ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি প্রবর্তিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি দিবস আজ।
ড. ইউনূস তার বাণীতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: অধ্যাপক ইউনূস
গাজায় নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের রক্ষায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
যেহেতু আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতে ইসরায়েলের দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহির আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনুস।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য ন্যায্য সংগ্রামকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের সঙ্গে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’
১ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্থল অভিযানের আগে সোমবার (১ জুলাই) ওই এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর রাত থেকে শুরু হয় হামলা।
স্থানীয় নাসের হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
ইসরায়েলের খালি করতে বলা এলাকার মধ্যে একটি ইউরোপীয় হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালটির পাশেই এই হামলা হয়।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
স্থানটি খালি করার প্রাথমিক আদেশের সময় ‘হাসপাতালটি এই নির্দেশের বাইরে’ বলে জানানো হয়। তবে প্রাণ শঙ্কায় অনেক রোগী ও কর্মীই জায়গাটি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
সোমবার হামাস যোদ্ধারা খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়ে। হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে তারপরই ওই ঘোষণা দিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের সহায়তাকারী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) তথ্যানুসারে, খান ইউনিসের যে অংশে ইসরায়েল হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে শরণার্থীদের জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে অন্তত আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সে সময় ২৫০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৫ মাস আগে
গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবির উত্তর গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।
মঙ্গলবার সিনহুয়াকে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী ভবিষ্যত নিয়ে হানেগবির আলোচনা এবং তার পরিকল্পনা নিরর্থক, যা শুধু ইসরায়েলি সরকারের জেদকে প্রতিফলিত করে।
‘গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে। ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য ও ভবিষ্যতের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে সেই হাত কেটে ফেলা হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় আবারও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
এর আগে, সোমবার ইসরায়েলের রাইচম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সম্মেলনে হ্যানেগবি বলেন, ‘হামাসের জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা শিগগিরই এই পদক্ষেপের বাস্তবায়ন করব।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী জয় পেতে (গাজায়) হামাসের একটি বিকল্প প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। বিকল্পটি এমন একটি সরকার হবে, যারা ফিলিস্তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত, ইসরায়েলের পাশে থাকতে চায় এবং মধ্যপন্থী আরব রাষ্ট্রগুলির সমর্থন পায়।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
৫ মাস আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নেতানিয়াহু
হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে ইসরাইল ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে ডাকা বিশেষ সংসদ অধিবেশনে সোমবার (২৪ জুন) এ কথা বলেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান বদলায়নি।’
আরও পড়ুন: রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজায় আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত অবসানের জন্য মে মাসের শেষের দিকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রস্তাবটিকে তিনি ‘ইসরায়েলি প্রস্তাব’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর সোমবার ওই প্রস্তাবে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন নেতানিয়াহু।
সংসদে নেতানিয়াহু বলেন, ‘১২০ জিম্মির সবাইকে, জীবিত হোক বা মৃত, ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। হামাসকে নির্মূল করে (ইসরায়েলের) দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত সংঘাত চলবে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিহত হয়। সে সময় ২০০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিসের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
৫ মাস আগে
রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে বাণিজ্যিক ট্রাকের অন্তত ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও চিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছে, রাফাহ শহরের পূর্বে বুধবার বাণিজ্যিক পণ্যের নিরাপত্তা প্রদানকারী একদল নিরাপত্তাকর্মীকে লক্ষ্য করে বিমান থেকে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ঘটনায় নিহত ও আহতদের সবাইকে ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাফা ক্রসিংয়ে ফিলিস্তিনের বহির্গমন হল জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
এর আগে, সোমবার রাতেও বাণিজ্যিক পণ্যের নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়।
ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে পশ্চিম তীর থেকে দক্ষিণের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে বাণিজ্যিক পণ্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তারপরও এসব কর্মকাণ্ড চলাকালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিহত হয়। সে সময় ২০০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিসের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধের মধ্যে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অচলাবস্থা থাকায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামাস কমান্ডার নিহত
৫ মাস আগে
ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আবারও বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২৭
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা আবারও ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করলে পুলিশ তা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের পরে আগে স্থাপন করা শিবিরটি উচ্ছেদ করেছে কর্মকর্তারা।
ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিসট্যান্টট ভাইস চ্যান্সেলর রিক ব্রাজিয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, সোমবার রাতে বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তারা ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
ইউসিএলএ পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছেন এবং একজন কর্মকর্তার কাজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাদের ইউসিএলএ থেকে দূরে থাকতে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল এবং তারপরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ব্রাজিয়েল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা এবং ফাইনাল বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে বারবার তাবু ও ছাউনি স্থাপন ও বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এর ফলে আশেপাশের চূড়ান্ত পরীক্ষা পরিচালনা ব্যাহত হয়।
পুলিশ বলছে, আন্দোলনকারীরা একটি ফোয়ারা, স্প্রে-পেইন্ট ইটের ওয়াকওয়েগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, অগ্নি সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোতে হস্তক্ষেপ করেছে, প্যাটিওর আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বৈদ্যুতিক ফিক্সচার থেকে তার ছিঁড়েছে এবং যানবাহন ভাঙচুর করেছে।
ব্রাজিয়েল জানান, বিক্ষোভ চলাকালীন, এমন হামলাও হয়েছিল যার ফলে ছয়জন ইউসিএলএ পুলিশ আহত হয়েছে। পাশাপাশি একজন নিরাপত্তা প্রহরী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তক্ষরণও হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস
বিবৃতিতে ব্রাজিয়েল বলেন, ‘সহজভাবে বলতে গেলে, সহিংস প্রতিবাদের এই কাজগুলো ঘৃণ্য এবং এটি চলতে পারে না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিবাদ শিবির গড়ে উঠেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বা এর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করা বন্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আয়োজকরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জোরদার করার চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভের কারণে ইউসিএলএ বারবার উত্তাল হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এক পর্যায়ে, ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবিরে ইসরায়েলপন্থীরা পাল্টা আক্রমণ করেছিল। এতে পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিবিরটি উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনা ক্যাম্পাস পুলিশ প্রধানকে পুনরায় নিযুক্ত এবং একটি নতুন ক্যাম্পাস সুরক্ষা অফিস তৈরির দিকে পরিচালিত করে। পরে নতুন বিক্ষোভ শিবির স্থাপনের প্রচেষ্টাও ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়।
ইউসিএলএ সোমবারের প্রতিবাদটি শুরু হয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিজেন্টদের আসন্ন সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের ঠিক কয়েকদিন আগে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঝুলে যাওয়ায় আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে ব্লিঙ্কেন
৫ মাস আগে
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামাস কমান্ডার নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর হামাসের এক কমান্ডার নিহত হয়েছে।
সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে হামাসের সদর দপ্তরের কাছে রামাল্লার একটি গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে কমান্ডার মোহাম্মদ জাবের আবদোসহ চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
আবোদা ২০ বছর ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চার জিম্মিকে মুক্ত করেছে ইসরায়েল, শনিবারের হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ২১০
অপরদিকে, ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইহুদি বসতির কাছে ইসরায়েলে হামলায় অভিযুক্ত এক সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করে গুপ্ত বাহিনী। লোকটি আরও তিন সন্দেভাজনের সঙ্গে একটি ভবনে লুকিয়ে ছিল। এরইমধ্যে একটি গাড়িতে করে তারা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ছোড়ে। এরপর তাদের গাড়িতে অস্ত্র পাওয়া যায়।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা ও জিম্মির ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।
শুধু এই বসতিতেই ৫৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিক্ষোভ চলাকালে কিংবা ইসরায়েলের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় এদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়।
১৯৬৭ সালের লড়াইয়ে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। কিন্তু ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গঠনে ওই তিনটি অঞ্চলই চায় ফিলিস্তিনিরা।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাজনিত কারণে গাজার মার্কিন জেটিতে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা
গত আট মাসে ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ হাজার ৭৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুদ্ধের মধ্যে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অচলাবস্থা থাকায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ের মধ্যে গাজার অন্তত ১০ লাখ মানুষ তীব্র খাবার সংকটের মুখোমুখি হবে।
৫ মাস আগে
গাজার স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত অন্তত ৩০
হামাসের ঘাঁটি দাবি করে মধ্য গাজার একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত স্কুলটি শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
মধ্য গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পরই এ হামলা হলো।
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
ওই স্কুলে হামলার পর ৩০টি এবং একটি বাসভনে পৃথক হামলার পর ছয়টি লাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে দাইর আল-বালাহর আল-আকসা শহিদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কাছেই আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আল-কারিম নামের বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি ঘটনাটিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে একের পর এক গাড়ি আসছিল আর গাড়ি থেকে আহতদের তড়িঘড়ি করে (হাসপাতালের) জরুরি বিভাগে নেওয়া হচ্ছিল। এরপর সাদা কাফনে মোড়ানো লাশের স্তুপ থেকে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করে লোকজন। এক মহিলা লাশগুলোর মধ্যে তার ছেলে আছে কি না, তা দেখতে কাফন খুলতে মেডিকেলের কর্মীদের বারবার অনুরোধ করছিল।
অনলাইনে প্রকাশিত হাসপাতালের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আহতদের বেশ কয়েকজন হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এটি গাজার একটি সাধারণ দৃশ্য।
আরও পড়ুন: বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উভয়সংকটে নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমান যে স্কুলটিতে হামলা করেছে, সেটি হামাস ও ইসলামিক জিহাদ নিজেদের অপারেশনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। তবে এ দাবির উপযুক্ত প্রমাণ তারা দেখায়নি।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় বসবাসরত ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
৬ মাস আগে
সংসদে ভোটাভুটির পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল স্লোভেনিয়া
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের তিনটি দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হলো স্লোভেনিয়া। দেশটির সংসদে এ বিষয়ে ভোটাভুটির পর মঙ্গলবার ফিলিস্তনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গত সপ্তাহে একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় স্লোভেনিয়া সরকার। এরপর তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো হয়। সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই চূড়ান্ত অনুমোদন পায় প্রস্তাবটি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ৯০ আসনবিশিষ্ট সংসদের ৫২ সদস্যের ভোটে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাশ হয়। বাকি সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানিয়া ফাইওন এক এক্স পোস্টে লেখেন, ‘প্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণ, স্লোভেনিয়ার আজকের এই সিদ্ধান্ত আশা ও শান্তির বার্তা। আমরা বিশ্বাস করি, একমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যকে স্থায়ী শান্তির দিকে ধাবিত করতে পারে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য স্লোভেনিয়া কাজ করে যাবে।’
এর আগে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড একযোগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইসরায়েল সেসময় এসব দেশের সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানায়। তবে সপ্তাহখানেক পর ওই তিন দেশের পথে হাঁটল স্লোভেনিয়াও।
তার আগে, ইউরোপীয় ইউনয়নের ৭ দেশসহ বিশ্বের ২৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তিন দেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
৬ মাস আগে
সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছাত্রলীগ ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাল ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সমর্থনে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশে সংহতি সমাবেশ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছাত্রলীগ ও দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দল ও পশ্চিমতীরের শাসকগোষ্ঠী ফাতাহ।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানায় দলটি।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিলিস্তিনের প্রতি তার অটল সমর্থন, সংহতি এবং এর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এছাড়া এই সমাবেশের আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের জন্য ছাত্রলীগের সংহতি র্যালি
এর আগে গত সোমবার স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংহতি সমাবেশ আয়োজিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়।
এ সময় ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একসঙ্গে উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা, যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাবেশের ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
আরও পড়ুন: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী আটক
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানান।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। পাশাপাশি জিম্মিও করা হয় ২৪০ জনেরও বেশি মানুষকে। এরই প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রায় সাত মাস ধরে চলমান এই অভিযানে বিমান ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির বিরুদ্ধে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নেমেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬ মাস আগে