জলোচ্ছ্বাস
বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ১০টি ঘূর্ণিঝড়
অনন্য ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ঘন ঘন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। দেশের উপকূল স্পর্শ করে বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ অনেকটা ফানেল-আকৃতির। ফলে স্থলভাগের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে রূপ নেয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়গুলো। আর এই বিভীষিকার নির্মম শিকারে পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই দুর্যোগপ্রবণতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক শতাব্দির ইতিহাস। চলুন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ১০ ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০টি সাইক্লোন
বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন, ১৮৭৬
১৮৭৬ সালের ২৭ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ২৯ অক্টোবর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। অতঃপর ৩০ অক্টোবর আরও প্রবল হয়ে তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়ের আশপাশে সেসময় বাতাসের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার।
ওই ঘূর্ণিঝড় থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ২ মিটার। আর এই মাত্রা অব্যাহত রেখেই ৩১ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বরিশালের ব্যাকেরগঞ্জ উপজেলার ওপর। পাশাপাশি আঘাত হানে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিসহ ব্রিটিশ ভারতের উপকূল বরাবর, যেটি বর্তমানে বরিশালে মেঘনা নদীর মোহনার কাছাকাছি একটি স্থান।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে সেবার হতাহতের সংখ্যা হয়েছিল প্রায় ২ লাখ, যাদের অর্ধেকই মারা গিয়েছিল জলোচ্ছ্বাসে। এ ছাড়াও ঘরবাড়িসহ সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ১ নভেম্বর থামে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এরপর আরও অনেক মানুষ মারা যায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে।
আরও পড়ুন: কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম সাইক্লোন, ১৮৯৭
কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে ১৮৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মিলে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজারে। ঝড়-পরবর্তী সময়ে কলেরা মহামারিতে আরও ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
খুলনার ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬১
১৯৬১ সালের ৯ মে সংঘটিত হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বাগেরহাট ও খুলনার বেশকিছু অঞ্চল। ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার, আর জলোচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের উচ্চতা পৌঁছেছিল ২ দশমিক ৪৪ থেকে ৩ দশমিক ০৫ মিটারে।
ঝড়ে ১১ হাজার ৪৬৮ জন নিহতের অধিকাংশই ছিল চর আলেকজান্ডারের অধিবাসী। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বিশেষ করে নোয়াখালী ও হরিনারায়ণপুরের মধ্যকার রেলপথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৫ মাস আগে
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয় যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
এছাড়া, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালে ‘মধ্যম’
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘সকালে ভাটা শুরু হয়েছিল এবং মোখা এখন ৬৫ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ২২০ কিলোমিটার। তাই জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ইতোমধ্যে সাত লাখ মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
সরকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নগদ অর্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যখন মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত এলাকা খালি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে মহাবিপদ সংকেত ১০ ঘোষণা করা সত্ত্বেও অনেককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনে আমাকে সমুদ্র সৈকতে মানুষ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।’
সমুদ্র সৈকতে কৌতূহলী মানুষের উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং সমস্ত পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ (রবিবার) সকালে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করার পরপরই সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও নিকটবর্তী টেকনাফ উপজেলায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, দ্বীপের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল ও সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে অনিচ্ছুক।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি। দ্বীপে দমকা হাওয়া ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে।
কক্সবাজারের বাকি উপজেলাগুলোতেও হালকা দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, প্রায় দুই লাখ মানুষ ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে অবস্থান করছে যেখানে পাঁচ দশমিক পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ থাকতে পারে।
জনগণকে সাইক্লোন সেন্টারে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জানমাল রক্ষায় তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান শনিবার জানিয়েছেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার (১২ মে) সকালে মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখনো উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি এটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
শনিবার (১২ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে ২-৩ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জন্যতে জলোচ্ছ্বাস হ পারে। এছাড়া তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে দূরত্ব আছে, রবিবার সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করতে থাকবে।
এনামুর রহমান বলেন, এটির অবস্থান, গতিপথ ও গতি বিবেচনা করে আমরা স্থির করেছি, কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার জন্য।
আর চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রাখা হবে। মোংলায় ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কখন থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার (১৩ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে এটি কার্যকর হবে। এখন সেন্টমার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১২ লাখ, সেহেতু তাদের সরিয়ে নিয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
সেখানে যেহেতু পাহাড় তাই জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই। কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হতে পারে।
এই আশঙ্কা মাথায় রেখে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় ভোলায় এখনও গড়ে উঠেনি পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র
আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ভোলাসহ উপকূলবাসীর বিভিষীকাময় এক দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে বিস্তীর্ণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়। মূহুর্তের মধ্যেই প্রলয়ঙ্ককারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ক্ষত বিক্ষত করে দেয় ভোলার বিভিন্ন এলাকার জনপদ। ওই ঝড়ে ভোলায় ঝরে যায় দেড় লক্ষাধিক প্রাণ। নিখোঁজ হয় সহস্রাধিক মানুষ।
এক এক করে ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও কান্না থামেনি স্বজনহারাদের। বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ক্ষত ও হারানোর বেদনা। এই দিনটি স্মরণে ভোলায় দোয়াসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এতো বছর পরও ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় ভোলায় প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। তাই দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ আজও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়ান: ফ্লোরিডায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভোলা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
ভোলা জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট ৭৪৬টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাত উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
এছাড়া ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৭৬টি মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
সোমবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি) ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে।
বিসিজি পূর্বাঞ্চলের মিডিয়া অফিসার কাজী আল আমিন বলেন, ‘দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত রয়েছে।’
২ বছর আগে
নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে দক্ষিণের ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে বাগেরহাট, ঝালকাঠি, ভোলা, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বাগেরহাটে গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।
সোমবার বিকালে ভৈরব, বলেশ্বর, পানগুছি ও পশুর নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেড়েছে এবং সুন্দরবনে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ স্থানের সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
সুন্দরবনের সব পুকুর উপচে উঠেছে এবং এ অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে থাকলে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার মাছের ঘেরগুলো যে কোনো সময় ভেসে যেতে পারে।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেসহ বেশ কিছু মাছ ধরার ট্রলার সুন্দরবনের দুবলারচর, নারিকেলবাড়িয়া ও কটকায় আশ্রয় নিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশে ও এর পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পূর্ণিমা ও স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সমূহের নিম্নাঞ্চল এক থেকে দুই ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা নদীর জোয়ারে ভোলার নিম্নাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলসহ বেড়িবাঁধের বাইরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে।
এছাড়াও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাঙওয়ে ডুবে গিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অতি জোয়ারে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ সকাল ও বিকাল পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
এছাড়াও ভোলা দৌলতখানের মদনপুরা, তজুমদ্দিনের চরজহিরউদ্দিন, চরফ্যাশনের ঢালচর, চর কুকরিমুকরি, মনপুরার কলাতলির চরসহ প্রায় ১০ থেকে ১২টি চরের বাসিন্দারা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
জোয়ারেরর পানিতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিনফুট প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: চার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ঢালচরের চেয়ারম্যান মো. আবদুস ছালাম জানান, তার চরে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। বেড়িবাঁধ না থাকায় এ চরের মানুষ জোয়ারের পানিতে ভাসতে হয়। জোয়ারে তার ইউনিয়নে প্রায় তিন ফুট পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। তবে ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে আছে।
ভোলা আবাহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোলায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বাধেঁর বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাধঁ ভেঙে ২০০ বিঘা মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে গেছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুরে নদীর ৬-৭ হাত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এ প্লাবনের ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে সেটি সংস্কার করা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, তার ইউনিয়নের গদাইপুর এলাকার আব্দুল মান্নান মাস্টারের মাছের ঘের সংলগ্ন এলাকায় ৭/২ নং পোল্ডারে সোমবার খোলপেটুয়া নদীর ৬-৭ হাত জরাজীর্ণ বেড়িবাধঁ ভেঙে যায়। এতে প্রায় ২০০ বিঘা মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে দুপুরের মধ্যে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তা সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে পরবর্তী জোয়ারে কি হবে তা বলা যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি।
শ্যামনগরের দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, রবিবার থেকেই থেমে থেমে হালকা, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারি বর্ষণের কারণে শতাধিক ঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালি, তিন নম্বর পোল্ডারসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতায় মোট ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাধেঁর মধ্যে জরাজীর্ণ ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে, অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার চলমান।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আগামী ২-১ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঝালকাঠির বিষখালী ও হলতা নদীর পানি ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কাঠালিয়া উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৭টি গ্রাম ও শতাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্লাবিত হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে কাঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ।
গ্রামীণ কাঁচা পাকা ১০টি রাস্তা ডেবে গর্ত হয়ে সংযোগ বিচিছন্ন রয়েছে এ সকল গ্রামের। ফলে হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ ও আতংকের মধ্যে দিন কাটছে।
রবিবার থেকে মুশলধারে বৃষ্টি, বৈরি আবহাওয়া, বিষখালী ও হলতা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ২৭টি গ্রাম।
জোয়ারের পানিতে উপজেলার আউড়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া আশ্রায়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর পানিতে ভাসছে। ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এ সব ঘর।
উপজেলা পরিষদের সবগুলো অফিস ভবন, নির্বাহী অফিসারের বাস ভবন, কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ কেন্দ্র, ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্র, কাঠালিয়া লঞ্চ ঘাট, সিকদার পাড়া, পশ্চিম আউরা জেলে পাড়া, আমুয়া হাসপাতাল ও আমুয়া বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, দুই/এক দিনের ভিতর পানি না কমলে রোপা আমন ধান পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, তাদের ৪০ শতাংশ মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। ফলে এ সকল খামারিদে অর্ধকোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, কাঠালিয়া উপজেলাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোস্টাল এরিয়া ঘোষণা করা এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সমাধান সম্ভব নয়।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বিষখালী ও হলতা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সদরের নিচু এলাকা রবিবার জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ধসে প্লাবিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু চত্বর, কাঁচাবাজার এলাকাসহ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে নবনির্মিত শহর রক্ষা বাঁধের সামনের অংশটি ধসে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,পাইকগাছা পৌর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পৌরসভাকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে অপরিকল্পিতভাবে শিবসা নদীর চরভারতী এলাকায় বাঁধটি নির্মাণ করা হয় যা চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল উদ্বোধন করা হয়।
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বাঁধের ভেতরে শুরু হয়েছে মাছ চাষ।
চরভারতীর বিস্তীর্ণ এলাকার আশেপাশে বাস্তবায়িত বনায়ন প্রকল্পের বেশ কিছু গাছ মরতে শুরু করেছে, কারণ বেড়িবাঁধ নির্মাণের কারণে পানি নামতে পারছে না।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম স্থানীয় পৌরসভাকে বাঁধটি অপসারণের নির্দেশ দেন। বাঁধটি অপসারণ না করায় শেষ পর্যন্ত শিবশারে জলোচ্ছ্বাসের অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে পারেনি।
তবে পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজু হাওলাদার জানান, তারা শিবশারে এমন কোন বাঁধ নির্মাণ করেননি যা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
আরও পড়ুন: শহররক্ষা বাঁধে ভাঙন: পাইকগাছা পৌরসদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
২ বছর আগে
উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে
দেশের ১৫টি জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে বলে শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এই জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে সকাল ৬টার দিকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৭তম
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
২ বছর আগে
উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে
উপকূলীয় জেলার বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২ বছর আগে