ইসরাইল
গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
বিশ্ববাসী গাজায় হত্যা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে হত্যাকাণ্ড দেখছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৪ মার্চ) সফররত ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দলের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেব্রিল আলরজব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানান তিনি।
তিনি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিসরের মাধ্যমে দুইবার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি যখনই সুযোগ পাই তখনই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে আমার কণ্ঠ তুলে ধরি।’
১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নীরব থাকার অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।
শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের স্বার্থে এটা করা উচিত।’
এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন ও আন্তর্জাতিক ফোরামে তাদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফাতেহ মুভমেন্টের নেতা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরিল আলরজব।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।’
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘গাজায় খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং জনগণ অনাহারে রয়েছে। সেখানে খাদ্য সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, আরব দেশগুলোতে ৪০ কোটি মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হবে। আরব বিশ্বের ক্ষমতা ও সম্পদ রয়েছে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য তাদের মধ্যে কেবল ঐক্য প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না।
অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ইসরাইলের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে সমর্থন জানানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার তারা এক ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের একজন এজেন্ট।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে একজন বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য রাখেন। মিয়ান আরাফি নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার তারা একজন ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে দিয়েছে, কথা বলেছেন। পাশে আবার তাদের বড় বড় নেতারা বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিনি সরকারের কেউ নন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু এখানে স্পষ্টতো বিএনপি একটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে- আমাদের কাছে যে খবর আছে সেই ব্যক্তি হচ্ছেন ইসরাইলের একজন এজেন্ট। এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে। ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কিছু বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য ইসরায়েল বিএনপির ওপর সন্তুষ্ট। তো অনেকে বলছে একজন ইসরায়েলি এজেন্টকে তারা পাঠিয়েছে, যাকে নিয়ে কালকে তারা সভা করেছে, এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে।
গতকালের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতিটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবার ভিসানীতি আরোপ হতে পারে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।
একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, শনিবার বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তার মানে এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছিল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে তারা সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের প্রধান। তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে সরকারি দল, বিরোধী দল। কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠানকে তোয়াক্কা করে না। সেটি প্রমাণ হচ্ছে গতকালের ঘটনা। সবচেয়ে নেককারজনক হচ্ছে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গা দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পেছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে শনিবার আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, যারা করেছে শুধু তাদের নয়, এটির দায় এটির নির্দেশ দাতাদের। কারণ তারা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। তারা বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের সংঘর্ষে শামীম মিয়া নামের যে যুবদল নেতা মারা গেছে বলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বলেছেন, তাদের রাজনীতি তো মিথ্যাচারের উপর। তার পরিবার বলছে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
হাসপাতাল বলছে- তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ কী রকম মিথ্যাচার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার দায় এড়ানোর জন্য একজন সাধারণ মানুষ তাদের এই অপকর্মের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে, সেটিকে যুবদল বলে পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশ, জনগণ, সরকার বরদাশত করতে পারে না এবং আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না। যারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের স্বস্তি স্থাপন করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
ফিলিস্তিন: পশ্চিম তীরে কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইল
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনী এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেথলেহেম শহরের কাছে একটি গ্রামে ইসরাইলি বাহিনী এবং পাথর নিক্ষেপকারী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলি চালানো হয়।
মন্ত্রণালয় নিহত কিশোরটিকে মোস্তফা সাবাহ (১৬) হিসেবে শনাক্ত করেছে এবং তার বুকে গুলি করা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে জনতা গুলি চালানোর পর কিশোরটির লাশ বহন করছে এবং আরবীতে ‘আল্লাহু আকবার’ বা ‘আল্লাহ মহান’ বলে চিৎকার করছে।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনি লড়াই বছরের পর বছর অদৃশ্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে,এর আগে শুক্রবার সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই যুবক আহত হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি তথ্য অনুসারে ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৯৭ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অন্তত অর্ধেক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। সে সময় ইসরাইলিদের ওপর ফিলিস্তিনি হামলায় ১৯ জন নিহত হয়।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল গাজা উপত্যাকা এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে। ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ওই জমিগুলো চায়।
আরও পড়ুন: পাসওভারেও থেমে নেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ
গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
গাজা উপত্যকায় হামাসকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ভোরে এই অভিযান চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি রকেট নিক্ষেপ করার কয়েক ঘন্টা পর দেশটির নতুন অতি-জাতীয়তাবাদী সরকারের অধীনে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা বেড়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের একটি রকেট কারখানায় লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।এতে বলা হয় যে ওই স্থাপনায় কাঁচা রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।
হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে গত বুধবার ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেটকে রুখে দেয়। গত সপ্তাহে, একটি সামরিক অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর পাল্টাপাল্টি রকেট এবং বিমান হামলায় গাজার হামাস ও ইসরায়েল পশ্চিম তীরে কয়েক মাসের আন্তঃসীমান্ত শান্তি ভঙ্গ করেছে।
ইসরায়েলের স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের উদ্ধারকারী পরিষেবা বলেছে যে তারা একটি ৫০ বছর বয়সী মহিলা ছাড়া আহত হওয়ার কোনও খবর পায়নি। তবে তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে দৌঁড়ানোর সময় পিছলে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে কঠোর আচরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার যুদ্ধমূলক অবস্থানের বিষয়ে হামাস ইসরাইলকে হুমকি দেয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকা পর্যন্ত অনেক ফিলিস্তিনি বন্দিদেরকে ফিলিস্তিনের জন্য বীর হিসেবে শ্রদ্ধা করে।
বেন-গভির বলেছেন যে গাজা থেকে নতুন রকেট হামলা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিরুদ্ধে তার শাস্তিমূলক নীতি বাস্তবায়নে তাকে বাধা দেবে না। তিনি এ বিষয়ে জরুরি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সহিংসতা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ঘাঁটিতে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত ১০ জনের বেশির ভাগই হামাস সদস্য। পরের দিন, পূর্ব জেরুজালেমের একটি ইহুদি বসতিতে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে সাতজন নিহত হয়। একটি পৃথক আরেকটি ঘটনায় পূর্ব জেরুজালেম সপ্তাহান্তে ১৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনির গুলিতে দুই ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
এমন অস্থিরতার পর ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অনুমোদন দেয়।
ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের, বিশেষ করে মহিলা বন্দীদের বিরুদ্ধে কারারক্ষীদের দ্বারা কথিত হামলার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমের সিনাগগে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭
ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে গত শুক্রবার সমস্যা শুরু হয়েছিল যখন তারা পূর্ব জেরুজালেমের সিনাগগের বাইরে ভয়াবহ ফিলিস্তিনি হামলার পরে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্জন কারাগারে রেখেছিল।
জেল পরিষেবা জানিয়েছে, এক মহিলা ফিলিস্তিনি বন্দিকে বিচ্ছিন্নতার শাস্তি দেয়া হয়েছিল। প্রতিবাদে তার সেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিল। আরেকটি পদক্ষেপে জেল পরিষেবা রামাল্লা শহরের কাছে ইসরায়েলের ওফার কারাগারের তিনটি কক্ষ থেকে টেলিভিশন সরিয়ে দিয়েছে।
প্রাক্তন এবং বর্তমান বন্দিদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল প্যালেস্টাইনি প্রিজনারস ক্লাবের আমানি স্রানেহ বলেছেন, ‘অতিরিক্ত পদক্ষেপ এবং বন্দিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল সরকারের এই নতুন উসকানি নীতি’ ‘খুব উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়ার আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক বাহিনীর অংশের একটি রানওয়ে ও এর পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজধানী দামেস্কের প্রধান বিমানবন্দর আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেসব রানওয়েতে ইসরাইল হামলা চালায় যেগুলো দিয়ে মাত্র মাসখানেক আগেও ইরানের অস্ত্রের চালান এসেছে।
শুক্রবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ছবিটি বিশ্লেষণ করেছে।
প্লানেট ল্যাব পিবিসির বৃহস্পতিবারের নেয়া ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পশ্চিমাংশের একমাত্র রানওয়ের হামলার জায়গার চারদিকে অনেকগুলো গাড়ি ঘিরে রেখেছে। হামলায় রানওয়েতে গর্ত তৈরি হয়েছে এবং আগুন জ্বলছে।
আরেকটি হামলায় রানওয়ের দক্ষিণে বিমানবন্দরটির সামরিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং সড়কের পিচ ও আরেকটি কাঠামো নষ্ট হয়েছে।
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো মতো বিমানবন্দরে দুটি রানওয়ে ব্যবহার করে যার একটি দিয়ে বেসামরিক ও অন্যটি সামরিক বাহিনীর জন্য। হামলায় ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে।
পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে বলেন, ‘হামলায় সামরিক বাহিনীর জায়গা ও যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অভিযোগ করছে যে ইরানের একটি মিসাইলের চালানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘটিষ্ঠ সহযোগী ইরান। যারা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে ২০১১ সালে দেশব্যাপী চরম বিদ্রোহের সময় থেকে তার পক্ষে যুদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার এপির পক্ষ থেকে ইরান ও সিরিয়ার আন্তর্জাতিক মিশনে যেগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে ইসরাইল ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থেকে অনেক হামলা চালিয়েছে। তবে বুধবারের হামলার দায় এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি তারা।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইল এই হামলার জন্য দায়ী ‘দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমান বন্দরে বার বার হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও চলাফেরার স্বাধীনতাকে হুমকির মধ্যে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
সিরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
প্রথম মাংকিপক্স শনাক্তের ঘোষণা ইসরাইলের
সম্প্রতি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ জুড়ে ভাইরাল রোগ শনাক্ত হওয়ার পরে ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার দেশটিতে প্রথম মাংকিপক্স শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,পশ্চিম ইউরোপ থেকে ফিরে আসা ৩০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি ভাইরাসের সন্দেহজনক ক্ষত নিয়ে তেল আবিবের ইচিলভ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা শনাক্ত করার পর এটিকেই ইসরাইলের প্রথম মাংকিপক্স কেস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চ-এ একটি ক্লিনিকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, যেখানে মাংকিপক্সের সন্দেহ যাচাই করা হয়েছিল।
পশ্চিম ইউরোপে একজন মাংকিপক্স রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকটিকে মেডিকেল পরীক্ষা এবং তত্ত্বাবধান সম্পূর্ণ করার জন্য কোয়ারেন্টাইনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা সংলগ্ন প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট আবারও খুলছে ইসরাইল
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো। যারা বিদেশ থেকে ফিরেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর ও ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে অবিলম্বে তাদেরও ডাক্তার দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীশনাক্ত হয়েছে।
মাংকিপক্স ইঁদুর ও ছোট আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো বন্য প্রাণীদের মধ্যে সাধারণ রোগ, তবে মানুষও এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ত্বকে ফুসকুড়ি, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতই, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
তেল আবিবের কাছে ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরাইলি নিহত
ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
ইসরাইলি সেনারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, শনিবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ শুরু হলে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রণালয় মৃত কিশোরকে আমজাদ আল-ফাইয়েদ (১৭) হিসেবে শনাক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরাইলিদের বন্দুকের গুলিতে আহত ১৮ বছর বয়সী আরেক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। তবে আল-ফাইয়েদ কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
এর আগে ১১ মে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
ইসরাইল বলেছে, তারা পশ্চিম তীর ও ইসরাইলে সাম্প্রতিক মারাত্মক হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গি এবং পরিকল্পনাকারীদের আটক করতে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম’ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে লবণ কারখানার দেয়াল ধসে ১২ জনের মৃত্যু
তেল আবিবের কাছে ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরাইলি নিহত
ফিলিস্তিনি ‘হামলাকারীদের’ ছুরিকাঘাতে তেল আবিবের কাছে একটি শহরে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে দু’জন ফিলিস্তিনি এই হামলা চালিয়েছে বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শুক্রবার ইসরাইলি পুলিশ বলেছে সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিরা ১৯-২০ বছর বয়সী হতে পারে এবং তারা জেনিন থেকে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর বলেছেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের এবং তাদের সহায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব এবং তাদের মূল্য দিতে হবে।’
জেরুজালেমের সবচেয়ে স্পর্শকাতর পবিত্র স্থান আল-আকসায় সহিংসতার কারণে সম্প্রতি ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভবনধসে নিহত বেড়ে ৫৩
জনসাধারণকে এলাকাটি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সন্দেহজনক যানবাহন বা লোকেদের সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্য লোকদের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ দেশটির পশ্চিম তীর বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনে, সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে মার্কিন কর্মকর্তারা ইলাদে হামলার ‘ঘোর নিন্দা’ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মারিউপোলের ইস্পাত কারখানায় রুশ হামলা জোরদার
গাজা সংলগ্ন প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট আবারও খুলছে ইসরাইল
উপকূলীয় ছিটমহলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পর ইসরাইল গাজা স্ট্রিপের উত্তর প্রান্তের ইরেজ ক্রসিং পয়েন্ট ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এটি চালু করা হবে।
এবিষয়ে সোমবার ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ইসরাইলি মেজর জেনারেল ঘাসান আলিয়ান সাংবাদিকদের এক বিবৃতিতে বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়নের পর মঙ্গলবার থেকে ইরেজ ক্রসিং দিয়ে গাজা থেকে ইসরায়েলে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রবেশ ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের চলাচলের জন্য ক্রসিং খুলে দেয়া এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে অন্যান্য বেসামরিক পদক্ষেপগুলো এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার শর্তসাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মেয়াদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ম্যাক্রোঁ
গাজার অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্রসিং উন্মুক্ত রাখলে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান অর্থনৈতিক অবনতি ও স্থবিরতার বর্তমান অবস্থা ভাঙতে একটি গুণগত পরিবর্তন হতে পারে।
তারা বলেছে, প্রায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিক ও ব্যবসায়ী প্রতিদিন গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে পাড়ি জমাচ্ছে। যা উপকূলীয় ছিটমহলে ৫ মিলিয়ন ইসরায়েলি শেকেল (এক দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক তারল্য নিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে পর্যটকবাহী নৌকায় হাঙরের ধাক্কা, আহত ৬
ইসরাইলের সাথে ভবিষ্যতেও কূটনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসরাইলের সাথে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যতেও হওয়ার কোন সম্ভবাবনা নেই।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট থেকে ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম পাসপোর্টে পরিবর্তনটা ইন্টারন্যাশনাল নর্মসের কারণে করা হয়েছে। কোনভাবেই এতে ইসরাইলের উল্লাসিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ ইসরাইলের সাথে আমাদের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতেও হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ঈদে করোনামুক্তি ও ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য তথ্যমন্ত্রীর প্রার্থনা
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইনে তথ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মানুষের জন্য লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা যাতে ন্যায় বিচার পান তার চেষ্টা থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাসান বলেন, পাসপোর্টে যাই লেখা থাকুক না কেন বাংলাদেশিদের জন্য ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। একইসাথে ইসরায়েলি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবে না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে আ’ লীগ: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তাদের নাগরিকরা ইসরায়েল ভ্রমণ করে না তাদের পাসপোর্ট নিয়ে। কিন্তু তাদের পাসপোর্টে সেই কথাটি উল্লেখ নাই, আমাদের পাসপোর্টে যেটি উল্লেখ ছিল।