এইচএসসি
এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা খারাপ ফলাফল পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩টার দিকে সচিবালয়ে হামলা চালান। প্রকাশিত ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
আরও পড়ুন: এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে সচিবালয় ছাড়তে বাধ্য হন তারা।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এইচএসসির ফল বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে 'এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪' ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
ফলাফলকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে ঈর্ষণীয় ফলাফল শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজের
৪ সপ্তাহ আগে
এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে এইচএসসি পরবর্তী সময়টি সর্বাপেক্ষা উত্তম। দেশে স্নাতক করে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় কোর্স আউটলাইনসহ নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্নাতক স্তর থেকে অধ্যয়ন শুরু করা হলে পরবর্তী পর্যায়গুলোতে আর এই অসামঞ্জস্যতার আশঙ্কা থাকে না। তাই এইচএসসির পরপরই যাওয়া সম্ভব হলে দূর ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলোতে প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজতর হয়ে ওঠে। দীর্ঘ মেয়াদে এই সুফলের জন্য দেশে থাকা অবস্থাতেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। চলুন, এইচএসসির পরপরই বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে করণীয় সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রবেশিকা পরীক্ষা
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন একাডেমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হয়। তন্মধ্যে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য পরীক্ষাগুলো হলো এসএটি (স্কলাস্টিক অ্যাসেস্মেন্ট টেস্ট) এবং এসিটি (আমেরিকান কলেজ টেস্টিং)। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর রিডিং, রাইটিং এবং গাণিতিক বিশ্লেষণের মত প্রাথমিক দক্ষতাগুলো যাচাই করা হয়ে থাকে। এসএটিতে যেখানে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ স্কোর তুলতে হয়, সেখানে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য এসিটিতে ২৫ থেকে ৩০ স্কোর প্রয়োজন হয়। যুক্তরাজ্যের জন্য ইসিএএস (ইউনিভার্সিটি এ্যান্ড কলেজেস অ্যাডমিশন সার্ভিস) ট্যারিফ বা এ-লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
এছাড়া বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক কিছু পরীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্ব দেয়। যেমন- যুক্তরাজ্যে মেডিকেল সায়েন্সের জন্য বিএমএটি (বায়োমেডিক্যাল অ্যাডমিশন টেস্ট) অথবা ইউসিএটি (ইউনিভার্সিটি ক্লিনিক্যাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট) পরীক্ষা দিতে হয়।
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা
আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এই আবশ্যকীয় যোগ্যতাটি যাচাইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত বেশ কিছু পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন-
- আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)- টোফেল (টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাস ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ)- পিটিই (পিয়ার্সন টেস্ট অব ইংলিশ)- ডুওলিঙ্গো
এগুলোর মধ্যে আইইএলটিএস ও টোফেল বহু বছর ধরে ইংরেজি ভাষাভাষীসহ অন্য ভাষার দেশগুলোতেও অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইইএলটিএস স্কোর সাধারণত ৬ থেকে ৭ দশমিক ৫ এর মধ্যে থাকতে হয়।
অপরদিকে, টোফেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৮০ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর দেখাতে হয়। কিছু ইউরোপীয় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসির মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাকশন (এমওআই) বা পাঠদানের মাধ্যম ইংরেজি ভাষায় হলেই ভর্তি নিয়ে নেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি মূলত শুধুমাত্র ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংরেজি ভার্সন কলেজগুলোর জন্য প্রযোজ্য।
ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার দেশগুলোতে অধ্যয়নের জন্য সেখানকার স্থানীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য আলাদা পরীক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন জার্মানির ক্ষেত্রে টেস্টডিএএফ (টেস্ট অব জার্মান অ্যাস এ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ) বা ডিএসএইচ (জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সামিনেশন ফর ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স) পাস করতে হয়। একইভাবে ফ্রান্সে গুরুত্ব দেওয়া হয় ডিএএলএফ (ডিপ্লোমা ইন অ্যাডভান্সড ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ) পরীক্ষার ফলাফলকে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসনের প্রয়োজনীয় নথি তৈরি
যে কোনো উদ্দেশ্যেই অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা। শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের জন্যও এমন কিছু দরকারি নথি রয়েছে, যেগুলো অভিবাসনকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করতে হয়। প্রথমটি হচ্ছে স্টেটমেন্ট অব পার্পাস (এসওপি)। এখানে আবেদনকারীর একাডেমিক লক্ষ্য, দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা তার প্রোগ্রাম নির্বাচনের কারণগুলো উল্লেখ করতে হয়।
এরপরেই আসে লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)। এটি হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর যোগ্যতার ব্যাপারে সুপারিশনামা। সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এই সুপারিশ করে থাকেন। সঙ্গত কারণেই এই লেটারটি কয়েকটি তৈরি করে রাখতে হয়। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ থেকে ৩টি এলওআর সরবরাহের প্রয়োজন হয়।
এসওপি ও এলওআরের সঙ্গে একটি সিভি বা রেজুমি ও কভার লেটার বা পার্সোনাল স্টেটমেন্ট যুক্ত করা হলে আবেদনটি আরও শক্তিশালী হয়। সিভি বা রেজুমিতে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে একাডেমিক ও একাডেমির বাইরের যাবতীয় অর্জনগুলো লিপিবদ্ধ থাকে। পার্সোনাল স্টেটমেন্টের আরও একটি নাম মোটিভেশনাল লেটার। এখানে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত কোর্সটিকে ঘিরে শিক্ষার্থীর আবেগে বিষয়টি পেশাগত কায়দায় ফুটিয়ে তুলতে হয়।
সর্বোপরি, এই নথিগুলো তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বিগত সকল একাডেমিক নথি একত্রিত করা
উচ্চশিক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতার প্রমাণ হলো বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদগুলো। তাই স্কুল ও কলেজ থেকে ইস্যুকৃত প্রতিটি কাগজ সংরক্ষণ করা জরুরি। বিশেষ করে সার্টিফিকেট, মার্কশিট প্রত্যেকটির প্রতিলিপিসহ মূল কপিগুলো একত্রে রাখতে হবে। অনুলিপিগুলো স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সত্যায়িত করে রাখা উত্তম।
তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো নথিগুলোর ভাষা যদি ইংরেজি না হয় তাহলে সেগুলো অনুবাদ করা। চীন, কোরিয়া, তুর্কি ও জার্মানির মতো ভিন্ন ভাষার দেশে অধ্যয়নের আবেদনের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র ইংরেজিতে অনুবাদই যথেষ্ট। তবে অনুদিত সংস্করণগুলো অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা নোটারি পাবলিকের মতো জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যয়িত করে নেওয়া উচিত।
একাডেমিক রেকর্ডের পাশাপাশি খেলাধুলা, সমাজকল্যাণমূলক বা শিল্পকলার কার্যক্রমগুলো থেকে প্রাপ্ত শংসাপত্রগুলোও সংকলন করা উচিত। এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভর্তি প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
স্বনির্ভরতার জন্য সহায়ক কিছু দক্ষতা অর্জন
ভিন্ন ভাষা ও জনগোষ্ঠীর দেশে আত্মনির্ভর হয়ে টিকে থাকার জন্য কিছু ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। যেমন- বিদেশে নিজেদের খাবার তৈরি করে খাওয়া ও তা সংরক্ষণের জন্য রান্না করার ন্যূনতম মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্রধান খাবারের রান্নার কোর্স করে নিলে তা আরও বেশি সহায়ক হতে পারে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ছাত্রজীবন থেকেই গাড়ি চালানো শেখা ও তার যথাযথ প্রয়োগের সংস্কৃতি রয়েছে। এই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে দেশ থেকেই ড্রাইভিং শিখে যাওয়া উত্তম। তবে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান খোঁজার সময় তারা প্রশিক্ষণটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
এছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য বজায়ের স্বার্থে সাঁতার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার দক্ষতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
স্নাতক স্কলারশিপগুলোতে আবেদন
বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ থাকে ফান্ডিং বা অর্থায়ন নিয়ে। এই সমস্যা নিরসনের একমাত্র উপায় হচ্ছে স্কলারশিপগুলো। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তৃতীয় বিশ্বের মেধাবীদের জন্য বৃত্তি ও ভাতার ব্যবস্থা করে। এই অর্থ সহায়তায় পড়াশোনার খরচসহ জীবনযাত্রার ব্যয়ভারও অন্তর্ভুক্ত থাকে। স্কলারশিপগুলোর পূর্বশর্ত হিসেবে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষা দক্ষতা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক প্রভাব রাখে। তাই দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে। কয়েকটি দরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের তালিকা নিম্নরূপ:
ইউকে ও ইউরোপীয়ান স্কলারশিপের জন্য-https://study-uk.britishcouncil.org/scholarships-funding/https://www.idp.com/জার্মান স্কলারশিপের জন্য-https://www.daad.de/en/studying-in-germany/scholarships/daad-scholarships/যুক্তরাষ্ট্রের স্কলারশিপের জন্য-https://bigfuture.collegeboard.org/pay-for-college/scholarship-searchপৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের জন্য-https://www.fastweb.com/https://www.scholars4dev.com/
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সারসংক্ষেপ
এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানো। তারপর নির্দিষ্ট দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে সঠিক প্রবেশিকা বা যোগ্যতার পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। এই দক্ষতাগুলো পরবর্তীতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উপরন্তু, বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশিট যোগাড় এবং স্টেটমেন্ট অব পার্পাস, সিভি ও পার্সোনাল স্টেটমেন্ট তৈরি করে ফেলতে হবে। সর্বোপরি, রান্না করা ও গাড়ি চালানোর মতো ব্যবহারিক কাজগুলোতে পারদর্শিতা অর্জন করা হলে তা ভিন্ন দেশে স্বনির্ভর জীবনধারার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
১ মাস আগে
এইচএসসিতে ঈর্ষণীয় ফলাফল শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শেরপুরের সবুজ মিয়া এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ৩৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসির ফলাফলে জানা যায়, শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সবুজ।
এদিকে সবুজ মিয়ার এই ফলাফলে শিক্ষকরাসহ সহপাঠীরা আনন্দিত হলেও সন্তান ও ভাই হারানোর শোকে পরিবারে চলছে বিষাদের কান্না।
আরও পড়ুন: বিয়ের একদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী হারালেন নববধূ
সবুজের মা সমেজা বেগম বলেন, আমার ছেলে ভালো রেজাল্ট করেছে ঠিকই। কিন্তু এ রেজাল্ট আমাদের কোনো কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার করা হোক। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
শ্রীবরদীর খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের রূপারপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে ছিলেন সবুজ। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবুজ দ্বিতীয়। বোনের বিয়ের পর বাবা প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের দায়িত্ব নেন সবুজ। পড়ালেখার পাশাপাশি দোকানে কাজ করতেন এবং পরিবার চালানোর পাশাপাশি নিজের আয়ে পড়াশোনা করতেন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষায় বসেছিলেন সবুজ। পরীক্ষা চলাকালেই দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে ৪ আগস্ট শেরপুর জেলা শহরে গুলিতে নিহত হন তিনি।
শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান বলেন, সবুজ মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ছয় সদস্যের সংসারের খরচ বহন করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে এই রেজাল্ট করা কম কথা নয়। তার এই রেজাল্টে আমরা শিক্ষকরাসহ তার সহপাঠীরাও আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, শুধু তার পরিবার সন্তান ও ভাই হারানোর শোকে এ আনন্দ নিতে পারছে না। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোকাহত অসহায় পরিবারের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
উল্লেখ্য, সবুজ মিয়া হত্যার ঘটনায় তার ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সাবেক পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের চার শতাধিক নেতাকে আসামমি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ৪৪
১ মাস আগে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের যেসব কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় ২৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরমধ্যে শতভাগ পাস করেছে মাত্র ১৩টি কলেজ। গতবারের চেয়ে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি।
আর পাঁচটি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি।
গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৩টি। সেই হিসাবে এবার শূন্য পাস কলেজের সংখ্যা আরও ৩টি বেড়েছে।
শতভাগ পাসের তালিকায় নগরের নামদামি কোনো কলেজ নেই। এমনকি সরকারি কোনো কলেজেরও স্থান হয়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
পাসের হার শূন্য ৫ কলেজের মধ্যে ৩টি উপজেলার আর ২টি মহানগরের। উপজেলার মধ্যে একটি হলো হাটহাজারীর রহিমপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন।
এরপর রয়েছে রাউজানের মোহাম্মদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন।
এরপরে রয়েছে চকরিয়া কর্মাস কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের ৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
মহানগরের মধ্যে পাসের হার শূন্য এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হলো হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজ। এই কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন এবং অন্যটি পাঁচলাইশের চট্টগ্রাম জেলা কলেজ।
এ কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
অন্যদিকে, গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কম। তবে সেই তুলনায় এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে। এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন।
গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৩৯ জন।
শতভাগ পাস করে ১৩টি কলেজের মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩৮৭ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ। ৩৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬৮ জন শিক্ষার্থী।
এবারও পার্বত্য অঞ্চলের ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের রেকর্ড করেছে।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো কলেজ। তাদের ৬৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
এরপরে রয়েছে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুন্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ৬০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
শতভাগ পাসের তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ৫১ জন শিক্ষার্থী।
শতভাগ পাসের নবম তালিকায় রয়েছে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার শলক কলেজ। তাদের ৫০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
এরপরে দশম অবস্থানে রয়েছে আনোয়ারার কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
এদিকে তালিকায় ১১তম ও ১২তম অবস্থানে রয়েছে মহানগরের দুটি প্রতিষ্ঠান। একটি হলো কোতোয়ালি থানার সেন্ট্রাল পাবলিক কলেজ। তাদের ১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপরে রয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ১০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
সর্বশেষে রয়েছে কক্সবাজারের বিআইএম ল্যাবরেটরি (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ৯ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
১ মাস আগে
রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ পেয়েছে ২৪ হাজার ৯০২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৩০৫ জন। আর ছাত্রী ১৪ হাজার ৫৯৭ জন।
বোর্ডটিতে এবার মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৩ পরীক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৪ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাস করে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল: ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি
২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। গত বছর ১১ হাজার ২৫৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ১১টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স রুমে চেয়ারম্যান অধ্যাপক অলিউল আলম এ তথ্য জানান।
এসময় ড. অলীউল আলম বলেন, রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় মোট কলেজের সংখ্যা ৭৪১টি। এরমধ্যে ১২টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। আর ৩৫টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।
যেসব কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি সেসব কলেজের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক অলিউল আলম।
রাজশাহী বোর্ডে গতবছর এইচএসসির পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে।
এছাড়া বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ২৫৮ জন। এবার দ্বিগুণের বেশি। গতবছর পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী সংখ্যা এবারের চেয়ে বেশি, ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯০ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
১ মাস আগে
এইচএসসির ফলাফলে চমক দেখালো সিলেটের শিক্ষার্থীরা
চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাসের হার সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে। সিলেটের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে ফল প্রকাশ করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকির আহমদ।
পরে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পাল।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
ফলাফলে দেখা যায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসির পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছে ৮৩ হাজার ১৫৬ জন অংশ নিয়ে ৭১ হাজার ১২ জন পাস করেছে।
এর মধ্যে ছাত্রী ৪৯ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৪২ হাজার ৬৬১ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক শূন্য ৪৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ জন।
অন্যদিকে ছাত্রদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩৩ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৮ হাজার ৩৫১ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৬৯ জন।
এছাড়াও গত বছরের তুলনায় সিলেটে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। এবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯। যা গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। গত বছর পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২। গত কয়েক বছর সিলেটে জিপিএ কম থাকলেও এবছর রেকর্ড ৬ হাজার ৬৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৬৯৯ জন শিক্ষার্থী।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পাসের হারে এ বছর শীর্ষে থাকা সিলেট বোর্ডের পরেই রয়েছে বরিশাল বোর্ড। বরিশালে পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার কাছাকাছি অবস্থানে রাজশাহী বোর্ডও। রাজশাহীতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
পাসের হারে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ঢাকা বোর্ড ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের হিসাবে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বছর এ বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরই অবস্থান করছে কারিগরি বোর্ড, সেখানে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্থগিত পরীক্ষাগুলো না নিতে আন্দোলনে নামেন একদল পরীক্ষার্থী।
তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
১ মাস আগে
এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।
এবছর পাসের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ যা এ বছর ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
১ মাস আগে
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
১ মাস আগে
এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার ইউএনবিকে ফোনে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি-সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিল
তিনি বলেন, ওই দিন সকাল ১১টায় স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না বলেও জানান তিনি।’
তিনি বলেন, এবার স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরাই ফল প্রকাশ করবেন।
চলতি বছরের ৩০ জুন সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী ২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত ২৪ আগস্ট এইচএসসির বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিন সচিবালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
১ মাস আগে
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অক্টোবরের মধ্যে এ ফল প্রকাশের জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করার পাশাপাশি বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ফল প্রকাশের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তপন কুমার।
গত ৩০ জুন সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী ২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত ২৪ আগস্ট এইচএসসির বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিন সচিবালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে সশরীরে ক্লাস চলবে স্কুল-কলেজে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
১ মাস আগে