ইসরাইল
লেবানন-গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান সৌদি যুবরাজের
গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে 'গণহত্যা' বলে নিন্দা জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। একই সঙ্গে পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
মুসলিম ও আরব নেতাদের সম্মেলনে লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করেন যুবরাজ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিয়ে, তিনি ইরানে আক্রমণ না করতে সতর্ক করেন ইসরায়েলকে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা রাশিয়ার
প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেন, ‘অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ এবং ইসরায়েলের আগ্রাসন শেষ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মূলত ব্যর্থ হয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়।এতে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন অপহৃত হন।
এরপর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ৪৩,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজায় ছয় মাস ধরে যাচাই করা ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় জাতিসংঘের কর্মী ও স্থাপনার ওপর ইসরাইলের অব্যাহত হামলারও নিন্দা জানান নেতারা।
এই শীর্ষ বৈঠকের প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।
উপসাগরীয় নেতারা ইসরায়েলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জানে। তবে তার সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্কও রয়েছে এবং তারা চান যে তিনি এই অঞ্চলে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চুক্তি করুন।
সৌদি আরবে ট্রাম্পকে জো বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে তার সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির সংযুক্তি দিয়ে ইসরাইলকে খুশি ও মুসলিম বিশ্বকে ক্ষুব্ধ করেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৫ সিরীয় সেনা নিহত
১ সপ্তাহ আগে
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা করছে জাতিসংঘ
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে আগামী এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের 'অবৈধ উপস্থিতি' বন্ধ এবং দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিন। এই প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার এই প্রস্তাব ১৯৩ সদস্যের এসেম্বলিতে ভোটের জন্য উত্থাপন করা হবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী নিকটে আসতে থাকায় এবং পশ্চিম তীরে সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ।
এদিকে সদস্য দেশগুলোকে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, এটি 'কূটনৈতিক সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা' ছাড়া আর কিছু নয়। এই প্রস্তাব 'সত্যকে উপেক্ষা করে, ঘটনাকে বিকৃত করে এবং বাস্তবতার বদলে কল্পকাহিনী তুলে ধরেছে।’
ড্যানন আরও বলেন, ‘হামাস ৭ অক্টোবর যে ধর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েছে তার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাবের পরিবর্তে, আমরা এখানে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের সার্কাস দেখতে জড়ো হয়েছি- যে সার্কাসে মন্দকে ন্যায়সঙ্গত, যুদ্ধকে শান্তি, হত্যাকারীকে নির্দোষ এবং সন্ত্রাসের প্রশংসা করা হয়।’
আরও পড়ুন: ১ জুলাই-১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য জমা দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই প্রস্তাব এ অঞ্চলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না, বরং পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। শান্তি ও অগ্রগতির আশাকে বিলম্বিত করবে।
সাধারণ পরিষদে গৃহীত হলেও প্রস্তাবটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে না। তবে এর সমর্থন বিশ্ববাসী কি চায় সেই জনমত প্রকাশ করবে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের মতো এই পরিষদে কোনো ভেটো নেই।
এর আগে গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপস্থিতি অবৈধ এবং অবশ্যই এর অবসান ঘটাতে হবে।
১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় দখল করা জমির ওপর ইসরায়েলের শাসনের ব্যাপক নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বলেন, এই এলাকাগুলোর ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের কোনো অধিকার নেই। বলপূর্বক জমি অধিগ্রহণ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিরা 'অস্তিত্বের হুমকির' মুখোমুখি উল্লেখ করে সাধারণ পরিষদের বৈঠকের শুরুতে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ইসরায়েল তাদের 'শেকলে' বদ্ধ করে রেখেছে। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিনিদের 'মর্যাদা, শান্তি ও নিরাপত্তার' সঙ্গে নিজেদের পূর্বপুরুষের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, 'যারা মনে করে ফিলিস্তিনি জনগণ দাসত্বের জীবন, বর্ণবাদের জীবন মেনে নেবে, তারাই বাস্তববাদী নয়। ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান ছাড়া আমাদের অঞ্চলে শান্তি সম্ভব বলে যারা দাবি করে, তারা বাস্তববাদী নয়।’
প্রস্তাবে ইসরাইলকে তার সেনা প্রত্যাহার, অবিলম্বে নতুন সব বসতি নির্মাণ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে সব বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরের সঙ্গে গাজা সীমান্তের উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রণ চান নেতানিয়াহু
এছাড়াও ইসরায়েলকে তার দখলদারিত্বের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির জন্য ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাণিজ্য বা বিনিয়োগ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে এবং 'বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতাসহ' অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস বলেন, প্রস্তাবে বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে৷ এটি আইসিজের নিয়মনীতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে। এছাড়াও গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা 'হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন' এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টি এই প্রস্তাবে তুলে ধরা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে আনবে না বলে আমরা মনে করছি। এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। সংঘাত অবসানে যেসব চেষ্টা চলছে সেগুলো জটিল করে তুলতে পারে। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমি মনে করি।’
রিয়াদ মনসুর বলেন, প্রাথমিক খসড়ায় ছয় মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর দাবি জানানো হলেও কিছু দেশের উদ্বেগের কারণে সময় বাড়িয়ে এক বছরের কথা বলা হয়েছে।
মনসুর আরও বলেন, এই প্রস্তাবটির লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় পাওয়া যদিও তা আইনত বাধ্যতামূলক নয়।
ইসরায়েল এই প্রস্তাবে গুরুত্ব নাও দিতে পারে মনে করছেন মনসুর। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিরা তখন আরেকটি প্রস্তাব জমা দেবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এই তিনটি ভূমিই চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই তিনটি এলাকাকেই দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
আরও পড়ুন: উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য ইসরায়েলের
২ মাস আগে
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুক্রবার মক্কার হাজিরা মরুভূমির একটি বিশাল তাঁবু শিবিরে জমায়েত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর আগে তারা ইসলামের পবিত্রতম স্থান গ্র্যান্ড মসজিদের কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন।
সারা বিশ্বের ১৫ লাখেরও বেশি হজযাত্রীরা এরই মধ্যে হজ পালন করতে মক্কা এবং এর আশেপাশের এলাকায় জড়ো হয়েছেন। এছাড়া সৌদি আরবের অভ্যন্তর থেকে আরও হাজি যোগ দেওয়ায় এই সংখ্যা এখনও বাড়ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, চলতি বছর এ সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
এবারের হজের কার্যক্রম এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত। স্বাধীনতাকামী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। অন্যদিকে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ তার অন্যান্য মিত্ররা।
গাজার উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা এ বছর হজের জন্য মক্কায় যেতে পারেনি। কারণ, ইসরায়েল মিশরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে স্থল আক্রমণ বাড়িয়ে চলতি বছরের মে মাসে মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ৪ হাজার ২০০ হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে গাজার যুদ্ধে নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের পরিবারের আরও ১ হাজার সদস্যও হজ পালনের জন্য এসেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার আগে এই ১ হাজার আমন্ত্রিত ব্যক্তি গাজার বাইরে ছিলেন- যাদের বেশিরভাগই মিশরে অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসের ৭৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি নারী আমনা আবু মুতলাক বলেন, 'ক্রসিং বন্ধ থাকায় এবং ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আমরা হজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তারা (ইসরায়েল) আমাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে।’
মোহাম্মদ রফিক নামে এক ভারতীয় হাজি মিনার তাঁবু ক্যাম্পের দিকে যাওয়ার সময় বলেন, 'আমরা মুসলমানদের জন্য, আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রার্থনা করি।’
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম হলে প্রত্যেক মুসলমানকে তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও পাঁচ দিনের হজ করতে হবে।
এটি তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি চলমান আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। তারা বিশ্বাস করে, এটি পাপমোচন করে এবং বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মুসলমান একত্রিত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকটবর্তী হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ মক্কা ও এর আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বছরের জন্য যাদের হজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি নেই তাদের পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ ঠেকাতে শহরের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে তল্লাশি করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার হাজিরা মিনার উদ্দেশে রওনা হন এবং হজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হজযাত্রীরা। এরপর তারা শনিবার মরুভূমির পাহাড় আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) তার শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন- যেটি বিদায় খুতবা নামে পরিচিত। সুস্থ তীর্থযাত্রীরা পায়ে হেঁটে, অন্যরা বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
এটি ইসলামিক চন্দ্র বর্ষের শেষ মাস জিলহজের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঁচ দিনের জন্য নির্ধারণ করায় খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী প্রতি বছর হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় পরিবর্তন হয়।
অনেক হাজি সূর্যের তীব্র তাপ থেকে কিছুটা নিস্তার পেতে ছাতা বহন করছেন। মিনায় দাতব্য সংস্থাগুলো ঠান্ডা পানি বিতরণ করছে এবং শীতল কেন্দ্রগুলো হাজিদের শীতল করার জন্য পানি ছিটাচ্ছে। মুসল্লিরা তাদের তাঁবু টাঙিয়ে ছোট্ট বিছানা পেতে বিশ্রাম নেন এবং হজের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একসঙ্গে প্রার্থনা করছিলেন।
শনিবার আরাফাতের হজের কার্যক্রম শেষে হাজিরা কয়েক কিলোমিটার (মাইল) ভ্রমণ করে মুজদালিফা নামে পরিচিত একটি স্থানে নুড়ি সংগ্রহ করবেন। এগুলো তারা মিনায় শয়তানের প্রতিনিধিত্বকারী স্তম্ভের প্রতীকী পাথরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করবেন।
এরপরে হজযাত্রীরা তিন দিনের জন্য মিনায় ফিরে আসেন। ঈদুল আজহার উৎসবের ছুটির সঙ্গে মিলে যায়। যখন বিশ্বজুড়ে আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমানরা গবাদি পশু জবাই করে এবং দরিদ্র লোকদের মাঝে কিছু অংশ মাংস বিতরণ করে। অতঃপর তারা চূড়ান্ত প্রদক্ষিণ করার জন্য মক্কায় ফিরে আসে, যা বিদায় তাওয়াফ নামে পরিচিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিন বছরের কঠোর বিধিনিষেধের পরে বার্ষিক হজযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি হাজি হজ পালন করেছেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪ লাখের বেশি।
আরও পড়ুন: হজের সময় সৌদি আরবে গাজা বিষয়ে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ
৫ মাস আগে
গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
বিশ্ববাসী গাজায় হত্যা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে হত্যাকাণ্ড দেখছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৪ মার্চ) সফররত ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দলের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেব্রিল আলরজব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানান তিনি।
তিনি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিসরের মাধ্যমে দুইবার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি যখনই সুযোগ পাই তখনই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে আমার কণ্ঠ তুলে ধরি।’
১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নীরব থাকার অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।
শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের স্বার্থে এটা করা উচিত।’
এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন ও আন্তর্জাতিক ফোরামে তাদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফাতেহ মুভমেন্টের নেতা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরিল আলরজব।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।’
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘গাজায় খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং জনগণ অনাহারে রয়েছে। সেখানে খাদ্য সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, আরব দেশগুলোতে ৪০ কোটি মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হবে। আরব বিশ্বের ক্ষমতা ও সম্পদ রয়েছে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য তাদের মধ্যে কেবল ঐক্য প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না।
অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ইসরাইলের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে সমর্থন জানানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
৭ মাস আগে
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার তারা এক ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের একজন এজেন্ট।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে একজন বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য রাখেন। মিয়ান আরাফি নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার তারা একজন ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে দিয়েছে, কথা বলেছেন। পাশে আবার তাদের বড় বড় নেতারা বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিনি সরকারের কেউ নন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু এখানে স্পষ্টতো বিএনপি একটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে- আমাদের কাছে যে খবর আছে সেই ব্যক্তি হচ্ছেন ইসরাইলের একজন এজেন্ট। এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে। ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কিছু বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য ইসরায়েল বিএনপির ওপর সন্তুষ্ট। তো অনেকে বলছে একজন ইসরায়েলি এজেন্টকে তারা পাঠিয়েছে, যাকে নিয়ে কালকে তারা সভা করেছে, এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে।
গতকালের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতিটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবার ভিসানীতি আরোপ হতে পারে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।
একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, শনিবার বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তার মানে এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছিল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে তারা সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের প্রধান। তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে সরকারি দল, বিরোধী দল। কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠানকে তোয়াক্কা করে না। সেটি প্রমাণ হচ্ছে গতকালের ঘটনা। সবচেয়ে নেককারজনক হচ্ছে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গা দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পেছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে শনিবার আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, যারা করেছে শুধু তাদের নয়, এটির দায় এটির নির্দেশ দাতাদের। কারণ তারা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। তারা বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের সংঘর্ষে শামীম মিয়া নামের যে যুবদল নেতা মারা গেছে বলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বলেছেন, তাদের রাজনীতি তো মিথ্যাচারের উপর। তার পরিবার বলছে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
হাসপাতাল বলছে- তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ কী রকম মিথ্যাচার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার দায় এড়ানোর জন্য একজন সাধারণ মানুষ তাদের এই অপকর্মের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে, সেটিকে যুবদল বলে পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশ, জনগণ, সরকার বরদাশত করতে পারে না এবং আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না। যারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের স্বস্তি স্থাপন করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ফিলিস্তিন: পশ্চিম তীরে কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইল
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনী এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেথলেহেম শহরের কাছে একটি গ্রামে ইসরাইলি বাহিনী এবং পাথর নিক্ষেপকারী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলি চালানো হয়।
মন্ত্রণালয় নিহত কিশোরটিকে মোস্তফা সাবাহ (১৬) হিসেবে শনাক্ত করেছে এবং তার বুকে গুলি করা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে জনতা গুলি চালানোর পর কিশোরটির লাশ বহন করছে এবং আরবীতে ‘আল্লাহু আকবার’ বা ‘আল্লাহ মহান’ বলে চিৎকার করছে।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনি লড়াই বছরের পর বছর অদৃশ্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে,এর আগে শুক্রবার সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই যুবক আহত হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি তথ্য অনুসারে ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৯৭ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অন্তত অর্ধেক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। সে সময় ইসরাইলিদের ওপর ফিলিস্তিনি হামলায় ১৯ জন নিহত হয়।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল গাজা উপত্যাকা এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে। ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ওই জমিগুলো চায়।
আরও পড়ুন: পাসওভারেও থেমে নেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ
১ বছর আগে
গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
গাজা উপত্যকায় হামাসকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ভোরে এই অভিযান চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি রকেট নিক্ষেপ করার কয়েক ঘন্টা পর দেশটির নতুন অতি-জাতীয়তাবাদী সরকারের অধীনে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা বেড়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের একটি রকেট কারখানায় লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।এতে বলা হয় যে ওই স্থাপনায় কাঁচা রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।
হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে গত বুধবার ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেটকে রুখে দেয়। গত সপ্তাহে, একটি সামরিক অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর পাল্টাপাল্টি রকেট এবং বিমান হামলায় গাজার হামাস ও ইসরায়েল পশ্চিম তীরে কয়েক মাসের আন্তঃসীমান্ত শান্তি ভঙ্গ করেছে।
ইসরায়েলের স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের উদ্ধারকারী পরিষেবা বলেছে যে তারা একটি ৫০ বছর বয়সী মহিলা ছাড়া আহত হওয়ার কোনও খবর পায়নি। তবে তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে দৌঁড়ানোর সময় পিছলে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে কঠোর আচরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার যুদ্ধমূলক অবস্থানের বিষয়ে হামাস ইসরাইলকে হুমকি দেয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকা পর্যন্ত অনেক ফিলিস্তিনি বন্দিদেরকে ফিলিস্তিনের জন্য বীর হিসেবে শ্রদ্ধা করে।
বেন-গভির বলেছেন যে গাজা থেকে নতুন রকেট হামলা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিরুদ্ধে তার শাস্তিমূলক নীতি বাস্তবায়নে তাকে বাধা দেবে না। তিনি এ বিষয়ে জরুরি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সহিংসতা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ঘাঁটিতে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত ১০ জনের বেশির ভাগই হামাস সদস্য। পরের দিন, পূর্ব জেরুজালেমের একটি ইহুদি বসতিতে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে সাতজন নিহত হয়। একটি পৃথক আরেকটি ঘটনায় পূর্ব জেরুজালেম সপ্তাহান্তে ১৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনির গুলিতে দুই ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
এমন অস্থিরতার পর ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অনুমোদন দেয়।
ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের, বিশেষ করে মহিলা বন্দীদের বিরুদ্ধে কারারক্ষীদের দ্বারা কথিত হামলার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমের সিনাগগে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭
ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে গত শুক্রবার সমস্যা শুরু হয়েছিল যখন তারা পূর্ব জেরুজালেমের সিনাগগের বাইরে ভয়াবহ ফিলিস্তিনি হামলার পরে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্জন কারাগারে রেখেছিল।
জেল পরিষেবা জানিয়েছে, এক মহিলা ফিলিস্তিনি বন্দিকে বিচ্ছিন্নতার শাস্তি দেয়া হয়েছিল। প্রতিবাদে তার সেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিল। আরেকটি পদক্ষেপে জেল পরিষেবা রামাল্লা শহরের কাছে ইসরায়েলের ওফার কারাগারের তিনটি কক্ষ থেকে টেলিভিশন সরিয়ে দিয়েছে।
প্রাক্তন এবং বর্তমান বন্দিদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল প্যালেস্টাইনি প্রিজনারস ক্লাবের আমানি স্রানেহ বলেছেন, ‘অতিরিক্ত পদক্ষেপ এবং বন্দিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল সরকারের এই নতুন উসকানি নীতি’ ‘খুব উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়ার আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক বাহিনীর অংশের একটি রানওয়ে ও এর পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজধানী দামেস্কের প্রধান বিমানবন্দর আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেসব রানওয়েতে ইসরাইল হামলা চালায় যেগুলো দিয়ে মাত্র মাসখানেক আগেও ইরানের অস্ত্রের চালান এসেছে।
শুক্রবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ছবিটি বিশ্লেষণ করেছে।
প্লানেট ল্যাব পিবিসির বৃহস্পতিবারের নেয়া ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পশ্চিমাংশের একমাত্র রানওয়ের হামলার জায়গার চারদিকে অনেকগুলো গাড়ি ঘিরে রেখেছে। হামলায় রানওয়েতে গর্ত তৈরি হয়েছে এবং আগুন জ্বলছে।
আরেকটি হামলায় রানওয়ের দক্ষিণে বিমানবন্দরটির সামরিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং সড়কের পিচ ও আরেকটি কাঠামো নষ্ট হয়েছে।
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো মতো বিমানবন্দরে দুটি রানওয়ে ব্যবহার করে যার একটি দিয়ে বেসামরিক ও অন্যটি সামরিক বাহিনীর জন্য। হামলায় ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে।
পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে বলেন, ‘হামলায় সামরিক বাহিনীর জায়গা ও যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অভিযোগ করছে যে ইরানের একটি মিসাইলের চালানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘটিষ্ঠ সহযোগী ইরান। যারা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে ২০১১ সালে দেশব্যাপী চরম বিদ্রোহের সময় থেকে তার পক্ষে যুদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার এপির পক্ষ থেকে ইরান ও সিরিয়ার আন্তর্জাতিক মিশনে যেগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে ইসরাইল ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থেকে অনেক হামলা চালিয়েছে। তবে বুধবারের হামলার দায় এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি তারা।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইল এই হামলার জন্য দায়ী ‘দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমান বন্দরে বার বার হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও চলাফেরার স্বাধীনতাকে হুমকির মধ্যে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
সিরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
২ বছর আগে
প্রথম মাংকিপক্স শনাক্তের ঘোষণা ইসরাইলের
সম্প্রতি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ জুড়ে ভাইরাল রোগ শনাক্ত হওয়ার পরে ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার দেশটিতে প্রথম মাংকিপক্স শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,পশ্চিম ইউরোপ থেকে ফিরে আসা ৩০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি ভাইরাসের সন্দেহজনক ক্ষত নিয়ে তেল আবিবের ইচিলভ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা শনাক্ত করার পর এটিকেই ইসরাইলের প্রথম মাংকিপক্স কেস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চ-এ একটি ক্লিনিকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, যেখানে মাংকিপক্সের সন্দেহ যাচাই করা হয়েছিল।
পশ্চিম ইউরোপে একজন মাংকিপক্স রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকটিকে মেডিকেল পরীক্ষা এবং তত্ত্বাবধান সম্পূর্ণ করার জন্য কোয়ারেন্টাইনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা সংলগ্ন প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট আবারও খুলছে ইসরাইল
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো। যারা বিদেশ থেকে ফিরেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর ও ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে অবিলম্বে তাদেরও ডাক্তার দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীশনাক্ত হয়েছে।
মাংকিপক্স ইঁদুর ও ছোট আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো বন্য প্রাণীদের মধ্যে সাধারণ রোগ, তবে মানুষও এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ত্বকে ফুসকুড়ি, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতই, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
তেল আবিবের কাছে ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরাইলি নিহত
২ বছর আগে
ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
ইসরাইলি সেনারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, শনিবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ শুরু হলে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রণালয় মৃত কিশোরকে আমজাদ আল-ফাইয়েদ (১৭) হিসেবে শনাক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরাইলিদের বন্দুকের গুলিতে আহত ১৮ বছর বয়সী আরেক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। তবে আল-ফাইয়েদ কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
এর আগে ১১ মে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
ইসরাইল বলেছে, তারা পশ্চিম তীর ও ইসরাইলে সাম্প্রতিক মারাত্মক হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গি এবং পরিকল্পনাকারীদের আটক করতে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম’ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে লবণ কারখানার দেয়াল ধসে ১২ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে