সয়াবিন তেল
আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ওপর ৫% ভ্যাট কমানোর মেয়াদ বাড়ল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
সরকার ভোজ্য তেলের ওপর হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে পূর্ববর্তী নোটিশের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পর এই মেয়াদ ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানির সময় সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এবং গত বছরের মার্চ মাসে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে।
ভোজ্যতেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যেই ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
১ বছর আগে
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৭ টাকা
মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৯২ টাকায়, আগে এই দাম ছিল ১৮৫ টাকা। একই সাথে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ৯৪৫ টাকা।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমিতির নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
গত ১৭ আগস্ট বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অ্যাসোসিয়েশন ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল।
একইভাবে এক লিটার পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫ টাকা।
এর আগে ভোজ্যতেল বিপণন সংস্থাগুলো বিশ্ব বাজারের দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গত ১৭ জুলাই সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম কমায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৫ দশমিক ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করা হয়েছে-যা আগের বছরের তুলনায় ৭৫ হাজার টন বেশি।
পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ে শিগগিরই ট্যারিফ কমিশন বসবে: মন্ত্রী
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
২ বছর আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) দায়ের করা একটি মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
বিএসটিআয় এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আশরাফ খন্দকার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের কিছু সয়াবিন তেল জব্দ করেছিল বিএসটিআই। জব্দ করা তেল পরীক্ষা করে সরকারের নির্ধারিত মাত্রার ভিটামিন-এ না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করে বিএসটিআই। এ মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হননি। দু’বছর ধরে তিনি আদালত থেকে সময় চেয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২ বছর আগে
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয় টাকা কমেছে এবং তা সোমবার (২৭ জুন) থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএ এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ২০৫ টাকা থেকে ১৯৯ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৯৭ টাকা থেকে ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৫ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে।
আরও পড়ুন: দুই-এক দিনের মধ্যে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যসচিব
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিওআরভিএমএ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সয়াবিনের দাম সমন্বয় করে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়েছে।
তবে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি করে বাংলাদেশ। গত ৩০ দিন ধরে দেশটি থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন এক হাজার ৪৬৪ মার্কিন ডলার, যা মাত্র এক মাস আগে টন প্রতি ছিল এক হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলার।
অর্থাৎ এক মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
শুধু সয়াবিন তেল নয়, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা এখন কমতে শুরু করেছে। চাল, ভোজ্যতেল, গম, চিনি ও মসুর ডালের দাম কমছে।
২ বছর আগে
আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি সাত টাকা বেড়ে ২০৫ টাকা হয়েছে। সয়াবিনের তেলের এ নতুন দাম বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
এর আগে গত ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বেড়ে ১৯৮ টাকা হয়।
ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এ নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সাড়ে ৪ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ, আটক ২
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হবে।
খুচরা পর্যায়ে পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৯৭ টাকা যা এতদিন ৯৮৫ টাকায় টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৮৫ টাকা লিটার যা আগে ১৮০ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে। খোলা পাম তেল এখন থেকে বিক্রি হবে ১৫৮ টাকা লিটার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
২ বছর আগে
হবিগঞ্জে সাড়ে ৪ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ, আটক ২
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের একটি গুদাম থেকে সাড়ে চার হাজার ৫৭৩ লিটার সয়াবিন তেল পাচারের সময় জব্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার লালমিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আটক সুমন রায় (২৯) আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার সমিপুর গ্রামের সনদ কুমার রায়ের ছেলে এবং নেপাল বৈদ্য (৩২) একই গ্রামের গোপাল বৈদ্যর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ী কৃপেশ রায় মাস দুয়েক আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী সুমন রায়ের মাধ্যমে আজমিরীগঞ্জ লালমিয়া বাজারে একটি গুদাম ঘর ভাড়া নিয়ে সয়াবিন তেল মজুত করে রাখেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে ট্রাকে করে তেল হবিগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর নজরে আসে। একপর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে খবরটি পৌঁছে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম রাত সাড়ে এগারোটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজমা ব্রান্ডের ৫ লিটারের ৬৬৫ বোতল ও বসুন্ধরা গ্রুপের মহারানী (১ লিটারের) এক হাজার ২৪৮ বোতল সয়াবিন তেল জব্দ করেন।
এদিকে রাত সাড়ে বারোটায় সহকারি কমিশনার শফিকুল ইসলাম গুদামেই নিলামের আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে ৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দরটিলা সল্টগোলা এলাকায় বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার ১২০ লিটার খোলা ও পাম তেল জব্দ করেছে র্যাব-৭ ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম।
এসব তেল অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে সল্টগোলার মেসার্স আসাদ বাণিজ্যালয়কে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রবিবার (১৫ মে) বেলা ১১টায় সল্টগোলা ঈশানমিস্ত্রীর বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার ও শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ কর্ণফুলি বাজারে দুই দফা অভিযান পরিচালনা করে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন বলেন, ভোক্তার অধিদপ্তর ও র্যাবের যৌথ পরিচালনায় এ অভিযান চালানো হচ্ছে। সকাল থেকে সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রী বাজারের কয়েকটি দোকানে আমরা অভিযান চালাই। এ সময় মেসার্স আসাদ নামে এক প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা ৬ হাজার ১২০ লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সন্ধান পাই। এসব সয়াবিন তেল লিটারে ১৩৩ টাকা ও পাম তেল ১২৭ টাকা দরে কিনেছিল মো. ইলিয়াস হোসেন নামে ব্যবসায়ী। পরে মজুদ করে বর্তমান মূল্যে বিক্রি করে আসছে।
তিনি বলেন, আমাদের অভিযানে এ সত্যতা মেলায় আমরা মজুতদারির অপরাধে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আাদায় করি। এছাড়া ওই তেলগুলো আগের দামে বিক্রির আদেশ দিয়েছি ওই ব্যবসায়ীকে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: হবিগঞ্জে ২১ শ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি
২ বছর আগে
ফরিদপুরে ৩০০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা
ফরিদপুর শহরের হেলিপ্যাড মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ লিটার সয়াবিন তৈল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় দুই দোকানিকে অবৈধভাবে তেল মজুতের দায়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ফরিদপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের হেলিপ্যাড মাকের্টের মফিজ স্টোর ও আসাদ স্টোরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের কাছে আগের দামের বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩০০ লিটার সায়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৮ ভোজ্যতেল শোধনাগারের বিরুদ্ধে বিসিসির মামলা
তিনি বলেন, উদ্ধার করা তেল উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে আগের দামে বিক্রি করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে তেল মজুতের দায়ে মফিজ স্টোরকে ৪০ হাজার এবং আসাদ স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই কর্মকর্তা জানান, দোকান দুটি ১০ দিন বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
রাজশাহীতে ২৭ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ, আটক ১
রাজশাহীতে দুইটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৭ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজার থেকে এসব তেল জব্দ করা হয়।
এ সময় তেলের মালিক চেওখালি গ্রামের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম স্বপনকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, তাহেরপুর বাজারে একটি সরকারি গোডাউন রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেটি ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে। ওই গোডাউনে টিসিবির পণ্য থাকতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে ১০০ ড্রাম তেল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইফতে খায়ের আলম বলেন, ১০০ ড্রাম তেলের মধ্যে ৬৩ ড্রামে রয়েছে সয়াবিন তেল। প্রতি ড্রামে তেল রয়েছে ২০৪ লিটার। সে হিসেবে সয়াবিন তেল রয়েছে ১২ হাজার ৮৫২ লিটার। আর বাকি ৩৭ ড্রামে রয়েছে সাত হাজার ৫৪৮ লিটার সরিষার তেল।
তিনি বলেন, পরে তার পাশে গ্রেপ্তার স্বপনের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের আরেকটি গোডাউনে আরও ৩১ ড্রাম সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। সেখানে রয়েছে ছয় হাজার ৩২৪ লিটার সয়াবিন তেল। এ নিয়ে দুই গোডাউনে সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে ১৯ হাজার ১৭৬ লিটার।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম পালিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও দুইটি গোডাউন সিল করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্য মে থেকে ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
২ বছর আগে
যাত্রাবাড়ীতে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত, ৩ দোকানির জরিমানা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত এবং অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে তিনটি মুদি দোকানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার কয়েকজন মুদি দোকানি বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত করে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলের উপস্থিতিতে বেলা ১১টা ৫০ থেকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত উত্তর যাত্রাবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আভিযানিক দলটি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মজুদকৃত ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজাহারুল ইসলাম অদিতি ট্রেডার্স, মেসার্স সিফাত ট্রেডিং ও মেসার্স মিন্টু স্টোরের মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
র্যাব-৩ ব্যাটালিয়নের সদরদপ্তরের অতিরিক্ত এসপি (অপস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স উইং) বিনা রানী দাস জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই সব দোকানে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের মজুত পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুদি দোকানিরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, তারা বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত করে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এসব চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান অতিরিক্ত এসপি বিনা রানী।
২ বছর আগে