দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্থল অভিযানের আগে সোমবার (১ জুলাই) ওই এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর রাত থেকে শুরু হয় হামলা।
স্থানীয় নাসের হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
ইসরায়েলের খালি করতে বলা এলাকার মধ্যে একটি ইউরোপীয় হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালটির পাশেই এই হামলা হয়।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
স্থানটি খালি করার প্রাথমিক আদেশের সময় ‘হাসপাতালটি এই নির্দেশের বাইরে’ বলে জানানো হয়। তবে প্রাণ শঙ্কায় অনেক রোগী ও কর্মীই জায়গাটি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
সোমবার হামাস যোদ্ধারা খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়ে। হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে তারপরই ওই ঘোষণা দিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের সহায়তাকারী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) তথ্যানুসারে, খান ইউনিসের যে অংশে ইসরায়েল হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে শরণার্থীদের জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে অন্তত আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সে সময় ২৫০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।