেশক্রমে বায়তুল মোকাররমের খতিব পদ হতে অপসারণ করা হলো।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমের সামনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
১৭৬ দিন আগে
স্থানীয় সরকারের ৮৭৬ জনপ্রতিনিধি অপসারণ
স্থানীয় সরকারের ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপস-আতিকসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র অপসারণ, প্রশাসক নিয়োগ
এর মধ্যে মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এছাড়া দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান: দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, অবহেলিতদের অগ্রাধিকার
২১০ দিন আগে
প্রশাসনিক অচলাবস্থার মধ্যেই অনুপস্থিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যান। একারণে সারাদেশে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা পরিষদের মেয়র, চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় নাগরিকদের সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
সংকট মোকাবিলায় অনুপস্থিত প্রতিনিধিদের অপসারণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যমান স্থানীয় সরকার আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সরকার সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ও সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক বসাতেও পারবে সরকার।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
গত ১৭ আগস্ট এই পরিবর্তন এনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চারটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন:
- স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪;
- স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪;
- জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং
- উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪
প্রশাসনিক অচলাবস্থা দূর করতেই ১৬ আগস্ট এই অধ্যাদেশগুলোর অনুমোদন দিয়েছেল উপদেষ্টা পরিষদ। বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদে এ সভা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অধিক্ষেত্রে জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ, প্ৰশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা এবং জরুরি কারণে, সময়ের প্রয়োজনে, জনস্বার্থে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪', ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশগুলোর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন খসড়া ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করিপোরেশন) আইন, ২০০৯'-এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ (ক) ও ধারা ২ ৫(ক)।
১৩(ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করতে পারবে।
বিধি দিয়ে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেটে আদেশ দিয়ে মেয়র এবং কাউন্সিলর অপসারণ কার্যকর করতে পারবে।
২৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করে বা পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।
প্রয়োজনে যথাযথ বলে বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্ম সম্পাদনে সহায়তা দিতে নিয়োগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
নিযুক্ত প্রশাসক এবং নিযুক্ত কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পৌরসভা প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো- ধারা ৩২ (ক) ও ধারা ৪২ (ক)।
ধারা-৩২ (ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।
ধারা-৪২(ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভায় একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে।
জেলা পরিষদ খসড়া ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১০(ক) ও ধারা ৮২ (ক)।
ধারা-১০ (ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে জনস্বার্থে অপসারণ করতে পারবে।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে বলে ধারা ৮২ (ক) তে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এ প্রস্তাবিত ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ (ঘ) ও ধারা ১৩(ঙ)।
সংশোধন অনুযায়ী,বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা নারী ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে সরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়োগ দিতে পারবে প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন
২১১ দিন আগে