খোলা সয়াবিন তেলের দাম একটু কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ যাতে ঠিক পর্যায়ে থাকে, সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
শনিবার (১ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সয়াবিন তেলের সংকট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। খোলা ও বোতলজাত—দুই ধরনের সয়াবিন তেলেরই।’
‘এরইমধ্যে খোলা সয়াবিন তেলের দাম একটু কমা শুরু হয়েছে। আশা করছি, সামনে সরবরাহ পরিস্থিতি আরও ভালো হলে দামও একটা ভালো যায়গায় যাবে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে, মার্কেট থেকে এটা উধাও হয়ে গেছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি সরবরাহ যাতে ঠিক পর্যায়ে আসে, সবার জন্য যাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এরপর থেকে বন্যা দেখা দেওয়ায় বেশ কয়েকটি মাস সেদিকে মনোযোগ দিতে হয়েছে সরকারকে। ছয়-ছয়টি বন্যা হয়েছে। অক্টোবর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্ত শাখা, উপদেষ্টাদের ও যারা নিত্যপণ্যের মূল্য ও খাবার নিয়ে কাজ করেন—সবাইকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছিলেন, রোজাকে কেন্দ্রীভূত করে জীবনযাত্রার মান কীভাবে কমানো যায়, সেদিকে যাতে মনোযোগ দেওয়া হয়।’
এই রোজায় বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘পুরো রমজানজুড়ে কীভাবে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়, সেদিকে মনোযোগ থাকবে অন্তর্বর্তী সরকারের।’
‘রোজার সময় কিছু কিছু পণ্যের ভোগ বেড়ে যায়। বিশেষ করে, ভোজ্যতেল, স্ন্যাকস, ছোলা ও খেজুরের ক্ষেত্রে আমরা এটি দেখি। প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগ হচ্ছে, কীভাবে (এগুলোর মূল্য) সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবার যৌথ প্রয়াসে আমরা বলতে পারি, অনেক পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। পুরো রমজানে এটা কীভাবে আরও সহনীয় করা যায়, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যের সরবরাহ কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও কাজ করছে সরকার।’
ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কীভাবে কাজ করা হচ্ছে— এ বিষয়ে পেস সচিবের ভাষ্য, ‘আমরা প্রতিদিন মনিটর করছি। কত টন ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে এসেছে পরিশোধনের জন্য, সেটা আমরা দেখছি। সরবরাহ পরিস্থিতি সামনে আরও ভালো হবে।’